কুকি
ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী / From Wikipedia, the free encyclopedia
কুকি কোন একক নৃগোষ্ঠী নয়। প্রায় ৫০ টি জাতিগোষ্ঠীর সমন্বয়ে কুকি-চিন-মিজো জাতি গঠিত। এদের অধিকাংশ জাতিগোষ্ঠী মিয়ানমারের চিন রাজ্যে বসবাস করে। এদের বড় একটি নৃগোষ্ঠী ভারতের মিজোরাম রাজ্যে মিজো জাতি যারা বাংলাদেশে লুসাই নামে পরিচিত। এছাড়া বাংলাদেশে বসবাসরত বম, পাংখো, খুমি এই জাতিগোষ্ঠীর অন্তর্ভুক্ত। এই জাতিগোষ্ঠীর একটি অংশ মিয়ানমার ও ভারতে থাডো নামে পরিচিত।[2][3][4] এরা চীনা-তিব্বতী জাতিগোষ্ঠীর একটি ধারা যারা ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চল জুড়ে, মিয়ানমারের উত্তর-পশ্চিমাংশে এবং বাংলাদেশের পার্বত্য চট্টগ্রাম এলাকায় বিস্তৃত। উত্তর-পূর্ব ভারতের কেবল অরুণাচল প্রদেশ ব্যতীত সকল রাজ্যে তারা ছড়িয়ে রয়েছে। এই জনগোষ্ঠীর এভাবে আন্তর্জাতিক সীমানা ছাড়িয়ে ছড়িয়ে পড়ার মূল কারণ হচ্ছে ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক নীতি।[5] ভারতে কুকি জনগোষ্ঠীর প্রায় ৫০টি শাখা রয়েছে এবং এরা সেখান তফশিলি সম্প্রদায় হিসাবে চিহ্নিত।[6] কুকিদের এই স্বীকৃতি তাদের উচ্চারিত উপভাষা এবং অঞ্চলের উপর ভিত্তি করে নির্ণয় করা হয়েছে।
মোট জনসংখ্যা | |
---|---|
৮৩,৯৬৮ (২০১১) | |
উল্লেখযোগ্য জনসংখ্যার অঞ্চল | |
ভাষা | |
বিভিন্ন কুকি ভাষা | |
ধর্ম | |
খ্রিষ্টান, সর্বপ্রাণবাদী, বৌদ্ধ, ইহুদি, ইসলাম[1] | |
সংশ্লিষ্ট জনগোষ্ঠী | |
লুসাই, বম, পাংখো, খুমি, জো, থাডো, রেংমিটসা |
কুকি জাতিগোষ্ঠী ঘন জঙ্গল আচ্ছাদিত অঞ্চলে বসবাস করে। এটা কৃষি কাজ করে ও গৃহ পালিত পশু পালন করে।[7]