উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
অগ্নিমিত্র (সংস্কৃত: अग्निमित्रः) (রাজত্বকাল ১৪৯-১৪১ খ্রিস্টপূর্বাব্দ) শুঙ্গ রাজবংশের দ্বিতীয় সম্রাট ছিলেন।
অগ্নিমিত্র | |
---|---|
'শুঙ্গ সম্রাট' | |
![]() | |
রাজত্ব | খ্রিস্টপূর্ব ১৪৯- খ্রিস্টপূর্ব ১৪১ |
পূর্বসূরি | পুষ্যমিত্র শুঙ্গ |
উত্তরসূরি | বসুজ্যেষ্ঠ[1] |
দাম্পত্য সঙ্গী | ধারিণী, ইরাবতী, মালবিকা |
বংশধর | বসুজ্যেষ্ঠ |
প্রাসাদ | শুঙ্গ রাজবংশ |
পিতা | পুষ্যমিত্র শুঙ্গ |
মাতা | দেবমালা |
মহাকবি কালিদাস রচিত মালবিকাগ্নিমিত্রম কাব্যে অগ্নিমিত্রকে বৈম্বিক কুলের সন্তান বলে উল্লেখ করা হয়েছে; অপরদিকে পুরাণে তাকে শুঙ্গ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।[2]:২৩৮ মালবিকাগ্নিমিত্রম কাব্য থেকে জানা যায় যে, পিতার শাসনকালে অগ্নিমিত্র বিদিশা অঞ্চলের গোপত্রী বা শাসক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।[2]:৩৩০ ১৪৯ খ্রিস্টপূর্বাব্দে পিতা পুষ্যমিত্র শুঙ্গের স্থলে তিনি সিংহাসন লাভ করেন। বায়ু পুরাণ ও ব্রহ্মাণ্ড পুরাণ অনুসারে, তিনি আট বছর রাজত্ব করেন।[1] এই কাব্যে ধারিণী, ইরাবতী ও মালবিকা নামক তার তিন রাণীর নাম পাওয়া যায়।
মালবিকাগ্নিমিত্রম অনুসারে অগ্নিমিত্রের শাসনকালে তার সঙ্গে প্রতিবেশী বিদর্ভ রাজ্যের যুদ্ধ বাঁধে। মৌর্য্য শাসনকালে এক মৌর্য্য সচিব তার শ্যালক যজ্ঞসেনকে বিদর্ভ অঞ্চলের সিংহাসনে আসীন করলে বিদর্ভ স্বাধীন রাজ্য হিসেবে সাম্রাজ্য থেকে পৃথক হয়। যজ্ঞসেনকে সিংহাসনচ্যুত করাড় জন্য তার ভাই অগ্নিমিত্রের কাছে সাহায্য প্রার্থনা করেন, কিন্তু বিদর্ভ রাজ্যের সীমান্ত অতিক্রম করার সময় তিনি বন্দী হন।[1] এই ঘটনায় অগ্নিমিত্র মাধবসেনকের মুক্তির দাবি করলে যজ্ঞসেন তার পরিবর্তে অগ্নিমিত্রের হাতে বন্দী তার ভগ্নিপতী তথা প্রাক্তন মৌর্য্য সচিবের মুক্তি দাবি করেন। কিন্তু এই শর্তে রাজী না হয়ে অগ্নিমিত্র বিদর্ভ রাজ্য আক্রমণ করে যজ্ঞসেনকে পরাজিত করেন। যুদ্ধে বিজয়ী হয়ে অগ্নিমিত্র তখন মাধবসেন ও যজ্ঞসেনেরর মধ্যে বিদর্ভ রাজ্যকে দ্বিখন্ডিত করে দেন এবং দুই শাসকই শুঙ্গ সাম্রাজ্যের বশ্যতা স্বীকার করতে বাধ্য হন।[1][3]
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.