ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদ
From Wikipedia, the free encyclopedia
ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদ[lower-alpha 1] হলো একটি দুর্বল ক্রান্তীয় ঘূর্ণিঝড় যেটি ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশ, ওড়িশা ও পশ্চিমবঙ্গের উপর বিঘ্ন সৃষ্টি করে এবং পরবর্তীতে একটি দুর্বল ঘূর্ণন হিসাবে উক্ত রাজ্যের উপর ভারী বৃষ্টিপাত ও শক্তিশালী বাতাস আনায়ন করে। এটি ২০২১ সালের উত্তর ভারত মহাসাগরের সক্রিয় ঘূর্ণিঝড় মৌসুমের দশম লঘুচাপ, ষষ্ঠ গভীর নিম্নচাপ ও পঞ্চম ঘূর্ণিঝড়, এর পূর্ববর্তী অবস্থাটিকে যৌথ টাইফুন সতর্কীকরণ কেন্দ্র (জেটিডব্লিউসি) দক্ষিণ চীন সাগরে একটি নিম্নচাপ অঞ্চল হিসাবে প্রথম সনাক্ত করেছিল। তারপর এটি পশ্চিম-উত্তর-পশ্চিম দিকে থাইল্যান্ড উপসাগরে চলে যায়, যেখানে ১ ডিসেম্বরের মধ্যে এটি আন্দামান সাগরে প্রবেশ করে। সেই দিন মধ্যরাতে জেটিডব্লিউসি ঘূর্ণনটির জন্য একটি টিসিএফএ জারি করে এবং পরের দিন ভারতের আবহাওয়া অধিদপ্তর (আইএমডি) নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের মধ্য দিয়ে যাওয়ার পরে ঘূর্ণনটিকে একটি লঘুচাপে উন্নীত করে। শক্তিশালীকরণের জন্য অনুকূল পরিবেশগত অবস্থার মাধ্যমে লঘুচাপ চিহ্নিত করায় আরও তীব্রতা দেখা দেয় এবং ঘূর্ণনটি ৩ ডিসেম্বর গভীর নিম্নচাপে ও সেই দিনই ০৬:০০ ইউটিসি-এর মধ্যে একটি ঘূর্ণিঝড়ে উন্নীত হয়। আইএমডি নবগঠিত এই ঘূর্ণিঝড়ের নাম দেয় জাওয়াদ। যাইহোক, এটির তীব্রতা স্বল্পস্থায়ী ছিল, কারণ বায়ু ফাড়িয়া ফেলার কারণে ঘূর্ণনটি গভীর নিম্নচাপ হয়ে দুর্বল হয়ে পড়ে।
ঘূর্ণিঝড় (আইএমডি স্কেল) | |
---|---|
ক্রান্তীয় ঝড় (স্যাফির-সিম্পসন স্কেল) | |
গঠন | ৩ ডিসেম্বর, ২০২১ |
বিলুপ্তি | ৬ ডিসেম্বর, ২০২১ |
সর্বোচ্চ গতি | ৩-মিনিট স্থিতি: ৭৫ কিমি/ঘণ্টা (৪৫ mph) ১-মিনিট স্থিতি: ৬৫ কিমি/ঘণ্টা (৪০ mph) Gusts: ৭৫ কিমি/ঘণ্টা (৪৫ mph) |
সর্বনিম্ন চাপ | ৯৯৯ hPa (mbar); ২৯.৫ inHg |
হতাহত | মোট ২ জন |
প্রভাবিত অঞ্চল | ভারত (ওড়িশা, অন্ধ্রপ্রদেশ ও পশ্চিমবঙ্গ) ও বাংলাদেশ |
২০২১ সালের উত্তর ভারত মহাসাগরের ঘূর্ণিঝড় মৌসুমের অংশ | |
জাওয়াদের কারণে ব্যাপক প্রস্তুতি নেওয়া হয়। স্কুল ও ট্রেন চলাচল ব্যাহত ও বাতিল করা হয় এবং ঝড়ের জন্য অন্ধ্রপ্রদেশ ও ওড়িশায় দুর্যোগ দল মোতায়েন করা হয়। উক্ত রাজ্যের ৫৪,০০০ জনেরও বেশি লোকসহ উপকূলীয় অঞ্চলে বসবাসকারী ব্যক্তিদের সরিয়ে নেওয়া হয়। সম্ভাব্য জরুরী পরিস্থিতির পাশাপাশি দুর্যোগ ত্রাণের জন্য প্রয়োজনীয় স্টকগুলোও প্রস্তুত করা হয়। ঘূর্ণনজনিত কারণে এখনও পর্যন্ত দুজনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে, উভয়ই শ্রীকাকুলাম থেকে।