অখিল ভারতীয় গোর্খা লিগ
From Wikipedia, the free encyclopedia
অখিল ভারতীয় গোর্খা লীগ (এবিজিএল) (নেপালি: अखिल भारतीय गोर्खा लीग; অপর নাম অল ইন্ডিয়া গোর্খা লীগ বা এআইজিএল/আইজিএল) হল ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের দার্জিলিং ও কালিম্পং জেলার নেপালি-ভাষী জনগোষ্ঠীর মধ্যে কর্মরত একটি রাজনৈতিক দল। ১৯৪৩ সালে ডম্বর সিং গুরুং এই দলটি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। এই দলের বর্তমান সভানেত্রী হলেন ভারতী তামাং। তিনি দলের প্রাক্তন সভাপতি মদন তামাং-এর বিধবা পত্নী। প্রতাপ ছেত্রী হলেন এই দলের সাধারণ সম্পাদক।
অখিল ভারতীয় গোর্খা লীগ अखिल भारतीय गोर्खा लीग | |
---|---|
চেয়ারপার্সন | ভারতী তামাং ও কৃষ্ণা ছেত্রী |
প্রতিষ্ঠা | ২০ মে, ১৯৪৩ |
সদর দপ্তর | মহাবীর বিল্ডিং, লাদেনলা রোড, দার্জিলিং - ৭৩৪১০১ |
ভারতের রাজনীতি রাজনৈতিক দল নির্বাচন |
১৯৯৯ সালের দার্জিলিং গোর্খা পার্বত্য পরিষদ নির্বাচনের আগে অখিল ভারতীয় গোর্খা লীগ ছিল যুক্তফ্রন্টের সদস্য। কমিউনিস্ট পার্টি অফ রেভোলিউশনারি মার্ক্সিস্টস (সিপিআরএম), অখিল ভারতীয় গোর্খা লীগ, ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস, ভারতীয় গোর্খা জনশক্তি, ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি, সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেস, ভারতীয় নেপালি বীর গোর্খা ও সিক্কিম রাষ্ট্রীয় মুক্তি মোর্চা নিয়ে এই জোট তৈরি হয়েছিল।
পরে এবিজিএল সিপিআরএম নেতৃত্বাধীন পিপল’স ডেমোক্র্যাটিক ফ্রন্ট (পিডিএফ) নামে একটি ছয়-দলীয় জোটে যোগদান করে। এই জোটের অন্যান্য দলগুলি ছিল ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস (পার্বত্য), গোর্খা ন্যাশানাল লিবারেশন ফ্রন্ট (সি. কে. প্রধান), ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) ও গোর্খা ডেমোক্র্যাটিক ফ্রন্ট। শেষোক্ত দলটি এবিজিএল-এ ফিরে আসার আগে মদন তামাং গঠন করেছিলেন। পিডিএফ গোর্খা স্বায়ত্ত্বশাসনের পক্ষে সওয়াল করলেও সুভাষ ঘিসিং-এর নেতৃত্বাধীন গোর্খা ন্যাশানাল লিবারেশন ফ্রন্টের (জিএনএলএফ) বিরোধিতা করেছিল।[1]
বর্তমানে এবিজিএল ডেমোক্র্যাটিক ফ্রন্ট নামে একটি জোটের সদস্য দল। এই জোটের অন্যান্য সদস্যেরা হল সিপিআরএম, বিজেপি ও অন্যান্য কয়েকটি দল। এবিজিএল গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার (জিজেএম) বিরোধী এবং দার্জিলিং পার্বত্য অঞ্চলে শান্তিপূর্ণ গণতান্ত্রিক পরিবেশ সৃষ্টির পক্ষপাতী। এবিজিএল গোর্খাল্যান্ড নামে পূর্ণাঙ্গ রাজ্য গঠনের পরিবর্তে দার্জিলিং-এ অন্তর্বর্তী কর্তৃপক্ষ গঠনের বিরোধিতা করেছিল।
২০১০ সালের ২১ মে এবিজিএল-এর সভাপতি দার্জিলিং শহরে ছুরিকাঘাতে নিহত হন। এবিজিএল নেতৃত্ব জিজেএম সমর্থকদের মদন তামাং-এর হত্যাকারী বলে অভিযোগ করেন। এর ফলে তদনীন্তন দার্জিলিং জেলার সদর মহকুমা, কালিম্পং মহকুমা ও কার্শিয়াং মহকুমা (অধুনা কালিম্পং জেলা) মুহুর্মুহু অবরুদ্ধ হতে থাকে ও জনজীবন বিপর্যস্ত হয়।[2][3] এরপরই মদন তামাং-এর পত্নী ভারতী তামাং-কে এবিজিএল-এর সভানেত্রী নির্বাচিত করা হয়।[4]
২০১১ সালের ১৮ এপ্রিল দার্জিলিং পার্বত্য অঞ্চলের তিনটি বিধানসভা কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে। ভারতী তামাং দার্জিলিং, ত্রিভুবন রাই কালিম্পং ও শিবকুমার প্রধান কার্শিয়াং বিধানসভা কেন্দ্র থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন। কিন্তু তারা প্রত্যেকেই পরাজিত হন।[5]