ব্রিটিশ অভিনেতা উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
স্যার জন ভিনসেন্ট হার্ট, সিবিই (ইংরেজি: John Vincent Hurt; ২২ জানুয়ারি ১৯৪০ - ২৫ জানুয়ারি ২০১৭) ছিলেন একজন ইংরেজ অভিনেতা। তিনি পঞ্চাশ বছরের অধিক সময় মঞ্চে ও পর্দায় কাজ করেছেন। হার্টকে ব্রিটেনের অন্যতম সেরা অভিনয়শিল্পী হিসেবে বিবেচনা করা হয় এবং পরিচালক ডেভিড লিঞ্চ তাকে "সোজা কথায় বিশ্বের সেরা অভিনেতা" বলে আখ্যায়িত করেন।[1][2]
স্যার জন হার্ট | |
---|---|
John Hurt | |
জন্ম | জন ভিনসেন্ট হার্ট ২২ জানুয়ারি ১৯৪০ চেস্টারফিল্ড, ডার্বিশায়ার, ইংল্যান্ড |
মৃত্যু | ২৫ জানুয়ারি ২০১৭ ৭৭) ক্রোমার, নরফোক, ইংল্যান্ড | (বয়স
মাতৃশিক্ষায়তন | রয়্যাল একাডেমি অব ড্রামাটিক আর্ট |
পেশা | অভিনেতা |
কর্মজীবন | ১৯৬১-২০১৭ |
দাম্পত্য সঙ্গী | অ্যানেট রবার্টসন (বি. ১৯৬২; বিচ্ছেদ. ১৯৬৪) ডোনা পিকক (বি. ১৯৮৪; বিচ্ছেদ. ১৯৯০) জোন ডালটন (বি. ১৯৯০; বিচ্ছেদ. ১৯৯৬) আনওয়েন রিস-মায়ার্স (বি. ২০০৫; মৃ. ২০১৭) |
সন্তান | ২ |
হার্ট আ ম্যান ফর অল সিজনস্ (১৯৬৬) চলচ্চিত্রে রিচার্ড রিচ চরিত্রে অভিনয় করে খ্যাতি অর্জন করেন এবং টেন রিলিংটন প্লেস (১৯৭০) চলচ্চিত্রে টিমোঠি ইভানস চরিত্রে অভিনয় করে বাফটা পুরস্কারের মনোনয়ন লাভ করেন। পরবর্তী কালে দ্য নেকড সিভিল সারভেন্ট (১৯৭৫) টেলিভিশন চলচ্চিত্রে কুয়েন্টিন ক্রিস্প চরিত্রে অভিনয় করে তার প্রথম বাফটা পুরস্কার অর্জন করেন। ১৯৭৬ সালে তিনি বিবিসির টিভি ধারাবাহিক আই, ক্লডিয়াস-এ কালিগুলা চরিত্রে অভিনয় করেন। জেল নাট্যধর্মী মিডনাইট এক্সপ্রেস (১৯৭৮) ছবিতে তার অভিনয় তাকে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে পরিচিতি পাইয়ে দেয় এবং তিনি সেরা পার্শ্ব অভিনেতা বিভাগে গোল্ডেন গ্লোব পুরস্কার ও বাফটা পুরস্কার অর্জন করেন এবং শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেতার জন্য একাডেমি পুরস্কারের মনোনয়ন লাভ করেন। বিজ্ঞান কল্পকাহিনিমূলক ভীতিপ্রদ অ্যালিয়েন (১৯৭৯) ছবিতে নভোচারী কেন চরিত্রে অভিনয় করে তিনি বাফটা পুরস্কারের মনোনয়ন লাভ করেন এবং কয়েকটি প্রকাশনা এই ছবিটি একটি দৃশ্যকে চলচ্চিত্র শিল্পের ইতিহাসে সবচেয়ে স্মরণীয় দৃশ্য বলে উল্লেখ করেছে।[3]
চলচ্চিত্র শিল্পে তার অসামান্য অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে ২০১২ সালে তাকে বাফটা আজীবন সম্মাননা পুরস্কার প্রদান করা হয়।[4] নাটকে তার অবদানের জন্য ২০১৫ সালে তিনি নাইট উপাধিতে ভূষিত হন।
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.