Loading AI tools
একজন ব্যক্তি যিনি সরাসরি যৌনতা নিয়ে অভিনয় করেন উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
একজন পর্নোগ্রাফিক চলচ্চিত্র অভিনেতা/অভিনেত্রী, প্রাপ্তবয়স্ক বিনোদনদানকারী অথবা পর্ন স্টার বলতে বোঝায় যিনি পর্নোগ্রাফিক চলচ্চিত্রে যৌনতার অভিনয় করেন। পর্নোগ্রাফিক ভিডিওগুলো তৈরির পূর্বে এর শাখা এবং উপশাখার উপর ভিত্তি করে অভিনেতা/অভিনেত্রী এমন ভাবে চয়ন করা হয় যেন তারা মানুষের সেক্সুয়াল ফ্যান্টাসি পূরণ করতে সক্ষম হয়। সাধারণত দুটি প্রধান শাখা; "সফটকোর পর্নগ্রাফি", যেখানে "অনুপ্রবেশীয় যৌনতা" বা "মাত্রাতিরিক্ত যৌনতা" দেখা যায় না এবং "হার্ডকোর পর্নগ্রাফি", যেখানে অনুপ্রবেশীয় যৌনতা এবং মাত্রাতিরিক্ত যৌনতা বা লাস্যময়ীতা দেখা যায়। মূলত মানুষের চাহিদা অনুযায়ী ভিডিওগুলো তৈরি করা হয়। পর্নোগ্রাফিক ভিডিওগুলোর শাখা এবং উপশাখার উপর ভিত্তি করে চরিত্রকে বাস্তবিক রূপ প্রদানের লক্ষ্যে দৃশ্যপট, অভিনেতা/অভিনেত্রীর বয়স, অভিনেত্রীর লাস্যময়ীতা, শারীরিক সক্ষমতা, মানসিক ভাবে উত্তেজিত করার সক্ষমতা ইত্যাদি ব্যপার বিবেচনা করা হয়। এছাড়া জনপ্রিয়তার উপর নির্ভর করে অভিনয়শিল্পীরা সাধারণত কিছু বিশেষ শাখা যেমন পুরুষ সমকামী পর্নগ্রাফি, নারী সমকামী পর্নগ্রাফি, BDSM, strap-on sex, পায়ুসঙ্গম, জোড়া সঙ্গম, বীর্য গ্রাস, কিশোরী মহিলা, নানা জাতির মধ্যে অথবা MILFs গুলোতেও অভিনয় করেন। পর্নগ্রাফিতে অভিনয়ের সময় সকল অভিনেতা-অভিনেত্রীকেই আংশিক কিংবা সম্পূর্ণ নগ্ন হতে হয়।
পর্নোগ্রাফিক চলচ্চিত্রের বিষমকামী সঙ্গমের ভিডিওগুলো মূলত পুরুষ দর্শকদের বিবেচনা করে পরিচালনা করা হয়ে থাকে যেখানে মনোযোগের কেন্দ্রবিন্দুতে থাকে নারী অভিনয়শিল্পী। এক্ষেত্রে ক্যামেরার সামনে অভিনেত্রীর নিজেকে উপস্থাপন করা বা শারীরিক আকর্ষণ ক্ষমতা, তাদের লাস্যময়ীতা, যৌনতার ক্ষেত্রে তাদের একান্তই নিজস্ব কিছু মুদ্রা বিবেচনা করে তাদের নির্ধারণ করা হয়।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন]
বাণিজ্যিক কারণেই পর্নগ্রাফি শিল্পের ক্ষেত্রে সবার প্রথমে নিজেদের উন্নত করেছে যুক্তরাষ্ট্র। তাদের রয়েছে নিজস্ব চলচ্চিত্র তারকা বা স্টার সিস্টেম। অন্যান্য দেশে পর্নোগ্রাফিক তারকা ব্যপারটি সাধারণ নয় এবং বেশিরভাগ শিল্পীই অপেশাদার ও ছদ্মনাম ব্যবহার করে থাকেন এবং প্রাণপণ চেষ্টা করেন তাদের পরিচয় যেন প্রকাশ না পায়। কিছু সংখ্যক শিল্পীরা তাদের আত্মজীবনী লিখেছেন। একজন পর্নোগ্রাফিক শিল্পী খুব কম ক্ষেত্রেই মূলধারার চলচ্চিত্রে অভিনয়ের সুযোগ পায়। তারা সাধারণত ক্লাবে স্ট্রিপারের কাজ করে কিংবা পতিতাবৃত্তি করে জীবন নির্বাহ করেন.[তথ্যসূত্র প্রয়োজন]
অসাধারণ অভিনয়ের জন্য পর্নোগ্রাফিক অভিনয়শিল্পীদের এভিএন পুরস্কার, এক্সআরসিও এওয়ার্ড এবং এক্সবিজ এওয়ার্ড দিয়ে স্বীকৃত করা হয়। আমেরিকান অ্যাডাল্ট ভিডিও ইন্ডাস্ট্রি ট্রেড ম্যাগাজিন AVN (Adult Video News) এর পক্ষ থেকে এভিএন এওয়ার্ড দেয়া হয়। তারা একে পর্নশিল্পের "অস্কার বলে থাকেন।[1][2][3] এভিএন এওয়ার্ড প্রায় ১০০ ভাগে বিভক্ত।[4] বার্ষিক এক্সআরসিও এওয়ার্ড এক্স-রেটেড ক্রিটিক্স অরগ্যানাইজেশন দিয়ে থাকে।[5] ভেনাস এওয়ার্ড প্রতিবছর বার্লিনে ভেনাস বার্লিন ট্রেড ফেয়ারের অংশ হিসেবে দেয়া হয়ে থাকে.[তথ্যসূত্র প্রয়োজন]
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে যে সকল অভিনয়শিল্পীরা পর্নগ্রাফিতে অংশ নেন তাদের বড় অংশকেই Adult Industry Medical Health Care Foundation (AIM) এ তাদের স্বাস্থ্যগত পরীক্ষা করাতে হয়। ২০১১ সালে রোগীদের ডেটাবেজ ফাঁস হওয়ায় দেখা যায়, ১৯৯৮ সালে থেকে প্রায় ১২,০০০ পর্নোগ্রাফিক অভিনয়শিল্পীরা স্বাস্থ্যগত পরীক্ষায় অংশ নেন।[6][7] ২০১১’র তথ্যানুযায়ী ক্যালিফোর্নিয়ার "Porn Valley"তে প্রায় ১,২০০-১,৫০০ অভিনয়শিল্পীরা পর্নগ্রাফিতে অংশ নেন।[7]
এছাড়াও জাপান অঞ্চলে অ্যানিমেটেড পর্নগ্রাফি দেখা যায় যা "Hentai" নামেও পরিচিত। এক্ষেত্রে কিছু শিল্পীদের অ্যানিমেশন তৈরি এবং কিছু শিল্পীদের কণ্ঠ দিতে হয়।
বেশিরভাগ পর্নোগ্রাফিক চলচ্চিত্রগুলো বিষমকামী সঙ্গমের হয়ে থাকে। এই ধারার ভিডিওগুলো মূলত পুরুষ দর্শকদের বিবেচনা করে পরিচালনা করা হয়। যার ফলে মনোযোগের কেন্দ্রবিন্দুতে থাকে নারী অভিনয়শিল্পী এবং ভিডিওগুলোর বেশিরভার সময়ধরেই নারী অভিনয়শিল্পীর দেহকে দেখানো হয়ে থাকে যেন তারা পুরুষদের সেক্সুয়াল ফ্যান্টাসি পূরণ করতে সক্ষম হয়। এক্ষেত্রে অভিনেত্রীর স্তন্যের আকার-আকৃতি, মুখের সাথে চুলের স্টাইলের মিশ্রণ, দেহের আকার এবং দর্শকের অঞ্চলের চাহিদা অনুযায়ী নৃতাত্ত্বিক বৈশিষ্ট্য অর্থাৎ এলাকা ভেদে দেহ, চুল, চোখের বর্ণ কিছু কিছু ক্ষেত্রে অভিনেত্রীর ধর্ম[8] তাকে সফলতা এনে দেয়।
সফল অভিনেত্রী হতে হলে তাকে অবশ্যই দর্শকের চাহিদার কথা মাথায় রাখতে হয়। এজন্য বেশিরভাগ ক্ষেত্রে সঙ্গমের সময় তাকে প্রাণবন্ত, হাস্যজ্জল, লাস্যময়ী, একান্তই নিজস্ব কিছু মুদ্রা যা দর্শককের আরও উত্তেজনার কারণ হয়ে দাঁড়াবে এমন অঙ্গভঙ্গি করতে হয়। তিনি তার এই কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে শারীরিক ও মানসিক প্রশান্তি পাচ্ছেন তা প্রকাশ্য করতে হয়।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন]
এছাড়া জনপ্রিয়তার উপর নির্ভর করে অভিনেত্রীদের কিছু বিশেষ শাখা যেমন পুরুষ সমকামী পর্নগ্রাফি, নারী সমকামী পর্নগ্রাফি, দাসত্ব, strap-on sex, পায়ুসঙ্গম, জোড়া সঙ্গম, বীর্য গ্রাস, কিশোরী মহিলা, নানা জাতির মধ্যে অথবা MILFs গুলোতেও অভিনয় করতে হয়।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন]
নারীদের নিজেকে পর্দার সামনে মেলে ধরার ব্যপারটি সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। তাদের বয়স সাধারণত ২০ হতে ৩০ এর মাঝে হয়ে থাকে। বর্তমানে বেশিরভাগ অভিনেত্রীর স্তন্য আকারে বড় হয়ে থাকে এবং কিছু স্টুডিও অভিনেত্রীদের ব্রেস্ট ইম্প্যান্ট করতে বলে থাকে ও এর জন্য অর্থের জোগান দেওয়ার প্রস্তাব দেয়। [9]
জনারথন মরগান, যিনি অভিনেতা ছিলেন পরবর্তীতে পরিচালনা শুরু করেন, তার ভাষ্য অনুযায়ী,
"মেয়েদেরকে গ্রেড এ, বি এবং সি তে ভাগ করা হয়। এ গ্রেডের মেয়েগুলোকে পর্দার সামনে উত্তম আকারে উপস্থাপন করা হয়। আর গ্রেড যত কমতে থাকে তাদের দিয়ে তত চরম রকমের যৌনতার যেমন "ডাবল এনাল বা জোড়া সঙ্গম" করানো হয়ে থাকে। তিনি আরও বলেন,"কিছু মেয়েদের নয় মাস কিংবা একবছর পর্যন্ত ব্যবহার করা হয়। একজন ১৮ বছরের যৌবনা যখন কোনো প্রতিষ্ঠানের সাথে চুক্তিবদ্ধ করে তাকে প্রথম সপ্তাহে পাঁচটি চলচ্চিত্রে অভিনয় করতে হয়। পাঁচজন পরিচালক, পাঁচজন অভিনেতা, পাঁচটি চলচ্চিত্র সম্পূর্ণ। সে আবার ফোন কল পায়। এভাবে ১০০ চলচ্চিত্রে অভিনয়ের পরে সে আর টাটকা বা নতুন কেউ থাকে না। তার দাম কমতে থাকে। সে প্রযোজক থেকে তেমন আর কল পায় না। তখন তাকে বলা হয়,"তুমি কি পায়ু সঙ্গম শুরু করবে? তুমি কি গ্যানবাং করবে?" এর পর তাকে আবার ব্যবহার করা হয়। এক পর্যায়ে সে আর কল পায় না। এই শিল্প এমনভাবেই তাকে ব্যবহার করে ছেড়ে দেয়।"[9]
আবার, কিছু শিল্পী তাদের কাজ নিয়ে সন্তুষ্ট নন। তারা মনে করেন এখানে শিল্পীর তৃপ্ত হওয়া মুখ্য নয়। তারা এও মনে করে,
"পর্নগ্রাফির যৌনতা আর বাস্তব জীবনের যৌনতা এক নয়।[10]
এছাড়াও পর্নগ্রাফির ক্ষেত্রে একটি ধারণা রয়েছে যে পর্নগ্রাফি অনৈতিক কিংবা অমর্যাদাকর নয়। নাভাডা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক লীন কমেলা যিনি নারী বিষয়ক একজন গবেষক তার মতে, বর্তমান পর্নগ্রাফি শিল্প হল অনেকটা "স্বজাতির সাথে হলিউড সম্পর্কে কথা বলা যেখানে শুধুই Spaghetti Western সম্পর্কে কথা হবে।" [11]
বিষমকামী যৌনতার পর্নগ্রাফিতে মূল দৃশ্যপটে একজন নারী থাকলেও সেখানে সুনিশ্চিত ভাবেই একজন পুরুষের উপস্থিতি থাকতে হয় যিনি পর্দার সামনে থাকা পুরুষের কামনা কিংবা আকাঙ্ক্ষার পরিপূর্ণতা দিতে সক্ষমতা অর্জন করবে অর্থাৎ তার প্রতিনিধিত্ব করবে। বেশিরভাগ বিষমকামী যৌনতার ক্ষেত্রে পুরুষ অভিনয়শিল্পী দেখতে কেমন তার চেয়ে তার যৌন সক্ষমতা দেখা হয়। এক্ষেত্রে তিনটি বিষয় লক্ষ্য করা হয়; লিঙ্গোত্থান, ফিল্ম সেটে এ কাজের চাপের মাঝে পুনঃপুন লিঙ্গোত্থান করার সক্ষমতা তারপর শেষে বীর্যপাত।[15] আগে অভিনেতাদের লিঙ্গোত্থানের অক্ষমতা এবং অপূর্ণ বীর্যপাতের দরুন পর্নগ্রাফি চলচ্চিত্রটি ক্ষতির সম্মুখীন হত। যদি এখন অভিনেতা লিঙ্গোত্থানের অক্ষমতার সম্মুখীন হয় তার জন্য চলচ্চিত্রে অংশ নেয়া অসম্ভব হয়ে যায়। বর্তমানে এই সমস্যা সমাধানের জন্য তারা ভাইগ্রা ব্যবহার করে থাকে কিন্তু এটি ব্যবহারের ফলে তাদের মুখমণ্ডলে আকস্মিক রক্তোচ্ছ্বাস বা রক্তিমাভা হয়ে থাকে এবং মাথা ব্যথা সৃষ্টি করে যার ফলে বীর্যপাত করা কঠিন হয়ে পরে। জন স্টাগ্লিয়ানো যিনি একজন পরিচালক তার মতে ভাইগ্রা ব্যবহারের অর্থ, "ভাইগ্রা না ব্যবহারকারীদের থেকে আপনি আপনার কোনো একটি সক্ষমতা হারাবেন।"[9]
রন জেরেমি, জন হলোমেস এবং রোকো সিফফ্রেডী এভিএনের সর্বকালের সেরা শিল্পীদের অন্যতম। রন জেরেমি ১৯৭০ এর দশক হতে এই শিল্পের সাথে জড়িত এবং সংস্কৃতির অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে।[16] কেন শিমিযু একজন বিশ্বরেকর্ডধারী যিনি প্রায় ৭,৫০০ টি চলচ্চিত্র এবং ৮,০০০ এরও অধিক নারীদের সহিত কাজ করেছেন। [17] [18]
বিষমকামী চলচ্চিত্রের ক্ষেত্রে বেশিরভাগ পুরুষ অভিনয় শিল্পী নারীদের থেকে কম অর্থ পায়। রন জেরেমি এই বেতন বৈষম্য নিয়ে ২০০৩ সালে একটি মন্তব্য করেন এবং বলেন, "মেয়েরা খুব সহজেই বছরে ১০০-২৫০ হাজার ডলার সাথে স্ট্রিপটিজ এবং অন্যান্য কাজ করে বাড়তি আয় করতে পারে সেখানে একজন পুরুষের গড়পড়তা আয় ৪০,০০০ ডলারের মত।[19] ২০০৮ সালে, "একজন পুরুষ ৩০০ হতে ৪০০ ডলার নতুন হলে ১০০ হতে ২০০ ডলারের মত প্রতি সিনের জন্য আয় করত। "[20]
২০১১ সালে, কাপড়ি অ্যান্ডেরসনের ম্যানেরজার বলেন, "একজন চুক্তিবদ্ধ নারী একটি প্রতিষ্ঠানের জন্য কাজ করে সে অন্য কারো জন্য কাজ করে না। বেশিরভাগ অভিনেত্রীরা চুক্তিবদ্ধ নয় তারা যে কারোর জন্য কাজ করে থাকে। চুক্তিবদ্ধ নারীরা বছরে গড়ে প্রায় ৬০,০০০ ডলারের মত আয় করে। একবছরে তাকে সাধারণত চারটি চলচ্চিত্রে অংশ নিতে হয় যার জন্য প্রায় দুই থেকে সপ্তাহ ধরে দৃশ্যধারন করা হয়। "[21]
লস আঞ্জেলেস টাইমসের রিপোর্টে বলা হয় বিষমকামী চলচ্চিত্রের জন্য প্রতি দৃশ্যের জন্য একজন নারী ৭০০ হতে ১,০০০ ডলার পর্যন্ত আয় করে থাকে।[22]
কিছু মানুষ বলে থাকে সমকামী পুরুষ চলচ্চিত্রে পুরুষরা বিষমকামীটার চেয়ে বেশি অর্থ পেয়ে থাকে। [তথ্যসূত্র প্রয়োজন] যে সকল পুরুষ নিজেদের "বিষমকামী" বলে থাকে তারাই আবার অর্থের জন্য সমকামী হয়ে যায়।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন]
সেইমর বাট্ট্স, যিনি চলচ্চিত্র প্রযোজনার পাশাপাশি শিল্পী সংগ্রাহকের কাজ করেন তার মতে,"যে সকল নারী সমকামী এবং বিষমকামী উভয় ধরনের চলচ্চিত্রে অংশ নেন তারা শুধুমাত্র বিষমকামী চলচ্চিত্রে অংশ নেওয়াদের থেকে বেশি আয় করেন। তারা প্রতিটি দৃশ্যের জন্য প্রায় ২০০ থেকে ৮০০ ডলার পর্যন্ত আয় করেন। আবার যারা শুধু মুখলেহন (অরাল সেক্স বা ব্লও জব) করেন তারা ১০০ হতে ৩০০ ডলারের মত আয় করেন।"[23] আবার ফ্লোরিডার Local10 এ প্রকাশিত এক সাক্ষাৎকার অনুসারে; ২০০৪ সালে জনপ্রিয় সিরিজ Bang Bus এর সঙ্গমের প্রতিটি দৃশ্যের জন্য ৭০০ ডলারের প্রস্তাব দেওয়া হয়।[24] পর্নোগ্রাফিক ওয়েবসাইট Videobox এর তথ্য অনুযায়ী, অভিনেত্রীরা ব্লও জবঃ $২০০-৪০০; সরল বা স্ট্রেইটঃ $৪০০-১,২০০; পায়ু সঙ্গমঃ $৯০০-১,৫০০; জোড়া সঙ্গমঃ $১৫০০-১৬০০; জোড়া পায়ু সঙ্গমঃ ২০০০ ডলার আয় করেন। আরও অস্বাভাবিক ভঙ্গিমার জন্য, মহিলারা সাধারণত ১৫% অতিরিক্ত পান.[25]
২০০১ সালে, অভিনেত্রী ছলে বেতনের হার সম্পর্কে বলেন," গঞ্জতে ছবির জন্য কোনো অর্থ দেয়া হয় না তথাপি প্রতি দৃশ্যের জন্য অর্থাৎ প্রতি ভিডিওর জন্য অর্থ দেওয়া হয়। যেমনঃ মেয়ে-মেয়েঃ ৭০০ ডলার, সাথে খেলনা দ্বারা পায়ুসঙ্গম ১০০ ডলার; নারী-পুরুষঃ ৯০০ ডলার; পায়ুসঙ্গমঃ ১,১০০ ডলার; একাকীঃ ৫০০ ডলার; ডিপিঃ ১৫০০ ডলার।"[9]
তদুপরি, ফিল্মগুলিতে উপস্থিত হওয়ার পাশাপাশি পর্ন তারকারা প্রায়শই বিভিন্ন প্রস্তাব এবং উপস্থিতি ফি থেকে অর্থ উপার্জন করেন। উদাহরণস্বরূপ, ২০১০-তে, কিছু নাইট ক্লাবগুলি মহিলা পর্ন তারকাদের এবং প্লেবয় প্লেমেটকে সেখানে উপস্থিত থাকার জন্য সাধারণ মানুষের জন্য ড্র হিসাবে অভিনয় করার জন্য অর্থ প্রদান করছিল; জেসি জেন কে শিকাগো ক্লাবের এক উপস্থিতির জন্য ৫০০০ ডলার থেকে ১০,০০০ ডলার প্রদান করে বলে জানা গেছে। [26]
ওয়েব অনুসন্ধানফলাফল অনুসারে, পর্নোগ্রাফিক অভিনেতারা বিশেষত বিভিন্ন যৌন বাহিত সংক্রমণ (এসটিআই), বিশেষত এইচপিভি, জিকা জ্বর, ক্ল্যামিডিয়া, গনোরিয়া, সিফিলিস এবং এইচআইভি / এইডসের ঝুঁকিতে রয়েছে। এর মধ্যে কিছু সংক্রমণ মারাত্মক হতে পারে বা গুরুতর স্বাস্থ্য সমস্যার কারণ হতে পারে। পর্নোগ্রাফিক অভিনেতাদের তাদের কাজের সময় এইচআইভি এবং অন্যান্য এসটিআই সংক্রামিত হওয়ার বেশ কয়েকটি ঘটনা ঘটেছে।
অতিগুরুত্বপূর্ণ বা উল্লেখযোগ্য কোনো ঘটনা না ঘটলে পর্নোগ্রাফিক চলচ্চিত্র অভিনয়শিল্পীরা সাধারণত মূলধারার গণমাধ্যমে খবরের অংশ হয় না। যার দরুন কিছু বিশেষায়িত প্রকাশনী (বা ট্রেড জার্নাল) শিল্পীদের তথ্য, পর্নগ্রাফি শিল্প সম্পর্কিত তথ্য প্রকাশ করে। এর মধ্যে এভিএন ম্যগাজিন ও এক্সবিজ বা এক্স-রেটেড বিজনেস অন্যতম। কিছু শিল্পীদের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বল্ক করা একাউন্ট রয়েছে।[27].
১৯৭০ সাল হতে "'ইন্টারনেট এড্যাল্ট ফিল্ম ডেটাবেজ ইংরেজি: Internet Adult Film Database (IAFD) প্রাপ্তবয়স্ক চলচ্চিত্র, অভিনয়শিল্পী, অভিনয়শিল্পীদের কাজের তালিকা, পরিচালকদের কাজের তালিকা তৈরি করা শুরু করে।
অভিনেতা এবং অভিনেত্রীরা তাদের পর্নোগ্রাফিক জীবন সম্পর্কে তাদের আত্মজীবনীতে লিখেছেন। তার উল্লেখযোগ্য কিছু নাম দেওয়া হলোঃ
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.
Every time you click a link to Wikipedia, Wiktionary or Wikiquote in your browser's search results, it will show the modern Wikiwand interface.
Wikiwand extension is a five stars, simple, with minimum permission required to keep your browsing private, safe and transparent.