কৃষ্ণা জেলা
অন্ধ্রপ্রদেশ রাজ্যের একটি জেলা উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
অন্ধ্রপ্রদেশ রাজ্যের একটি জেলা উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
কৃষ্ণা জেলা; (তেলুগু: కృష్ణా జిల్లా, প্রতিবর্ণী. কৃষ্ণা জিল্লা) হল ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশ রাজ্যের উপকূলীয় অন্ধ্র অঞ্চলের একটি প্রশাসনিক জেলা। এই জেলার সদর শহর মসুলিপত্তনম। বিজয়ওয়াড়া এই জেলার সর্বাধিক জনবহুল শহর। কৃষ্ণা জেলার আয়তন ৮,৭২৭ কিমি২ (৩,৩৭০ মা২)। ২০১১ সালের জনগণনা অনুসারে, এই জেলার জনসংখ্যা ৪৫,২৯,০০৯। কৃষ্ণা জেলার পূর্ব দিকে রয়েছে অন্ধ্রপ্রদেশের পশ্চিম গোদাবরী জেলা, দক্ষিণ দিকে রয়েছে বঙ্গোপসাগর, পশ্চিম দিকে রয়েছে অন্ধ্রপ্রদেশের গুন্টুর জেলা ও তেলেঙ্গানা রাজ্যের নালগোন্ডা জেলা এবং উত্তর দিকে রয়েছে তেলেঙ্গানা রাজ্যের খাম্মাম জেলা।[3]
কৃষ্ণা জেলা కృష్ణా జిల్లా | |
---|---|
অন্ধ্রপ্রদেশের জেলা | |
অন্ধ্রপ্রদেশে কৃষ্ণার অবস্থান | |
দেশ | ভারত |
রাজ্য | অন্ধ্রপ্রদেশ |
প্রশাসনিক বিভাগ | কৃষ্ণা জেলা |
সদরদপ্তর | মছলিপত্তনম |
তহশিল | ৫০[1] |
সরকার | |
• লোকসভা কেন্দ্র | বিজয়ওয়াড়া, মছলিপত্তনম |
• বিধানসভা আসন | ১৬ |
আয়তন | |
• মোট | ৮,৭২৭ বর্গকিমি (৩,৩৭০ বর্গমাইল) |
জনসংখ্যা (২০১১) | |
• মোট | ৪৫,২৯,০০৯[2] |
• পৌর এলাকা | ৪১.০১% |
জনতাত্ত্বিক | |
• সাক্ষরতা | ৭৪.৩৭% |
• লিঙ্গানুপাত | ৯৯৭ |
প্রধান মহাসড়ক | এশিয়ান হাইওয়ে ৪৫, ৯ নং জাতীয় সড়ক, ২২১ নং জাতীয় সড়ক, ২১৪ক নং জাতীয় সড়ক |
স্থানাঙ্ক | ১৬°১৭′ উত্তর ৮১°১৩′ পূর্ব |
ওয়েবসাইট | দাপ্তরিক ওয়েবসাইট |
১৯০৪ সালে কৃষ্ণা জেলাকে বিভাজিত করে গুন্টুর জেলা গঠিত হয়। ১৯২৫ সালে আবার কৃষ্ণা জেলার কিয়দংশ বিভাজিত করে পশ্চিম গোদাবরী জেলার অন্তর্ভুক্ত করা হয়। কৃষ্ণা জেলা অন্ধ্রপ্রদেশের সবচেয়ে উন্নত জেলা।[4]
মছলিপত্তনম শহরটি কৃষ্ণা জেলার সদর শহর বলে এই জেলার আগেকার নাম ছিল মছলিপত্তনম জেলা। ১৮৫৯ সালে গুন্টুর জেলা বিলুপ্ত করে কয়েকটি তালুক এই জেলার অন্তর্ভুক্ত করা হয়। পরে মছলিপত্তনম জেলার নাম পরিবর্তন করে ভারতের তৃতীয় বৃহত্তম নদী কৃষ্ণার নামানুসারে ‘কৃষ্ণা জেলা’ রাখা হয়। উল্লেখ্য, কৃষ্ণা নদী কৃষ্ণা জেলার হমসলদেবী গ্রামের কাছে বঙ্গোপসাগরে মিশেছে।[3]
কৃষ্ণা জেলার প্রাচীনতম নথিবদ্ধ ইতিহাসটি খ্রিস্টপূর্ব ২য় শতাব্দীর সমসাময়িক। সাতবাহন (খ্রিস্টপূর্ব ২৩০ অব্দ – ২২৭ খ্রিষ্টাব্দ), পল্লব (৩৪০ – ৫০০ খ্রিষ্টাব্দ), চালুক্য রাজবংশ (৬১৫ – ১০৭০ খ্রিষ্টাব্দ) এবং পরবর্তীকালে চোল, কাকতীয়, রেড্ডি ও ওড়িশার গজপতি রাজবংশগুলি এই অঞ্চল শাসন করেছে।[5]
সাতবাহন রাজবংশ (খ্রিস্টপূর্ব ২৩০ অব্দ – ২২৭ খ্রিষ্টাব্দ) শ্রীকাকুলাম থেকে এই অঞ্চল শাসন করতেন। এই রাজবংশের বিশিষ্ট শাসকরা ছিলেন শ্রীমুখ (প্রতিষ্ঠাতা), গৌতমীপুত্র সাতকর্ণী ও যজ্ঞশ্রী সাতকর্ণী (সর্বশেষ সাতবাহন রাজা)। সাতবাহন রাজা চার শতাব্দীরও বেশি সময় এই অঞ্চলের অধিবাসীদের জীবনে স্থায়িত্ব ও নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করেছিলেন। পল্লব রাজ্য (৩৪০ – ৫০০ খ্রিষ্টাব্দ) কৃষ্ণা নদী থেকে তুঙ্গভদ্রা নদী পর্যন্ত প্রসারিত ছিল। এই রাজ্যের পূর্বে ছিল অমরাবতী, পশ্চিমে ছিল বেলারি এবং দক্ষিণে ছিল কাঞ্চীপুরম। বেঙ্গিদেশের এল্লোর ও পীঠপুরমের কাছে বেঙ্গিনগর ছিল এই রাজ্যের রাজধানী। পল্লবদের সমসাময়িক বৃহৎপালায়ন রাজবংশ কোডুরু থেকে এই অঞ্চল শাসন করতেন। বিষ্ণুকুণ্ডিন রাজবংশের শাসকরা (৫ম শতাব্দী) এই অঞ্চলের মোগলরাজপুরম (অধুনা বিজয়ওয়াড়ায়) ও উন্ডাবল্লি ইত্যাদি স্থানে গুহামন্দিরগুলি খনন করেছিলেন। পূর্ব চালুক্য রাজবংশের শাসকেরা (৬১৫ – ১০৭০ খ্রিষ্টাব্দ) সমগ্র অন্ধ্র অঞ্চলকে তাদের অধীনে আনতে সক্ষম হয়েছিলেন। তারা উন্ডাবল্লিতে গুহামন্দির এবং অনেকগুলি প্রস্তরখোদিত মন্দির ও শিব মন্দির নির্মাণ করেছিলেন।[5]
চোল রাজবংশ রাজামুন্দ্রি থেকে এই অঞ্চল শাসন করতেন। রাজরাজেন্দ্র চোলের শাসনকালে নান্নায়া ভট্টু মহাভারত তেলুগু ভাষায় অনুবাদ করেন। কাকতীয় রাজবংশ ১৪শ শতাব্দীর প্রথম ভাগ পর্যন্ত এই অঞ্চল শাসন করেছিলেন। তাদের রাজধানী ছিল ওরুগল্লু। কাকতীয় শাসক প্রতাপ রুদ্রের পতনের পর পুলয় বেম রেড্ডি রেড্ডি রাজবংশ প্রতিষ্ঠা করেন এবং কোন্ডাবেডুর দুর্গ থেকে স্বাধীনতা ঘোষণা করেন। বেল্লামকোন্ডা, বিনুকোন্ডা ও পালানাডের নাগার্জুন কোন্ডা দুর্গগুলিও তার অধীনে ছিল। কোন্ডাবিডু রেড্ডিরা ছিলেন তেলুগু সাহিত্যের সর্বশ্রেষ্ঠ পৃষ্ঠপোষক। কবি শ্রীনন্দ ও তার শ্যালক বম্মের পোতন তার রাজসভার সদস্য ছিলেন। কোন্ডাবিডু, বাল্লামকোন্ডা ও কোন্ডাপল্লি দুর্গগুলির ধ্বংসাবশেষ আজও দেখতে পাওয়া যায়।[5]
ওড়িশার গজপতি রাজবংশের কপিলেশ্বর গজপতি অধুনা পামিডিমুক্কল মণ্ডলের কপিলেশ্বরপুরম গ্রামটি অধিকার করেছিলেন। তার পুত্র বিদ্যাধর গজপতি অধুনা বিজয়ওয়াড়ার বিদ্যাধরপুরম নির্মাণ করেছিলেন এবং কোন্ডাপল্লিতে একটি জলাধার নির্মাণ করেছিলেন। বিজয়নগর সাম্রাজ্যের শাসক কৃষ্ণদেবরায় ১৬শ শতাব্দীতে এই অঞ্চল জয় করেন। ১৫১২ সালে সুলতান কুলি কুতুব শাহ কুতুব শাহি রাজবংশ তথা গোলকোন্ডা রাজ্য প্রতিষ্ঠা করেন। অধুনা কৃষ্ণা জেলার ভূখণ্ডটি এই রাজ্যের সীমার মধ্যে পড়ত। এই রাজবংশের সর্বশেষ শাসক আবু-ই-হুসেইন শাহ তানিশা নামে পরিচিত ছিলেন। তার দু-জন ব্রাহ্মণ মন্ত্রী ছিলেন। তাদের নাম ছিল মদন্ন ও অক্কন্ন। বিজয়ওয়াড়ার প্রচলিত কিংবদন্তি অনুসারে, এই দুই মন্ত্রী দেবী কনকদুর্গার ভক্ত ছিলেন।[5]
আওরঙ্গজেব এই অঞ্চল গোলকোন্ডা সুবার (প্রদেশ) অন্তর্ভুক্ত করেছিলেন। এই অঞ্চলের সুবাদার (প্রাদেশিক শাসনকর্তা) মনোনীত হয়েছিলেন আসফ জাহ। ১৭১৩ সালে তিনি ‘নিজাম-উল-মুলক’ উপাধি পান। গোলকোন্ডা প্রদেশটি পাঁচজন নবাবের শাসনক্ষেত্র নিয়ে গঠিত হয়েছিল। এগুলি ছিল: আরকোট, কাডাপা, কুর্নুল, রাজামুন্দ্রি ও শ্রীকাকুলাম। রাজামুন্দ্রির নবাব কৃষ্ণা জেলার ভূখণ্ডটি শাসন করতেন।[5]
১৬১১ সালে ব্রিটিশরা মছলিপত্তনমে কুঠি স্থাপন করে। এই শহরই সেই সময় তাদের সদর ছিল। ১৬৪১ সালে এখান থেকে মাদ্রাজে (অধুনা চেন্নাই) তারা সদর স্থানান্তরিত করে। মছলিপত্তনমে ওলন্দাজ ও ফরাসিদেরও কুঠি ছিল। ১৭৪৮ সালে নিজাম-উল-মুলকের মৃত্যুর পর তার উত্তরাধিকারীদের মধ্যে মসনদের দখল নিয়ে বিবাদ বাধে। এই বিবাদে ইংরেজ ও ফরাসিরাও যোগদান করে। ১৭৬১ সালে নিজাম আলি খান গোলকোন্ডার শাসক ঘোষিত হলে ব্রিটিশরা প্রথমে মছলিপত্তনম, নিজামপত্তনমক ও কোন্ডাবিডু এবং পরে সমগ্র উত্তর সরকার নিজেদের আয়ত্তে আনে। প্রথমে এই জেলা মছলিপত্তনম থেকে একজন চিফ ও কাউন্সিল দ্বারা শাসিত হত। ১৭৯৪ সালে বোর্ড অফ রেভিনিউয়ের কাছে দায়বদ্ধ কালেকটরদের মছলিপত্তনমে নিয়োগ করা শুরু হয়।[5]
২০১১ সালের জনগণনা অনুসারে, কৃষ্ণা জেলার জনসংখ্যা ৪,৫২৯,০০৯।[6] এই জেলার জনসংখ্যা ক্রোয়েশিয়া রাষ্ট্র[7] বা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের লুসিয়ানা রাজ্যের জনসংখ্যার প্রায় সমান। জনসংখ্যার হিসেবে ভারতের ৬৪০টি জেলার মধ্যে এই জেলার স্থান ৩৪তম এবং অন্ধ্রপ্রদেশের জেলাগুলির মধ্যে ৪র্থ।[6] জেলার জনঘনত্ব ৫১৯ জন প্রতি বর্গকিলোমিটার (১,৩৪০ জন/বর্গমাইল)।[6] ২০০১-২০১১ দশকে এই জেলায় জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ৮.১৫%।[6] কৃষ্ণা জেলায় লিঙ্গানুপাতের হার প্রতি ১০০০ পুরুষে ৯৯৭ জন নারী[6] এবং সাক্ষরতার হার ৭৪.৩৭%.[6]
২০০৭-২০০৮ সালে ইন্টারন্যাশনাল ইনস্টিটিউট ফর পপুলেশন সায়েন্সেস কৃষ্ণা জেলার ৩৪টি গ্রামের ১২২৯টি গ্রামে একটি সমীক্ষা চালায়।[8] এই সমীক্ষা থেকে জানা যায়, ৯৪.৭% বাড়িতে বিদ্যুৎ সংযোগ, ৯৩.৪% বাড়িতে পানীয় জলের সংযোগ ও ৬০.৩% বাড়িতে শৌচালয় আছে এবং ৪৫.৫% পাকা বাড়িতে বাস করে।[8] ২০.৬% মেয়ের বিয়ে বিবাহযোগ্য বয়সে (১৮ বছর বয়স) পৌঁছানোর আগেই হয়ে যায় এবং ৭৬.৯% সাক্ষাৎকারদাতার একটি করে বিপিএল রেশন কার্ড আছে।[8]
কৃষ্ণা জেলাটি অন্ধ্রপ্রদেশ রাজ্যের পূর্ব উপকূলে অবস্থিত। এই জেলার পূর্ব দিকে রয়েছে অন্ধ্রপ্রদেশের পশ্চিম গোদাবরী জেলা, দক্ষিণ দিকে রয়েছে বঙ্গোপসাগর, পশ্চিম দিকে রয়েছে অন্ধ্রপ্রদেশের গুন্টুর জেলা ও তেলেঙ্গানার নালগোন্ডা জেলা এবং উত্তর দিকে রয়েছে তেলেঙ্গানার খাম্মাম জেলা। কৃষ্ণা জেলার আয়তন ৮,৭২৭ বর্গকিলোমিটার (৩,৩৭০ মা২)।[9] এই জেলার আয়তন কর্সিকার আয়তনের প্রায় সমান।[10] কৃষ্ণা জেলার ভূভাগটি দুই ভাগে বিভক্ত। যথা: উচ্চভূমি অঞ্চল ও কৃষ্ণা নদীর বদ্বীপ অঞ্চল।
কৃষ্ণা জেলার ৯% অঞ্চল অরণ্যভূমি। যদিও এই জেলার নন্দীগম, বিজয়ওয়াড়া, তিরুবুরু, নুজবিদ, গন্নাবরম, বন্দর ও দিবি তালুকে কয়েকটি সংরক্ষিত বনাঞ্চল রয়েছে। ‘পোনুকু’ (গাইরোক্যাপাস জ্যাকুইনি) নামে একধরনের হালকা কাঠ কোন্ডাপল্লি পাহাড়ে পাওয়া যায়। কোন্ডাপল্লির বিখ্যাত খেলনা তৈরির কাজে এই কাঠ ব্যবহৃত হয়। এছাড়া এই জেলায় টেরোকার্পাস, টেরিমিনালিয়া, অ্যানোগেসাস, লোগুস্ট্রোএইনাই ও ক্যাসুরিনা প্রভৃতি প্রজাতির গাছও দেখা যায়।[11]
চিতাবাঘ, হায়না, বনবিড়াল, শিয়াল, ভালুক ও অন্যান্য মাংসাশী স্তন্যপায়ী প্রাণী এই জেলার বনাঞ্চলগুলিতে দেখা যায়। চিতল হরিণ, সম্বর, ব্ল্যাকবাক ও অন্যান্য তৃণভোজী প্রাণী দেখা যায় অভ্যন্তরীণ বনাঞ্চলগুলিতে। এই জেলায় প্রচুর মুরাহ্ মহিষ ও গোরু পাওয়া যায়।[11]
কৃষ্ণা জেলা ৪টি রাজস্ব বিভাগে বিভক্ত। এগুলি হল: বিজয়ওয়াড়া, নুজবিড, মছলিপত্তনম ও গুডিবাডা রাজস্ব বিভাগ। প্রতিটি রাজস্ব বিভাগ একজন সাব-কালেকটরের অধীনস্থ। এই রাজস্ব বিভাগগুলি আবার ৫০টি মণ্ডলে বিভক্ত। ৪৯টি মণ্ডল পরিষদ, ৯৭৩টি পঞ্চায়েত, ১০০৫টি গ্রাম ও ৫টি পুরসভা নিয়ে এই মণ্ডলগুলি গঠিত।[12] এই জেলায় ২০টি শহর রয়েছে। এর মধ্যে একটি পৌরসংস্থা, ৫টি পুরসভা, ৩টি নগর পঞ্চায়েত ও ১১টি সেন্সাস টাউন। বিজয়ওয়াড়া এই জেলার একমাত্র পৌরসংস্থা। জেলার ৫টিপৌরসভা হল গুডিবাডা, জগগাইয়াপেটা, মছলিপত্তনম, নুজবিড ও পেডানা। ২০১১ সালে বুয়য়ুরু, নন্দীগম ও তিরুবুরু নগর পঞ্চায়েতের মর্যাদা পেয়েছে। জেলার ১১টি সেন্সাস টাউন হল কানুরু, পোরাঙ্কি, তাডিগাপাডা, ইয়ানামালাকুডুরু, কাঙ্কিপাডু, রামবরপ্পাডু, প্রসাদমপাডু, গুন্টুপল্লি, ইব্রাহিমপত্তনম, কোন্ডাপল্লি ও তিরুবুরু।[13]
কৃষ্ণা জেলার ৪টি রাজস্ব বিভাগের অধীনস্থ ৫০টি মণ্ডলের তালিকা নিচে দেওয়া হল:
# | মছলিপত্তনম বিভাগ | গুডিবাডা বিভাগ | বিজয়ওয়াড়া বিভাগ | নুজবিড বিভাগ |
---|---|---|---|---|
১ | অবনীগাড্ডা | গুডিবাডা | জি. কোন্ডুরু | এ. কোন্ডুরু |
২ | বান্টুমিল্লি | গুডলাবাল্লেরু | ইব্রাহিমপত্তনম | আগিরিপল্লি |
৩ | চিল্লাপল্লি | কাইকালুরু | জগগায়াপেটা | বাপুলাপাডু |
৪ | ঘণ্টাশালা | কালিডিন্ডি | কাঞ্চীকাচেরলা | চাতরাই |
৫ | গুডুরু | মন্ডবল্লি | কাঙ্কিপাডু | গামপালাগুডেম |
৬ | কোডুরু | মুডিনেপল্লি | মাইলাবরম | গন্নাবরম |
৭ | কৃতিবেন্নু | নন্ডিবাডা | নন্দীগম | মুসুনুরু |
৮ | মছলিপত্তনম | পামাররু | পেনামালুরু | নুজবিড |
৯ | মোপিদেবী | পেডাপারুপুডি | পেনুগাঞ্চিপ্রোলু | পামিডিমুক্কালা |
১০ | মোব্বা | উনগুটুরু | তোটলাবল্লুরু | রেড্ডিগুডেম |
১১ | নাগায়ালঙ্কা | বটসবই | তিরুবুরু | |
১২ | বীরুল্লাপাডু | বিজয়ওয়াড়া (গ্রামীণ) | বিসসান্নাপেটা | |
১৩ | পেডানা | বিজয়ওয়াড়া (শহরাঞ্চলীয়) | বুয়য়ুরু |
কৃষ্ণা জেলায় দুটি লোকসভা কেন্দ্র রয়েছে। এগুলি হল বিজয়ওয়াড়া ও মছলিপত্তনম লোকসভা কেন্দ্র। অন্ধ্রপ্রদেশ বিধানসভার ১৬টি কেন্দ্র এই জেলার অন্তর্ভুক্ত। এগুলি হল: তিরুবুরু (তফসিলি জাতি), নন্দীগম (তফসিলি জাতি), মাইলাবরম, জগগায়াপেটা, বিজয়ওয়াড়া পশ্চিম, বিজয়ওয়াড়া মধ্য, বিজয়ওয়াড়া পূর্ব, পেনামালুরু, নুজবিড, গন্নাবরম, পেডানা, গুডিবাডা, কাইকালুরু, মছলিপত্তনম, অবনীগাড্ডা ও পামাররু বিধানসভা কেন্দ্র (তফসিলি জাতি)।[14] এই জেলার প্রধান রাজনৈতিক দলগুলি হল তেলুগু দেশম পার্টি, ওয়াইএসআর কংগ্রেস, ভারতীয় জনতা পার্টি, লোক সত্তা পার্টি, ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি ও ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি (মার্ক্সবাদী)।
কৃষ্ণা জেলার সংস্কৃতি গ্রামীণ এলাকায় প্রধানত প্রথাগত এবং বিজয়ওয়াড়ায় অপেক্ষাকৃত আধুনিক প্রকৃতির। এই জেলা কুচিপুডি নামক ভারতীয় শাস্ত্রীয় নৃত্যের জন্মস্থান হিসেবে খ্যাত। কৃষ্ণা জেলায় তেলুগু ভাষার যে উপভাষাটি প্রচলিত, সেটিই প্রামাণ্য তেলুগু হিসেবে গণ্য হয়।[15]
কৃষ্ণা জেলার সর্বাধিক জনপ্রিয় খেলা হল কবাডি। এছাড়া ক্রিকেট, ভলিবল, ব্যাডমিন্টন, বাস্কেটবল ও টেনিসও জনপ্রিয়। বিজয়ওয়াড়ার ইন্দিরা গান্ধী মিউনিসিপ্যাল স্টেডিয়ামে ভারতের একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ম্যাচ আয়োজিত হয়ে থাকে। গুডিবাডার প্রধান ক্রীড়াঙ্গনটি হল এনটিআর স্টেডিয়াম। এটি অ্যাথলেটিকস, ভলিবল, ক্রিকেট অনুশীলন, খো খো, কবাডি, ব্যাডমিন্টন, টেনিস ও বাস্কেটবলের জন্য ব্যবহৃত হয়।[16]
গোলকুন্ডা এক্সপ্রেস এর প্রধান ট্রেন।
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.
Every time you click a link to Wikipedia, Wiktionary or Wikiquote in your browser's search results, it will show the modern Wikiwand interface.
Wikiwand extension is a five stars, simple, with minimum permission required to keep your browsing private, safe and transparent.