Loading AI tools
গোলাকৃতির বস্তু যা দিয়ে ফুটবল খেলা হয় উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
ফুটবল, সকার বল, ফুটবল বল বা অ্যসোসিয়েশন ফুটবল হ'ল এক বিশেষ প্রকার বল যা অ্যসোসিয়েশন ফুটবলে ব্যবহৃত হয়। ফুটবল, সকার বল, ফুটবল বল বা অ্যসোসিয়েশন ফুটবল প্রভৃতি খেলাটিকে যে নামে ডাকা হয় সেই অনুসারে বলের নাম পৃথক পৃথক হয়। গোলক আকৃতির বলের আকার, ওজন এবং উপাদান নিয়ে আন্তর্জাতিক ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন বোর্ড কর্তৃক পরিচালিত খেলার আইনের অন্তর্গত আইন ২ দ্বারা নির্দিষ্ট করা হয়েছে। অতিরিক্ত আরও কঠোর মান ফিফা এবং তাদের অধস্তন প্রশাসনিক সংস্থা দ্বারা অনুমোদিত প্রতিযোগিতায় ব্যবহৃত বলের জন্য নির্দিষ্ট করা হয়েছে।
প্রারম্ভিকভাবে ফুটবল পশুর ব্লাডার বা পাকস্থলী দিয়ে শুরু করা হয়েছিল যা লাথি মারলে সহজেই ছিটকে যেত। ১৯ শতকে রাবার এবং চার্লস গুডইয়ার দ্বারা ভ্যালকানাইজেশন আবিষ্কারের মাধ্যমে আরও উন্নতি সম্ভব হয়েছিল। আধুনিক ৩২-প্যানেল বলের নকশা ১৯৬২ সালে আইগিল নীলসেন বিকাশ করে ছিলেন এবং প্রযুক্তিগত গবেষণায় উন্নত কর্মক্ষমতার সাথে ফুটবল বিকাশের জন্য তা আজও অব্যাহত রয়েছে। ৩২-প্যানেল বলের নকশার স্থলে শীঘ্রই ২৪-প্যানেল বলের পাশাপাশি ৪২-প্যানেল বল উঠে আসে এবং উভয়ই ২০০৭ সালে আগের তুলনায় কর্মক্ষমতায় আরও উন্নতি করে।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন]
অ্যাডিডাস টেলস্টার এর কালো-সাদা প্যাটার্নযুক্ত গোলকাকার চ্ছেদযুক্ত আইকোসাহেড্রন নকশা সর্বাধিক পরিচিতি পেয়েছে এবং এই খেলায় আইকনে পরিণত হয়েছে।[1] এখন নানান চেহারা এবং গঠন বৈচিত্র্যে বিভিন্ন নকসার বল রয়েছে দেখা যায়। [2]
১৮৬৩ সালে প্রথম ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন কর্তৃক বলের জন্য নির্ধারিত বৈশিষ্ট্যসমূহ লিপিবদ্ধ করা হয়েছিল। এর আগে প্রাণীর স্ফীত ব্লাডার দিয়ে ফুটবল তৈরি করা হত। পরে চামড়ার আচ্ছাদন দিয়ে ফুটবলের আকার বজায় রাখার চেষ্টা করা হত। [3] ১৮৭২ সালে স্পেসিফিকেশনগুলি পুনরায় সংশোধন করা হয়েছিল এবং সেই নিয়মগুলি মূলত অপরিবর্তিত রেখে ইন্টারন্যাশনাল ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন বোর্ড দ্বারা সংজ্ঞায়িত করা হয়। এই নিয়ম কার্যকর হওয়ার পর থেকে সেই উপাদানগুলি দিয়ে ফুটবল তৈরী হতে থাকায় তাদের বিভিন্নতা লোপ পায়।
সময়ের সাথে সাথে ফুটবল একটি নাটকীয় পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে গিয়েছে। মধ্যযুগীয় সময়ে বাইরে চামড়ার শেলের ভেতর সাধারণত কর্ক শেভিংয় ভরে বল তৈরি করা হত।[4] বল তৈরির আর একটি পদ্ধতি হ'ল বলের অভ্যন্তরের জন্য পশুর ব্লাডার ব্যবহার করা হত যাতে এটি স্ফীত থাকে। তবে ফুটবল তৈরির এই দুটি পদ্ধতিতেই বলটি সহজে ফুটো হয়ে যেত ব'লে তা লাথি মারার পক্ষে অযোগ্য ছিল। ১৯ শতাব্দীর আগে পর্যন্ত ফুটবল বিকশিত হতে হতে অবশেষে আজকের মতো দেখতে রূপ লাভ করে।
চার্লস গুডইয়ার ১৮৩৮ সালে ভ্যালকানাইজড রাবার প্রবর্তন করেছিলেন যাতে নাটকীয়ভাবে ফুটবল তৈরিতে উন্নতি হয়।[5] ভ্যালকানাইজেশন হ'ল এমন একটি পদ্ধতি যাতে রাবারের শক্তি, স্থিতিস্থাপকতা এবং দ্রাবকে প্রতিরোধ করার মতো নির্দিষ্ট গুণাবলী প্রদান করা হয়। রাবারের ভ্যালকানাইজেশন ফুটবলকে মাঝারি তাপ এবং শীতলতা প্রতিরোধ করতে সহায়তা করে। ভলকানাইজেশন স্ফীতিযোগ্য ব্লাডার উৎপাদনে সহায়তা করায় তার দ্বারা ফুটবলের বাইরের প্যানেল-বিন্যাসকে চাপ দেওয়ার ব্যবস্থা সম্ভবপর হয়। চার্লস গুডিয়ারের উদ্ভাবন বলের বাউন্স ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে এবং তাতে লাথি মারাকে আরও সহজ করে তোলে। এই সময়ের বেশিরভাগ বল হত ট্যান করা চামড়া দিয়ে। সেটি হত আঠেরোটি টুকরো অংশের একসাথে সেলাই করা বল। প্রতিটিতে তিন স্ট্রিপের এক একটি প্যানেল দিয়ে মোট ছয়টি প্যানেল সাজিয়ে সেগুলি তৈরি হত।[6][7]
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.
Every time you click a link to Wikipedia, Wiktionary or Wikiquote in your browser's search results, it will show the modern Wikiwand interface.
Wikiwand extension is a five stars, simple, with minimum permission required to keep your browsing private, safe and transparent.