নিউ জলপাইগুড়ি জংশন রেলওয়ে স্টেশন
পশ্চিমবঙ্গের রেলওয়ে জংশন স্টেশন উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
পশ্চিমবঙ্গের রেলওয়ে জংশন স্টেশন উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
নিউ জলপাইগুড়ি জংশন রেলওয়ে স্টেশন বা এনজেপি (স্টেশন কোড: NJP) ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের তৃতীয় বৃহত্তম রেলওয়ে স্টেশন, যা উত্তরবঙ্গের বৃহত্তম মহানগর শিলিগুড়িকে রেল পরিষেবা প্রদান করে। রেলওয়ে স্টেশন হিসাবে নিউ জলপাইগুড়ি জংশন নেপাল, সিকিম, ভুটান, বাংলাদেশ এবং উত্তর-পূর্বের সাতটি রাজ্যের (আসাম, অরুণাচল প্রদেশ, নাগাল্যান্ড, মণিপুর, মিজোরাম, ত্রিপুরা এবং মেঘালয়) প্রবেশপথ হিসাবে কাজ করে। রেলওয়ে স্টেশনটি উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেল অঞ্চলের সবচেয়ে ব্যস্ততম রেলওয়ে জংশন, যা উত্তর-পূর্ব রাজ্যগুলির জীবনরেখা হিসাবে কাজ করে। এনজেপি উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলিকে ভারতের মূলভূখণ্ডের সঙ্গে সংযোগ রক্ষা করে।
নিউ জলপাইগুড়ি জংশন | |
---|---|
এক্সপ্রেস ও যাত্রীবাহী ট্রেন স্টেশন | |
অন্যান্য নাম | এনজেপি |
অবস্থান | নিউ জলপাইগুড়ি রোড, ভক্তিনগর, শিলিগুড়ি - ৭৩৪০০৪, জলপাইগুড়ি জেলা, পশ্চিমবঙ্গ ভারত |
স্থানাঙ্ক | ২৬°৪০′৫৭″ উত্তর ৮৮°২৬′৩৮″ পূর্ব |
উচ্চতা | ১১৪.০০ মিটার (৩৭৪.০২ ফু) |
মালিকানাধীন | ভারতীয় রেল |
পরিচালিত | উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেল |
লাইন | দার্জিলিং হিমালয়ান রেল, হাওড়া–নিউ জলপাইগুড়ি রেলপথ, হলদিবাড়ি–নিউ জলপাইগুড়ি রেলপথ, নিউ জলপাইগুড়ি-আলিপুরদুয়ার-শামুকতলা রোড লাইন বারাউনি-গুয়াহাটি রেলপথ |
প্ল্যাটফর্ম | ৯ |
সংযোগসমূহ | অটোরিকশা, বাস, ট্যাক্সি, ক্যাব |
নির্মাণ | |
গঠনের ধরন | মানসম্মত (স্থল পৃষ্ঠে অবস্থিত) |
পার্কিং | হ্যাঁ |
প্রতিবন্ধী প্রবেশাধিকার | হ্যাঁ[1] |
অন্য তথ্য | |
অবস্থা | পরিচালনাগত |
স্টেশন কোড | NJP |
অঞ্চল | উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেল |
বিভাগ | কাটিহার |
ইতিহাস | |
চালু | ১৯৬০[2] |
বন্ধ হয় | না |
বৈদ্যুতীকরণ | হ্যাঁ[3] |
অবস্থান | |
১৯৪৭ সালের বঙ্গভঙ্গের ফলে পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণের জেলাগুলির সাথে উত্তরবঙ্গ ও আসামের যোগাযোগের সংযোগ সম্পূর্ণভাবে বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। এর আগে, সংযোগগুলি পূর্ব বাংলার অংশে ছিল, যা ১৯৪৭ সালের ১৪ আগস্ট থেকে পাকিস্তানের অংশ হয়ে ওঠে। উত্তরবঙ্গ, সিকিম, ভুটান ও আসামের প্রবেশদ্বার হিসাবে শিলিগুড়ি গুরুত্ব পেয়েছিল।[2]
১৯৪৯ সালের আশেপাশে বিভিন্ন মিটার-গেজ রেলপথ একত্রিত হয়ে পুরনো শিলিগুড়ি টাউনের উত্তরে শিলিগুড়ি জংশনের আবির্ভাব ঘটেছিল। এছাড়া ন্যারো-গেজ দার্জিলিং হিমালয়ান রেল শিলিগুড়ি টাউন থেকে শিলিগুড়ি জংশন হয়ে দার্জিলিং যেত। ১৯৫০ সালে সম্পূর্ণ হওয়া আসাম রেল লিঙ্ক প্রজেক্টের দ্বারা আসাম ও কিশানগঞ্জের মধ্যে মিটার-গেজ রেলপথ তৈরি হয়েছিল। রেলপথটি উত্তরবঙ্গের তিস্তা, তোর্ষা ও সংকোশ নদীর উপর দিয়ে যেত।[2][4]
১৯৬০-এর দশকের শুরুতে ভারতীয় রেল বিভিন্ন রেলপথকে মিটার গেজ থেকে ব্রড গেজে রূপান্তরিত করছিল এবং শিলিগুড়ি টিউনের দক্ষিণে নতুন ব্রড গেজ স্টেশন তৈরি করেছিল। যেহেতু স্টেশনটি জলপাইগুড়ি জেলায় অবস্থিত, তাই তার নাম নিউ জলপাইগুড়ি রাখা হয়েছিল। ১৯৬৪ সালে নিউ জলপাইগুড়ি ঐ এলাকার সবচেয়ে গুরত্বপূর্ণ রেলওয়ে স্টেশনে পরিণত হয়েছিল। দার্জিলিং হিমালয়ান রেলপথকে শিলিগুড়ি টাউন থেকে নিউ জলপাইগুড়িতে প্রসারিত করা হয়েছিল।[2]
ভারতের নিউ জলপাইগুড়ি ও বাংলাদেশের ঢাকা ক্যান্টনমেন্টের মধ্যে মিতালী এক্সপ্রেস নামক আন্তর্জাতিক রেল পরিষেবা বর্তমান।[5] এটি প্রতি সপ্তাহে ভারতের নিউ জলপাইগুড়ি ও বাংলাদেশের ঢাকা ক্যান্টনমেন্টের মধ্যে চলাচল করে।[6]
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.
Every time you click a link to Wikipedia, Wiktionary or Wikiquote in your browser's search results, it will show the modern Wikiwand interface.
Wikiwand extension is a five stars, simple, with minimum permission required to keep your browsing private, safe and transparent.