Loading AI tools
মেহেরপুর জেলার একটি উপজেলা উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
গাংনী বাংলাদেশের মেহেরপুর জেলার অন্তর্গত একটি উপজেলা। ১৯৮৪ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি একে উপজেলা হিসেবে ঘোষণা করা হয়।[2]
গাংনী | |
---|---|
উপজেলা | |
মানচিত্রে গাংনী উপজেলা | |
স্থানাঙ্ক: ২৩°৫১′৩৬.০০০″ উত্তর ৮৮°৪৬′১২.০০০″ পূর্ব | |
দেশ | বাংলাদেশ |
বিভাগ | খুলনা বিভাগ |
জেলা | মেহেরপুর জেলা |
আয়তন | |
• মোট | ৩৪৪.৪৭ বর্গকিমি (১৩৩.০০ বর্গমাইল) |
জনসংখ্যা (২০১১)[1] | |
• মোট | ২,৯৯,৬০৭ |
• জনঘনত্ব | ৮৭০/বর্গকিমি (২,৩০০/বর্গমাইল) |
সাক্ষরতার হার | |
• মোট | ৪২.২% |
সময় অঞ্চল | বিএসটি (ইউটিসি+৬) |
প্রশাসনিক বিভাগের কোড | ৪০ ৫৭ ৪৭ |
ওয়েবসাইট | দাপ্তরিক ওয়েবসাইট |
গাংনী নামের সাথে যুক্ত হয়ে আছে এ অঞ্চলের ভৌগোলিক পরিবেশের পরিচয়। গাংনী পদটিই এখানে প্রধান। নদী বা নদীর মৃতপ্রায় ধারাকে এ এলাকার মানুষ গাং বা গাঙ বলে। অনুমান করা হয় যে, গাঙ্গেয় অববাহিকার এ এলাকায় প্রথম বসতি স্থাপনকারী মানুষেরা অন্যদের বসবাসে উদ্বুদ্ধ করার জন্য ‘এ এলাকায় গাং অর্থাৎ নদী নেই’- এমন ঘোষণা দেয়। ‘গাং নেই’ পরবর্তীকালে হয়ে যায়- ‘গাংনী’। এ এলাকার মানুষেরা নেই বুঝাতে ‘নি’ উচ্চারণ করে। গাংনী নামকরণে ভিন্ন আর একটি যুক্তিও পাওয়া যায়। পশ্চিমে কাজলা নদী এবং পূর্বে মাথাভাঙ্গা নদীর মধ্যবর্তী দোয়ার অঞ্চলে এ থানার অবস্থান। সেই অর্থে এ নদীর প্রধান উৎস গঙ্গা। গঙ্গার কন্যা মনে করার কারণে খরস্রোতা মাথাভাঙ্গাকে একসময় এ এলাকার মানুষ ‘গাংগীনি’ বলে ডাকত। গাংগীনি থেকে গাঙ্গনী বা গাংনী শব্দের উৎপত্তি। গাংনী নামকরণে মুলত এ অঞ্চলের নদী সম্পৃক্ততার পরিচয় ফুটে উঠেছে।[3]
এই উপজেলার উত্তরে কুষ্টিয়া জেলার দৌলতপুর উপজেলা, দক্ষিণে চুয়াডাঙ্গা জেলার আলমডাঙ্গা উপজেলা ও মেহেরপুর সদর উপজেলা, পূর্বে কুষ্টিয়া জেলার দৌলতপুর উপজেলা, চুয়াডাঙ্গা জেলার আলমডাঙ্গা উপজেলা ও কুষ্টিয়া জেলার মিরপুর উপজেলা, পশ্চিমে মেহেরপুর সদর উপজেলা ও ভারতের পশ্চিমবঙ্গ।
উপজেলার মোট আয়তন ৩৪৪.৪৭ বর্গ কিলোমিটার। এটি ১টি থানা, ১টি পৌরসভা (গ শ্রেণীর), ৯টি ইউনিয়ন, ১৩টি মহল্লা, ০৯টি ইউনিয়ন, ১০৩টি মৌজা, ১৪৩ টি গ্রাম নিয়ে গঠিত।
মোট জনসংখ্যা ২,৯৯,৬০৭ জন।পুরুষ ১,৪৮,২৫০ জন ও মহিলাঃ১,৩৭,৯১৯ জন। (সুত্রঃ গাংনী উপজেলা প্রশাসন ২০১৮-০১-৩১)
শিক্ষার হার ৪২.২% (পুরুষ ৪২.৭% ও মহিলাঃ ৪১.৭%)।
গাংনী উপজেলায় ৩টি নদী রয়েছে। নদীগুলো হচ্ছে ভৈরব নদী, হিশনা-ঝাঞ্চা নদী এবং কাজলা নদী।[4][5]
মুন্সি শেখ জমিরউদ্দিনঃ উপমহাদেশের প্রখ্যাত ইসলাম প্রচারক সমাজ সেবক। রাজনৈতিক ভাবে মুসলমানদের হৃত গৌরব তথা ভারতবর্ষের স্বাধীনতা পুনরুদ্ধারের জন্য ইসলামের গৌরবময় ঐতিহ্যচেতনাপুষ্ট মুসলমান চিন্তানায়কদের সমন্বয়ে গড়ে ওঠা খেলাফত আন্দোলনে মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার গাঁড়াডোব নিবাসী বিখ্যাত ইসলামী চিন্তাবিদ মুন্শী জমিরউদ্দিন বিদ্যাবিনোদ এ আন্দোলনের একজন সক্রিয় কর্মী ছিলেন। তারঁ সম্পর্কে আর কিছু জানা নাই।
রফিকুর রশীদ:লেখক।
মোহাম্মদ শাহ আলম (ক্রীড়াবিদ) (৫ মে ১৯৫৮ - ২৯ মে ১৯৮৯) হলেন একজন কৃতি বাংলাদেশী ক্রীড়াবিদ। তিনি টানা দু'বার সাফ গেমসে দ্রুততম মানব হওয়ার গৌরব অর্জন করেন। শাহ আলমের জন্ম ১৯৫৮ সালের ৫ মে মেহেরপুর জেলার গাংনী উপজেলার সাহেবনগর গ্রামের এক দরিদ্র কৃষক কবির হোসেনের পরিবারে। ১৯৮৪ সালের বাংলাদেশ গেমসে সেনাবাহিনীর হয়ে ২০০ মিটারে স্বর্ণ এবং ১০০ মিটারে ব্রোঞ্জ জিতলেও পরের বছর থেকে ১৯৮৮ সাল পর্যন্ত টানা চার বছর দ্রুততম মানব হন শাহ আলম। একমাত্র স্প্রিন্টার হিসাবে তিনিই দু'দুবার দক্ষিণ এশিয়ার দ্রুততম মানবের খেতাব অর্জন করেন ১৯৮৫ এবং ১৯৮৭ সালের সাফ গেমসে। ১৯৮৮-এর সিউল অলিম্পিকে বাংলাদেশ দলের প্রতিনিধিত্ব করেন শাহ আলম। ১৯৮৯ সালের ২৯ মে বেইজিং এশিয়াডের জন্য জাতীয় দলের ক্যাম্পে যোগ দিতে মোটরসাইকেলে মেহেরপুর থেকে ঢাকায় ফেরার পথে পাবনার বেড়ার দাড়িয়াপুরে তেলবাহী ট্রাকের ধাক্কায় ছিটকে পড়ে গুরুতর আহত হয়ে সাড়ে চার ঘণ্টা পর শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তথনকার দেশসেরা অ্যাথলেট মোহাম্মদ শাহ আলম। ক্রীড়া ক্ষেত্রে অনন্য অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ তিনি ১৯৯১ সালে স্বাধীনতা পুরস্কার লাভ করেন।
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.
Every time you click a link to Wikipedia, Wiktionary or Wikiquote in your browser's search results, it will show the modern Wikiwand interface.
Wikiwand extension is a five stars, simple, with minimum permission required to keep your browsing private, safe and transparent.