গুয়াহাটি (অসমীয়া: গুৱাহাটী, /ɡuːəˈhɑːti/; পূর্বে গৌহাটি রূপে পরিচিত ছিল, /ɡaʊˈhɑːti/) উত্তর-পূর্ব ভারতের আসামের বৃহত্তম শহর এবং উত্তর-পূর্ব ভারতের বৃহত্তম মহানগরী। শহরটি পশ্চিম অসমে ব্রহ্মপুত্র নদের তীরে, মেঘালয় অঙ্গরাজ্যের সাথে সীমান্তের কাছে অবস্থিত।[৬] একে উত্তর পূর্ব ভারতের প্রবেশদ্বারও বলা হয়।[৭][৮]
গুয়াহাটি গুৱাহাটী গৌহাটি | |
---|---|
শহর | |
গুয়াহাটি শহর | |
গুয়াহাটির অবস্থান | |
স্থানাঙ্ক: ২৬°১০′২০″ উত্তর ৯১°৪৪′৪৫″ পূর্ব | |
দেশ | ভারত |
রাজ্য | আসাম |
অঞ্চল | নিম্ন আসাম |
জেলা | কামরূপ মহানগর জেলা |
সরকার | |
• ধরন | পৌর সংস্থা |
• শাসক | গুয়াহাটি পৌরসংস্থা |
• মহানাগরিক | মৃগেন শরনিয়া (ভারতীয় জনতা দল) |
• ডেপুটি কমিশনার | বিশ্বজিৎ পেগু, আইএএস[১] |
• পুলিশ কমিশনার | দীপক কুমার, আইপিএস[২] |
আয়তন[৩] | |
• শহর | ২১৬ বর্গকিমি (৮৩ বর্গমাইল) |
• মহানগর | ৩২৮ বর্গকিমি (১২৭ বর্গমাইল) |
উচ্চতা | ৫৫.৫ মিটার (১৮২.১ ফুট) |
জনসংখ্যা (২০১১)[৪] | |
• শহর | ৯,৫৭,৩৫২ |
• ক্রম | ৪৮তম |
• জনঘনত্ব | ৪,৪০০/বর্গকিমি (১২,০০০/বর্গমাইল) |
• মহানগর[৫] | ১২,৫৩,৯৩৮ |
বিশেষণ | গুয়াহাটীয় |
ভাষা | |
• সরকারী | অসমীয়া, ইংরেজি |
সময় অঞ্চল | আইএসটি (ইউটিসি+5:30) |
পিন | ৭৮১ XXX |
টেলিফোন কোড | +৯১ - (০) ৩৬১ - XX XX XXX |
যানবাহন নিবন্ধন | AS-01 (কামরুপ মেট্রো) / AS-25 (গ্রামীণ কামরূপ ও দিসপুর) |
পরিকল্পনা সংস্থা | গুয়াহাটি মেট্রোপলিটন ডেভেলপমেন্ট অথরিটি |
জলবায়ু | Cwa (Köppen) |
ওয়েবসাইট | www |
গুয়াহাটি একটি শিল্পশহর, গুরুত্বপূর্ণ নদীবন্দর এবং অসমের বাণিজ্যিক কেন্দ্র। এখানে পাট, তুলা, চাল এবং চায়ের বাজার আছে। এখানকার কলকারখানার মধ্যে ভোজ্য তেল পরিশোধন, সাবান ও কাঠ উৎপাদন, বস্ত্র বয়ন, এবং ময়দা পেষার কল। খ্রিস্টীয় ৫ম শতকের শুরুর দিকে গৌহাটি হিন্দু বর্মণ এবং পাল রাজবংশের অধীনে প্রাচীন প্রাগজ্যোতিষপুর এবং দুর্জয় (উত্তর গুয়াহাটি) নগরী প্রাচীন কামরূপ রাজ্যের রাজধানী ছিল।[৯] এখানে বহু প্রাচীন মন্দির দেখতে পাওয়া যায় এবং বহুদিন ধরেই হিন্দুদের একটি তীর্থস্থান, এজন্য এটাকে "মন্দিরের শহর" বলা হয়।[১০] এদের মধ্যে কামাখ্যা ও ঊমানন্দা মন্দির দুইটি বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। শহরের কেন্দ্রস্থলে ১০ম শতকে নির্মিত জনার্দন মন্দির দাঁড়িয়ে আছে; এই হিন্দু মন্দিরটিতে বুদ্ধের একটি চিত্র আছে। দিসপুর, আসামের রাজধানী, গুয়াহাটির ভিতরে হচ্ছে একটা প্রধান শহর এবং আসাম সরকারের একটি আসন।
গুয়াহাটিতে ১৯৪৮ সালে গুয়াহাটি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপিত হয়।
১৯শ শতকে গুয়াহাটি সাময়িকভাবে বার্মার অধীনে ছিল। ১৮২৬ সাল থেকে ১৮৭৪ সাল পর্যন্ত এটি ব্রিটিশ শাসনাধীন অসমের রাজধানী ছিল। বর্তমানে এখানে ৮ লক্ষেরও বেশি লোক বাস করেন।
নামের ব্যুৎপত্তি
গুয়াহাটি নামটি র দুটি শব্দ 'গুয়া' (অর্থ-সুপারি) এবং 'হাট' (অর্থ-বাজার)-এর থেকে উদ্ভব হয়েছে। ব্রিটিশ উপনিবেশ কালে এই নামটি "গৌহাটী" করা হয়েছিল এবং ১৯৮০-র দশকের শেষভাগ থেকে এটি বর্তমান রূপ পায়।[১১]
ইতিহাস
প্রাচীন ইতিহাস
গুয়াহাটির কিংবদন্তি এবং ইতিহাস কয়েকহাজার বছরের পুরনো। যদিও নগরীটির উৎপত্তির সঠিক ইতিহাস জানা যায়নি, তবে মহাকাব্য, পুরাণ এবং অন্যান্য পরম্পরাগত ইতিহাসে উল্লেখ করা কাহিনীসমূহের থেকে এটাকে এশিয়ার একটি অন্যতম পুরনো নগর হিসেবে অনুমান করা হয়। ইতিহাসের মতে গুয়াহাটিতে কয়েকটি প্রাচীন রাজ্যের রাজধানী ছিল। মহাভারতের মতে এটি নরকাসুর এবং ভগদত্ত রাজ্যের রাজধানী ছিল।[১২] নীলাচল পাহাড়ে অবস্থিত কামাখ্যা দেবীর প্রাচীন শক্তিপীঠ (তান্ত্রিক এবং ভাজ্যারন বৌদ্ধের একটি গুরুত্বপূর্ণ আসন), চিত্রাচল পাহাড়ে অবস্থিত প্রাচীন এবং জ্যোতিষ্কচর্চার মন্দির নবগ্রহ, বশিষ্ঠ-তে প্রত্নতাত্ত্বিক সম্পদ এবং অন্যান্য স্থানের কিংবদন্তিমূলক ইতিহাস গুয়াহাটির কথাকে সমর্থন করে।[১৩]
শিক্ষা প্রতিষ্ঠান
- গুয়াহাটি স্থাপত্যবিদ্যা মহাবিদ্যালয়
- গৌহাটি বাণিজ্য মহাবিদ্যালয়
- গৌহাটি মহাবিদ্যালয়
- কটন বিশ্ববিদ্যালয়
ভারতীয় তথ্য প্রযুক্তি সংস্থান
এই শহরে ২০১৩ সালে প্রতিষ্ঠিত ভারত সরকারের মানব সম্পদ বিভাগের অন্তর্গত রাজ্যের একমাত্র ভারতীয় তথ্য প্রযুক্তি সংস্থান, গুয়াহাটি অবস্থিত।
খেলাধুলা
ফুটবল
ইন্দিরা গান্ধী অ্যাথলেটিক স্টেডিয়াম শহরের প্রধান ফুটবল স্টেডিয়াম।
ক্রিকেট
নবনির্মিত আসাম ক্রিকেট সংস্থা স্টেডিয়াম উত্তর-পূর্ব ভারতের একমাত্র আন্তর্জাতিক স্টেডিয়াম।
পরিবহণ
আকাশপথে
লোকপ্ৰিয় গোপীনাথ বরদলৈ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের মুখ্য আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর।
তথ্যসূত্র
বহিঃসংযোগ
Wikiwand in your browser!
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.
Every time you click a link to Wikipedia, Wiktionary or Wikiquote in your browser's search results, it will show the modern Wikiwand interface.
Wikiwand extension is a five stars, simple, with minimum permission required to keep your browsing private, safe and transparent.