Loading AI tools
হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের ৩য় মহাসচিব উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
নুরুল ইসলাম জিহাদী (১৯৪৮ — ২৯ নভেম্বর ২০২১) ছিলেন একজন বাংলাদেশি দেওবন্দি ইসলামি পণ্ডিত, লেখক, শিক্ষাবিদ।[1] তিনি হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ ও আন্তর্জাতিক মজলিসে তাহাফফুজে খতমে নবুয়ত বাংলাদেশের মহাসচিব, আল জামিয়াতুল ইসলামিয়া মাখজানুল উলুম মাদ্রাসার মহাপরিচালক ও শায়খুল হাদিস ছিলেন। এছাড়াও তিনি দারুল উলুম হাটহাজারী ও বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া বাংলাদেশের মজলিসে শুরার সদস্য, যুক্তরাজ্যের জামিয়া খাতামুন্নাবিয়্যীন সহ উল্লেখযোগ্য সংখ্যক মসজিদ-মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা ও পৃষ্ঠপোষক ছিলেন।
নুরুল ইসলাম জিহাদী | |
---|---|
মহাসচিব, হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ | |
অফিসে ২৬ ডিসেম্বর ২০২০ – ২৯ নভেম্বর ২০২১ | |
পূর্বসূরী | নূর হুসাইন কাসেমী |
উত্তরসূরী | সাজিদুর রহমান |
মহাপরিচালক, আল জামিয়াতুল ইসলামিয়া মাখজানুল উলুম | |
অফিসে ১০ জুলাই ১৯৮৪ – ২৯ নভেম্বর ২০২১ | |
উত্তরসূরী | জহুরুল ইসলাম |
মহাসচিব, আন্তর্জাতিক মজলিসে তাহাফফুজে খতমে নবুয়ত বাংলাদেশ | |
অফিসে ১৯৯০ – ২৯ নভেম্বর ২০২১ | |
ব্যক্তিগত তথ্য | |
জন্ম | ১৯৪৮ |
মৃত্যু | ২৯ নভেম্বর ২০২১ ৭২–৭৩) ল্যাবএইড হাসপাতাল, ধানমন্ডি | (বয়স
ধর্ম | ইসলাম |
জাতীয়তা | বাংলাদেশি |
পিতামাতা |
|
জাতিসত্তা | বাঙালি |
যুগ | আধুনিক |
আখ্যা | সুন্নি |
ব্যবহারশাস্ত্র | হানাফি |
আন্দোলন | দেওবন্দি |
প্রধান আগ্রহ | হাদিস, ফিকহ, লেখালেখি, তাসাউফ, ইসলামি আন্দোলন, খতমে নবুয়ত |
উল্লেখযোগ্য কাজ |
|
যেখানের শিক্ষার্থী | |
মুসলিম নেতা | |
যার দ্বারা প্রভাবিত |
নুরুল ইসলাম জিহাদী ১৯৪৮ সালে চট্টগ্রাম জেলার ফটিকছড়ি থানাধীন ধুরুং গ্রামের এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম আব্দুর রশীদ।[2]
প্রাথমিক জীবনে নাজিরহাট বড় মাদ্রাসায় তিনি কুরআনের হেফজ (মুখস্থ) সম্পন্ন করেন। হেফজ সমাপ্তির পর একই মাদ্রাসায় হেদায়াতুন্নাহু জামাত (মাধ্যমিক) পর্যন্ত অধ্যয়ন করেন। অতঃপর উচ্চতর শিক্ষার উদ্দেশ্যে তিনি দারুল উলুম হাটহাজারী মাদ্রাসায় ভর্তি হন। ১৯৭৪ সালে হাটহাজারী মাদ্রাসা থেকে দাওরায়ে হাদিস (মাস্টার্স) সমাপ্ত করেন।[2]
তার উল্লেখযোগ্য শিক্ষকদের মধ্যে রয়েছেন মুফতি ফয়জুল্লাহ, শাহ আবদুল ওয়াহহাব, আব্দুল আজিজ, আহমাদুল হক, আবুল হাসান, মুহাম্মদ হামেদ, শাহ আহমদ শফী প্রমুখ।[2]
শিক্ষাজীবন সমাপ্তির পর পটিয়া থানাধীন কৈয়গ্রাম মাদ্রাসায় শিক্ষক হিসেবে যোগদানের মাধ্যমে তার কর্মজীবনের সূচনা হয়। উক্ত মাদ্রাসায় এক বৎসর শিক্ষকতার পর বাবুনগর মাদ্রাসায় আহুত হলে সেখানে শিক্ষক হিসেবে নিয়ােজিত হন। বাবুনগর মাদ্রাসায় কয়েক বৎসর অধ্যাপনার পর ঢাকার আশরাফুল উলুম বড় কাটারা মাদ্রাসায় ১৯৮২ সাল পর্যন্ত অধ্যাপনা করেন। এসময়ে তার পিতার মৃত্যুবরণের পর তিনি নিজ বাড়িতে চলে যান ও পুনরায় বাবুনগর মাদ্রাসায় যােগদান করেন। ১৯৮৪ সালের ১০ জুলাই তিনি ঢাকা জেলার অন্তর্গত খিলগাঁও-এ আল জামিয়াতুল ইসলামিয়া মাখজানুল উলুম প্রতিষ্ঠা করেন। মৃত্যু পর্যন্ত তিনি এই মাদ্রাসার মহাপরিচালক ও শায়খুল হাদিস হিসেবে দায়িত্বরত ছিলেন। পাশাপাশি তিনি দারুল উলুম হাটহাজারীর মজলিসে শুরা এবং বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা ও আমেলার গুরুত্বপূর্ণ সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। ১৯৭৮ সালে ইসলাম বিদ্বেষীদের প্রতিরোধের উদ্দেশ্যে তিনি “ইসলামী আন্দোলন পরিষদ” নামে একটি অরাজনৈতিক সংগঠন প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। তিনি দীর্ঘ সময় ছিদ্দিক আহমদের সান্নিধ্যে ছিলেন। কাদিয়ানী বিরােধী আন্দোলন ও খতমে নবুয়ত আন্দোলনকে বেগবান করার লক্ষ্যে ১৯৯০ সালে প্রতিষ্ঠিত “আন্তর্জাতিক মজলিসে তাহাফফুজে খতমে নবুয়ত বাংলাদেশ”র তিনি মহাসচিব ছিলেন।[2] ২০২০ সালের ২৬ ডিসেম্বর তিনি হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব নির্বাচিত হন।[3]
বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে তিনি বেশ কয়েকটি মসজিদ ও মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করেছেন। তার মধ্যে উল্লেখযােগ্য:[2]
এছাড়াও তিনি উল্লেখযোগ্য সংখ্যক মাদ্রাসার পৃষ্ঠপােষকতা করেছেন।[2]
তার রচিত গ্রন্থ সমূহের মধ্যে রয়েছে :[2]
তিনি ২০২১ সালের ২৯ নভেম্বর ঢাকার ল্যাবএইড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন।[4] মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরীর ইমামতিতে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদ ময়দানে তার জানাজার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। পরদিন দারুল উলুম হাটহাজারী মাদ্রাসার মাকবারায়ে জামিয়ায় শাহ আহমদ শফী ও জুনায়েদ বাবুনগরীর পাশে তাকে দাফন করা হয়।[5]
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.
Every time you click a link to Wikipedia, Wiktionary or Wikiquote in your browser's search results, it will show the modern Wikiwand interface.
Wikiwand extension is a five stars, simple, with minimum permission required to keep your browsing private, safe and transparent.