Loading AI tools
উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
সৎবন্ত সিংহ দেওল (১৯৬২ – ৬ জানুয়ারী ১৯৮৯) ছিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর দেহরক্ষী। ১৯৮৪ সালের ৩১ অক্টোবর সৎবন্ত ও অপর দেহরক্ষী বিয়ন্ত সিংহ শ্রীমতী গান্ধীকে তার বাসভবনে হত্যা করেন।
অপারেশন ব্লু স্টার চলাকালীন অমৃতসরের স্বর্ণমন্দিরে আশ্রয় নেওয়া বিচ্ছিন্নতাবাদী জঙ্গিদের বিরুদ্ধে সেনা অভিযানের প্রতিশোধকল্পেই ইন্দিরা গান্ধী হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়। সৎবন্ত ও বিয়ন্ত একত্রে শ্রীমতী গান্ধীর বুকে ও পেট লক্ষ্য করে তেত্রিশবার গুলি চালায়। বিয়ন্ত সিংহ সর্বাগ্রে একটি এ. ৩৮ রিভলবার বার করে শ্রীমতী গান্ধীর পেটে তিনটি গুলি চালান। তিনি মাটিতে পড়ে গেলে সৎবন্ত নিজের স্টেন স্বয়ংক্রিয় অস্ত্রটির সাহায্যে তার দেহে ত্রিশ রাউন্ড গুলি চালান।[1][2]
হত্যাকাণ্ডের অব্যবহিত পরেই অন্যান্য দেহরক্ষীদের গুলি চালনায় বিয়ন্ত নিহত হন। সৎবন্ত আত্মসমর্পণ করেন। তাকে গ্রেফতার করা হয় এবং পরে তিনি ও অপর ষড়যন্ত্রকারী কেহার সিং মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত হন। দণ্ডাদেশ কার্যকর হয় ১৯৮৯ সালের ৬ জানুয়ারি। সৎবন্তই ছিলেন শেষ ব্যক্তি যাঁকে দিল্লির তিহার জেলে ফাঁসি দেওয়া হয়।[3][4]
সৎবন্ত সিংহের জন্ম পাঞ্জাবের গুরদাসপুর জেলার আগোয়ান গ্রামে। তার পিতা তারলোক সিংহ ছিলেন একজন কৃষক। ১৯৮৮ সালের ২ মে বীরসা সিংহের কন্যা সুরিন্দর কৌরের সঙ্গে সৎবন্তের বিবাহ হয়। এই সময় তিনি জেলে ছিলেন। [5] তার বাগদত্তা তার অবর্তমানে একটি আনন্দ কারজে তার ছবিকে বিবাহ করেন।
২০০৮ সালের ৬ জানুয়ারি, অমৃতসরে অবস্থিত শিখদের সর্বোচ্চ ধর্মীয় সংস্থা অকালতখত সৎবন্ত সিংহ ও ইন্দিরা গান্ধীর অন্যান্য হত্যাকারীদের শিখধর্মের শহিদ বলে ঘোষণা করেন।[6][7][8][9]
ইন্দিরা হত্যাকাণ্ড সৎবন্ত সিংহের নিকটাত্মীয়দের পাদপ্রদীপের আলোয় নিয়ে আসে।[10] ফলে পাঞ্জাব থেকে দুটি লোকসভা নির্বাচনে তারা জয়লাভ করে।[11]
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.
Every time you click a link to Wikipedia, Wiktionary or Wikiquote in your browser's search results, it will show the modern Wikiwand interface.
Wikiwand extension is a five stars, simple, with minimum permission required to keep your browsing private, safe and transparent.