গারো
ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী রুদ্র / From Wikipedia, the free encyclopedia
গারো হল একটি তিব্বত-বর্মী জাতিগোষ্ঠী যারা প্রধানত উত্তর- পূর্ব ভারতীয় রাজ্য মেঘালয়, আসাম, ত্রিপুরা ও নাগাল্যান্ড এবং বাংলাদেশের কিছু প্রতিবেশী এলাকায় বসবাস করে । খাসিদের পরে তারা মেঘালয়ের দ্বিতীয় বৃহত্তম উপজাতি এবং স্থানীয় জনসংখ্যার প্রায় এক তৃতীয়াংশ নিয়ে গঠিত।
মোট জনসংখ্যা | |
---|---|
১১ লাখ (২০১১) | |
উল্লেখযোগ্য জনসংখ্যার অঞ্চল | |
ভারত, বাংলাদেশ | |
ভারত | ৯,৯৭,৭১৬ |
মেঘালয় | ৮,২১,০২৬ |
আসাম | ১,৩৬,০৭৭ |
ত্রিপুরা | ৬,০০০ |
বাংলাদেশ | ১,২০,০০০ |
ভাষা | |
আচিক ভাষা | |
ধর্ম | |
খ্রিস্টধর্ম[1] • সাংসারিক | |
সংশ্লিষ্ট জনগোষ্ঠী | |
বড়ো-কাছাড়ি জনগোষ্ঠী, কোন্যাক জাতি |
গারোরা ভাষা অনুযায়ী বোডো মঙ্গোলীয় ভাষাগোষ্ঠীর অন্তর্ভুক্ত। জাতিগত পরিচয়ের ক্ষেত্রে অনেক গারোই নিজেদেরকে মান্দি বলে পরিচয় দেন। গারোদের ভাষায় 'মান্দি' শব্দের অর্থ হল 'মানুষ'।[2] গারোদের সমাজে মাতৃতান্ত্রিক পরিবার প্রথা প্রচলিত। তাদের প্রধান ধর্মীয় ও সামাজিক উৎসবের নাম 'ওয়ানগালা'; যাতে দেবতা মিসি আর সালজং এর উদ্দেশ্যে উৎপাদিত ফসল উৎসর্গ করা হয়। উল্লেখ্য ওয়ানগালা না হওয়া পর্যন্ত মান্দিরা নতুন উৎপাদিত ফসলাদি খেত না। আশ্বিন মাসে একেক গ্রামের মানুষদের সামর্থ্যানুযায়ী সাত দিন কিংবা তিনদিন ধরে এই উৎসব অনুষ্ঠিত হতো। অতীতে গারোরা সবাই তাদের নিজস্ব ধর্ম পালন করত। তাদের আদি ধর্মের নাম 'সাংসারেক'। ১৮৬২ সালে খৃষ্টধর্ম গ্রহণের পর থেকে বর্তমানে ৯০ ভাগ গারোরাই খ্রীষ্টধর্মে বিশ্বাসী। খ্রীষ্টধর্ম গ্রহণের পর থেকে তাদের সামাজিক নিয়ম-কানুন, আচার-অনুষ্ঠানে বেশ পরিবর্তন এসেছে।
গারোদের প্রধান দেবতার নাম স্মরণ। এছাড়াও অন্যান্য দেবতারা হলেন- নাবিল সালজং,রাফি, জিলানী প্রমুখ। বিভিন্ন গবেষকগণ বিভিন্ন সময়ে গবেষণা করে এ পর্যন্ত বেশ কয়েকটি গারো বর্ণমালা আবিষ্কার করেছেন। সেগুলো উচ্চ গবেষণার জন্য বিরিশিরি কালচারাল একাডেমি-তে সংরক্ষণ করা আছে।গারোদের সমাজ মাতৃতান্ত্রিক। তাদের সমাজে মাতা হলো পরিবারের প্রধান। গারোদের সমাজে বেশ কয়েকটি দল রয়েছে। সাংমা, মারাক, মোমিন, শিরা ও আরেং হচ্ছে প্রধান পাঁচটি দলে বিভক্ত।গারো সমাজ মাতৃতান্ত্রিক।