জিওফ হার্স্ট
ইংরেজ ক্রিকেটার / From Wikipedia, the free encyclopedia
স্যার জিওফ্রে চার্লস হার্স্ট (জন্ম ডিসেম্বর ৮, ১৯৪১) একজন প্রাক্তন ইংরেজ ফুটবলার। ১৯৬৬ বিশ্বকাপের ফাইনাল খেলায় পশ্চিম জার্মানির বিপক্ষে ইংল্যান্ডের ৪-২ গোলের জয়ে হ্যাট্রিক করে তিনি বিখ্যাত হয়ে আছেন। তিনি ২০২২ বিশ্বকাপ ফাইনালের আগ পর্যন্ত বিশ্বকাপের ফাইনাল খেলায় হ্যাট্রিক করা একমাত্র ফুটবলার ছিলেন। ২০২২ কাতার বিশ্বকাপ ফাইনালে কিলিয়ান এম্বাপ্পে দ্বিতীয় ব্যক্তি হিসেবে হ্যাট্টিক করে তার পাশে বসেন। যদিও জিওফের সেই খেলায় তাঁর দ্বিতীয় গোলটি ফুটবল ইতিহাসের অন্যতম বিতর্কিত গোল হিসেবে বিবেচিত। রেফারি গোলের সিদ্ধান্ত দিলেও বলটি প্রকৃতপক্ষে গোললাইন অতিক্রম করেছিল কিনা তা নিয়ে বিতর্ক রয়েই গেছে।
ব্যক্তিগত তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
পূর্ণ নাম | জিওফ্রে চার্লস হার্স্ট[1] | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জন্ম | (1941-12-08) ৮ ডিসেম্বর ১৯৪১ (বয়স ৮২)[2] | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জন্ম স্থান | অ্যাশটন-আন্ডার-লিন, ইংল্যান্ড | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
মাঠে অবস্থান | ফরোয়ার্ড | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জ্যেষ্ঠ পর্যায়* | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বছর | দল | ম্যাচ | (গোল) | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
১৯৫৯–১৯৭২ | ওয়েস্ট হ্যাম ইউনাইটেড | ৪১১ | (১৮০) | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
১৯৭৩–১৯৭৫ | স্টোক সিটি | ১০৮ | (৩০) | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
১৯৭৩ | → কেপ টাউন সিটি (ধার) | ৬ | (৫) | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
১৯৭৫–১৯৭৬ | ওয়েস্ট ব্রমউইচ অ্যালবিয়ন | ১০ | (২) | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
১৯৭৬ | কর্ক সেল্টিক | ৩ | (৩) | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
১৯৭৬ | সিয়াটল সাউন্ডার্স এফ সি | ২৩ | (৮) | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
মোট | ৫৬১ | (২২৮) | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জাতীয় দল | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
১৯৫৯ | ইংল্যান্ড যুব দল | ৬ | (০) | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
১৯৬৩–১৯৬৪ | ইংল্যান্ড অনূর্ধ্ব-২৩ | ৪ | (১) | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
১৯৬৬–১৯৭২[3] | ইংল্যান্ড | ৪৯ | (২৪) | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
১৯৬৬–১৯৭২ | ফুটবল লীগ একাদশ | ৭ | (৪) | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
পরিচালিত দল | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
১৯৭৬–১৯৭৯ | টেলফোর্ড ইউনাইটেড | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
১৯৭৯–১৯৮১ | চেলসি | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
১৯৮২–১৯৮৪ | কুয়েত এসসি | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
অর্জন ও সম্মাননা
| ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
| ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
* কেবল ঘরোয়া লিগে ক্লাবের হয়ে ম্যাচ ও গোলসংখ্যা গণনা করা হয়েছে |
হার্স্ট তাঁর খেলোয়াড়ী জীবন শুরু করেছিলেন ওয়েস্ট হ্যাম ইউনাইটেডের সাথে, যেখানে তিনি ৫০০ টি ম্যাচ খেলে ২৪২ গোল করেছিলেন। ১৯৬৪ সালে এফএ কাপ এবং ১৯৬৫ সালে ইউরোপীয় কাপ বিজয়ী দলে ছিলেন। পরবর্তীকালে, ১৯৭২ সালে তাঁর দল তাঁকে স্টোক সিটিতে £৮০,০০০ বিক্রি করা দিয়েছিল। স্টোকের সাথে তিনটি মরশুমে খেলার পরে তিনি ১৯৭৬ সালে ওয়েস্ট ব্রমউইচ অ্যালবায়নের সাথে ফুটবল লিগের খেলোয়াড়ী জীবন শেষ করেছিলেন। হার্ট তাঁর দেশ ছাড়া আয়ারল্যান্ড (কর্ক সেল্টিক) এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে (সিয়াটেল সাউন্ডারস) ফুটবল খেলতে গিয়েছিলেন। পরবর্তীকালে, নন-লিগ টেলফোর্ড ইউনাইটেডকে পরিচালনা করতে ইংল্যান্ডে ফিরে আসেন। তিনি দু'বছর, ১৯৭৯ থেকে ১৯৮১ সাল পর্যন্ত চেলসির ম্যানেজার হিসাবে কাজ করেছিলেন। পরে তিনি তাঁর ব্যবসায়িক প্রতিশ্রুতিতে মনোনিবেশ করার জন্য খেলার জগত ছেড়ে দেওয়ার আগ তিনি কুয়েত এসসিকে প্রশিক্ষণ দিয়েছিলেন।
তিনি ৪৯ টি ম্যাচ খেলেন ইংল্যান্ডের হয়ে তাঁর মধ্যে তিনি মোট ২৪ টি গোল করেছিলেন। তিনি ১৯৬৬ ফিফা বিশ্বকাপ ছাড়াও, ১৯৬৮ উয়েফা ইউরো এবং ১৯৭০ ফিফা বিশ্বকাপে সাফল্য অর্জন করেছিলেন। যদিও তাঁর প্রথম ভালোবাসা ছিল ক্রিকেট, ১৯৬২ সালে তিনি প্রথম শ্রেণিতে এসেক্স ক্রিকেট দলের হয়ে ক্রিকেট খেলেছিলেন এবং সেটি ছিল তাঁর সংক্ষিপ্ত ক্রিকেট জীবন।