Loading AI tools
ভারতীয় রাজনৈতিক কৌশলবিদ উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
প্রশান্ত কিশোর একজন ভারতীয় নির্বাচনী কৌশলী ও রাজনীতিবিদ। তিনি জনতা দল (সংযুক্ত) এর রাজনীতির সাথে যুক্ত হওয়ার আগে আট বছর ধরে জাতিসংঘের অর্থায়নে জনস্বাস্থ্য কর্মসূচিতে কাজ করেছিলেন।
প্রশান্ত কিশোর | |
---|---|
জনতা দল (সংযুক্ত) এর সহ-সভাপতি | |
কাজের মেয়াদ ১৬ অক্টোবর ২০১৮ – ২৯ জানুয়ারী ২০২১ | |
পূর্বসূরী | উদয় নারায়ণ চৌধুরী |
উত্তরসূরী | লালন সিং |
ব্যক্তিগত বিবরণ | |
জন্ম | ১৯৭৭ রথাস, করান, বিহার, ভারত |
রাজনৈতিক দল | জনতা দল (সংযুক্ত) (২০১৮–২০২০) |
বাসস্থান | নয়াদিল্লি, ভারত |
পেশা | নির্বাচন কৌশলী রাজনীতিবিদ |
যে জন্য পরিচিত | গুজরাত বিধানসভা নির্বাচন, ২০১২ ভারতের সাধারণ নির্বাচন, ২০১৪ বিহার বিধানসভা নির্বাচন, ২০১৫ তানজানিয়ার রাষ্ট্রপতি নির্বাচন, ২০১৫ পাঞ্জাব বিধানসভা নির্বাচন, ২০১৭ উত্তরপ্রদেশ বিধানসভা নির্বাচন, ২০১৭ অন্ধ্রপ্রদেশ বিধানসভা নির্বাচন, ২০১৯ পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচন, ২০২১ |
ওয়েবসাইট | Official website |
প্রশান্ত কিশোর ১৯৭৭ সালে বিহারের রথাস জেলার করানে জন্মগ্রহণ করেন।[1] তিনি পড়াশোনা করেছেন বক্সার জেলায় ও হায়দ্রাবাদে। হায়দ্রাবাদে প্রকৌশলবিদ্যায় পড়াশোনা শেষ হলে তিনি জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচীতে জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ হিসেবে কাজ করেছে।[1][2] তিনি সেই চাকরি ছেড়ে দিয়ে নির্বাচন কৌশলী হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন ও সিটিজেন্স ফর অ্যাকাউন্টেবল গভর্নমেন্ট প্রতিষ্ঠা করেন।[2][3]
তিনি ২০১২ সালের গুজরাত বিধানসভা নির্বাচনে ভারতীয় জনতা পার্টির পক্ষে কাজ করেন।[4] নির্বাচনে ভারতীয় জনতা পার্টি জয়লাভ করে ও নরেন্দ্র মোদি টানা তৃতীয় বারের মত মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন।
তিনি ষোড়শ লোকসভা নির্বাচনে আবারো ভারতীয় জনতা পার্টির পক্ষে কাজ করেন।[4] নির্বাচনে তিনি "হর হর মোদি, ঘর ঘর মোদি" স্লোগান, "চায়ে পে চর্চা" ও "রান ফর ইউনিটি" প্রচারাভিযান প্রবর্তন করেন।[2][4] নির্বাচনে ভারতীয় জনতা পার্টি জয়লাভ করে ও নরেন্দ্র মোদি প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন।
কেন্দ্রে বিজেপি ক্ষমতায় আসার পর দলটির নেতাদের সাথে মনোমালিন্য তৈরি হয় তার। ফলে তিনি দলটির সাথে নিজের সম্পর্ক ত্যাগ করেন ও সেসময় তার সংস্থা সিটিজেন্স ফর অ্যাকাউন্টেবল গভর্নমেন্টের নাম পরিবর্তন করে ইন্ডিয়ান পলিটিক্যাল অ্যাকশন কমিটি রাখেন।[2]
২০১৫ সালে বিহার বিধানসভা নির্বাচনে তিনি জনতা দল (সংযুক্ত) এর পক্ষে কাজ করেন।[5] তিনি দলটির সাথে রাষ্ট্রীয় জনতা দলের জোট গঠনে ভূমিকা রাখেন। সে সময় তিনি "বিহারি বনাম বাহারি" স্লোগান প্রবর্তন করেন ও বিহারে গেরুয়া ঝড় থামিয়ে দেন।[5] নির্বাচন শেষে নীতিশ কুমার বিহারের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন।
২০১৫ সালে তিনি নির্বাচন কৌশলী হিসেবে তানজানিয়ায় কাজ করেছিলেন।[3] ২০১৫ সালে তানজানিয়ার রাষ্ট্রপতি ও আইনসভা নির্বাচনে জন মাগুফুলি ও চামা চা মাপিন্দুজি দলের জন্য কাজ করেছিলেন।[6] ২০১৫ সালে তানজানিয়ার রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে জন মাগফুলি ও আইনসভা নির্বাচনে চামা চা মাপিন্দুজি দল জয়লাভ করে।
২০১৭ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে ২০১৬ সালে তাকে পাঞ্জাব প্রদেশ কংগ্রেসের নির্বাচনী কৌশলী হিসেবে নিযুক্ত করা হয়।[7][8][9] তিনি অমরিন্দর সিংয়ের জন্য "পাঞ্জাব দা ক্যাপটেন", "ক্যাপটেন দা পাঞ্জাব" স্লোগান তৈরি করে দেন।[3] নির্বাচনে ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস জয়লাভ করে ও দশ বছর পর পাঞ্জাব বিধানসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে। অমরিন্দর সিং পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন।
২০১৭ সালের উত্তরপ্রদেশ বিধানসভা নির্বাচনে প্রশান্ত কিশোর আবারো ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের পক্ষে কাজ করেন। এই নির্বাচনে তিনি প্রথমবারের মত ব্যর্থ হন। ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস ৪০৩ টি আসনের মাঝে মাত্র ৭টি আসন লাভ করে। তবে অভিযোগ আছে, তিনি প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর নাম ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের মুখ্যমন্ত্রী পদের প্রার্থী হিসেবে প্রস্তাব করলে তা গ্রহণ করা হয় নি।[1][2]
২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচন ও অন্ধ্রপ্রদেশ বিধানসভা নির্বাচনে তিনি জগন্মোহন রেড্ডির ওয়াইএসআর কংগ্রেস পার্টির হয়ে কাজ করেছিলেন। তিনি এবার "রাভালি জগন, কাভালি জগন" স্লোগান প্রবর্তন করেন।[1] বিধানসভা নির্বাচনে ওয়াইএসআর কংগ্রেস পার্টি জয়লাভ করে ও জগন্মোহন রেড্ডি অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহ্ণ করেন। আর, লোকসভা নির্বাচনে অন্ধ্রপ্রদেশের লোকসভা কেন্দ্রগুলোতে ওয়াইএসআর কংগ্রেস পার্টি সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে।
২০২০ সালে অনুষ্ঠিত দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে প্রশান্ত কিশোর ও তার সংস্থা আম আদমি পার্টির হয়ে কাজ করার জন্য চুক্তিবদ্ধ হয়েছিল। নির্বাচনের পর টানা তৃতীয়বারের মত আম আদমি পার্টি জয়লাভ করে ও অরবিন্দ কেজরিওয়াল টানা তৃতীয়বারের মত দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী পদে অধিষ্ঠিত হন।[10][11][12]
২০১৯ সালে তিনি সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের নির্বাচন কৌশলী হিসেবে নিযুক্ত হন। প্রশান্ত কিশোরের পরামর্শে দিদিকে বলো কর্মসূচী চালু হয়।[13][14] এছাড়া, তার পরামর্শে "আমার গর্ব মমতা" প্রচারাভিযান চালু করে সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেস।[15][16]
তিনি গৌহাটির জাহ্নবী দাসের সাথে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন।[3] জাহ্নবী দাস পেশায় একজন ডাক্তার। প্রশান্ত-জাহ্নবীর দুইটি পুত্রসন্তান আছে।[3]
২০১৮ সালের সেপ্টেম্বর মাসে তিনি জনতা দল (সংযুক্ত) এ যোগদান করেন।[2][6] তিনি দলটির সহসভাপতি হিসেবে নিযুক্ত হন। ২০২০ সালে ২৯ জানুয়ারি দলবিরোধী কাজের অভিযোগে তাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়।[17][18]
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.
Every time you click a link to Wikipedia, Wiktionary or Wikiquote in your browser's search results, it will show the modern Wikiwand interface.
Wikiwand extension is a five stars, simple, with minimum permission required to keep your browsing private, safe and transparent.