Loading AI tools
উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
আরিক বোকে (মঙ্গোলীয়: Аригбөх) (আনু. ১২১৯-১২৬৬) (আরিগ এবং বুখা বা বুকা নামেও পরিচিত) ছিলেন তোলুই খানের কনিষ্ঠ পুত্র এবং চেঙ্গিস খানের নাতি। তার ভাই খাগান মংকের মৃত্যুর পর আরিক নিজেকে সাম্রাজ্যের খাগান দাবি করে সংক্ষিপ্তকাল ক্ষমতাসীন হন। এসময় তার ভাই কুবলাই খান ও হালাকু খান মঙ্গোলিয়ার বাইরে ছিলেন। ১২৬০ সালে কুবলাই ফিরে আসার পর দ্বন্দ্ব মেটেনি। ফলশ্রুতিতে গৃহযুদ্ধ দেখা দেয় এবং সাম্রাজ্যে ভাঙ্গন ধরে। সাম্রাজ্যের ঐতিহ্যপন্থিরা আরিক বোকেকে সমর্থন দেয়। অন্যদিকে কুবলাই খান উত্তর চীন ও মাঞ্চুরিয়ার শাসকদের সমর্থন পান।
আরিক বোকে | |||||
---|---|---|---|---|---|
মঙ্গোল সাম্রাজ্যের খাগান | |||||
রাজত্ব | ১১ আগস্ট ১২৫৯ – ২১ আগস্ট ১২৬৪ | ||||
পূর্বসূরি | মংকে খান | ||||
উত্তরসূরি | কুবলাই খান | ||||
জন্ম | আনুমানিক ১২১৯ | ||||
মৃত্যু | ১২৬৬ | ||||
| |||||
প্রাসাদ | বোরজিগিন | ||||
পিতা | তোলুই খান | ||||
মাতা | সোরগাগতানি বেকি | ||||
ধর্ম | তেংরিবাদ (১ম জীবন), ইসলাম(সুন্নি) (পরবর্তীকালে) |
আরিক বোকে ছিলেন তোলুই খানের কনিষ্ঠ পুত্র এবং চেঙ্গিস খানের নাতি। ১২২৭ সালে চেঙ্গিস খানের মৃত্যুর পর আরিকের চাচা ওগেদাই খান নেতৃত্ব লাভ করেন। আরিক তার চাচা ওগেদাই ও চাচাত ভাই গুয়ুক খানের নির্বাচনের সময় উপস্থিত ছিলেন। ১২৫০ সালে আরিকের বড় ভাই মংকে ক্ষমতাসীন হন। ফলে তাদের পরিবার আরো ক্ষমতাশালী হয়ে উঠে। আরিক খ্রিস্টধর্মের প্রতি সহানুভূতিশীল ছিলেন বলে জানা যায়। নবম লুইয়ের দূত উইলিয়ামের বিবরণে এমন তথ্য পাওয়া যায়।
ওগেদাই খানের মৃত্যুর পর তার ছেলে গুয়ুক খান ১২৪৬ সালে খাগান হন। এর দুই বছর পর গুয়ুক মারা যান। এরপর ওগেদাইয়ের ভাই তোলুইয়ের ছেলেরা ক্ষমতালাভ করেন। প্রথমে তোলুইয়ের ছেলে মংকে খাগান হন। তিনি তার ভাই কুবলাই খানের সাথে দক্ষিণ চীন এবং দক্ষিণ সং রাজবংশ জয় করেছিলেন। তাদের ভাই হালাকু পশ্চিম দিকে মঙ্গোলদের নেতৃত্ব দেন। তিনি বাগদাদ জয় করে সিরিয়ার মধ্য দিয়ে ফিলিস্তিনে অগ্রসর হন। এসময় আরিক বোকে মঙ্গোলিয়ায় সব কর্মকাণ্ড তদারক করতেন।
১২৫৯ সালে মংকের মৃত্যুর পর আরিক বোকে তার ভাইদের অনুপস্থিতিতে খান নির্বাচিত হন। উপস্থিত মন্ত্রী, মংকে খানের পরিবারসহ পরিবারের ক্ষমতাবান সদস্যরা সবাই এসময় তাকে সমর্থন দেয়। এদিকে মংকে খানের মৃত্যুর খবর পাওয়ার পর কুবলাই ও হালাকু উভয়ে স্বদেশে ফিরে আসেন। ১২৬০ সালের মে মাসে কুবলাই তার সমর্থকদের সমর্থনে খান হন। ফলে সাম্রাজ্যের নেতৃত্ব নিয়ে দুই ভাইয়ের মধ্যে গৃহযুদ্ধ দেখা দেয়। উদাহরণস্বরূপ, চাগাতাই খানাতের নতুন নেতৃত্বের প্রয়োজনীয়তা দেখা দিলে কুবলাই তার অনুগত আবিশকাকে প্রেরণ করার চেষ্টা করেন। কিন্তু আরিক আবিশকাকে গ্রেপ্তার করে হত্যা করেন এবং নিজ মিত্র আলগুকে তার স্থানে প্রেরণ করেন। হালাকু খান এবং গোল্ডেন হোর্ডের বারকা খান উভয়ের কাছ থেকে নিজ অঞ্চল রক্ষা করার জন্য আলগুকে নির্দেশ দেয়া হয়। কিন্তু আলগু আরিকের পক্ষ ত্যাগ করেন। আলগু ও আরিক বোকে শীঘ্রই সরাসরি সংঘর্ষে লিপ্ত হন। প্রথম লড়াইয়ে আলগু জয়ী হলেও দ্বিতীয় লড়াইয়ে আরিক বিজয়ী হন। আলগু পশ্চিমে পালিয়ে যান।
আরিক ও কুবলাইয়ের মধ্যে যুদ্ধ চলার এক পর্যায়ে আরিকের পক্ষ দুর্বল হয়ে পড়ে। কুবলাই খানের কাছে শক্তিশালী মঙ্গোল অশ্বারোহী বাহিনী, তুর্ক সেনাদল এবং চীনা ও গোরিয়ো পদাতিক বাহিনী ছিল। কুবলাই খানের সমর্থক ও ওগেদাইয়ের ছেলে কাদানের হাতে সেনাপতি আলান্দারের নেতৃত্বাধীন আরিক বোকের বাহিনী পরাজিত হয় এবং আরিক বোকে দুইবার রাজধানীর নিয়ন্ত্রণ হারান। খাদ্য সরবরাহ বন্ধের জন্য কুবলাই খান উত্তর চীন থেকে মঙ্গোলিয়াগামী সকল ব্যবসা বন্ধ করে দেন। আরিক ১২৬৩ সালে কুবলাই খানের কাছে আত্মসমর্পণ করেন। আরিক বোকেকে বন্দী করা হয়। কয়েক বছর পর তিনি মারা যান। গুজব ছিল যে তাকে গোপনে বিষপ্রয়োগ করে মেরে ফেলা হয়েছে।[2]
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.
Every time you click a link to Wikipedia, Wiktionary or Wikiquote in your browser's search results, it will show the modern Wikiwand interface.
Wikiwand extension is a five stars, simple, with minimum permission required to keep your browsing private, safe and transparent.