Loading AI tools
যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদভিত্তিক সাপ্তাহিক পত্রিকা উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
টাইম (ইংরেজি: TIME) মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদভিত্তিক বহুল প্রচারিত সাময়িকীবিশেষ। সচরাচর নামটি ইংরেজি বড় অক্ষরে হয়ে থাকে। এটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে প্রতি সপ্তাহে মুদ্রণাকারে প্রকাশিত হয়। মূলতঃ রাজনীতি এবং সমসাময়িক ঘটনাপ্রবাহকে ঘিরে এতে নিবন্ধ অন্তর্ভুক্ত হয়। এছাড়াও টাইম ফর কিড শিরোনামে শিশুদের উপযোগী সাময়িকী প্রকাশ করা হয়ে থাকে যাতে লম্বা আট পৃষ্ঠায় অধিক সংখ্যায় চিত্র ও ক্ষুদ্রাকৃতির নিবন্ধ রয়েছে। প্রচারসংখ্যার দিক থেকে বিশ্বের সর্ববৃহৎ সাপ্তাহিক হিসেবে বিবেচিত টাইমের পাঠকসংখ্যা ২৫ মিলিয়ন; তন্মধ্যে ২০ মিলিয়নই মার্কিনী।
১৯২৩ সাল থেকে নিয়মিতভাবে টাইম প্রকাশিত হচ্ছে। হেনরি লুসের পরিচালনায় কয়েক দশক ধরে একচ্ছত্র মুনাফা লাভ করেছে। ইউরোপীয় সংস্করণ টাইম ইউরোপ (সাবেক - টাইম আটলান্টিক) লন্ডন থেকে প্রকাশিত হয়ে মধ্যপ্রাচ্য, আফ্রিকা এবং ২০০৩ সালে লাতিন আমেরিকার দেশগুলোতে বিতরণ করছে। এশীয় সংস্করণ হিসেবে হংকং থেকে ’টাইম এশিয়া’ প্রকাশিত হয়। সিডনীভিত্তিক দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরীয় সংস্করণটি অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড এবং প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপপুঞ্জে পাওয়া যায়। ডিসেম্বর, ২০০৮ সালে কানাডীয় বিজ্ঞাপন সংস্করণটি বন্ধ হয়ে যায়।[2]
ব্যবস্থাপনা সম্পাদকরূপে রিচার্ড স্টেঞ্জেল মে, ২০০৬ সাল থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেছেন।[3]
ব্রিটন হেডেন এবং হেনরি রবিনসন লুস কর্তৃক টাইম সাময়িকী প্রকাশিত হয় ১৯২৩ সালে। এর ফলে এটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম সাপ্তাহিক সংবাদপত্র সাময়িকী হিসেবে মর্যাদা পায়।[4] এ দু’জন ইয়েল ডেইলি নিউজে যথাক্রমে সভাপতি এবং ব্যবস্থাপনা সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছিলেন। তাঁরা এটিকে ’ফ্যাক্টস’ বা ঘটনা নামে আখ্যায়িত করেছেন। দূর্দান্ত সাহসের পরিচয় দিয়ে ব্যস্ত ব্যক্তিরা যাতে এক ঘণ্টার মধ্যে পড়তে পারে তার ব্যবস্থা করেন। পরবর্তীতে এর নাম পরিবর্তিত করে টাইম রাখা হয় এবং স্লোগান হিসেবে ’টাইম সাথে রাখুন -- এটি সংক্ষিপ্ত’ ব্যবহার করেন।[5] অনেক দশক ধরে প্রচ্ছদে একজন ব্যক্তির চিত্রধারণ করা হয়েছে। ৩ মার্চ, ১৯২৩ তারিখে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি সভার অবসরপ্রাপ্ত স্পিকার জোসেফ জি. ক্যাননকে প্রথমবারের মতো প্রকাশিত হয়। পুনরায় ২৮ ফেব্রুয়ারি, ১৯৩৮ সালে সাময়িকীর পঞ্চদশ বার্ষিকীতে ১ম সংখ্যাকে তুলে ধরা হয়।[6] ১৯২৯ সালে ব্রিটন হেডেন মারা যান। এরপর থেকে হেনরি লুস টাইমের নিয়ন্ত্রণভার গ্রহণ করে ১৯৬৪ সাল পর্যন্ত এর সম্পাদকীয় দায়িত্ব পালন করেন। টাইমের উত্তোরণের পর রয় এডওয়ার্ড লার্সেন প্রচার সম্পাদক থেকে মহাব্যবস্থাপক হন ও দীর্ঘদিন সভাপতির দায়িত্বে ছিলেন।
টাইম বর্ষসেরা ব্যক্তিত্ব টাইমের ইতিহাসে সর্বাপেক্ষা গুরুত্বপূর্ণ সংখ্যা হিসেবে বিবেচিত। এর মাধ্যমে এক ধরনের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি দেয়া হয় যা সাময়িকীটির বর্ষশেষ সংখ্যায় বৎসরের গুরুত্বপূর্ণ এবং আলোচিত ব্যক্তিত্বের তালিকা প্রকাশ করে। ঐ সংখ্যায় এক বা একাধিক ব্যক্তি, দল, মতবাদ কিংবা বিষয়কে ঘিরে প্রতিবেদন কিংবা জীবন-বৃত্তান্ত তুলে ধরা হয়। সবচেয়ে ভাল কিংবা সবচেয়ে মন্দ ......... কাজ করেছেন যা বছরের আলোচিত ঘটনা হিসেবে স্বীকৃত ও সমগ্র বিশ্বে প্রভাব বিস্তার করেছে - বলে সাময়িকীটি ঐ সংখ্যায় সাংবার্ষিকভিত্তিতে তুলে ধরে। ১৯২৭ সাল থেকে বর্ষসেরা ব্যক্তিত্বের সংখ্যা প্রবর্তিত হয়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের চার্লস লিন্ডবার্গ সর্বপ্রথম এ স্বীকৃতি লাভ করেন। অ্যাডলফ হিটলার, ফ্রাঙ্কলিন ডি. রুজভেল্ট, জোসেফ স্টালিনের ন্যায় ব্যক্তিবর্গ অতীতে বর্ষসেরা ব্যক্তিত্বে মনোনীত হয়েছিলেন।
২০০৬ সালে বর্ষসেরা ব্যক্তিত্বের খেতাব প্রদান করা হয়েছিল আপনাকে। এ সিদ্ধান্তের ফলে মিশ্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়। অনেকের মতে এ ধারণাটি ছিল সৃষ্টিশীলতা; আবার অন্যরা প্রকৃত ব্যক্তিকে মূল্যায়ণের উপদেশ দিয়েছেন। সম্পাদক রিচার্ড স্ট্যাঞ্জেল এ প্রসঙ্গে বলেন, 'যদি তা ভুল বলে মনে করা হয়, তাহলে তা আমরা একবারই ভুল করেছি।'[7]
১০ সেপ্টেম্বর, ২০০৭ সালে ইন্দোনেশিয়ার সুপ্রীম কোর্ট সাবেক প্রেসিডেন্ট সুহার্তোকে ১ ট্রিলিয়ন রূপিয়া ক্ষতিপূরণ বাবদ প্রদানের জন্য টাইম এশিয়ার বিপক্ষে রায় দেয়। ১৯৯৯ সালের একটি নিবন্ধে সুহার্তো অবৈধপন্থায় অর্থ বিদেশে স্থানান্তর করছেন বলে মুদ্রিত হয়েছিল।[8]
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.
Every time you click a link to Wikipedia, Wiktionary or Wikiquote in your browser's search results, it will show the modern Wikiwand interface.
Wikiwand extension is a five stars, simple, with minimum permission required to keep your browsing private, safe and transparent.