![cover image](https://wikiwandv2-19431.kxcdn.com/_next/image?url=https://upload.wikimedia.org/wikipedia/bn/thumb/0/05/%25E0%25A6%2595%25E0%25A7%258D%25E0%25A6%25B0%25E0%25A7%258B%25E0%25A6%25AF%25E0%25A6%25BC%25E0%25A7%2587%25E0%25A6%25B6%25E0%25A7%2580%25E0%25A6%25AF%25E0%25A6%25BC_%25E0%25A6%25AB%25E0%25A7%2581%25E0%25A6%259F%25E0%25A6%25AC%25E0%25A6%25B2_%25E0%25A6%25AB%25E0%25A7%2587%25E0%25A6%25A1%25E0%25A6%25BE%25E0%25A6%25B0%25E0%25A7%2587%25E0%25A6%25B6%25E0%25A6%25A8_%25E0%25A6%25B2%25E0%25A7%258B%25E0%25A6%2597%25E0%25A7%258B.svg/langbn-640px-%25E0%25A6%2595%25E0%25A7%258D%25E0%25A6%25B0%25E0%25A7%258B%25E0%25A6%25AF%25E0%25A6%25BC%25E0%25A7%2587%25E0%25A6%25B6%25E0%25A7%2580%25E0%25A6%25AF%25E0%25A6%25BC_%25E0%25A6%25AB%25E0%25A7%2581%25E0%25A6%259F%25E0%25A6%25AC%25E0%25A6%25B2_%25E0%25A6%25AB%25E0%25A7%2587%25E0%25A6%25A1%25E0%25A6%25BE%25E0%25A6%25B0%25E0%25A7%2587%25E0%25A6%25B6%25E0%25A6%25A8_%25E0%25A6%25B2%25E0%25A7%258B%25E0%25A6%2597%25E0%25A7%258B.svg.png&w=640&q=50)
ক্রোয়েশিয়া জাতীয় ফুটবল দল
ফুটবল দল / From Wikipedia, the free encyclopedia
ক্রোয়েশিয়া জাতীয় ফুটবল দল (ক্রোয়েশীয়: Hrvatska nogometna reprezentacija) হচ্ছে আন্তর্জাতিক ফুটবলে ক্রোয়েশিয়ার প্রতিনিধিত্বকারী পুরুষদের জাতীয় দল, যার সকল কার্যক্রম ক্রোয়েশিয়ার ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা ক্রোয়েশীয় ফুটবল ফেডারেশন দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়। এই দলটি ১৯১২ সাল হতে ফুটবলের সর্বোচ্চ সংস্থা ফিফার এবং ১৯৪১ সাল হতে তাদের আঞ্চলিক সংস্থা উয়েফার সদস্য হিসেবে রয়েছে। ১৯৪০ থেকে ১৯৪৪ সালের মধ্যবর্তী সময়কালে ফিফা স্বীকৃতপ্রাপ্ত দল হিসেবে ক্রোয়েশিয়ার বাভোনিয়া এবং ক্রোয়েশিয়ার স্বাধীন রাষ্ট্র উনিশটি প্রীতি ম্যাচে অংশগ্রহণ করেছিল।[3] কিন্তু ১৯৪৫ সালে ক্রোয়েশিয়া যুগোস্লাভিয়ার সাথে একীভূত হলে দলটি বিলুপ্ত হয়। ১৯৪৫ থেকে ১৯৯০ সালের মধ্যে ক্রোয়েশিয়া পৃথক দল হিসেবে প্রতিযোগিতামূলক খেলায় অংশগ্রহণ করেনি। তখন ক্রোয়েশীয় খেলোয়াড়েরা যুগোস্লাভিয়া জাতীয় ফুটবল দলের হয়ে আন্তর্জাতিক ফুটবল অঙ্গনে অংশগ্রহণ করতো। ১৯৪১ সালের ৮ই সেপ্টেম্বর তারিখে, ক্রোয়েশিয়া প্রথমবারের মতো আন্তর্জাতিক খেলায় অংশগ্রহণ করেছে; স্লোভাকিয়ার ব্রাতিস্লাভে অনুষ্ঠিত ক্রোয়েশিয়া এবং স্লোভাকিয়ার মধ্যকার উক্ত ম্যাচটি ১–১ গোলে ড্র হয়েছে। ভাত্রেনি নামে পরিচিত এই দলটি বেশ কয়েকটি স্টেডিয়ামে তাদের হোম ম্যাচগুলো আয়োজন করে থাকে। এই দলের প্রধান কার্যালয় ক্রোয়েশিয়ার রাজধানী জাগরেবে অবস্থিত। বর্তমানে এই দলের ম্যানেজারের দায়িত্ব পালন করছেন জ্লাৎকো দালিচ এবং অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করছেন রিয়াল মাদ্রিদের মধ্যমাঠের খেলোয়াড় লুকা মদরিচ। ক্রোয়েশিয়া এপর্যন্ত ৫ বার ফিফা বিশ্বকাপে অংশগ্রহণ করেছে, যার মধ্যে সেরা সাফল্য হচ্ছে ২০১৮ ফিফা বিশ্বকাপের ফাইনালে পৌঁছানো, যেখানে তারা ফ্রান্সের কাছে ৪–২ গোলের ব্যবধানে পরাজিত হয়েছে। অন্যদিকে, উয়েফা ইউরোপীয় চ্যাম্পিয়নশিপে ক্রোয়েশিয়া এপর্যন্ত ৬ বার অংশগ্রহণ করেছে, যার মধ্যে সেরা সাফল্য হচ্ছে ১৯৯৬ এবং উয়েফা ইউরো ২০০৮-এর কোয়ার্টার-ফাইনালে পৌঁছানো। দারিয়ো স্রনা, লুকা মদরিচ, স্তিপে প্লেতিকোসা, মারিও মাঞ্জুকিচ এবং দাভোর শুকেরের মতো খেলোয়াড়গণ ক্রোয়েশিয়ার জার্সি গায়ে মাঠ কাঁপিয়েছেন।
![]() | |||
ডাকনাম | ভাত্রেনি (ব্লেজার) কোককাস্তি (চেকারবোর্ড) | ||
---|---|---|---|
অ্যাসোসিয়েশন | ক্রোয়েশীয় ফুটবল ফেডারেশন | ||
কনফেডারেশন | উয়েফা (ইউরোপ) | ||
প্রধান কোচ | জ্লাৎকো দালিচ | ||
অধিনায়ক | লুকা মদরিচ | ||
সর্বাধিক ম্যাচ | দারিয়ো স্রনা (১৩৪) | ||
শীর্ষ গোলদাতা | দাভোর শুকের (৪৫) | ||
মাঠ | বিভিন্ন | ||
ফিফা কোড | CRO | ||
ওয়েবসাইট | www | ||
| |||
ফিফা র্যাঙ্কিং | |||
বর্তমান | ১০ ![]() | ||
সর্বোচ্চ | ৩ (জানুয়ারি ১৯৯৯) | ||
সর্বনিম্ন | ১২৫ (মার্চ ১৯৯৪) | ||
এলো র্যাঙ্কিং | |||
বর্তমান | ১১ ![]() | ||
সর্বোচ্চ | ৫ (জুলাই ১৯৯৮, জুলাই ২০১৮) | ||
সর্বনিম্ন | ২৬ (অক্টোবর ২০০২) | ||
প্রথম আন্তর্জাতিক খেলা | |||
![]() ![]() (ব্রাতিস্লাভ, স্লোভাকিয়া; ৮ সেপ্টেম্বর ১৯৪১) | |||
বৃহত্তম জয় | |||
![]() ![]() (রিয়েকা, ক্রোয়েশিয়া; ৪ জুন ২০১৬) | |||
বৃহত্তম পরাজয় | |||
![]() ![]() (এলচে, স্পেন; ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৮) | |||
বিশ্বকাপ | |||
অংশগ্রহণ | ৫ (১৯৯৮-এ প্রথম) | ||
সেরা সাফল্য | রানার-আপ (২০১৮) | ||
উয়েফা ইউরোপীয় চ্যাম্পিয়নশিপ | |||
অংশগ্রহণ | ৬ (১৯৯৬-এ প্রথম) | ||
সেরা সাফল্য | কোয়ার্টার-ফাইনাল (১৯৯৬, ২০০৮) |
১৯৯৪ সাল থেকে ভাত্রেনি ইউরো ২০০০ এবং ২০১০ বিশ্বকাপ বাদে প্রতিটি বড় টুর্নামেন্টের জন্য যোগ্যতা অর্জন করেছে। ফিফা বিশ্বকাপে, ক্রোয়েশিয়া একবার (২০১৮ ) দ্বিতীয় এবং দুইবার (১৯৯৮, ২০২২) তৃতীয় হয়েছে। দাভোর সুকার ১৯৯৮ সালে গোল্ডেন বল এবং রুপার বল জিতেছিলেন, লুকা মদরিচ ২০১৮ সালে গোল্ডেন বল এবং ২০২২ সালে ব্রোঞ্জ বল জিতেছিলেন। দলটি দুইবার ( ১৯৯৬, ২০০৮ ) উয়েফা ইউরোপীয় চ্যাম্পিয়নশিপ এর কোয়ার্টার ফাইনালে পৌঁছেছে এবং ২০২৩ সালে উয়েফা নেশনস লিগের সেমিফাইনালে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে প্রস্তুত। জুলাই ১৯৯৮ সালে ক্রোয়েশিয়া তার সর্বকালের সর্বোচ্চ ইলো রেটিং ২০০৬ পয়েন্ট রেকর্ড করে। ১৯৯৪ সালে ফিফাতে ১২৫ তম স্থান অধিকার করার পরে তারা ১৯৯৮ তাদের অভিষেকে বিশ্বকাপ অভিযানের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে উঠেছিল। এটি ফিফা বিশ্ব র্যাঙ্কিং ইতিহাসে সবচেয়ে দ্রুততম খারাপ অবস্থান থেকে সেরা দশে জায়গা করা দল । এটি জনসংখ্যার দিক থেকে দ্বিতীয় ক্ষুদ্রতম দেশ (উরুগুয়ের পরে) বিশ্বকাপে ক্রোয়েশিয়া দলের অন্যান্য রেকর্ডের মধ্যে সবচেয়ে বেশি পেনাল্টি শুট-আউট খেলা (৪) এবং জিতে (৪) এবং সবচেয়ে বেশি পেনাল্টি শুট-আউটে (৩) সেভ করার রেকর্ড রয়েছে। তারা ফ্রান্স এবং কলম্বিয়ার সাথে যৌথ রেকর্ডের সমান দুইবার (১৯৯৪, ১৯৯৮) ফিফা বছরের সেরা স্থান পরিবর্তনকারী নির্বাচিত হয়েছিল। ক্রোয়েশিয়া অন্যান্য দেশগুলির মধ্যে ইতালি এবং সার্বিয়ার সাথে ক্রীড়া প্রতিদ্বন্দ্বিতা বজায় রাখে, যা ম্যাচগুলিকে বিঘ্নিত করেছে।