ইয়ারমুকের যুদ্ধ
৬৩৬ খ্রিষ্টাব্দে রাশিদুন খিলাফত ও বাইজেন্টাইন সাম্রাজ্যের মধ্যে সংঘটিত হয়। / From Wikipedia, the free encyclopedia
ইয়ারমুকের যুদ্ধ ৬৩৬ খ্রিষ্টাব্দে রাশিদুন খিলাফত ও বাইজেন্টাইন সাম্রাজ্যের মধ্যে সংঘটিত হয়। ৬৩৬ খ্রিষ্টাব্দের আগস্টে ইয়ারমুক নদীর তীরে ছয়দিনব্যপী এই যুদ্ধ সংঘটিত হয়। বর্তমানে এই নদী সিরিয়া, জর্ডান ও ইসরায়েলের মধ্য দিয়ে বয়ে গেছে এবং তা গ্যালিলি সাগরের পূর্বে অবস্থিত। এই যুদ্ধে মুসলিমদের বিজয়ের ফলে সিরিয়ায় বাইজেন্টাইন শাসনের অবসান ঘটে। সামরিক ইতিহাসে এই যুদ্ধ অন্যতম ফলাফল নির্ধারণকারী যুদ্ধ হিসেবে গণ্য হয়।[7][8] মুহাম্মদ (সা) এর মৃত্যুর পর এই যুদ্ধ জয় মুসলিম বিজয়ের প্রথম বৃহৎ বিজয় হিসেবে দেখা হয়। এর ফলে খ্রিষ্টান লেভান্টে ইসলাম দ্রুত বিস্তার লাভ করে।
ইয়ারমুকের যুদ্ধ | |||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
মূল যুদ্ধ: মুসলিমদের সিরিয়া বিজয় (আরব-বাইজেন্টাইন যুদ্ধ) | |||||||||
ইয়ারমুকের যুদ্ধক্ষেত্রের গিরিখাত, জর্ডানে প্রায় ৮ মাইল দূর থেকে তোলা ছবি। | |||||||||
| |||||||||
বিবাদমান পক্ষ | |||||||||
বাইজেন্টাইন সাম্রাজ্য, গাসানি রাজ্য | রাশিদুন খিলাফত | ||||||||
সেনাধিপতি ও নেতৃত্ব প্রদানকারী | |||||||||
হেরাক্লিয়াস থিওডোর ট্রাইথিরিয়াস †[1] ভাহান †g[›] জাবালা ইবনুল আইহাম দাইরজান † নিকেটাস দ্য পার্সিয়ান বুকিনেটর (কানাটির) গ্রেগরি[2] |
উমর ইবনুল খাত্তাব খালিদ বিন ওয়ালিদ আবু উবাইদা ইবনুল জাররাহ আমর ইবনুল আস খাওলা বিনতে আল-আজওয়ার শুরাহবিল ইবনে হাসানা ইয়াজিদ ইবনে আবি সুফিয়ান আল-কাকা ইবনে আমর আত-তামিমি আয়াজ বিন গানিম দিরার ইবনুল আজওয়ার আবদুর রহমান ইবনে আবি বকর.[3][4] | ||||||||
শক্তি | |||||||||
১৫,০০০–১,৫০,০০০ |
১৫,০০০–৪০,০০০ (প্রাথমিক সূত্র)e[›] | ||||||||
হতাহত ও ক্ষয়ক্ষতি | |||||||||
৪৫% বা ৫০,০০০+ নিহত (আধুনিক হিসাব)[5][6] ৭০,০০০–১,২০,০০০ নিহত (প্রাথমিক সূত্র)f[›] | ৩,০০০ নিহত[5] |
আরবদের অগ্রযাত্রা রোধ ও হৃত অঞ্চল পুনরুদ্ধারের জন্য সম্রাট হেরাক্লিয়াস ৬৩৬ খ্রিষ্টাব্দের মে মাসে লেভান্টে একটি বড় অভিযান প্রেরণ করেন। রোমান বাহিনী অগ্রসর হওয়ার পর আরবরা কৌশলগত কারণে সিরিয়া থেকে পিছু হটে এবং আরবের কাছাকাছি ইয়ারমুকের সমভূমিতে জমায়েত হয়। পুনরায় সংগঠিত হওয়ার পর মুসলিমরা সংখ্যাধিক বাইজেন্টাইন বাহিনীকে পরাজিত করে। এই যুদ্ধ সেনাপতি খালিদ বিন ওয়ালিদের (রা.) অন্যতম বৃহৎ সামরিক বিজয়। এর মাধ্যমে তিনি ইতিহাসে একজন শ্রেষ্ঠ রণকুশলী ও অশ্বারোহী কমান্ডার হিসেবে স্থান করে নিয়েছেন।[9]