উইলফ্রেড নরিস স্ল্যাক (ইংরেজি: Wilf Slack; জন্ম: ১২ ডিসেম্বর, ১৯৫৪ - মৃত্যু: ১৫ জানুয়ারি, ১৯৮৯) সেন্ট ভিনসেন্টের ট্রুমাকা এলাকায় জন্মগ্রহণকারী ইংরেজ আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার ছিলেন।[1] ইংল্যান্ড ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ১৯৮৬ সালে সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্যে ইংল্যান্ডের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছেন।

দ্রুত তথ্য ব্যক্তিগত তথ্য, পূর্ণ নাম ...
উইল্ফ স্ল্যাক
Thumb
১৯৮৬ সালের সংগৃহীত স্থিরচিত্রে উইল্ফ স্ল্যাক
ব্যক্তিগত তথ্য
পূর্ণ নাম
উইলফ্রেড নরিস স্ল্যাক
জন্ম(১৯৫৪-১২-১২)১২ ডিসেম্বর ১৯৫৪
ট্রুমাকা, সেন্ট ভিনসেন্ট
মৃত্যু১৫ জানুয়ারি ১৯৮৯(1989-01-15) (বয়স ৩৪)
বাঞ্জুল, গাম্বিয়া
ডাকনামউইল্ফ, স্ল্যাকি
উচ্চতা ফুট ১০ ইঞ্চি (১.৭৮ মিটার)
ব্যাটিংয়ের ধরনবামহাতি
বোলিংয়ের ধরনডানহাতি মিডিয়াম
ভূমিকাব্যাটসম্যান
আন্তর্জাতিক তথ্য
জাতীয় দল
টেস্ট অভিষেক
(ক্যাপ ৫১৬)
৭ মার্চ ১৯৮৬ বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজ
শেষ টেস্ট১৯ জুন ১৯৮৬ বনাম ভারত
ওডিআই অভিষেক
(ক্যাপ ৮৭)
৪ মার্চ ১৯৮৬ বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজ
শেষ ওডিআই১৯ মার্চ ১৯৮৬ বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজ
ঘরোয়া দলের তথ্য
বছরদল
১৯৭৭ - ১৯৮৮মিডলসেক্স
১৯৮১ - ১৯৮৩উইন্ডওয়ার্ড আইল্যান্ডস
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান
প্রতিযোগিতা টেস্ট ওডিআই এফসি এলএ
ম্যাচ সংখ্যা ২৩৭ ১৮৩
রানের সংখ্যা ৮১ ৪৩ ১৩,৯৫০ ৪,৬৩৯
ব্যাটিং গড় ১৩.৫০ ২১.৫০ ৩৮.৯৬ ৩০.৩২
১০০/৫০ –/১ –/– ২৫/৭৫ ৩/৩১
সর্বোচ্চ রান ৫২ ৩৪ ২৪৮* ১২২*
বল করেছে ১,৫১৯ ১,৭৬৬
উইকেট ২১ ৪৫
বোলিং গড় ৩২.৭৬ ৩০.০৪
ইনিংসে ৫ উইকেট
ম্যাচে ১০ উইকেট
সেরা বোলিং ৩/১৭ ৫/৩২
ক্যাচ/স্ট্যাম্পিং ৩/– –/– ১৭৪/– ৩৬/–
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ১৪ মে ২০২০
বন্ধ

ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর ইংরেজ কাউন্টি ক্রিকেটে মিডলসেক্স ও ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান ক্রিকেটে উইন্ডওয়ার্ড আইল্যান্ডস দলের প্রতিনিধিত্ব করেন। দলে তিনি মূলতঃ বামহাতি ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলতেন। এছাড়াও, ডানহাতে মিডিয়াম বোলিংয়ে পারদর্শী ছিলেন ‘উইল্ফ’ বা ‘স্ল্যাকি’ ডাকনামে পরিচিত উইল্ফ স্ল্যাক

শৈশবকাল

ওয়েলসবোর্ন সেকেন্ডারি ও হাই ওয়াইকম্বে পড়াশুনো সম্পন্ন করেছেন তিনি। এগারো বছর বয়সে তার পরিবার সেন্ট ভিনসেন্ট থেকে ইংল্যান্ডে বাকিংহামশায়ারের হাই ওয়াইকম্বে অভিবাসিত হয়।[2] হাই ওয়াইকম্বে ক্রিকেট খেলা শিখতে শুরু করেন।

বিভিন্ন স্থানীয় দলের পক্ষে ক্রিকেট খেলে সময় অতিবাহিত করতেন। এরপর, ১৯৭৬ সালে ২১ বছর বয়সে বাকিংহামশায়ারের পক্ষে খেলতে থাকেন। অভিষেক মৌসুমেই কাউন্টি দলটির পক্ষে ৭৪৮ রান তুলে শীর্ষ রান সংগ্রাহকের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছিলেন।[3]

প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট

১৯৭৭ সাল থেকে ১৯৮৮ সাল পর্যন্ত উইল্ফ স্ল্যাকের প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান ছিল। মিডলসেক্সের পক্ষে খেলার পাশাপাশি ওয়েস্ট ইন্ডিজের ঘরোয়া প্রতিযোগিতার শুরুরদিকে খেলেন। মিডলসেক্সের কোচ ডন বেনেট তাকে প্রথম-শ্রেণীর কাউন্টি দলের জন্যে অমূল্য সম্পদরূপে চিত্রিত করেন ও পরের বছরের জন্যে চুক্তিবদ্ধ করান।[3] ১৯৭৭ সালে মিডলসেক্সের পক্ষে অভিষেক ঘটে তার। তবে, দলে নিজেকে প্রতিষ্ঠা করতে পারেননি। সম্ভবতঃ ব্যাটিংয়ের অবস্থান পরিবর্তন করে মাঝারিসারিতে ব্যাটিং করাই এর প্রধান কারণ ছিল।[2] কিন্তু, ১৯৮১ সাল পর্যন্ত তিনি নিজেকে সঠিকভাবে মেলে ধরতে পারেননি। এ পর্যায়ে তাকে নিচেরদিকে ব্যাটিংয়ে নামতে হতো।

তবে, দলের নিয়মিত খেলোয়াড় ও দলনেতা মাইক ব্রিয়ারলিকে হেডিংলি টেস্টে অংশগ্রহণের জন্যে আমন্ত্রণ জানানোর প্রেক্ষিতে ব্যাটিং উদ্বোধন করার সুযোগ পান তিনি। ১৯৮১-৮২ ও ১৯৮২-৮৩ মৌসুমে নিজ মাতৃভূমি উইন্ডওয়ার্ড আইল্যান্ডসের পক্ষে খেলেন তিনি। এ পর্যায়ে সাবেক ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান উইকেট-রক্ষক ও দূর সম্পর্কীয় আত্মীয় মাইকেল ফিন্ডলের অনুরোধক্রমে তিনি খেলেছিলেন।[4]

স্বর্ণালী সময়

মিডলসেক্সে খেলাকালীন ধীরস্থির, শান্ত স্বভাবের উইল্ফ স্ল্যাক, গ্রাহাম বার্লো’র সাথে চমৎকার বোঝাপড়ায় অগ্রসর হন। ঐ মৌসুমগুলোয় প্রায়শই তিনি মিডলসেক্সের শীর্ষস্থানীয় রান সংগ্রহের অধিকারী হতেন। ১৯৮৮ সালে মিডলসেক্সের পক্ষে বেশ ভালো খেলেন। লর্ডসে কেন্টের বিপক্ষে ব্যাটিং উদ্বোধনে নেমে দূর্দান্ত খেলেন। দ্বিতীয় ইনিংসে নিরবিচ্ছিন্নভাবে প্রথম উইকেটে ৩৬৭ রান তুলেন। এ পর্যায়ে দলীয় সঙ্গী গ্রাহাম বার্লো’র মিডলসেক্সের নতুন রেকর্ড গড়েন। অপরাজিত ১৮১ রান করতে তিনি তিনটি ছক্কা ও চব্বিশটি চারের মার মারেন। প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে এটিই তার নিজস্ব প্রথম সেঞ্চুরি ছিল।[2] তার সঙ্গী গ্রাহাম বার্লো করেন অপরাজিত ১৭৪ রান। এরফলে, ডব্লিউ. ই. রাসেল ও এম. জে. হারিসের গড়া ৩১২ রানের রেকর্ড ম্লান হয়ে যায়।

পরের খেলায় ওরচেস্টারশায়ারের বিপক্ষে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যক্তিগত সেরা অপরাজিত ২৪৮ রান তুলেন। উভয় সংগ্রহই তিনি দ্বিতীয় ইনিংসে করেন। লর্ডসে গ্ল্যামারগনের বিপক্ষে উভয় ইনিংসে সেঞ্চুরির সন্ধান পান। ঐ মৌসুম শেষে দলে তার স্থান পাকাপোক্ত করেন। কাউন্টি ক্যাপ লাভ করেন ও কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশীপে ৪৮.২৫ গড়ে ১,৩০৩ রান তুলেন।[4] ঐ সময়ে তাদের মধ্যকার জুটি কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশীপে অন্যতম সেরা জুটির মর্যাদা লাভ করে।[5] ১৯৮৬ সালে বার্লো অবসর গ্রহণ করলে স্ল্যাকের ক্রীড়াশৈলীতেও বিরূপ প্রভাব ফেলে। আট মৌসুমে সহস্র রানের মাইলফলক স্পর্শ করেছিলেন তিনি। চার বছর পূর্বেকার মৌসুমের সেরা সংগ্রহকে পাশ কাটিয়ে ১৯৮৫ সালে ৫৪.২৮ গড়ে ১,৯০০ রান তুলেন। এর স্বীকৃতিস্বরূপ ইংল্যান্ড বি দলের সদস্যরূপে শ্রীলঙ্কা গমনের সুযোগ লাভ করেন।[2]

১৯৮৫ সালে ৫৪.২৮ গড়ে ১,৯০০ রান তুলেন। এরপর তিনি আরও তিনবার এ কৃতিত্বের অধিকারী হন। ঐ মৌসুমের শীতকালে ইংল্যান্ড বি দলের সদস্যরূপে শ্রীলঙ্কা গমন করেন। সেখানেও তিনি বেশ নিয়মিতভাবে রান তুলতে থাকেন। সফরের শেষদিকে ওয়েস্ট ইন্ডিজ গমনার্থে তাকে আমন্ত্রণ জানানো হয়। এ পর্যায়ে ইংল্যান্ড দল ক্যারিবীয় দ্বীপপুঞ্জে অবস্থান করছিল।

আন্তর্জাতিক ক্রিকেট

সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে তিনটিমাত্র টেস্ট ও দুইটিমাত্র একদিনের আন্তর্জাতিকে অংশগ্রহণ করেছেন উইল্ফ স্ল্যাক। ৭ মার্চ, ১৯৮৬ তারিখে পোর্ট অব স্পেনে স্বাগতিক ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলের বিপক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার। ১৯ জুন, ১৯৮৬ তারিখে লিডসে সফরকারী ভারত দলের বিপক্ষে সর্বশেষ টেস্টে অংশ নেন তিনি।

শ্রীলঙ্কা সফরে থাকাকালীন ১৯৮৫-৮৬ মৌসুমে ইংল্যান্ড দল ওয়েস্ট ইন্ডিজ গমন করে। প্রথম ওডিআইয়ে মাইক গ্যাটিংয়ে নাক ভেঙে আহত হলে তাকে ওয়েস্ট ইন্ডিজে প্রেরণ করা হয়। কিন্তু, পরিবর্তিত পরিবেশ ও প্রতিপক্ষের গুণগতমানের প্রেক্ষিতে পোর্ট অব স্পেনে অভিষেক ঘটা নিজস্ব প্রথম টেস্টে দুই ইনিংস মিলিয়ে মোটে দুই রান তুলতে পেরেছিলেন।

২ ও ০ রানে রান আউটের শিকারে পরিণত হন। ফলশ্রুতিতে, পরের দুই টেস্টে তাকে মাঠের বাইরে থাকতে হয়। তবে, সিরিজের পঞ্চম টেস্টে বেশ সাহসী ভঙ্গীমায় ৫২ রান তুলেন। গ্রাহাম গুচের সাথে উদ্বোধনী জুটিতে ১২৭ রান সংগ্রহ করেন। কিন্তু, বিখ্যাত তারকা খেলোয়াড় ভিভ রিচার্ডসের বিস্ময়কর সেঞ্চুরিতে ইংল্যান্ড দল ২৪০ রানে পরাজিত করার পাশাপাশি ৫-০ ব্যবধানে ব্ল্যাকওয়াশ করে। তন্মধ্যে, ভিভ রিচার্ডস মাত্র ৫৬ বল মোকাবেলা করে টেস্টের ইতিহাসে দ্রুততম সেঞ্চুরি করেন।

ঐ অভিজ্ঞতা, গ্রাহাম বার্লো’র অবসর গ্রহণ ও ঘরোয়া সমস্যায় উইল্ফ স্ল্যাকের খেলার মানকে দুর্বলতর করে তোলে। ১৯৮৬ সালে ভারত দল ইংল্যান্ড গমন করে। হেডিংলিতে সফরকারী ভারতের বিপক্ষে তিনি আরেকটি টেস্টে অংশগ্রহণের সুযোগ পান। হেডিংলিতে নিজস্ব তৃতীয় ও শেষ টেস্টে অংশ নেন। পুনরায় ব্যর্থ হন তিনি।

জাতীয় দল থেকে প্রত্যাখ্যাত হবার পর তিনি ভালোমানের কাউন্টি খেলোয়াড় হিসেবে গড়ে তুলতে সচেষ্ট হন। মৌসুমের শেষদিকে সহস্র রান সংগ্রহের কারণে বিস্ময়করভাবে ১৯৮৬-৮৭ মৌসুমে অ্যাশেজ সিরিজ খেলার উদ্দেশ্যে অস্ট্রেলিয়া গমনার্থে তাকে ইংল্যান্ড দলের সদস্যরূপে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। শুরুরদিকে বেশ ভালোমানের বোলিংয়ে কিছু ভালো খেলা উপহার দিলেও কোন টেস্ট কিংবা ওডিআইয়ে তাকে খেলানো হয়নি।

মূল্যায়ন

সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে তিন টেস্টে অংশগ্রহণের পাশাপাশি দুইটি একদিনের আন্তর্জাতিকে অংশ নেন তিনি। তবে, ঘরোয়া ক্রিকেটের সাফল্যকে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ছড়িয়ে দিতে পারেননি। বেশ পরিশ্রমী খেলোয়াড় হিসেবে যথেষ্ট সংযত ভঙ্গীমায় মিডলসেক্সের দর্শকদের মন জয় করেছিলেন। ২৩৭টি প্রথম-শ্রেণীর খেলায় ২৫ সেঞ্চুরি সহযোগে ৩৮.৯৬ গড়ে ১৩,৯৫০ রান ও ৩২.৭৬ গড়ে ২১ উইকেট পেয়েছেন। প্রায় ২০০ ক্যাচ মুঠোয় পুড়েন। এগুলোর অনেকগুলোই ব্যাট-প্যাড অবস্থানের ছিল। এছাড়াও, প্রায়শই সীমিত ওভারের খেলাগুলোয় কার্যকর মিডিয়াম পেস বোলিং করতেন।

সিমন হিউজ ‘এ লট অব হার্ড ইয়াক্কা’ শীর্ষক গ্রন্থে তার সম্পর্কে উল্লেখ করেছেন যে, উইনওয়ার্ড আইল্যান্ডস থেকে আগত উইল্ফ স্ল্যাক বেশ গম্ভীরভাব বজায় রাখতেন। কখনো তিনি স্নায়ুর চাপে ভুগতেন না। প্রতিদিনই বিশ্বের সেরা দ্রুতগতিসম্পন্ন বোলারের মুখোমুখি হওয়াই তার নৈমিত্তিক কাজ ছিল। বিশ্রামকক্ষের দিকে অগ্রসরকালে তিনি খুব কমই নিজের উপর বিরক্ত হতেন। বসে ধীরলয়ে প্যাড খুলতেন ও অতি সতর্কতার সাথে সেগুলো সাজিয়ে রাখতেন। বেশ ধার্মিক ছিলেন তিনি। প্রায় ২০০ ক্যাচ তালুবন্দী করেছেন। এর অনেকগুলো ব্যাট-প্যাডের ছিল। সাধারণতঃ সীমিত ওভারে ক্রিকেটে নিয়মতান্ত্রিকভাবে মিডিয়াম পেস বোলিং করতেন।[5]

দেহাবসান

১৯৮৮ সালে খেলা চলাকালে কিংবা অনুশীলনকালে মাঝে-মধ্যেই ঝিমিয়ে পড়তেন। তবে, চিকিৎসা করেও কোন কারণ খুঁজে পাওয়া যায়নি।[1] এ ধরনের ঘটনা ১৯৮৬-৮৭ মৌসুমে অস্ট্রেলিয়া সফরকালে তাসমানিয়ায় অনুশীলনকালে মিকি স্টুয়ার্ট লক্ষ্য করেছিলেন।[6] তিনি মন্তব্য করেন যে,

আমি তাকে কিছুক্ষণ দেখি, সে ভালো ছিল। পরের মিনিটেই দেখি যে সে ঝিমিয়ে পড়েছে ও আমরা তাকে হাসপাতালে প্রেরণ করি। তবে, জীবনের সন্ধিক্ষণে কি কারণে এ সমস্যা হয়েছে তার কারণ খুঁজে পাওয়া যায়নি।

১৫ জানুয়ারি, ১৯৮৯ তারিখে মাত্র ৩৪ বছর বয়সে খেলা চলাকালীন ভূপতিত হন ও গাম্বিয়ার রাজধানী বাঞ্জুলে উইল্ফ স্ল্যাকের দেহাবসান ঘটে।[1] মৃত্যুর দুই বছর পূর্বে ঐ মাঠে খেলাকালীন কিংবা জালঘেরা স্থানে অনুশীলনকালে চারবার ঝিমিয়ে পড়েছিলেন। বামহাতি উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান উইল্ফ স্ল্যাক রহস্যজনকভাবে খেলা চলাকালীন মৃত্যুমুখে পতিত হন। সম্ভবতঃ হৃদযন্ত্রক্রীয়ায় আক্রান্ত হয়ে তার দেহাবসান ঘটেছিল।[7] তখন তিনি গাম্বিয়ায় ব্যাটিং করছিলেন।[1]

এ খেলায় তিনি জনপ্রিয় ব্যক্তি ছিলেন। তার মৃত্যুতে উইজডেনের শোক সংবাদে মন্তব্য করা হয় যে,[2]

সামগ্রিকভাবে সতীর্থ খেলোয়াড়দের কাছে তিনি বেশ জনপ্রিয় ছিলেন। তার মৃত্যুতে তারা সশ্রদ্ধ শ্রদ্ধা নিবেদন ও গভীর দুঃখ প্রকাশ করেছে। নিউজিল্যান্ডেও তিনি স্মরণীয় হয়ে থাকবেন। সেখানে তিনি পাঁচ মৌসুম কোচের দায়িত্বে ছিলেন। ইংরেজ ব্লেজার, ব্যাট তার সাথে পুঁতে রাখা হয়। লন্ডনের গ্রেস গেটস থেকে তার শোক সভায় ‘বিদায় উইলফ’ পড়া হয়।

সর্বমোট ২৩৭টি প্রথম-শ্রেণীর খেলায় অংশ নিয়ে ২৫ সেঞ্চুরি সহযোগে ৩৮.৯৬ গড়ে ১৩,৯৫০ রান তুলেন। মিডলসেক্স কর্তৃপক্ষ তাদের সাবেক খেলোয়াড় উইল্ফ স্ল্যাকের সম্মানার্থে দূরবর্তী মাঠের পুণঃনামকরণ কর। ১৯৯৫ সালে ফিঞ্চলের ইস্ট এন্ড রোডে অবস্থিত সাবেক বার্নেট কাউন্সিলের নাম পরিবর্তন করে ‘উইল্ফ স্ল্যাক গ্রাউন্ড, ফিঞ্চলে’ রাখে।[8][9][10] মিডলসেক্স তাদের দ্বিতীয় একাদশ ও মাইনর কাউন্টি ক্রিকেট খেলাগুলো ঐ মাঠে আয়োজন করে।[8] একই বছরে, মিডলসেক্স কর্তৃপক্ষে মৌসুম-পূর্ব খেলোয়াড়দের ইসিজি পরীক্ষার সুবিধা চালু করে।[6]

তথ্যসূত্র

আরও দেখুন

বহিঃসংযোগ

Wikiwand in your browser!

Seamless Wikipedia browsing. On steroids.

Every time you click a link to Wikipedia, Wiktionary or Wikiquote in your browser's search results, it will show the modern Wikiwand interface.

Wikiwand extension is a five stars, simple, with minimum permission required to keep your browsing private, safe and transparent.