আফগান সেনাবাহিনী
From Wikipedia, the free encyclopedia
আফগানিস্তান ইসলামি আমিরাতের সেনাবাহিনী বা আফগান আর্মি হল আফগানিস্তান ইসলামি আমিরাতের সশস্ত্রবাহিনীর প্রধান শাখা। ১৮ শতকের শুরুর দিকে আফগানিস্তানের কান্দাহারে যখন হুতাক রাজবংশ প্রতিষ্ঠিত হয়, তখন থেকেই সেখানে একটি স্বতন্ত্র সেনাবাহিনীর অস্তিত্ব পাওয়া যায়। আহমদ শাহ দুররানির ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হওয়ার পর তা শক্তিশালী আকার ধারণ করে এবং ১৮৮০ সালে আমির আবদুর রহমান খানের শাসনামলে এটি পুনর্গঠিত হয়।[1] প্রথম ও দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় আফগানিস্তান নিরপেক্ষ ছিল। ১৯৬০ থেকে ১৯৯০ এর দশকের গোড়ার দিকে আফগান সেনাবাহিনী সোভিয়েতের আওতায় সজ্জিত ছিল।[2] ১৯৯২ সালে তৎকালীন রাষ্ট্রপতি নাজিবুল্লাহর পদত্যাগের পর সেনাবাহিনী কার্যত বিলুপ্ত হয়ে যায়। ১৯৯৬ সালে তালেবান সরকার কেন্দ্রীয় ক্ষমতা গ্রহণ করে নিজেদের যোদ্ধাদের যোগ করে সেনাবাহিনীকে পুনর্গঠিত করে, যা ২০০১ সাল পর্যন্ত স্থায়ী ছিল।
আফগান সেনাবাহিনী | |
---|---|
د افغانستان د اسلامي امارت اردو | |
প্রতিষ্ঠা | ১৭২২ সাল |
দেশ | আফগানিস্তান |
ধরন | সেনাবাহিনী |
ভূমিকা | স্থলযুদ্ধ |
আকার | ১,০০,০০০+ |
ডাকনাম | আফগান আর্মি, আফগান সেনাবাহিনী |
যুদ্ধসমূহ | |
কমান্ডার | |
আনুষ্ঠানিক প্রধান | ক্বারী ফসিহউদ্দিন (২০২১–বর্তমান) |
২০০১ সালে আমেরিকা আফগানিস্তান দখল করে আফগান সেনাবাহিনীকে নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে তালেবান বিরোধী অভিযান অব্যাহত রাখে। ২০১৬ সাল নাগাদ আফগানিস্তানের বেশিরভাগ অংশ মার্কিন পন্থি সরকারের নিয়ন্ত্রণে চলে আসে। [3] তবে পরবর্তী কয়েক বছরে সরকার ধীরে ধীরে তালেবানের কাছে বড় বড় অঞ্চল হারাতে শুরু করে এবং ২০২১ সালে শেষ পর্যন্ত তালবান কাবুল দখল করে নেয়।[4][5][6] সাবেক রাষ্ট্রপতি আশরাফ ঘানির পলায়ন করার পর মার্কিন মদদপুষ্ট অবশিষ্ট আফগান সৈন্যরা পদত্যাগ করে অথবা তালেবানের কাছে আত্মসমর্পণ করে।[7] তবে কিছু সৈন্য পাঞ্জশির উপত্যকায় আফগানিস্তানের তালেবান-বিরোধী ন্যাশনাল রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্টে যোগ দিয়েছে বলে জানা যায়। [8]
২০২১ সালে তালেবান কেন্দ্রীয় ক্ষমতা গ্রহণ করার পর সাবেক আফগান সৈন্য ও তালেবান যোদ্ধাদের সমন্বয়ে একটি শক্তিশালী সেনাবাহিনী গঠনে উদ্যোগী হয়। সাবেক প্রভাবশালী তালেবান যোদ্ধা ও কমান্ডার ক্বারী ফসিহ উদ্দীন হলেন বর্তমান আফগান আর্মির চিফ ইন স্টাফ।