দমদম ক্যান্টনমেন্ট মেট্রো স্টেশন
কলকাতা মেট্রোর একটি স্টেশন উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
কলকাতা মেট্রোর একটি স্টেশন উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
দমদম ক্যান্টনমেন্ট মেট্রো স্টেশন হল কলকাতা মেট্রোর লাইন ৪ বা হলুদ লাইনের একটি স্টেশন। স্টেশনটি কলকাতার উপকণ্ঠে দমদম শহরের সুভাষ নগরে দমদম ক্যান্টনমেন্ট রেলওয়ে স্টেশনের পশ্চিম পার্শ্বে উত্তোলিত ভাবে অবস্থিত।
কলকাতা মেট্রো স্টেশন | |||||||||||
অবস্থান | সুভাষ নগর, দমদম, কলকাতা | ||||||||||
স্থানাঙ্ক | ২২.৬৩৮০৫২° উত্তর ৮৮.৪১২৩৪৫° পূর্ব | ||||||||||
মালিকানাধীন | কলকাতা মেট্রো | ||||||||||
লাইন | লাইন ৪ | ||||||||||
প্ল্যাটফর্ম | ২ টি (পার্শ্ব প্লাটফর্ম) | ||||||||||
রেলপথ | ২ টি | ||||||||||
সংযোগসমূহ | দমদম ক্যান্টনমেন্ট | ||||||||||
নির্মাণ | |||||||||||
গঠনের ধরন | উত্তোলিত | ||||||||||
প্ল্যাটফর্মের স্তর | ৩ | ||||||||||
পার্কিং | হ্যা | ||||||||||
সাইকেলের সুবিধা | না | ||||||||||
অন্য তথ্য | |||||||||||
ভাড়ার স্থান | জোন ১৭ | ||||||||||
ইতিহাস | |||||||||||
চালু | ২০২৪(প্রত্যাশিত ) | ||||||||||
বৈদ্যুতীকরণ | হ্যাঁ | ||||||||||
পরিষেবা | |||||||||||
| |||||||||||
অবস্থান | |||||||||||
স্টেশনটি রেল বিকাশ নিগম লিমিটেডের তত্বাবধানে নির্মিত হচ্ছে। অনুমান করা হচ্ছে, যে স্টেশনটি ২০২৪ সালে চালু হবে। স্টেশনটির দুটি ট্র্যাক ও দুটি পার্শ্ব প্ল্যাটফর্ম রয়েছে।
স্টেশনটিকে প্রথমে "দমদম ক্যান্টনমেন্ট মেট্রো স্টেশন" হিসেবে ভাবা হয়েছিল। পশ্চিমবঙ্গ সরকার ২০২১ সালের জানুয়ারি মাসে "দমদম ক্যান্টনমেন্ট" সহ লাইন ৪ বা হলুদ লাইনের মোট ৭ টি স্টেশনের নাম পরিবর্তন করেছিল।[1] স্টেশনের নাম "দমদম ক্যান্টনমেন্ট মেট্রো স্টেশন" থেকে পরিবর্তন করে "মৌলানা আবদুল কালাম আজাদ মেট্রো স্টেশন" করা হয়।[1]
এই স্টেশনটি কলকাতা মেট্রোর লাইন ৪-এর নোয়াপড়া থেকে বিমানবন্দর পর্যন্ত ৬.২৪৯ কিলোমিটার (৩.৮৮৩ মা) দীর্ঘ প্রথম বিভাগে অংশ হিসাবে নির্মাণ করা হচ্ছে।
এই স্টেশনটি দমদম ক্যান্টনমেন্ট রেলওয়ে স্টেশনের পশ্চিম পার্শ্বে অবস্থিত। স্টেশনের মূল উত্তোলিত কাঠামোর পূর্ব পার্শ্বে দমদম ক্যান্টনমেন্ট রেলওয়ে স্টেশনের ৩ নং প্ল্যাটফর্ম ও পশ্চিম পার্শ্বে মেট্রো স্টেশনের সংযোগ সড়ক রয়েছে। এটি ভৌগোলিকভাবে ২২.৬৩৮০৫২° উত্তর অক্ষাংশ ও ৮৮.৪১২৩৪৫° পূর্ব দ্রাঘিমাংশে অবস্থান করছে। স্টেশনটির পূর্ববর্তী স্টেশন হল ২.৮১৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত নোয়াপাড়া মেট্রো স্টেশন এবং পরবর্তী স্টেশন হল ২.৩১০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত যশোর রোড মেট্রো স্টেশন।[2]
ভূমি | রাস্তার স্তর | প্রস্থান / প্রবেশ |
১ম উত্তোলিত স্তর | মধ্যবর্তী | টিকিট সংগ্রহ কেন্দ্র, মেট্রো কার্ড ভেন্ডিং মেশিন, প্ল্যাটফর্ম দুটির মধ্যে সংযোগ |
২য় উত্তোলিত স্তর | পার্শ্ব প্ল্যাটফর্ম নং ২, দরজা বাম খুলবে | |
দক্ষিণদিকগামী | দিকে →নোয়াপাড়া→ → | |
উত্তরদিকগামী | →দিকে ← যশোর রোড← ← | |
পার্শ্ব প্ল্যাটফর্ম নং ১, দরজা বাম খুলবে | ||
২য় উত্তোলিত স্তর | ||
এটি ত্রি-স্তরে বিন্যস্ত একটি স্টেশন, ভূমি স্তরে প্রবেশ/প্রস্থান পথ সংযুক্ত রয়েছে। দ্বিতীয় বা মধ্যবর্তী স্তরটি প্রথম ও তৃতীয় স্তরকে সংযুক্ত করে। তৃতীয় স্তরে দুটি পার্শ্ব প্ল্যাটফর্ম ও দুটি রেল ট্র্যাক রয়েছে। স্টেশনের পূর্ব পার্শ্ব বা ১ নং প্ল্যাটফর্মটি নোয়াপাড়াগামী রেল ট্র্যাকে পরিষেবা প্রদান করবে। পশ্চিম পার্শ্ব বা ২ নং প্ল্যাটফর্মটি বিপরীতমুখী, অর্থাৎ যশোর রোডগামী রেল ট্র্যাকে পরিষেবা প্রদান করবে। প্ল্যাটফর্ম দুটির মধ্যে যাত্রী বিনিময় দ্বিতীয় বা মধ্যবর্তী স্তরের মধ্যমে সম্পন্ন হয়। স্টেশনের প্ল্যাটফর্ম দুটি লাইন ৪-এর অন্যান্য স্টেশনের প্ল্যাটফর্মের মত ১৮০ মিটার দীর্ঘ। স্টেশনের উত্তর প্রান্ত থেকে উত্তোলিত সেতুর মাধ্যমে দুটি রেল ট্র্যাক বিশিষ্ট রেলপথ বিমানবন্দর (বারাসাত পর্যন্ত প্রস্তাবিত) পর্যন্ত প্রসারিত। একই ভাবে, স্টেশনের দক্ষিণ প্রান্ত থেকে উত্তোলিত সেতুর মাধ্যমে দুটি রেল ট্র্যাক বিশিষ্ট রেলপথ নোয়াপাড়া পর্যন্ত প্রসারিত।
স্টেশন ভবনটি কংক্রিট স্তম্ভের মাধ্যমে দমদম ক্যান্টনমেন্ট রেলওয়ে স্টেশনের পশ্চিম পার্শ্বে দাঁড়িয়ে রয়েছে। স্টেশন ভবনকে স্তম্ভগুলি ৪ টি সারিতে স্থাপিত হয়েছে, এছাড়াও স্টেশনের মধ্যকার উত্তোলিত রেলপথকে অতিরিক্ত এক সারি অধিক চওড়া স্তম্ভের মধ্যমে ধরে রাখা হয়েছে। উত্তোলিত রেলপথকে ধরে রাখা চওড়া স্তম্ভের দুই পাশে দুই সারি করে স্টেশন ভবনের মোট ৪ সারি স্তম্ভ রয়েছে। ২য় উত্তোলিত স্তরের প্ল্যাটফর্ম দুটি টিনের ছাউনি দ্বারা আচ্ছাদিত। টিনের ছাউনিটি ইস্পাত দ্বারা নির্মিত রিভেট গার্ডার সঠিক স্থানে ধরে রেখেছে। প্রতিটি গার্ডার নিজেদের মধ্যে ইস্পাতের বিম দ্বারা পরস্পরের সঙ্গে দৃঢ়ভাবে যুক্ত আছে। এছাড়াও, দুটি ইস্পাত গার্ডারের মাঝে ক্রস বিম রয়েছে। ইস্পাতের গার্ডারগুলিকে প্ল্যাটফর্মের বাহিরের দিকের প্রান্ত বরাবর কংক্রিট স্তম্ভের মাধ্যমে সমর্থন করে ধরে রাখা হয়েছে। ছাউনিটি খিলান আকৃতির। ছাউনির মাঝে উত্তর-দক্ষিণ বরাবর স্বচ্ছ ফাইবার সিট স্থাপন করা হয়েছে, ফলে সহজেই সূর্যালোক স্টেশনের দ্বিতীয় উত্তোলিত স্তরে প্রবেশ করে ও প্ল্যাটফর্ম সহ দ্বিতীয় উত্তোলিত স্তরকে আলোকিত রাখে।
এই স্টেশনে ৩ টি প্রবেশ/প্রস্থান পথ রয়েছে। মেজাইন বা মধ্যবর্তী তলের দক্ষিণ প্রান্ত থেকে একটি প্রবেশ/প্রস্থান পথ রয়েছে। এটি মেট্রো স্টেশনকে দমদম ক্যান্টনমেন্ট রেলওয়ে স্টেশনের ফুটব্রিজের সঙ্গে যুক্ত করে, ফলে মেট্রো স্টেশনটি ফুটব্রিজের মাধ্যমে দমদম ক্যান্টনমেন্ট রেলওয়ে স্টেশনের সঙ্গে সরাসরি সংযোগ লাভ করে। স্টেশনের পশ্চিম পার্শ্বের উত্তর প্রান্ত ও দক্ষিণ প্রান্ত থেকে একটি করে মোট দুটি প্রবেশ/প্রস্থান পথ ভূমিতলের সঙ্গে সংযুক্ত রয়েছে, এই দুটি প্রবেশ/প্রস্থান পথ স্টেশনের ভূমি স্তরের অংশের সঙ্গে সংযুক্ত। মধ্যবর্তী তলে টিকিট কেন্দ্র ও ব্যাগ পরীক্ষা কেন্দ্র থাকবে। স্বয়ংক্রিয় টিকিট পরীক্ষক যন্ত্র মধ্যবর্তী তলে টিকিট সংগ্রহ কেন্দ্র ও প্ল্যাটফর্ম থেকে প্রস্থান ও প্রবেশের সিঁড়ির মাঝে অবস্থিত থাকবে। মেট্রো স্টেশনে যাত্রীদের জন্য ৬ টি চলমান সিঁড়ি, ৩ টি লিফট ও ৭ টি সিঁড়ি থাকবে।[3] এই সিঁড়িগুলি যাত্রীদের ভূমিতল থেকে প্রথম উত্তোলিত স্তরে ও প্রথম উত্তোলিত স্তর থেকে দ্বিতীয় উত্তোলিত স্তর বা প্ল্যাটফর্ম স্তরের পৌঁছাতে ও প্রস্থান করতে ব্যবহৃত হবে। এই স্টেশনে ১৬ টি স্বয়ংক্রিয় টিকিট পরীক্ষক যন্ত্র স্থাপন করা হবে।[3][4][5]
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.
Every time you click a link to Wikipedia, Wiktionary or Wikiquote in your browser's search results, it will show the modern Wikiwand interface.
Wikiwand extension is a five stars, simple, with minimum permission required to keep your browsing private, safe and transparent.