![cover image](https://wikiwandv2-19431.kxcdn.com/_next/image?url=https://upload.wikimedia.org/wikipedia/commons/thumb/e/e0/Nagasakibomb.jpg/640px-Nagasakibomb.jpg&w=640&q=50)
অ্যাক্টিনাইড
From Wikipedia, the free encyclopedia
অ্যাক্টিনাইড (IUPAC nomenclature) হল ১৫টি মৌলিক পদার্থের সমন্বয়ে গঠিত পর্যায় সারণির একটি বিশেষ শ্রেণী। ৮৯ থেকে ১০৩ পারমাণবিক সংখ্যা বিশিষ্ট মৌলগুলো এই শ্রেণীর অন্তর্ভুক্ত। অ্যাক্টিনিয়াম থেকে লরেনসিয়াম পর্যন্ত মৌলগুলোকে অ্যাক্টিনাইড মৌল বলা হয়।[2][3][4][5]
![Thumb image](http://upload.wikimedia.org/wikipedia/commons/thumb/8/80/Isotopes_and_half-life.svg/320px-Isotopes_and_half-life.svg.png)
![Thumb image](http://upload.wikimedia.org/wikipedia/commons/thumb/e/e0/Nagasakibomb.jpg/640px-Nagasakibomb.jpg)
গ্রুপ ৩ মৌল অ্যাক্টিনিয়াম থেকে এই শ্রেণীর নাম দেয়া হয়েছে অ্যাক্টিনাইড। একটি বাদে এই শ্রেণীর সবগুলো মৌল এফ-ব্লকের অন্তভুক্ত। লরেনসিয়াম মৌলটি ডি-ব্লকের অন্তর্ভুক্ত হলেও এটি অ্যক্টিনাইড শ্রেণীর মৌল।
89 Ac |
90 Th |
91 Pa |
92 U |
93 Np |
94 Pu |
95 Am |
96 Cm |
97 Bk |
98 Cf |
99 Es |
100 Fm |
101 Md |
102 No |
103 Lr |
অ্যাক্টিনাইডসমূহের মধ্যে আদি মৌল থোরিয়াম এবং ইউরেনিয়াম প্রকৃতিতে যথেষ্ট পরিমাণ পাওয়া যায় এবং প্লুটোনিয়াম প্রকৃতির বেশ কিছু জায়গায় পাওয়া গিয়েছে। ইউরেনিয়ামের তেজষ্ক্রিয় ক্ষয়ের মাধ্যমে অল্প পরিমাণ অস্থায়ী অ্যাক্টিনিয়াম এবং প্রোটেক্টিনিয়াম তৈরী হয়। ইউরেনিয়ামের পরবর্তনের মাধ্যমে কখনো কখনো নেপচুনিয়াম, অ্যামেরিসিয়াম, কুরিয়াম, বার্কেলিয়াম এবং ক্যালিফোর্নিয়াম অণুর সৃষ্টি হয়। অন্যান্য অ্যাক্টিনাইড মৌলগুলো বিশুদ্ধ সিনথেটিক উপাদান। [2][6] পারমাণবিক অস্ত্র পরীক্ষার সময় প্লুটোনিয়ামের তুলনায় ভারী অন্তত ছয়টি অ্যাক্টিনাইড পরিবেশে ছড়িয়ে পড়েছে। ১৯৫২ সালের হাইড্রোজেন বোমার বিষ্ফোরনের মাধ্যমে সৃষ্ট ধ্বংসাবশেষ পরীক্ষা করে অ্যামেরিসিয়াম, কুরিয়াম, বার্কেলিয়াম, ক্যালিফোর্নিয়াম, আইনস্টাইনিয়াম এবং ফার্মিয়াম এর অস্তিত্ব পাওয়া গিয়েছে। [7]
সকল অ্যাক্টিনাইডসমূহ তেজস্ক্রিয় এবং মৌলগুলো তেজষ্ক্রিয় ক্ষয়ের মাধ্যমে শক্তি বিকিরণ করে। অ্যাক্টিনাইডসমূহের মধ্যে প্রকৃতিতে প্রাপ্ত ইউরেনিয়াম এবং থোরিয়াম, এবং কৃত্রিমভাবে তৈরী প্লুটোনিয়াম পৃথিবীতে সর্বাধিক পরিমাণে পাওয়া যায়। এই মৌলগুলো পারমাণবিক চুল্লী এবং পারমাণবিক অস্ত্র তৈরীতে ব্যবহার করা হয়। ইউরেনিয়াম এবং থোরিয়াম বহুদিন আগে থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত বিভিন্ন ধরনের কাজে ব্যবহৃত হয়ে আসছে অ্যামেরিসিয়াম মৌলসমূহ সম্প্রতি আধুনিক স্মোক ডিকেকটরের আয়োনাইজেশন চেম্বারে ব্যবহার করা হচ্ছে।