পুরানগড় ইউনিয়ন
চট্টগ্রাম জেলার সাতকানিয়া উপজেলার একটি ইউনিয়ন উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
চট্টগ্রাম জেলার সাতকানিয়া উপজেলার একটি ইউনিয়ন উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
পুরানগড় বাংলাদেশের চট্টগ্রাম জেলার সাতকানিয়া উপজেলার অন্তর্গত একটি ইউনিয়ন।
পুরানগড় | |
---|---|
ইউনিয়ন | |
১৪নং পুরানগড় ইউনিয়ন পরিষদ | |
বাংলাদেশে পুরানগড় ইউনিয়নের অবস্থান | |
স্থানাঙ্ক: ২২°৯′৯″ উত্তর ৯২°৭′৪৯″ পূর্ব | |
দেশ | বাংলাদেশ |
বিভাগ | চট্টগ্রাম বিভাগ |
জেলা | চট্টগ্রাম জেলা |
উপজেলা | সাতকানিয়া উপজেলা |
সরকার | |
• চেয়ারম্যান | মাহবুবুল হক সিকদার |
আয়তন | |
• মোট | ২৫.৬৫ বর্গকিমি (৯.৯০ বর্গমাইল) |
জনসংখ্যা (২০১১) | |
• মোট | ১৭,৮০৯ |
• জনঘনত্ব | ৬৯০/বর্গকিমি (১,৮০০/বর্গমাইল) |
সাক্ষরতার হার | |
• মোট | ৩৭.৩১% |
সময় অঞ্চল | বিএসটি (ইউটিসি+৬) |
পোস্ট কোড | ৪৩৮৮ |
ওয়েবসাইট | দাপ্তরিক ওয়েবসাইট |
পুরানগড় ইউনিয়নের আয়তন ৬৩৩৭ একর (২৫.৬৫ বর্গ কিলোমিটার)।[১]
২০১১ সালের পরিসংখ্যান অনুযায়ী পুরানগড় ইউনিয়নের লোকসংখ্যা ১৭,৮০৯ জন। এর মধ্যে পুরুষ ৮,৬৩০ জন এবং মহিলা ৯,১৭৯ জন।[১]
সাতকানিয়া উপজেলার উত্তর-পূর্বাংশ জুড়ে পুরানগড় ইউনিয়নের অবস্থান। উপজেলা সদর থেকে এ ইউনিয়নের দূরত্ব প্রায় ৮ কিলোমিটার। এ ইউনিয়নের দক্ষিণে বাজালিয়া ইউনিয়ন; পশ্চিমে সাঙ্গু নদী, দোহাজারী পৌরসভা ও চন্দনাইশ উপজেলার ধোপাছড়ি ইউনিয়ন; উত্তরে সাঙ্গু নদী ও চন্দনাইশ উপজেলার ধোপাছড়ি ইউনিয়ন এবং পূর্বে বান্দরবান জেলার বান্দরবান পৌরসভা ও বান্দরবান সদর উপজেলার সুয়ালক ইউনিয়ন অবস্থিত।
পুরানগড় ইউনিয়ন সাতকানিয়া উপজেলার আওতাধীন ১৪নং ইউনিয়ন পরিষদ। এ ইউনিয়নের প্রশাসনিক কার্যক্রম সাতকানিয়া থানার আওতাধীন। এটি জাতীয় সংসদের ২৯১নং নির্বাচনী এলাকা চট্টগ্রাম-১৪ এর অংশ। এটি ৬টি মৌজায় বিভক্ত। এ ইউনিয়নের গ্রামগুলো হল:
মোগল সম্রাট শাহজাহান তখন অন্ধকার জেলের কোণায়। তাঁর চার পুত্র দারা-মাসুদ আর সুজা-আওরঙ্গজেব দুটি ভাগে বিভক্ত হয়ে পরস্পর ক্ষমতা যুদ্ধে লিপ্ত। পরাজিত ভাইদের খুন করে এবার আওরঙ্গজেব লাগল সুজার পিছু। প্রাণ বাঁচাতে স্ত্রী-কন্যা আর বিপুল ধন-রত্ন এবং অনুগত কিছু সৈন্য নিয়ে ছুটল বর্মা মুল্লুকে (আরাকান রাজ্য)। পালানোর সময় যে পথ তৈরী করেছিলেন সেটাই আজকের ঢাকা-চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক, যা আরাকান রোড বা শাহ সুজা রোড নামেই সর্বাধিক পরিচিত। মগ রাজার আশ্রয়ে থাকার কয়েকদিনের মধ্যেই আরেক সমস্যা। মগ রাজপুত্র বিয়ে করতে চায় সুজার মেয়েকে, সুজা সাফ জানিয়ে দিলেন এ কোনদিনই সম্ভব নয়। তাতেই মগরাজা গেলেন চটে, নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে রাজ্য ছাড়ার হুকুম। ওই সময় না পেরুতেই মগরা তাঁকে আক্রমণ করে বসল। সবাইকে কচুকাটা করে পলায়নরত সুজাকে পাথর নিক্ষেপে হত্যা করে। পরবর্তীতে ভাতৃহত্যার প্রতিশোধ নিতে আওরঙ্গজেব পাঠালেন দুই হাজার সৈন্য। বর্তমান দক্ষিণ চট্টগ্রাম আর পার্বত্য চট্টগ্রামের অনেকাংশ মোগলদের অধীনে চলে আসে। মূল আরাকান আক্রমণের জন্য সৈন্যরা গহীন জঙ্গলে আশ্রয় নিলেও ওরা আর ফিরে যায়নি। ওখানেই স্থানীয় মগদের মুসলিম বানিয়ে বর্তমান আলিকদম গড়ে তোলে। সদ্য অধিকৃত অঞ্চল দুই হাজার সৈন্যের সেনাপতি নাগ সাহেবকেই দিয়ে দিলেন আওরঙ্গজেব। নাগ পরিবারের জমিদারী এলাকাই এখনকার দোহাজারী। সাঙ্গু নদীর পূর্ব তীরটাই ছিলো যুদ্ধকালীন সৈন্য সমাবেশের নিরাপদ স্থান। এখান থেকেই আসে পুরানগড় গ্রামের নাম । "পুরান" অর্থ নিরাপদ আর "গড়" অর্থ দুর্গ, অর্থাৎ নিরাপদ দুর্গ বা পুরানগড়।
ঐহিত্যবাহী পুরানগড় ইউনিয়নের তৎকালীন প্রখ্যাত জমিদার ছিলেন আবদুল গফুর সিকদার। জমিদার হিসাবে তার নাম খ্যাতি চারদিকে ছড়িয়ে পড়েছিল। তাঁরই সুযোগ্য পুত্র আবিদুর রহমান সিকদার অত্র পুরানগড় ইউনিয়নের তৎকালীন সুযোগ্য ইউনিয়ন পরিষদ পঞ্চায়েতের সদস্য ছিলেন। পরবর্তীতে ১৯৬০ সালে ৪টি প্রধান গ্রাম যথা শীলঘাটা, বৈতরণী, পুরানগড় ও মনেয়াবাদ নিয়ে পুরানগড় ইউনিয়ন গঠন করা হয়।[৩]
পুরানগড় ইউনিয়নের সাক্ষরতার হার ৩৭.৩১%।[১] এ ইউনিয়নে ১টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ২টি মাদ্রাসা ও ৮টি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে।[৪]
পুরানগড় ইউনিয়নে যোগাযোগের প্রধান সড়ক বাজালিয়া-শীলঘাটা সড়ক। প্রধান যোগাযোগ মাধ্যম সিএনজি চালিত অটোরিক্সা।
পুরানগড় ইউনিয়নে ২৭টি মসজিদ, ৩টি ঈদগাহ, ১০টি মন্দির ও ৫টি বিহার রয়েছে।[৪]
পুরানগড় ইউনিয়নের উত্তর-পশ্চিম সীমান্ত দিয়ে বয়ে চলেছে সাঙ্গু নদী। এছাড়া এ ইউনিয়নের অভ্যন্তরে প্রবাহিত হচ্ছে ছক্কা কোদালা খাল এবং সুয়ালক খাল।[৮]
পুরানগড় ইউনিয়নের প্রধান ২টি হাট/বাজার হল পুরানগড় নতুন হাট এবং ফকিরখীল কুমার পাড়া বাজার।[৯]
ক্রম নং | চেয়ারম্যানের নাম | সময়কাল |
---|---|---|
০১ | বাচা মিয়া সিকদার | |
০২ | মনির আহমদ চৌধুরী | |
০৩ | সিরাজুল হক | |
০৪ | নুরুল ইসলাম | |
০৫ | আবু ইউসুফ | ১৯৮২-১৯৯৩ |
০৬ | নুরুল ইসলাম | ১৯৯৩ |
০৭ | রাশেদ হোসেন সিকদার | ১৯৯৩-২০০৩ |
০৮ | এ জে এম জাহাঙ্গীর টিপু | ২০০৩-২০১১ |
০৯ | রাশেদ হোসেন সিকদার | ২০১১-২০১৬ |
১০ | মাহবুবুল হক সিকদার | ২০১৬-বর্তমান |
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.
Every time you click a link to Wikipedia, Wiktionary or Wikiquote in your browser's search results, it will show the modern Wikiwand interface.
Wikiwand extension is a five stars, simple, with minimum permission required to keep your browsing private, safe and transparent.