চন্দনাইশ উপজেলা
চট্টগ্রাম জেলার একটি উপজেলা উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
চট্টগ্রাম জেলার একটি উপজেলা উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
চন্দনাইশ বাংলাদেশের চট্টগ্রাম বিভাগের চট্টগ্রাম জেলার অন্তর্গত একটি উপজেলা।
চন্দনাইশ | |
---|---|
উপজেলা | |
মানচিত্রে চন্দনাইশ উপজেলা | |
স্থানাঙ্ক: ২২°১২′৩৮″ উত্তর ৯২°২′৩৯″ পূর্ব | |
দেশ | বাংলাদেশ |
বিভাগ | চট্টগ্রাম বিভাগ |
জেলা | চট্টগ্রাম জেলা |
প্রতিষ্ঠাকাল | ১৯৭৬ |
সংসদীয় আসন | ২৯১ চট্টগ্রাম-১৪ |
সরকার | |
• সংসদ সদস্য | পদশূন্য |
• উপজেলা চেয়ারম্যান | পদশূন্য [১] |
আয়তন | |
• মোট | ২০১.৯৯ বর্গকিমি (৭৭.৯৯ বর্গমাইল) |
জনসংখ্যা (২০১১) | |
• মোট | ২,৩৩,০১৭ |
• জনঘনত্ব | ১,২০০/বর্গকিমি (৩,০০০/বর্গমাইল) |
সাক্ষরতার হার | |
• মোট | ৫৩.৬% |
সময় অঞ্চল | বিএসটি (ইউটিসি+৬) |
পোস্ট কোড | ৪৩৮০ |
প্রশাসনিক বিভাগের কোড | ২০ ১৫ ১৮ |
ওয়েবসাইট | দাপ্তরিক ওয়েবসাইট |
চন্দনাইশ উপজেলার আয়তন ২০১.৯৯ বর্গ কিলোমিটার (৪৯,৯১৩ একর)।[২] চট্টগ্রাম জেলার দক্ষিণাংশে ২২°০২´ থেকে ২২°০৮´ উত্তর অক্ষাংশ এবং ৯১°৪৯´ থেকে ৯২°০৯´ পূর্ব দ্রাঘিমাংশ জুড়ে চন্দনাইশ উপজেলার অবস্থান। চট্টগ্রাম জেলা সদর থেকে এ উপজেলার দূরত্ব প্রায় ৩৫/৩৬ কিলোমিটার। এ উপজেলার উত্তরে পটিয়া উপজেলা ও রাঙ্গুনিয়া উপজেলা, দক্ষিণে সাতকানিয়া উপজেলা, পূর্বে বান্দরবান জেলার বান্দরবান সদর উপজেলা ও সাতকানিয়া উপজেলা, পশ্চিমে পটিয়া উপজেলা ও আনোয়ারা উপজেলা।[৩]
চন্দনাইশ উপজেলায় ২টি পৌরসভা ও ৮টি ইউনিয়ন রয়েছে। সম্পূর্ণ চন্দনাইশ উপজেলার প্রশাসনিক কার্যক্রম চন্দনাইশ থানার আওতাধীন।
চন্দনাইশ চট্টগ্রাম জেলার একটি গুরুত্বপূর্ণ উপজেলা। একদা চন্দনাইশ ছিল পটিয়া উপজেলার অবিচ্ছেদ্য অংশ। ১৯৭৬ সালে পটিয়া থেকে বিচ্ছিন্ন করে চন্দনাইশ থানার সৃষ্টি করা হয়। ১৯৮৩ সালের ২ জুলাই চন্দনাইশ থানাকে উপজেলায় উন্নীত করা হয়।
বাংলাদেশের ইতিহাসে বিভিন্ন সময়ে নানান ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখার মত গুণীজন উপহার দিয়েছে চন্দনাইশ। উপজেলার পূর্বাংশে বিস্তৃত এলাকা জুড়ে রয়েছে বৃক্ষে আচ্ছাদিত পাহাড় ও বনজ প্রকৃতি। কোন এক সময় এ অঞ্চল তথা দক্ষিণ চট্টগ্রাম বঙ্গোপসাগরের গর্ভে ছিল। প্রায় ২ হাজার বছর আগে এ স্থানের উদ্ভব ঘটে। আরাকান মগ শাসনামলে এটি ছিল একটি সামুদ্রিক বন্দর। উপজেলার মুন্সেফ বাজারে বার্মা (বর্তমান মায়ানমার) এবং মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশ হতে আগত বণিকেরা এ অঞ্চলে উৎপাদিত সুদৃশ্য ও সুগন্ধী চন্দনের আঁশযুক্ত কাঠের ব্যবসা করত। কথিত আছে চন্দন কাঠের নামানুসারে এ অঞ্চলের নামকরণ করা হয় চন্দনাইশ।
২০১১ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী চন্দনাইশ উপজেলার মোট জনসংখ্যা ২,৩৩,০১৭ জন। এর মধ্যে পুরুষ ১,১৭,৪১৮ জন এবং মহিলা ১,১৫,৫৯৯ জন। মোট পরিবার ৪৪,৪৩৮টি।[২] মোট জনসংখ্যার ৮৪% মুসলিম, ১৩% হিন্দু এবং ৩% বৌদ্ধ ও অন্যান্য ধর্মাবলম্বী।[৩]
২০১১ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী চন্দনাইশ উপজেলার সাক্ষরতার হার ৫৩.৬%।[২] এ উপজেলায় ১টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়, ১টি বেসরকারি মেডিকেল কলেজ, ১টি বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ, ৩টি ডিগ্রী কলেজ (১টি মহিলা সহ), ৬টি ফাজিল মাদ্রাসা, ৩টি স্কুল এন্ড কলেজ (১টি কারিগরী সহ), ৪টি আলিম মাদ্রাসা, ২৪টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় (৫টি বালিকা সহ), ৮টি দাখিল মাদ্রাসা (১টি বালিকা সহ), ২টি নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ৯০টি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও ২টি এবতেদায়ী মাদ্রাসা রয়েছে।
বিজিসি ট্রাস্ট বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশ | বিজিসিটাব | ২০০১ | বিজিসি বিদ্যানগর, চন্দনাইশ, চট্টগ্রাম | সাধারণ | বেসরকারি | https://www.bgctub.ac.bd/%5B%5D |
বিজিসি ট্রাস্ট মেডিকেল কলেজ | বিজিসিটিএমসি | ২০০২ | চন্দনাইশ, চট্টগ্রাম | সাধারণ | বেসরকারি |
ক্রম নং | প্রতিষ্ঠানের নাম | অবস্থান | পর্যায় |
---|---|---|---|
১৪ | গাছবাড়িয়া সরকারি কলেজ | চন্দনাইশ | ১১-স্নাতক (সম্মান) |
৩৮ | আমানতছফা বদরুন্নেছা মহিলা ডিগ্রী কলেজ | চন্দনাইশ | ১১-স্নাতক |
৬৪ | বরমা ডিগ্রী কলেজ | বরমা, চন্দনাইশ | ১১-স্নাতক |
৭৯ | সাতবাড়িয়া অলি আহমেদ বীর বিক্রম কলেজ | সাতবাড়িয়া, চন্দনাইশ | ১১-স্নাতক |
১২৩ | জামালুর রহমান খান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি স্কুল এন্ড কলেজ | দোহাজারী, চন্দনাইশ | ৬-১২ (কারিগরী শিক্ষা সহ) |
১৩০ | দিয়াকুল সানোয়ারা আদর্শ স্কুল এন্ড কলেজ | দোহাজারী, চন্দনাইশ | ৬-১২ |
১৫১ | বেগম গুলচেমনারা একাডেমী স্কুল এন্ড কলেজ | কাঞ্চনাবাদ, চন্দনাইশ | ৬-১২ |
ক্রম নং | প্রতিষ্ঠানের নাম | অবস্থান | পর্যায় |
---|---|---|---|
৮৬ | হাশিমপুর ইসলামিয়া মুকবুলিয়া কামিল মাদরাসা | হাশিমপুর, চন্দনাইশ | স্নাতক সমমান |
৩৭ | চাগাচর মুছাবিয়া নছিমিয়া ফাজিল মাদ্রাসা | দোহাজারী, চন্দনাইশ | স্নাতক সমমান |
৪১ | জাফরাবাদ ফাজিল মাদ্রাসা | বৈলতলী, চন্দনাইশ | স্নাতক সমমান |
৪২ | জামিরজুরী রজবিয়া আজিজিয়া রহমানিয়া সুন্নিয়া ফাজিল (ডিগ্রী) মাদ্রাসা | দোহাজারী, চন্দনাইশ | স্নাতক সমমান |
৪৭ | জোয়ারা ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসা | চন্দনাইশ | স্নাতক সমমান |
৫১ | পশ্চিম এলাহাবাদ আহমদিয়া সুন্নিয়া ফাজিল মাদ্রাসা | কাঞ্চনাবাদ, চন্দনাইশ | স্নাতক সমমান |
১০৮ | বরকল ছালামতিয়া সুন্নিয়া আলিম মাদ্রাসা | বরকল, চন্দনাইশ | উচ্চ মাধ্যমিক সমমান |
১০৯ | বরমা ইসলামিয়া আলিম মাদ্রাসা | বরমা, চন্দনাইশ | উচ্চ মাধ্যমিক সমমান |
১২৮ | সাতবাড়িয়া বার আউলিয়া হামেদিয়া আলিম মাদ্রাসা | সাতবাড়িয়া, চন্দনাইশ | উচ্চ মাধ্যমিক সমমান |
১৩২ | হাছনদণ্ডী মোহাম্মদিয়া এম রহমান সিনিয়র মাদ্রাসা | দোহাজারী, চন্দনাইশ | উচ্চ মাধ্যমিক সমমান |
চন্দনাইশ উপজেলায় ২টি হাসপাতাল, ২টি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, ৫টি ইউনিয়ন স্বাস্থ্যকেন্দ্র, ১০টি পরিবার পরিকল্পনা কেন্দ্র ও ১০টি কমিউনিটি ক্লিনিক রয়েছে।[৩] উল্লেখযোগ্য হাসপাতাল হলো:
চন্দনাইশ উপজেলায় যোগাযোগের প্রধান সড়ক চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক (পূর্বে আরাকান সড়কও বলা হত)। এছাড়া চট্টগ্রাম-আনোয়ারা সড়কের বরকল ব্রিজ এর উপর দিয়েও এই উপজেলায় যোগাযোগ করা যায়। সব ধরনের যানবাহনে যাতায়াত করা যায়। এছাড়া এ উপজেলায় রয়েছে ৯১ কিলোমিটার পাকারাস্তা, ৪৫০ কিলোমিটার আধা-পাকারাস্তা, ৭০০ কিলোমিটার কাঁচারাস্তা।[৩]
চট্টগ্রাম শহর থেকে রেলপথে এই উপজেলায় যোগাযোগের ব্যবস্থা রয়েছে। বর্তমানে ঢাকা থেকে কক্সবাজারে রেলপথে যোগাযোগ করা যায়। এ উপজেলায় রেল যোগাযোগ ব্যবস্থাও রয়েছে। । মোট রেলস্টেশন ৪টি:
ঢাকা থেকে কক্সবাজারে পরিচালিত ট্রেন যদি দোহাজারী ট্রেন স্টেশনে থামে তাহলে দক্ষিণ চট্টগ্রামের মানুষদের যোগাযোগ ব্যবস্থা ত্বরান্বিত হবে।
নদীপথ ও যোগাযোগের ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয়। চানখালী নদী দ্বারা চট্টগ্রাম শহরে যাতায়াত করা যায়। এছাড়া সাঙ্গু নদীর মাধ্যমে অন্যান্য উপজেলার সাথে যোগাযোগ ব্যবস্থা আছে।
চন্দনাইশ উপজেলায় ২৭৫টি মসজিদ, ৭০টি মন্দির ও ১১টি বৌদ্ধ বিহার রয়েছে।[৩]
হযরত মাহছুম ফকির রহঃ মাজার, মাজারের গদালি মাছ ও শাহী জামে মসজিদ।
বাগিচা হাটে অবস্থিত কদম রসুল (দ) মসজিদ
সাতবাড়ীয়া অবস্থিত বহরমপাড়া (গাইবী আযান) জামে মসজিদ
চন্দনাইশ পৌরসভা অবস্থিত আল্লামা মুফতি মুহাম্মদ শফিউর রহমান (রহ) জামে মসজিদ
সাতবাড়ীয়া শান্তি বিহার বিখ্যাত।
উল্লেখযোগ্য রপ্তানী দ্রব্য: রেলওয়ে স্লিপার, কাঠের ফার্নিচার, পেয়ারা ও লেবু।[৫] চন্দনাইশের হাশিমপুর ও কাঞ্চননগর গ্রামে রয়েছে প্রায় ২ হাজার পেয়ারা বাগান। এসব বাগানে প্রতিবছর উৎপাদিত হয় প্রচুর পেয়ারা। চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের চন্দনাইশের বাদামতল, খানহাট রেলস্টেশন, বাগিচা হাট ও রৌশন হাটে প্রতিদিন সকালে পেয়ারার হাট বসে।[৬] দোহাজারীতে উৎপাদিত শাকসবজি থেকে চট্টগ্রামের চাহিদার বড় অংশের যোগান আসে।
বাংলাদেশের অর্থনীতির অন্যতম জীবনীশক্তি হলো ব্যাংক এবং এই ব্যাংকগুলো দেশের মুদ্রাবাজারকে রাখে গতিশীল ও বৈদেশিক বাণিজ্যকে করে পরিশীলিত। চন্দনাইশ উপজেলায় অবস্থিত ব্যাংকসমূহের তালিকা নিচে উল্লেখ করা হলো:
ক্রম নং | ব্যাংকের ধরন | ব্যাংকের নাম | শাখা | ব্যাংকিং পদ্ধতি | ঠিকানা |
---|---|---|---|---|---|
০১ | রাষ্ট্রায়ত্ত্ব বাণিজ্যিক ব্যাংক | অগ্রণী ব্যাংক | দোহাজারী শাখা[৭] | সাধারণ | দোহাজারী, চট্টগ্রাম |
০২ | জনতা ব্যাংক | দোহাজারী শাখা[৮] | দোহাজারী, চট্টগ্রাম | ||
০৩ | রূপালী ব্যাংক | খান হাট শাখা[৯] | হাজী রিনভী প্লাজা (২য় তলা), খান হাট, চন্দনাইশ | ||
০৪ | সোনালী ব্যাংক | চন্দনাইশ শাখা[১০] | চন্দনাইশ, চট্টগ্রাম | ||
০৫ | দোহাজারী শাখা[১১] | দোহাজারী, চট্টগ্রাম | |||
০৬ | মৌলভীবাজার শাখা[১২] | মৌলভীবাজার, চট্টগ্রাম | |||
০৭ | রওশন হাট শাখা[১৩] | চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক, রওশন হাট, চন্দনাইশ | |||
০৮ | বেসিক ব্যাংক | দোহাজারী শাখা[১৪] | বিশেষায়িত | জনকল্যাণ টাওয়ার (১ম তলা), মেইন রোড, দোহাজারী, চট্টগ্রাম | |
০৯ | বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংক | আইএফআইসি ব্যাংক | দোহাজারী উপশাখা[১৫] | সাধারণ | এফ জি হাবিব প্লাজা, রেল স্টেশন রোড, দোহাজারী, চট্টগ্রাম |
১০ | রওশনহাট উপশাখা[১৬] | রেজিয়া নাহার কমপ্লেক্স, কাঞ্চনাবাদ, চন্দনাইশ, চট্টগ্রাম | |||
১১ | ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক | চন্দনাইশ শাখা[১৭] | সিদ্দিক বাছুরা শপিং কমপ্লেক্স, বাসা নং ৮৫১, গাছবাড়িয়া খান হাট, ৯নং ওয়ার্ড, চন্দনাইশ পৌরসভা, চট্টগ্রাম | ||
১২ | দোহাজারী শাখা[১৮] | এ কে টাওয়ার (১ম তলা), খাসমহল রোড, দোহাজারী, চট্টগ্রাম | |||
১৩ | বৈলতলী উপশাখা[১৯] | ইউনুস মার্কেট, দাগ আরএস ৭০৪, খতিয়ান আরএস ৭৭১, জাফরাবাদ, বৈলতলী, চন্দনাইশ, চট্টগ্রাম | |||
১৪ | ইস্টার্ন ব্যাংক | দোহাজারী শাখা[২০] | হাজারী টাওয়ার (১ম তলা), দোহাজারী, চট্টগ্রাম | ||
১৫ | এনআরবি কমার্শিয়াল ব্যাংক | গাছবাড়িয়া রেজিঃ উপশাখা[২১] | গাছবাড়িয়া ভূমি রেজিস্ট্রেশন অফিস, গাছবাড়িয়া, চন্দনাইশ, চট্টগ্রাম | ||
১৬ | আল-আরাফাহ ইসলামী ব্যাংক | দোহাজারী শাখা[২২] | ইসলামী শরিয়াহ্ ভিত্তিক | হাজারী টাওয়ার (১ম তলা), দোহাজারী, চট্টগ্রাম | |
১৭ | ইউনিয়ন ব্যাংক | দোহাজারী শাখা[২৩] | শামসুদ্দিন সুপার মার্কেট (২য় তলা), দোহাজারী স্টেশন রোড, দোহাজারী, চট্টগ্রাম | ||
১৮ | খানহাট উপশাখা[২৪] | রিভাইন হাজী প্লাজা (২য় তলা), আরাকান রোড, খানহাট, গাছবাড়িয়া, চন্দনাইশ, চট্টগ্রাম | |||
১৯ | রওশনহাট উপশাখা[২৫] | আল নূর মার্কেট (২য় তলা), রওশনহাট, আরাকান রোড, কাঞ্চনাবাদ, চন্দনাইশ, চট্টগ্রাম | |||
২০ | ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ | চন্দনাইশ শাখা[২৬] | হাজী ইনু মিয়া শপিং কমপ্লেক্স (২য় তলা), খানহাট, চন্দনাইশ, চট্টগ্রাম | ||
২১ | দোহাজারী শাখা[২৭] | হাজারী টাওয়ার, আরাকান রোড, দোহাজারী, চট্টগ্রাম | |||
২২ | রওশনহাট উপশাখা[২৮] | আমিন বাড়ী টাওয়ার, রওশনহাট, কাঞ্চনাবাদ, চন্দনাইশ, চট্টগ্রাম | |||
২৩ | এক্সিম ব্যাংক | দোহাজারী শাখা[২৯] | হাজারী টাওয়ার (১ম তলা), আরাকান রোড, দোহাজারী, চট্টগ্রাম | ||
২৪ | গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক | দোহাজারী শাখা[৩০] | সাদেক টাওয়ার (নিচ তলা), দোহাজারী, চট্টগ্রাম | ||
২৫ | রওশনহাট শাখা[৩১] | চৌধুরী টাওয়ার (বিজিসি ট্রাস্ট সংলগ্ন), কাঞ্চননগর, চন্দনাইশ, চট্টগ্রাম | |||
২৬ | চন্দনাইশ উপশাখা[৩২] | হাজী নাসির সুপার মার্কেট, চন্দনাইশ, চট্টগ্রাম | |||
২৭ | সাতবাড়িয়া উপশাখা[৩৩] | টিংকু মার্কেট, নাজিরহাট, সাতবাড়িয়া, চন্দনাইশ, চট্টগ্রাম | |||
২৮ | [৩৪] | বাদামতল উপশাখা | হাজী এম এ মার্কেট, বাদামতল, কাঞ্চন নগর, চন্দনাইশ, চট্টগ্রাম | ||
২৯ | ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক | চন্দনাইশ শাখা[৩৫] | সিরাজ মার্কেট (ইউনিট ২), জাফরাবাদ, বৈলতলী, চন্দনাইশ, চট্টগ্রাম | ||
৩০ | চন্দনাইশ সদর উপশাখা[১] | হাজী আবদুল জব্বার মার্কেট, বরকল রোড (চন্দনাইশ সদর ডাকঘরের সামনে), চন্দনাইশ, চট্টগ্রাম |
ব্যবসা-বাণিজ্যের দিক থেকে চন্দনাইশের যথেষ্ট ঐতিহ্য ও সুনাম রয়েছে। এ অঞ্চলে উৎপাদিত পেয়ারা সমগ্র দেশে বিক্রি হয়। বিশেষ করে কাঞ্চননগরের পেয়ারা অতি সুস্বাদু ও জনপ্রিয়। তাছাড়া লেবু, কাঠাল, আমলকি, আম ও আনারস ব্যবসার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। চন্দনাইশে প্রচুর শাক-সবজি উৎপাদন হয়ে থাকে যা এলাকার ও দেশের চাহিদা মিটাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
চন্দনাইশের সাঙ্গু নদীর চরে বিপুল পরিমাণ বালি পাওয়া যায়। তাছাড়া পাহাড়ী কাঠ দেশের আসবাবপত্র তৈরিতে বিশেষ ভূমিকা পালন করছে। ব্যবসা বাণিজ্যের ক্ষেত্রে বাঁশের চালি অবদান রাখছে। পাহাড়ী ছন ঘরের চাউনি হিসেবে ব্যবহৃত হওয়ায় তা গরীব মানুষের চাহিদা থাকায় বিভিন্ন অঞ্চলে বিক্রয় হচ্ছে[৩৬]।
চন্দনাইশ উপজেলার উত্তর হতে দক্ষিণাংশে সর্পিলাকারে বয়ে চলেছে সাঙ্গু নদী (শঙ্খ নদী) যা অত্যন্ত প্রাচীন ও গুরুত্বপূর্ণ নদী।[৩৭] চাঁনখালী নামে আরেকটি নদী রয়েছে।
এছাড়া উল্লেখযোগ্য খাল হলো বরুমতি খাল।
এই উপজেলায় ৮টি ডিজিটাল উদ্যোক্তা সেন্টার রয়েছে। এই ডিজিটাল সেন্টার হতে নিম্নোক্ত সেবাসমূহ পাওয়া যায়:
সরকারি সেবাসমূহ: বিভিন্ন সরকারি ফরম, পাবলিক পরীক্ষার ফলাফল, অনলাইনে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি, অনলাইন জন্ম-মৃত্যু নিবন্ধন, ভিজিএফ-ভিজিডি তালিকা ও নাগরিক সনদ প্রভৃতি।
জীবনজীবিকা ভিত্তিক তথ্য: কৃষি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, আইন ও মানবাধিকার, পর্যটন, অকৃষি উদ্যোগ প্রভৃতি। জীবনজীবিকা ভিত্তিক তথ্যভান্ডার ‘জাতীয় ই-তথ্যকোষ’ (www.infokosh.bangladesh.gov.bd) থেকে এ তথ্যসমূহ প্রদান করা হয়ে থাকে। অনলাইনের পাশাপাশি ইউআইএসসিসমূহে জাতীয় ই-তথ্যকোষের অফলাইন ভার্সনও (সিডি/ডিভিডি) রয়েছে, যাতে করে ইন্টারনেট সংযোগ না থাকলেও নিরবিচ্ছিন্ন সেবা দেওয়া সম্ভব হয়।
বাণিজ্যিক সেবা: মোবাইল ব্যাংকিং (ডাচ বাংলা, ট্রাস্ট ব্যাংক, ব্রাক ব্যাংক-বিকাশ, কম্পিউটার প্রশিক্ষণ, ছবি তোলা, ইন্টারনেট ব্রাউজিং, ইমেইল, কম্পোজ, ভিসা আবেদন ও ট্র্যাকিং, দেশে-বিদেশে ভিডিওতে কনফারেন্সিং, সচেতনতামূলক ভিডিও শো, প্রিন্টিং, স্ক্যানিং, ফটোকপি, লেমিনেটিং, ফ্লেক্সিলোড, ফোন কল করা প্রভৃতি।
বিনোদেনের ক্ষেত্রে চন্দনাইশ উপজেলার বিশেষ ঐতিহ্য রয়েছে। প্রাচীনকাল হতে এখানে বিভিন্ন মৌসুমে মেলা, মঞ্চ নাটক, সার্কাস, পুতুলনাচ, ভ্রাম্যমাণ সিনেমা, নাগরদোলা মানুষের কাছে বিনোদনের বড় মাধ্যম হিসেবে আজো সচল রয়েছে। তাছাড়া কবিগান, জারিগান, কীর্ত্তন প্রভৃতি পালা গান এখনো মানুষের কাছে সমাদৃত। তাছাড়া নৌকা বাইচ, ঘোড়দৌঁড় ,মোরগ লড়াই, ঘুড়ি ওড়ানো ইত্যাদি প্রতিযোগিতা হয়ে থাকে। অনেক সময় শীতের প্রারম্ভে বিভিন্ন নাট্যগোষ্ঠী এলাকায় যাত্রা পালার আয়োজন করে থাকে। বহু শতাব্দী ধরে এই এলাকার বিভিন্ন জাতি ও ধর্মাবলম্বীদের সহাবস্থানের ফলে এখানকার প্রধান মুসলমান, হিন্দু, বৌদ্ধ ও অধিবাসীদের (ত্রিপুরা, মারমা ও খেয়াং) মধ্যে জাতিগত সহবস্থান ও সম্প্রীতি কালন্তর ধরে বিরাজমান। এখানে জাতি, বর্ণ, ধর্ম, গোত্র নির্বিশেষে সকলের মধ্যে প্রীতিময় বন্ধনের মধ্য দিয়ে সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক সম্পর্ক সমুন্নয় রয়েছে।
চন্দনাইশ উপজেলায় অনেক হাটবাজার রয়েছে।
চন্দনাইশ উপজেলার দর্শনীয় স্থানগুলোর মধ্যে রয়েছে:[৩৮]
১৬৬৬ সালে মোগলবাহিনী উত্তর চট্টগ্রাম অঞ্চল দখল করে। পরে মোর্তজা খাঁর নেতৃত্বে মোগলবাহিনী কর্ণফুলি নদী পার হয়ে শঙ্খ নদীর উত্তর তীরে এসে অবস্থান নেয়। আধু খাঁ, লক্ষণ সিংহ ও দু’জন হাজারী মনসবদারকে সেখানকার সীমান্ত রক্ষার দায়িত্ব দেওয়া হয়। কথিত আছে যে, এ দুজন হাজারী মনসবদারের নামানুসারে এখানকার নাম হয় দোহাজারী। পরবর্তীতে দোহাজারীতে দু’টি দুর্গ নির্মিত হয়। ব্রিটিশরা দোহাজারীতে একটি বিমান ঘাঁটি নির্মাণ করে। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের শেষদিকে দোহাজারীতে পাকবাহিনী ও মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে প্রচণ্ড যুদ্ধে পাকবাহিনীর পরাজয় ঘটে। যুদ্ধের সময় চট্টগ্রাম শহর থেকে স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র দোহাজারীতে স্থানান্তর করা হয়।
সংসদীয় আসন | জাতীয় নির্বাচনী এলাকা[৩৯] | সংসদ সদস্য[৪০][৪১][৪২][৪৩][৪৪] | রাজনৈতিক দল |
---|---|---|---|
২৯১ চট্টগ্রাম-১৪ | চন্দনাইশ উপজেলা এবং সাতকানিয়া উপজেলার খাগরিয়া, কেঁওচিয়া, কালিয়াইশ, ধর্মপুর, বাজালিয়া ও পুরানগড় ইউনিয়ন | নজরুল ইসলাম চৌধুরী | বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ |
ক্রম নং | নির্বাচন সন | নির্বাচিত সংসদ সদস্য | রাজনৈতিক দল |
---|---|---|---|
১ম | ১৯৭৩ | ডাঃ বি এম ফয়েজুর রহমান | বাংলাদেশ জাতীয় পরিষদের প্রথম নির্বাচিত সংসদ সদস্য |
২য় | ১৯৭৯ | ড. অলি আহমেদ বীর বিক্রম | বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল |
৩য় | ১৯৮৬ | ইঞ্জিনিয়ার আফসার উদ্দীন আহমেদ | জাতীয় পার্টি |
৪র্থ | ১৯৮৮ | ইঞ্জিনিয়ার আফসার উদ্দীন আহমেদ | জাতীয় পার্টি |
৫ম | ১৯৯১ | ড. অলি আহমেদ বীর বিক্রম | বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল |
৬ষ্ঠ | ১৯৯৬ (ফেব্রুয়ারি) | ড. অলি আহমেদ বীর বিক্রম | বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল |
৭ম | ১৯৯৬ (জুন) | মিসেস মমতাজ বেগম | বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল |
৮ম | ২০০১ | ড. অলি আহমেদ বীর বিক্রম | বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল |
৯ম | ২০০৮ | ড. অলি আহমেদ বীর বিক্রম | লিবারেল ডেমোক্র্যাটিক পার্টি (বাংলাদেশ) |
১০ম | ২০১৪ | নজরুল ইসলাম চৌধুরী | বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ |
১১শ | ২০১৮ | নজরুল ইসলাম চৌধুরী | বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ |
১২তম | ২০২৪ | নজরুল ইসলাম চৌধুরী | বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ |
ক্রম নং | পদবী | নাম |
---|---|---|
০১ | উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা | মোঃ রাজিব হোসেন[৪৫] |
ক্রম নং | উপজেলা চেয়ারম্যানের নাম | সময়কাল |
---|---|---|
০১ | ব্যারিস্টার আহমুদুল হক | ১৯৮৫-১৯৯০ |
০২ | মোহাম্মদ কাসেম | ১৯৯০-১৯৯১ |
০৩ | মোহাম্মদ আবদুল জব্বার চৌধুরী | ২০০৯-বর্তমান |
০৪ | আলহাজ্ব জসীম উদ্দিন চৌধুরী | ২০২৪ |
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.
Every time you click a link to Wikipedia, Wiktionary or Wikiquote in your browser's search results, it will show the modern Wikiwand interface.
Wikiwand extension is a five stars, simple, with minimum permission required to keep your browsing private, safe and transparent.