Loading AI tools
ইংরেজ ক্রিকেটার উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
ডেভিড পল ফুলটন (ইংরেজি: David Fulton; জন্ম: ১৫ নভেম্বর, ১৯৭১) গ্রেটার লন্ডনের লুইসহাম এলাকায় জন্মগ্রহণকারী প্রথিতযশা ও সাবেক প্রথম-শ্রেণীর ইংরেজ ক্রিকেটার। প্রথম-শ্রেণীর ইংরেজ কাউন্টি ক্রিকেটে কেন্টের পক্ষে ১৫ মৌসুম খেলেছেন। দলে তিনি মূলতঃ ডানহাতি উদ্বোধনী ব্যাটসম্যানরূপে খেলতেন। এছাড়াও দলের প্রয়োজনে মাঝে-মধ্যে লেফট আর্ম অর্থোডক্স স্পিন বোলিং করতেন ডেভিড ফুলটন।
ব্যক্তিগত তথ্য | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
পূর্ণ নাম | ডেভিড পল ফুলটন | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জন্ম | লুইসহাম, গ্রেটার লন্ডন | ১৫ নভেম্বর ১৯৭১||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উচ্চতা | ৬ ফুট ২ ইঞ্চি (১.৮৮ মিটার) | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ব্যাটিংয়ের ধরন | ডানহাতি | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বোলিংয়ের ধরন | স্লো লেফটআর্ম অর্থোডক্স | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ভূমিকা | ব্যাটসম্যান | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
সম্পর্ক | রিচার্ড ডেভিস (শ্যালক) | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ঘরোয়া দলের তথ্য | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বছর | দল | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
১৯৯২–২০০৬ | কেন্ট | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
| |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো, ১ অক্টোবর ২০১৮ |
১৯৭১ সালে গ্রেটার লন্ডনের লুইসহাম এলাকায় ডেভিড ফুলটনের জন্ম। টনব্রিজের জাড স্কুল ও কেন্ট বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়ন করেছেন তিনি। ১৯৯২ সালে কেন্ট দলে যোগদান করেন ডেভিড ফুলটন।[1] ফেনার্সে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার। কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিপক্ষে অনুষ্ঠিত ঐ খেলায় তিনি ১৬ ও ৪২ রান তুলতে পেরেছিলেন।[2] ঐ বছর শেষে বিশ্ববিদ্যালয় চ্যাম্পিয়নশীপের চূড়ান্ত খেলায় অংশ নেন। ডারহাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বিপক্ষে ১০ রান করলেও তার দল পরাজিত হয়েছিল।[3]
প্রথম একাদশে নিজ স্থান পাকাপোক্ত করার পর ১৯৯৫ থেকে ১৯৯৮ সময়কালে ধারাবাহিকভাবে ক্রীড়াশৈলী প্রদর্শন করতে থাকেন। প্রতি বছর গড়ে ৩০ ঊর্ধ্ব রান তুলেছিলেন তিনি।[4] এছাড়াও ১৯৯৬ সালে ডেভিড ফুলটন তার একমাত্র উইকেট লাভে সক্ষমতা দেখান। অক্সফোর্ডের ব্যাটসম্যান উইলিয়াম কেন্ডলকে কট এন্ড বোল্ডে বিদায় করেন তিনি। ১৯৯৮ সালে তার সেরা মৌসুম অতিবাহিত হয়। প্রথমবারের মতো দ্বি-শতক সহযোগে ৯৫৪ রান করেন। মেইডস্টোনে মোট পার্কে ইয়র্কশায়ারের বিপক্ষে দীর্ঘ সাড়ে দশ ঘণ্টা ক্রিজে অবস্থান করে অপরাজিত ২০৭ রান তুলে দলকে শোচনীয় পরাজয়বরণ করা থেকে রক্ষা করেন।[5] তাস্বত্ত্বেও ডেইলি টেলিগ্রাফের সংবাদদাতা ক্লাইভ এলিস তার ইনিংসের সমালোচনা করে লেখেন যে, অত্যন্ত ধীরগতিতে ইনিংস খেলার ফলে কেন্ট দল লক্ষ্যমাত্রা ধার্য্যে ব্যর্থ হয়।[6]
১৯৯৯ ও ২০০০ সালে তার রান সংগ্রহের হার নিচের দিকে চলে যায় ও রানের গড় বিশের মাঝামাঝিতে অবস্থান করে।[4] তবে, ২০০১ সালে বেশ উন্নতি দেখা যায়। আঠারোটি প্রথম-শ্রেণীর খেলায় অংশ নিয়ে ৭৫.৬৮ গড়ে ১৮৯২ রান তুলেন তিনি।[4]
পুরো মৌসুমেই দল নির্বাচকমণ্ডলীর সুনজরে ছিলেন তিনি। নাসের হুসেনের মতে মার্ক বুচারের পরিবর্তে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সিরিজের চতুর্থ টেস্টে তাকে দলে রাখা হয়। তবে, মনের পরিবর্তন ঘটায় বুচারকে পুণর্বহাল করা হয়।[7] তাস্বত্ত্বেও, মৌসুম শেষে ডেভিড ফুলটনকে পেশাদার ক্রিকেটারদের সংগঠন কর্তৃক তাকে বর্ষসেরা ক্রিকেটার মনোনীত করা হয়।[8]
২০০২ সালে ম্যাথু ফ্লেমিংয়ের সাথে যৌথভাবে ক্লাবের অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করেছিলেন তিনি। তন্মধ্যে ডেভিড ফুলটন প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে ও ফ্লেমিং একদিনের খেলার দায়িত্বে ছিলেন।[9] অধিনায়কের দায়িত্বে থাকলেও ব্যাটিংয়ে তেমন প্রভাব ফেলেনি। ১৩৫৮ রান তুলেন যা তিনি উপর্যুপরি দ্বিতীয়বারের মতো করেন।[4]
কেন্টের পক্ষে সংক্ষিপ্তকালের জন্য বিদেশী খেলোয়াড় হিসেবে অংশগ্রহণকারী অস্ট্রেলীয় অধিনায়ক স্টিভ ওয়াহ ডেভিড ফুলটন সম্পর্কে মন্তব্য করেন যে, ভবিষ্যতে তিনি ইংল্যান্ডের দলনায়কের ভূমিকায় অবতীর্ণ হবেন।[10]
২০০৩ মৌসুমে খেলার প্রস্তুতি গ্রহণকালে বোলিং মেশিন থেকে ছোঁড়া বলে পুল শট মারতে গিয়ে চোখে মারাত্মক আঘাত পান।[1][11] আঘাতের ফলে মৌসুমের প্রথমদিকের আট সপ্তাহখানেক মাঠের বাইরে অবস্থান করতে বাধ্য হন। এরপর তিন মৌসুম শেষে চোখের ক্রমাগত সমস্যায় অধিনায়কত্ব করা থেকে দূরে চলে আসতে হয়।[10] তাস্বত্ত্বেও, এগারো খেলায় অংশ নিয়ে ছয় শতাধিক রান সংগ্রহ করতে পেরেছিলেন।[4] পরবর্তী তিন মৌসুমেও রানের এ ধারা অব্যাহত রাখেন। ফলশ্রুতিতে কেন্টের প্রথম-শ্রেণীর শিরোপা লাভের সম্মাননায় শক্ত ভূমিকা রাখেন। ২০০৪ সালে কেন্ট ওয়ারউইকশায়ারের পিছনে চলে গেলেও ২০০৫ সালে পুনরায় শিরোপা লাভের দাবীদার হয় কেন্ট দল।
২০০৫ সালে ওয়ারউইকশায়ারের বিপক্ষে সিএন্ডজি ট্রফির কোয়ার্টার-ফাইনালে পরাজিত হবার পর দল থেকে বাদ পড়ার পর একদিনের খেলা থেকে অধিনায়কত্ব চলে যায় তার। ম্যাথু ওয়াকারকে একদিনের অধিনায়কত্ব প্রদানের পরও ঐ মৌসুম পর্যন্ত প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে অধিনায়কের দায়িত্বে ছিলেন তিনি।
জয়ের লক্ষ্যমাত্রায় অগ্রসর হবার বিষয়ে অন্যান্য কাউন্টি দলের অধিনায়কের কাছ থেকে ব্যাপক সমালোচনার পাত্রে পরিণত হন তিনি।[12] দলের চ্যাম্পিয়নশীপের আশা জীবিত রাখতে নটিংহ্যামশায়ারের অধিনায়ক স্টিফেন ফ্লেমিংয়ের ধার্য্যকৃত ৭০ ওভারে ৪২০ রান টপকানোর প্রচেষ্টা চালান। তবে, কেন্ট দল মাত্র ২১০ রান তুলতে সক্ষম হয়। নটিংহ্যামশায়ার জয়ী হবার পাশাপাশি চ্যাম্পিয়নশীপের শিরোপা পায়। শিরোপা লড়াইয়ে অন্যতম দাবীদার হ্যাম্পশায়ারের দলনেতা শেন ওয়ার্ন এ প্রচেষ্টাকে তার দেখা সর্বাপেক্ষা বাজে চিন্তাধারারূপে আখ্যায়িত করেন।[12] এর এক সপ্তাহ পরই তিনি অধিনায়কত্ব থেকে ইস্তফা দেন।[10]
২০০৬ সালে ডেভিড ফুলটন আর্থিক সুবিধা গ্রহণের খেলার জন্য মনোনীত হন। সর্বমোট £১০৫,০০০ পাউন্ড-স্টার্লিং আয় হয় যার অর্ধেক দাতব্য তহবিলে দিয়ে দেয়া হয়। ঐ মৌসুমে শেষে অবসর গ্রহণ করেন। সর্বশেষ প্রথম-শ্রেণীর খেলায় মিডলসেক্সের বিপক্ষে ১৫৫ রানের ইনিংস উপহার দেন তিনি।[13] নিয়মিত অধিনায়ক রব কী বিশ্রামে থাকায় ও ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক মার্টিন ফন জারসভেল্ডকে হাসপাতালে পাঠানোর ফলে চূড়ান্ত অধিবেশনে ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক হিসেবে তিনি মাঠে খেলা পরিচালনা করেন।
২০০৬ সালে ক্রিকেট খেলা থেকে অবসর গ্রহণ করার পর টাইমস ও স্কাই স্পোর্টসে ক্রিকেট সাংবাদিকতায় জড়িত হয়ে পড়েন।[14]
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.
Every time you click a link to Wikipedia, Wiktionary or Wikiquote in your browser's search results, it will show the modern Wikiwand interface.
Wikiwand extension is a five stars, simple, with minimum permission required to keep your browsing private, safe and transparent.