Loading AI tools
বাংলাদেশের একটি মিলিটারি উচ্চ বিদ্যালয় উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
ফৌজদারহাট ক্যাডেট কলেজ বাংলাদেশের (তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান) সর্বপ্রথম ক্যাডেট কলেজ।[1] ১৯৫৮ খ্রিষ্টাব্দে প্রতিষ্ঠিত এ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটির পূর্বনাম ছিল 'ইস্ট পাকিস্তান ক্যাডেট কলেজ'। এটি চট্টগ্রাম জেলার সীতাকুণ্ড উপজেলার ফৌজদারহাটে অবস্থিত।
ফৌজদারহাট ক্যাডেট কলেজ | |
---|---|
অবস্থান | |
, বাংলাদেশ , ৫৪০৪ | |
স্থানাঙ্ক | ২২.৪০০০° উত্তর ৯১.৭৬২৪° পূর্ব |
তথ্য | |
প্রাক্তন নাম | ইস্ট পাকিস্তান ক্যাডেট কলেজ |
নীতিবাক্য | কথা নয় কাজ |
প্রতিষ্ঠাকাল | ২৮ এপ্রিল ১৯৫৮ |
বিদ্যালয় বোর্ড | মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড, চট্টগ্রাম |
ইআইআইএন | ১০৫১১৬ |
অধ্যক্ষ | মাহিনূর আক্তার (ভারপ্রাপ্ত) |
অ্যাডজুট্যান্ট | মেজর জায়েদ সাদ আল রাব্বি |
ভাষা | ইংরেজী |
আয়তন | ১৮৫ একর (৭,৫০,০০০ মি২) |
রং | পিকটন নীল |
প্রথম অধ্যক্ষ | স্যার উইলিয়াম মরিস ব্রাউন |
ওয়েবসাইট | fcc.army.mil.bd |
কলেজটি চট্টগ্রাম শহরের অদূরে ফৌজদারহাটে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পাশে অবস্থিত। এই কলেজ থেকে ভাটিয়ারিতে অবস্থিত বাংলাদেশ মিলিটারি একাডেমীর দূরত্ব মাত্র ২ কিলোমিটার। কলেজের অদূরেই রয়েছে বঙ্গোপসাগর।
১৯৫৮ সালের ২৮ এপ্রিল নিউজিল্যান্ডের নাগরিক উইলিয়াম মরিস ব্রাউনের হাত ধরে এ কলেজের যাত্রা শুরু হয়। ১৯৬৫ সাল পর্যন্ত এটি 'ইস্ট পাকিস্তান ক্যাডেট কলেজ' নামে পরিচিত ছিল। প্রাথমিকভাবে সেনাবাহিনীর জন্য যোগ্য কর্মকর্তা তৈরি করাই ছিল এ কলেজ প্রতিষ্ঠার মূল লক্ষ্য।
সকল শিক্ষার্থী শ্রেণিকক্ষে মিলিটারি একাডেমীর ক্যাডেটদের মত খাকি ইউনিফর্ম পরিধান করে, সকালে পিটি এবং বিকেলে খেলাধুলার সময় নেভী ব্লু হাফপ্যান্ট ও সবার জন্য নির্দিষ্ট টি-শার্ট পরে এবং রাতে পড়াশুনার সময় সাদা ফুলশার্ট, কালো ফুলপ্যান্ট এবং সবার জন্যে নির্দিষ্ট করা একটি টাই পড়ে। ঋতুভেদে ইউনিফর্মের প্যাটার্ন বদলানো হয়। যেমন : গরমকালে জলপাই রং এর হাফ শার্ট ও শীতকালে খাকি ইউনিফর্মের সাথে খাকি সোয়েটার এবং রাতে পড়াশুনার সময় কলেজ মনোগ্রাম সংবলিত ব্লেজার ব্যবহার করা হয়। শিক্ষক ও অন্যান্য কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দও দায়িত্বকালীন সময়ে নির্দিষ্ট পোশাক পরিধান করেন।
কলেজ অডিটোরিয়ামের পেছনে কলেজ মিউজিয়ামটির অবস্থান। জাদুঘরের অন্যান্য জিনিসের মধ্যে প্রাক্তন ক্যাডেটদের ছবি ও তাদের নামের তালিকা উল্লেখযোগ্য।
ডাইনিং হলটির নামকরণ করা হয়েছে কলেজের প্রথম অধ্যক্ষের নামানুসারে "কর্নেল ব্রাউন হল"। এখানে প্রতিদিন পাঁচবার খাবার পরিবেশন করা হয়। ডাইনিং হলে খাবার গ্রহণের সময় ক্যাডেটরা বিশেষ শিষ্টাচার মেনে চলে।
কলেজ পাঠাগারটি রেফারেন্স ও আর্কাইভের দিক থেকে দেশের অন্যতম একটি পাঠাগার। এখানে ১০০০০ এরও অধিক সংখ্যক বিভিন্ন ধরনের বই রয়েছে[তথ্যসূত্র প্রয়োজন]। পাঠাগারটি "রউফ পাঠাগার" নামে পরিচিত। এর নামকরণ হয়েছে মুক্তিযুদ্ধে শহীদ বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সি আব্দুর রউফের নামে।
ফৌজদারহাট ক্যাডেট কলেজের চারটি হাউজ। প্রতি হাউজের নিজস্ব রং, প্রতীক এবং মূলনীতি রয়েছে।
ফৌজদারহাট ক্যাডেট কলেজের নিম্নোক্ত প্রাক্তন ক্যাডেটরা বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে দেশের জন্য সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার করেন:
এছাড়া ফৌজদারহাটের নিম্নোক্ত ক্যাডেটরা মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন যাদের অনেকেই খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা :
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.
Every time you click a link to Wikipedia, Wiktionary or Wikiquote in your browser's search results, it will show the modern Wikiwand interface.
Wikiwand extension is a five stars, simple, with minimum permission required to keep your browsing private, safe and transparent.