Loading AI tools
উইকিমিডিয়ার তালিকা নিবন্ধ উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী হলেন পূর্ব ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের সরকার-প্রধান। ভারতের সংবিধান অনুযায়ী, রাজ্যপাল রাজ্যের নিয়মতান্ত্রিক প্রধান হলেও প্রকৃত শাসনক্ষমতা মুখ্যমন্ত্রীর হাতেই ন্যস্ত থাকে। নিয়মানুসারে, বিধানসভা নির্বাচনের পরে রাজ্যপাল সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জনকারী দলকে (বা জোটকে) সরকার গঠনের আহ্বান জানান। রাজ্যপালই মুখ্যমন্ত্রীকে নিয়োগ করেন। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী ও তার মন্ত্রিসভা তাদের কাজকর্মের জন্য রাজ্য বিধানসভার কাছে যৌথভাবে দায়ী থাকেন। বিধানসভায় আস্থাভোটে জয়লাভ করলে মুখ্যমন্ত্রী পাঁচ বছরের মেয়াদে তার পদে আসীন থাকতে পারেন এবং তার পদটিও কোনও মেয়াদের নির্দিষ্ট সংখ্যায় সীমাবদ্ধ নয়।[5]
পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী | |
---|---|
মুখ্যমন্ত্রীর কার্যালয় | |
সম্বোধনরীতি | মাননীয়/মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী (আনুষ্ঠানিক) জনাব/জনাবা মুখ্যমন্ত্রী (অনানুষ্ঠানিক) |
অবস্থা | সরকারপ্রধান |
সংক্ষেপে | সিএম |
এর সদস্য | • পশ্চিমবঙ্গের মন্ত্রিপরিষদ • পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা |
যার কাছে জবাবদিহি করে | পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল |
বাসভবন | মুখ্যমন্ত্রীর আবাস, কলকাতা[1] |
আসন | নবান্ন, কলকাতা[lower-alpha 1] |
নিয়োগকর্তা | পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল |
মেয়াদকাল | বিধানসভার সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যের সন্তোষ অনুযায়ী বিধানসভার মেয়াদ পাঁচ বছর; এছাড়া আর কোনো মেয়াদসীমা নেই।[3] [lower-alpha 2] |
সর্বপ্রথম | প্রফুল্লচন্দ্র ঘোষ প্রধানমন্ত্রী হিসেবে, বিধানচন্দ্র রায় মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে |
গঠন | ১৫ আগস্ট ১৯৪৭ (পশ্চিমবঙ্গের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে) |
১৯৪৭ সালের ২০ জুন বঙ্গীয় প্রাদেশিক আইনসভায় ভারত ভাগের প্রেক্ষিতে বাংলার ভাগ্য নির্ধারিত হয়।[6] আইনসভার সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলিম লীগ প্রতিনিধিরা সমগ্র বাংলাকে পাকিস্তানভূক্ত করার পক্ষে রায় দেন। কিন্তু বাংলার হিন্দু সংখ্যাগরিষ্ঠ পশ্চিম অংশের নির্বাচিত প্রতিনিধিরা ৫৮-২১ ভোটে বাংলার পশ্চিম অংশকে ভারতভূক্তির পক্ষে রায় দেওয়ার ফলে বঙ্গভঙ্গ নিশ্চিত হয় ও 'পশ্চিমবঙ্গ'-এর জন্ম হয়। ৩ জুলাই প্রফুল্লচন্দ্র ঘোষের নেতৃত্বে একাদশ সদস্য বিশিষ্ট 'পশ্চিমবঙ্গ'-এর প্রথম মন্ত্রিসভা শপথ নেন। প্রধানমন্ত্রী হন প্রফুল্লচন্দ্র ঘোষ। অগস্ট মাসে ব্রিটিশ বাংলা প্রেসিডেন্সি আনুষ্ঠানিকভাবে দ্বিধাবিভক্ত হয়ে দুই নবগঠিত স্বাধীন রাষ্ট্রের সঙ্গে যুক্ত হয়। মুসলমান-প্রধান পূর্বাঞ্চল নিয়ে গঠিত হয় পাকিস্তানের পূর্ব বাংলা প্রদেশ এবং হিন্দু-প্রধান পশ্চিমবঙ্গ নিয়ে গঠিত হয় ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য। সেই সময় থেকে মোট আট জন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছেন। ১৯৪৭ সালের অগস্ট মাস থেকে ১৯৫০ সালের জানুয়ারি মাস পর্যন্ত এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীরা পশ্চিমবঙ্গের প্রধানমন্ত্রী নামে অভিহিত হতেন। তারপরই "প্রধানমন্ত্রী" শব্দটির পরিবর্তে "মুখ্যমন্ত্রী" শব্দটি চালু হয়। ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের প্রফুল্লচন্দ্র ঘোষ ছিলেন পশ্চিমবঙ্গের প্রথম প্রধানমন্ত্রী।[7] তিনি মাত্র পাঁচ মাস ওই পদে আসীন ছিলেন। এরপর তাঁরই সহকর্মী ডা. বিধানচন্দ্র রায় তাঁর স্থলাভিষিক্ত হন এবং ১৯৬২ সাল পর্যন্ত টানা চোদ্দো বছর প্রথমে প্রধানমন্ত্রী ও পরে মুখ্যমন্ত্রীর পদ অলংকৃত করেন। ওই বছর ১ জুলাই তাঁর মৃত্যুর পর চলতি বিধানসভার অবশিষ্ট মেয়াদে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন প্রফুল্লচন্দ্র সেন। এরপর পশ্চিমবঙ্গের রাজনৈতিক পরিস্থিতি কিছুকালের জন্য অস্থির হয়ে ওঠে। ১৯৬৭ থেকে ১৯৭২ সাল পর্যন্ত রাজ্যে মোট চারটি জোট সরকার গঠিত হয় এবং মোট তিনবার সীমিত সময়ের জন্য রাষ্ট্রপতি শাসন জারি হয়। এরপর সিদ্ধার্থশঙ্কর রায়ের মুখ্যমন্ত্রিত্বে কংগ্রেস পাঁচ বছরের পূর্ণ মেয়াদে পশ্চিমবঙ্গে সরকার পরিচালনা করে।[8]
১৯৭৭ সালের নির্বাচনে ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি (মার্ক্সবাদী)-র নেতৃত্বে বামফ্রন্ট বিপুল ভোটে জয়লাভ করে। এরপর একটানা ২৩ বছর জ্যোতি বসু পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। দীর্ঘকালীন মুখ্যমন্ত্রিত্বের এটি একটি সর্বভারতীয় রেকর্ড। ২০১৮ সালে সিক্কিমের মুখ্যমন্ত্রী পবন কুমার চামলিং প্রথম এই রেকর্ড ভাঙতে সক্ষম হয়েছিলেন।[9] জ্যোতি বসুর পদত্যাগের পর তাঁর উত্তরসূরি বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য পরবর্তী এক দশক রাজ্যের কমিউনিস্ট সরকারের নেতৃত্ব দেন। ২০১১ সালের নির্বাচনে সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেস-নেতৃত্বাধীন সংযুক্ত প্রগতিশীল জোট (ইউপিএ) বামফ্রন্টকে পরাজিত করে। ওই বছরই ১৯ মে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ গ্রহণ করেন। তিনিই রাজ্যের বর্তমান তথা প্রথম মহিলা মুখ্যমন্ত্রী। ২০১২ সালের সেপ্টেম্বর মাসে তৃণমূল কংগ্রেস ইউপিএ ছেড়ে বেরিয়ে আসে এবং পরবর্তী বিধানসভা নির্বাচনে এককভাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে। এই নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেস অধিকতর আসনে জয়লাভ করে পুনর্নির্বাচিত হয়।[10][11]
রাজনৈতিক দলগুলির রং-নির্দেশ |
---|
নং | প্রতিকৃতি | নাম | মেয়াদ[12] | মেয়াদের দৈর্ঘ্য | বিধানসভা (নির্বাচন) |
রাজনৈতিক দল[8] | ||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|
১ | প্রফুল্লচন্দ্র ঘোষ | ৩ জুলাই, ১৯৪৭ | ১৪ আগস্ট, ১৯৪৭ | ৪২ দিন | শর্তাধীন প্রাদেশিক আইনসভা (১৯৪৭)[lower-alpha 4] (১৯৪৬-এর নির্বাচন) | ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস | ||
১৫ আগস্ট, ১৯৪৭ | ২২ জানুয়ারি, ১৯৪৮ | ১৬০ দিন | প্রাদেশিক আইনসভা (১৯৪৭-৫২)[lower-alpha 5] (১৯৪৬-এর নির্বাচন) |
|||||
২ | ড.বিধানচন্দ্র রায় | ২৩ জানুয়ারি, ১৯৪৮ | ২৫ জানুয়ারি, ১৯৫০ | ২ বছর, ২ দিন |
নং[lower-alpha 6] | প্রতিকৃতি | নাম | বিধানসভা কেন্দ্র | মেয়াদ[lower-alpha 7] | মেয়াদের দৈর্ঘ্য | বিধানসভা[13] (নির্বাচন) |
রাজনৈতিক দল[8] (জোট) | ||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
(২) | ড. বিধানচন্দ্র রায়[lower-alpha 8] | ২৬ জানুয়ারি, ১৯৫০ | ৩০ মার্চ, ১৯৫২ | ১২ বছর, ১৫৬ দিন (মোট: ১৪ বছর, ১৫৮ দিন) | বিধানসভা (১৯৪৬-৫২)[lower-alpha 9] (১৯৪৬-এর নির্বাচন) | ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস | |||
বউবাজার | ৩১ মার্চ, ১৯৫২ | ৫ এপ্রিল, ১৯৫৭ | প্রথম বিধানসভা (১৯৫২-৫৭) (জানুয়ারি, ১৯৫২-এর নির্বাচন) | ||||||
৬ এপ্রিল, ১৯৫৭ | ২ এপ্রিল, ১৯৬২ | দ্বিতীয় বিধানসভা (১৯৫৭-৬২) (মার্চ, ১৯৫৭-এর নির্বাচন) | |||||||
চৌরঙ্গী | ৩ এপ্রিল, ১৯৬২ | ১ জুলাই, ১৯৬২ | তৃতীয় বিধানসভা (১৯৬২–৬৭) (ফেব্রুয়ারি, ১৯৬২-এর নির্বাচন) | ||||||
৩ | প্রফুল্লচন্দ্র সেন[lower-alpha 10] | আরামবাগ পূর্ব | ৯ জুলাই, ১৯৬২ | ২৮ ফেব্রুয়ারি, ১৯৬৭ | ৪ বছর, ২৩৪ দিন | ||||
৪ | অজয়কুমার মুখোপাধ্যায় | তমলুক | ১ মার্চ, ১৯৬৭ | ২১ নভেম্বর, ১৯৬৭ | ২৬৫ দিন | চতুর্থ বিধানসভা (১৯৬৭–৬৮) (ফেব্রুয়ারি, ১৯৬৭-এর নির্বাচন) | বাংলা কংগ্রেস (যুক্তফ্রন্ট) | ||
(১) | প্রফুল্লচন্দ্র ঘোষ | ঝাড়গ্রাম | ২১ নভেম্বর, ১৯৬৭ | ১৯ ফেব্রুয়ারি, ১৯৬৮ | ৯০ দিন (মোট: ২৫০ দিন) | নির্দল (প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক ফ্রন্ট) | |||
– | শূন্য পদ[lower-alpha 11] (রাষ্ট্রপতি শাসন) |
২০ ফেব্রুয়ারি, ১৯৬৮ | ২৫ ফেব্রুয়ারি, ১৯৬৯ | ১ বছর, ৫ দিন | বিলুপ্ত | প্রযোজ্য নয় | |||
(৪) | অজয়কুমার মুখোপাধ্যায় | তমলুক | ২৫ ফেব্রুয়ারি, ১৯৬৯ | ১৬ মার্চ, ১৯৭০ | ১ বছর, ১৯ দিন | পঞ্চম বিধানসভা (১৯৬৯-৭০) (ফেব্রুয়ারি, ১৯৬৯-এর নির্বাচন) | বাংলা কংগ্রেস (যুক্তফ্রন্ট) | ||
- | পদ শূন্য[lower-alpha 11] (রাষ্ট্রপতি শাসন) |
১৯ মার্চ, ১৯৭০ | ৩০ জুলাই, ১৯৭০ | ১ বছর, ১৪ দিন | প্রযোজ্য নয় | ||||
৩০ জুলাই, ১৯৭০ | ২ এপ্রিল, ১৯৭১ | অবলুপ্ত | |||||||
(৪) | অজয়কুমার মুখোপাধ্যায় | তমলুক | ২ এপ্রিল, ১৯৭১ | ২৮ জুন, ১৯৭১ | ৮৭ দিন (মোট: ২ বছর, ৬ দিন) | ষষ্ঠ বিধানসভা (১৯৭১) (মার্চ, ১৯৭১-এর নির্বাচন) | ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস (গণতান্ত্রিক জোট) | ||
– | শূন্য পদ[lower-alpha 11] (রাষ্ট্রপতি শাসন) |
২৯ জুন, ১৯৭১ | ২০ মার্চ, ১৯৭২ | ২৬৫ দিন | অবলুপ্ত | প্রযোজ্য নয় | |||
৫ | সিদ্ধার্থ শঙ্কর রায় | মালদহ | ২০ মার্চ, ১৯৭২ | ৩০ এপ্রিল, ১৯৭৭ | ৫ বছর, ৪১ দিন | সপ্তম বিধানসভা (১৯৭২–৭৭) (মার্চ, ১৯৭২-এর নির্বাচন) | ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস (প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক জোট) | ||
– | শূন্যপদ[lower-alpha 11] (রাষ্ট্রপতি শাসন) |
৩০ এপ্রিল, ১৯৭৭ | ২০ জুন, ১৯৭৭ | ৫১ দিন | অবলুপ্ত | প্রযোজ্য নয় | |||
৬ | জ্যোতি বসু | সাতগাছিয়া | ২১ জুন, ১৯৭৭ | ২৩ মে, ১৯৮২ |
২৩ বছর, ১৩৭ দিন | অষ্টম বিধানসভা (১৯৭৭–৮২) (জুন, ১৯৭৭-এর নির্বাচন) | ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি (মার্ক্সবাদী) (বামফ্রন্ট) | ||
২৪ মে, ১৯৮২ | ২৯ মার্চ, ১৯৮৭ | নবম বিধানসভা (১৯৮২–৮৭) (মে, ১৯৮২-এর নির্বাচন) | |||||||
৩০ মার্চ, ১৯৮৭ | ১৮ জুন, ১৯৯১ | দশম বিধানসভা (১৯৮৭–৯১) (মার্চ, ১৯৮৭-এর নির্বাচন) | |||||||
১৯ জুন, ১৯৯১ | ১৫ মে, ১৯৯৬ | একাদশ বিধানসভা (১৯৯১–৯৬) (মে, ১৯৯১-এর নির্বাচন) | |||||||
১৬ মে, ১৯৯৬ | ৫ নভেম্বর, ২০০০ | দ্বাদশ বিধানসভা (১৯৯৬–২০০১) (মে, ১৯৯৬-এর নির্বাচন) | |||||||
৭ | বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য | যাদবপুর | ৬ নভেম্বর, ২০০০ | ১৪ মে, ২০০১ | ১০ বছর, ১৮৮ দিন | ||||
১৫ মে, ২০০১ | ১৭ মে, ২০০৬ | ত্রয়োদশ বিধানসভা (২০০১–০৬) (মে, ২০০১-এর নির্বাচন) | |||||||
১৮ মে, ২০০৬ | ১৩ মে, ২০১১ | চতুর্দশ বিধানসভা (২০০৬–১১) (এপ্রিল-মে, ২০০৬-এর নির্বাচন) | |||||||
৮ | মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় | ভবানীপুর | ২০ মে, ২০১১ | ২৫ মে, ২০১৬ | ১৩ বছর, ১৩০ দিন | পঞ্চদশ বিধানসভা (২০১১–১৬) (এপ্রিল–মে, ২০১১-এর নির্বাচন) | সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেস[lower-alpha 12] | ||
২৬ মে, ২০১৬ | ২ মে, ২০২১ | ষোড়শ বিধানসভা (২০১৬–২১) (এপ্রিল-মে ২০১৬-এর নির্বাচন) | |||||||
৫ মে, ২০২১ | বর্তমান | সপ্তদশ বিধানসভা (২০২১–২৬) (মার্চ-এপ্রিল ২০২১-এর নির্বাচন) | |||||||
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.
Every time you click a link to Wikipedia, Wiktionary or Wikiquote in your browser's search results, it will show the modern Wikiwand interface.
Wikiwand extension is a five stars, simple, with minimum permission required to keep your browsing private, safe and transparent.