Remove ads
উপক্ষারীয় ম্যাগমা শ্রেণীর একটি প্রধান উপবিভাগ। উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
ক্যালসি–ক্ষারীয় ম্যাগমা শ্রেণি হচ্ছে উপক্ষারীয় ম্যাগমা শ্রেণির একটি প্রধান উপবিভাগ, এই উপক্ষারীয় ম্যাগমা শ্রেণির আরেকটি বিভাগ হচ্ছে থোলাইটিক (tholeiitic[১]) শ্রেণি। কোন ম্যাগমা শ্রেণি হচ্ছে ম্যাগমা সংযুতির একটি ধারাক্রম, যা উচ্চ মাত্রার ম্যাগনেসিয়াম ও লৌহ সমৃদ্ধ মাফিক (mafic[২]) ম্যাগমা (যা ব্যাসল্ট ও গ্যাব্রো গঠন করে) থেকে আংশিকভাবে কেলাসিত হয়ে স্বল্পমাত্রার ম্যাগনেসিয়াম ও লৌহযুক্ত ফেলসিক (felsic[৩])ম্যাগমায় (যা রায়োলাইট বা গ্রানাইট গঠন করে) বিবর্তন বর্ণনা করে। ক্যালসি–ক্ষারীয় শিলারাজি মৃৎক্ষারধাতু (ম্যাগনেসিয়া এবং ক্যালসিয়াম অক্সাইড) ও ক্ষারধাতু দ্বারা সমৃদ্ধ এবং মহাদেশীয় ভূত্বকের সিংহভাগ গঠন করে থাকে।
এই নিবন্ধটিতে যদিও তথ্যসূত্রের একটি তালিকা, সম্পর্কিত পাঠ বা বহিঃসংযোগ রয়েছে, কিন্তু তা সত্ত্বেও এটির তথ্যসূত্রগুলি অস্পষ্ট, কারণ এটিতে নির্দিষ্ট বাক্য বা অনুচ্ছেদকে সমর্থনকারী অভ্যন্তরীণ তথ্যসূত্র প্রদান করা হয়নি। (সেপ্টেম্বর ২০২০) |
ক্যালসি–ক্ষারীয় শ্রেণির বৈচিত্র্যপূর্ণ শিলারাজির মধ্যে রয়েছে বহিঃজ আগ্নেয় শিলা যেমন – ব্যাসল্ট, অ্যান্ডেসাইট, ডেসাইট, রায়োলাইট, এবং এদের স্থূল দানার অন্তঃজ সমতুল্য (গ্যাব্রো, ডায়োরাইট, গ্র্যানোডায়োরাইট এবং গ্রানাইট)। এদের মধ্যে সিলিকা–অসম্পৃক্ত, ক্ষারযুক্ত (alkalic) অথবা প্রতিক্ষারীয় (peralkaline[৪]; সোডিয়াম ও পটাশিয়াম অক্সাইডের সমষ্টির তুলনায় অ্যালুমিনিয়ামের আণবিক অনুপাত ক্ষুদ্রতর হলে এই পরিভাষা ব্যবহৃত হয়) শিলা অন্তর্ভুক্ত নয়।
ক্যালসি–ক্ষারীয় ম্যাগমা শ্রেণির শিলা থেকে থোলাইটিক ম্যাগমা শ্রেণির মধ্যে পার্থক্য করা হয় কেলাসিত ম্যাগমার জারণ–বিজারণ (Redox) দশার মাধ্যমে (থোলাইটিক ম্যাগমা বিজারিত আর ক্যালসি–ক্ষারীয় ম্যাগমা জারিত দশায় থাকে)। যখন মাফিক (ব্যাসল্ট গঠনকারী) ম্যাগমা কেলাসিত হয়, তারা অলিভিন (Olivin) ও পাইরক্সিন (Pyroxene) এর মত উচ্চ ম্যাগনেসিয়াম এবং স্বল্পমাত্রায় লৌহ-যুক্ত সিলিকেট-জাতীয় খনিজরূপসমূহকে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে কেলাসিত করে থাকে। এর ফলে থোলাইটিক ম্যাগমায় লোহার পরিমাণ বৃদ্ধি পায় কেননা শীতলীকৃত শিলাখণ্ডে লোহার পরিমাণ নগণ্য থাকে (লৌহ-সমৃদ্ধ অলিভিনের তুলনায় ম্যাগনেসিয়াম-সমৃদ্ধ অলিভিনের কঠিনীভবন উচ্চতর তাপমাত্রায় ঘটে থাকে)। অন্যদিকে, ক্যালসি–ক্ষারীয় ম্যাগমা যথেষ্ট জারিত হয়ে (যুগপৎভাবে) উল্লেখযোগ্য পরিমাণে আয়রন অক্সাইড ম্যাগনেটাইট এর অধঃক্ষেপ ঘটায়। এতে করে শীতলীকরণের সময়, থোলাইটিক ম্যাগমার তুলনায় এই ম্যাগমায় লোহার পরিমাণ তুলনামূলকভাবে স্থিতিশীল থাকে।
এই দুই ম্যাগমা শ্রেণির মধ্যকার পার্থক্য বোঝা যায় এএফএম রেখাচিত্র থেকে। এই ত্রি–আংশিক রেখাচিত্র (ternary diagram) দ্বারা এবং – এর আপেক্ষিক অনুপাত উপস্থাপন করা হয়। ম্যাগমা শীতলীকরণের সময়, তা থেকে ক্ষারের তুলনায় লোহা ও ম্যাগনেসিয়াম উল্লেখযোগ্যভাবে বেশি হারে অধঃক্ষিপ্ত হয়। এর ফলে ম্যাগমা যতই শীতল হতে থাকে, ততই ক্ষারের কোণার দিকে সরে যেতে থাকে।
থোলাইটিক ম্যাগমায়, শীতলীকরণের সাথে সাথে যখন অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ম্যাগমা থেকে ম্যাগনেসিয়াম–সমৃদ্ধ কেলাস গঠিত হতে থাকে, তাতে ম্যাগনেসিয়ামের পরিমাণও দ্রুত হারে হ্রাস পেতে থাকে। এতে করে ম্যাগমা ক্রমশ ম্যাগনেসিয়াম কোণা থেকে দূরে সরে যায়, এবং ম্যাগমায় লোহা ও (অবশেষ) ম্যাগনেসিয়াম ফুরিয়ে গেলে তা ক্ষারের কোণার দিকে অগ্রসর হয়।
অন্যদিকে, ক্যালসি–ক্ষারীয় শ্রেণিতে ম্যাগনেটাইটের অধঃক্ষেপণের কারণে, লোহা–ম্যাগনেসিয়াম এর অনুপাত মোটামুটিভাবে অপরিবর্তিতই থাকে। ফলে, এএফএম রেখাচিত্রে ম্যাগমা সরলরেখায় ক্ষার কোণার দিকে অগ্রসর হয়ে থাকে।
ক্যালসি – ক্ষারীয় ম্যাগমা সচরাচর সোদক (hydrous) প্রকৃতির এবং অক্সিজেনের উচ্চতর কার্যকর আংশিক চাপ (higher oxygen fugacities) সহকারে, অধিকতর জারিত হয়ে থাকে।
ক্যালসি–ক্ষারীয় শিলারাজি সচরাচর অধোগমন বলয়ের ওপরে থাকা বৃত্তচাপে, সাধারণত আগ্নেয় বৃত্তচাপ এবং বিশেষত মহাদেশীয় ভূ–ত্বকের বৃত্তচাপের ওপর পাওয়া যায়।
এই শ্রেণির ম্যাগমা সম্পর্কে ধারণা করা হয় যে, এরা বংশগতীয়ভাবে আংশিক কেলাসন (fractional crystallization) দ্বারা সম্পর্কযুক্ত এবং আংশিকভাবে হলেও, পৃথিবীর ভূ -আচ্ছাদনে (mantle) গঠিত ব্যাসল্টের সংযুতিবিশিষ্ট ম্যাগমা হতে জাত। এদের সংযুতির ধারা বেশ কিছু প্রক্রিয়ার সাহায্যে ব্যাখ্যা করা যায়। অনেক ব্যাখ্যায় পানির পরিমাণ এবং ম্যাগমার জারণ দশার ওপর জোর দেওয়া হয়। প্রস্তাবিত ক্রিয়াকৌশল অনুসারে, অধোগত পদার্থের আংশিক গলন, এবং পানি ও অধোগত পদার্থের খণ্ড দ্বারা ভূ–আচ্ছাদনের পেরিডোটাইট (অলিভিন ও পাইরক্সিন) এর গাঠনিক পরিবর্তনের মাধ্যমে এদের গঠনপ্রক্রিয়ার সূচনা ঘটে। এরপর ক্যালসি–ক্ষারীয় ম্যাগমায় বিবর্তনের কলাকৌশলের মধ্যে আংশিক কেলাসন, মহাদেশীয় ভূ–ত্বকের আত্মীকরণ, এবং মহাদেশীয় ভূ–ত্বকের আংশিক গলিত অংশের সাথে মিশ্রণ অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে।
Two of these widely used diagrams are the total alkalies-silica (TAS) diagram and the (Na2O + K2O)-FeO*-MgO (AFM) triangular diagram, neither of which has calcium as one of the plotting parameters... Not all orogenic andesites are calc-alkaline, and not all calc-alkaline andesites are orogenic
The terms calcalkaline and calcalkalic are currently defined and used in multiple and non-equivalent ways. Generally, the variation of total Fe as FeO/MgO within evolving subalkaline rock suites is regarded as the most distinctive character of calcalkaline compared with tholeiitic suites, reflecting the relative timing of phase saturation with Fe–Ti oxides, plagioclase, and ferromagnesian silicates. Other classification schemes are widely used, including a minority of adherents to the original formalized definition of ‘calcalkalic’ by Peacock (1931, Journal of Geology 39, 54–67). Given the prevailing contradictory and confusing usage of these terms, which leads to miscommunication, it is proposed that the spectrum of subalkaline rocks be divided into high-, medium-, and low-Fe suites, complementing divisions made on the basis of K contents. The terms calcalkaline and calcalkalic should be restricted to rock suites that conform to Peacock's definition.
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.
Every time you click a link to Wikipedia, Wiktionary or Wikiquote in your browser's search results, it will show the modern Wikiwand interface.
Wikiwand extension is a five stars, simple, with minimum permission required to keep your browsing private, safe and transparent.