গোবিন্দা (অভিনেতা)
ভারতীয় অভিনেতা / From Wikipedia, the free encyclopedia
গোবিন্দা (জন্মনাম গোবিন্দ অরুণ আহুজা, জন্ম ২১ ডিসেম্বর ১৯৬৩[2]) একজন ভারতীয় চলচ্চিত্র অভিনেতা, বলিউডে অভিনয়ের জন্য পরিচিত। একজন প্রাক্তন রাজনীতিবিদ, গোবিন্দা ১২ বার ফিল্মফেয়ার পুরস্কারের মনোনয়ন পেয়েছেন, এবং তিনি ফিল্মফেয়ার বিশেষ পুরস্কার এবং ফিল্মফেয়ার সেরা কমেডিয়ান অভিনেতা পুরস্কার অর্জন করেছেন। এছাড়া তিনি চারবার জি সিনেমা পুরস্কার জিতেছেন। ১৯৮৬ সালে ইলযাম সিনেমার মাধ্যমে তার অভিষেক ঘটে, তিনি ১৪০ টির বেশি হিন্দি সিনেমায় অভিনয় করেছেন। ১৯৯৯ সালের জুনে, বিবিসি নিউজ অনলাইনের সদস্যদের দ্বারা বিগত হাজার বছরের সেরা দশজন তারকার একজন নির্বাচিত হন।[3]
গোবিন্দা | |
---|---|
![]() ২০১৩ সালে গোবিন্দা | |
উত্তর মুম্বাই, ভারত আসনের সংসদ সদস্য | |
কাজের মেয়াদ জুন ৩, ২০০৪ – ২০০৯ | |
পূর্বসূরী | রাম নায়েক |
উত্তরসূরী | সঞ্জয় নিরুপম |
সংসদীয় এলাকা | উত্তর মুম্বাই |
ব্যক্তিগত বিবরণ | |
জন্ম | গোবিন্দা অরুন আহুজা (1963-12-21) ২১ ডিসেম্বর ১৯৬৩ (বয়স ৬০) ভিরার, মহারাষ্ট্র, ভারত |
নাগরিকত্ব | ভারত |
রাজনৈতিক দল | ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস |
দাম্পত্য সঙ্গী | সুনিতা আহুজা (১৯৮৭-বর্তমান) |
সন্তান | নারমাদা আহুজা (জন্ম ১৯৮৯) যশবর্ধন আহুজা |
পিতামাতা | অরুন আহুজা (বাবা, মৃত) নির্মলা দেবী (মা, মৃত) |
বাসস্থান | জুহু, মুম্বাই, ভারত |
প্রাক্তন শিক্ষার্থী | আন্নাসাহেব ভার্তক কলেজ, মহারাষ্ট্র |
জীবিকা | অভিনেতা নৃত্যশিল্পী টেলিভিশন উপস্থাপক কমেডিয়ান রাজনীতিবিদ |
ধর্ম | হিন্দু[1] |
১৯ ফেব্রুয়ারি, ২০০৮ অনুযায়ী উৎস: Lok Sabha |
১৯৮০’র দশকের শুরুতে তিনি বিভিন্ন ধরনের সিনেমা যেমন, পারিবারিক নাট্য, অ্যাকশন এবং রোমান্টিক সিনেমায় অভিনয় করেন। ১৯৯০’র দশকে, তিনি প্রয়াত অভিনেত্রী দিব্যা ভারতীর বিপরীতে শোলে অর শবনম (১৯৯২) রোমান্টিক সিনেমায় একজন তরুণ ন্যাশনাল ক্যাডেট কোর (এনসিসি) ক্যাডেটের চরিত্রে অভিনয়ে মাধ্যমে একজন কমিক অভিনেতা হিসেবে স্বীকৃতি পান। এরপর একই দশকে তিনি বহু বাণিজ্যিকভাবে সফল কমেডি সিনেমায় প্রধান অভিনেতা’র চরিত্রে অভিনয় করেন। এসব সিনেমার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল, আখেন্ (১৯৯৩),রাজা বাবু (১৯৯৪),কুলি নাম্বার ওয়ান (১৯৯৫), হিরো নাম্বার ওয়ান (১৯৯৭) এবং হাসিনা মান জায়েগী (১৯৯৯)। তিনি হাসিনা মান জায়েগী (১৯৯৯) সিনেমায় অভিনয়ের জন্য ফিল্মফেয়ার সেরা কমেডিয়ান পুরস্কার এবং সাজান চালে শ্বাশুরাল সিনেমার জন্য ফিল্মফেয়ার বিশেষ পুরস্কার অর্জন করেন। তিনি জেন্টেলম্যান (১৯৮৯),জান সে পেয়ারী (১৯৯২),আখেন্ (১৯৯৩),হত্যাকারী (১৯৯৫),বাড়ে মিয়া ছোটে মিয়া (১৯৯৮),আনাড়ি নাম্বার ওয়ান (১৯৯৯),ওয়াহ্! তেরা কেয়া কেহনা (২০০২) এবং স্যান্ডউইচ (২০০৬) এর মতন সিনেমায় সফলভাবে দ্বৈত চরিত্রে অভিনয় করেন।[4] দ্বৈত চরিত্রের পাশাপাশি, তিনি হাদ কার দি আপনে (২০০০) সিনেমায় সফলভাবে ছয়টি চরিত্রে অভিনয় করেন। চরিত্রগুলো হল, রাজু, রাজুর মা, রাজুর বাবা, রাজুর বোন, রাজুর দাদী এবং রাজুর দাদা।[5]
গোবিন্দার ডাকনাম নাম্বার ওয়ান কারণ, তিনি তিনি সিনেমার শিরোনামের শেষাংশ নাম্বার ওয়ান বিশিষ্ট সিনেমা সিরিজে তিনি অভিনয় করেছেন, যেমন নাম্বার ওয়ান বিশিষ্ট সিনেমাগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল, কুলি নাম্বার ওয়ান, হিরো নাম্বার ওয়ান, আন্টি নাম্বার ওয়ান, আনাড়ি নাম্বার ওয়ান, বেটি নাম্বার ওয়ান এবং জোড়ি নাম্বার ওয়ান। অক্ষয় কুমারের পর গোবিন্দাই একমাত্র অভিনেতা যিনি একটি বিশেষ শিরোনাম সম্পন্ন সিনেমা সিরিজে অভিনয় করেছেন। অক্ষয় কুমার খিলাড়ি সিরিজের ৮ টি এবং গোবিন্দ নাম্বার ওয়ান সিরিজের ৬ টি সিনেমায় অভিনয় করেছেন।[6]
২০০০ দশকের একটি নির্দিষ্ট সময় বক্স অফিসে অসফলতার পর, তার সাম্প্রতিক বাণিজ্যিক সফল সিনেমাগুলো হল, ভাগাম ভাগ, (২০০৬),পার্টনার (২০০৭),লাইফ পার্টনার (২০০৯), এবং রাবণ (২০১০) এবং এর ফলে হিন্দি সিনেমায় তিনি নিজেকে অন্যতম প্রধান অভিনেত্রা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেন।
২০১৩ সালে, তিনি গোরী তেরে ন্যায়না নামের একটি গানের অ্যালবাম বের করেন। ২০১৩ সালের ১৫ ডিসেম্বর, এই অ্যালবামের প্রচারণার অংশ হিসেবে তাকে জনপ্রিয় কালার টিভি অনুষ্ঠান কমেডি নাইটস উইথ কপিল এ উপস্থিত থাকতে দেখা যায়।
চলচ্চিত্রে অভিনয়ের পাশাপাশি, তিনি ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস পার্টির একজন সদস্য ছিলেন। ২০০৪ সালে ভারতের ১৪ তম লোকসভা নির্বাচনে মহারাষ্ট্র প্রদেশ থেকে উত্তর মুম্বাইয়ের সপ্তম সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হন,[7] এই নির্বাচনে তিনি ভারতীয় জনতা পার্টির রাম নায়েককে হারান। ২০০৯ সালের সাধারণ নির্বাচনে, তিনি চলচ্চিত্র অভিনয়ে মনোনিবেশ করার জন্য রাজনীতি পরিত্যাগ করেন।