Loading AI tools
ইংরেজ ক্রিকেটার উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
নাসের হুসেন, ওবিই (জন্ম: ২৮ মার্চ, ১৯৬৮) ভারতের মাদ্রাজে জন্মগ্রহণকারী ব্রিটিশ-ভারতীয় বংশোদ্ভূত বিখ্যাত ও সাবেক ইংরেজ আন্তর্জাতিক ক্রিকেট তারকা। ইংল্যান্ড ক্রিকেট দলের পক্ষে ১৯৮৭ থেকে ২০০৪ সাল মেয়াদে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে প্রতিনিধিত্ব করেন। পাশাপাশি দলের অধিনায়কেরও দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি। দলে তিনি মূলতঃ ডানহাতি ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলেছেন। এছাড়াও, ডানহাতে লেগ ব্রেক বোলিংয়ে পারদর্শী ছিলেন তিনি। কাউন্টি ক্রিকেটে এসেক্স দলে খেলেন।
ব্যক্তিগত তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
পূর্ণ নাম | নাসের হুসেন | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জন্ম | মাদ্রাজ, ভারত | ২৮ মার্চ ১৯৬৮|||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ডাকনাম | নশন, নাস | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উচ্চতা | ১.৮৯ মিটার (৬ ফুট ২+১⁄২ ইঞ্চি) | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ব্যাটিংয়ের ধরন | ডানহাতি | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বোলিংয়ের ধরন | ডানহাতি লেগ ব্রেক | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ভূমিকা | ব্যাটসম্যান | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
আন্তর্জাতিক তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জাতীয় দল | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
টেস্ট অভিষেক (ক্যাপ ৫৪২) | ২৪ ফেব্রুয়ারি ১৯৯০ বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজ | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ টেস্ট | ২০ মে ২০০৪ বনাম নিউজিল্যান্ড | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ওডিআই অভিষেক (ক্যাপ ১০৫) | ৩০ অক্টোবর ১৯৮৯ বনাম পাকিস্তান | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ ওডিআই | ২ মার্চ ২০০৩ বনাম অস্ট্রেলিয়া | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ওডিআই শার্ট নং | ৩ | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ঘরোয়া দলের তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বছর | দল | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
১৯৮৭-২০০৪ | এসেক্স | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
১৯৯১ | এমসিসি | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
| ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উৎস: ক্রিকেটআর্কাইভ, ১৮ অক্টোবর ২০১৫ |
বাবা ‘রাজা জো হুসেনের’ অনুপ্রেরণায় ক্রিকেটে হাতেখড়ি ঘটে। কিশোর অবস্থায় তার পরিবার ইংল্যান্ডে অভিবাসিত হয়। ১৯৮৭ সালে এসেক্সের সদস্য হিসেবে যোগ দেন। বিদ্যালয়ে থাকাকালে স্পিন বোলার থেকে ব্যাটিংয়ের দিকে নজর দেন। এ সময় তিনি এসেক্সের পক্ষে বিভিন্ন বয়সভিত্তিক দলে খেলেন। ১৯৮৯ সালের কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশীপে ৯৯০ রান তোলেন। প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট ও লিস্ট-এ ক্রিকেটে ৬৫০-এরও অধিক খেলায় ত্রিশ সহস্রাধিক রান সংগ্রহ করেছেন।
কাউন্টি ক্রিকেটে চমকপ্রদ ক্রীড়াশৈলী প্রদর্শন করায় ইংল্যান্ড দলের সদস্যরূপে মনোনীত হন। কিন্তু আঘাতপ্রাপ্তি ও দূর্বল ক্রীড়াশৈলী প্রদর্শনের প্রেক্ষিতে ১৯৯০-এর দশকের শুরুতে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তার অংশগ্রহণ বেশ অনিয়মিত ছিল। ১৯৯০ সালের ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফর ও ১৯৯৩ সালে তিনি আও চার খেলায় অংশ নেন। ১৯৯৬ সাল থেকে ইংল্যান্ডের নিয়মিত টেস্ট ক্রিকেটার হিসেবে অংশগ্রহণ করতে থাকেন তিনি।
১৯৯৭ সালে এজবাস্টনে অনুষ্ঠিত প্রথম টেস্টে তিনি তার সর্বোচ্চ ২০৭ রান সংগ্রহ করেন। এ প্রসঙ্গে উইজডেন মন্তব্য করে যে, ‘প্রতিভাবানের স্পর্শে সমৃদ্ধ’।[1] সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে ৯৬ টেস্ট ও ৮৮টি একদিনের আন্তর্জাতিকে অংশগ্রহণ করেছেন তিনি।
কিশোর অবস্থায় অ্যালেক স্টুয়ার্টকে আদর্শ হিসেবে মানতেন।[2] ১৯৯৯ সালে অধিনায়ক হিসেবে তারই স্থলাভিষিক্ত হন। ২০০৩ সালে অবসর গ্রহণের পূর্ব পর্যন্ত ৪৫ টেস্টে ইংল্যান্ড দলকে নেতৃত্ব দেন তিনি। বিদেশে চারটি সিরিজে ধারাবাহিকভাবে দলকে জয় এনে দেন ও টেস্টে তৃতীয় স্থান থেকে শীর্ষ পর্যায়ে নিয়ে আসতে সক্ষমতা দেখান তিনি। ফলশ্রুতিতে তাকে ইংল্যান্ডের অন্যতম সেরা তুখোড় অধিনায়ক হিসেবে চিত্রিত করা হয়। দ্য টাইমসের সংবাদদাতা সিমন বার্নস তার সম্পর্কে লিখেন যে, অধিনায়ক হিসেবে তিনি সফল ও যোগ্য।[3] অধিনায়কত্ব থেকে অবসর নেয়ার পর সময় ভবিষ্যতের অধিনায়ক অ্যান্ড্রু স্ট্রসের অভিষেক ঘটে। ঐ খেলায় হুসেন তার সেঞ্চুরি দেখেছিলেন।
অবসর পরবর্তীকালে স্কাই স্পোর্টসের ধারাভাষ্যকারের দায়িত্ব পালন করেন। ২০০৫ সালে প্লেয়িং উইদ ফায়ার শিরোনামে আত্মজীবনী লিখেন যা ব্রিটিশ স্পোর্টস বুক পুরস্কারের সেরা আত্মজীবনী শ্রেণীতে পুরস্কার পায়।[4]
ক্রিকেট জীবন থেকে অবসর নেয়ার ঘণ্টাখানেকের মধ্যেই স্কাই স্পোর্টসের ধারাভাষ্যকার দলে পূর্ণাঙ্গকালীন সময়ের জন্য যোগ দেন। এ দলে সাবেক অধিনায়কত্রয় বব উইলিস, ডেভিড গাওয়ার ও ইয়ান বোথাম এবং সাবেক ইংরেজ কোচ ডেভিড লয়েড ছিলেন। এ প্রসঙ্গে স্কাইয়ের ভিক ওয়াকলিং বলেন যে, আমাদের ধারাভাষ্যকার কক্ষে সর্বাপেক্ষা অভিজ্ঞ ধারাভাষ্যকার রয়েছেন। চারজন সাবেক ইংরেজ অধিনায়ক সর্বসাকুল্যে চারশতাধিক টেস্ট, বিশ সহস্রাধিক রান ও সাত শতাধিক উইকেট পেয়েছেন। এছাড়াও তারা প্রত্যেকেই উইজডেন বর্ষসেরা ক্রিকেটারের পুরস্কার লাভ করেন।[5]
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.
Every time you click a link to Wikipedia, Wiktionary or Wikiquote in your browser's search results, it will show the modern Wikiwand interface.
Wikiwand extension is a five stars, simple, with minimum permission required to keep your browsing private, safe and transparent.