ময়মনসিংহ বাংলাদেশের অষ্টম বিভাগীয় শহর ও ১২ তম সিটি কর্পোরেশন। ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশন আয়তনে দেশের ৭ম এবং জনসংখ্যায় ৮ম বৃহত্তম মহানগর। ২০২২ সালের ডিজিটাল জনশুমারী ও গৃহগণনা অনুযায়ী ময়মনসিংহ মহানগরের স্থায়ী জনসংখ্যা ৫,৭৬,৭২২ জন।

Thumb
ময়মনসিংহ ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ
Thumb
একটি আলোকচিত্রে পুরাতন ব্রহ্মপুত্র নদ বাকৃবি বোটানিক্যাল গার্ডেনের পূর্ব পার্শ্বে
দ্রুত তথ্য ময়মনসিংহ, দেশ ...
ময়মনসিংহ
মহানগর
Thumb
Thumb
Thumb
Thumb
Thumb
Thumb
Thumb
উপর থেকে: ময়মনসিংহ সিটি স্কাইলাইন, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, ময়মনসিংহের একটি সেতু, বড়ো মসজিদ, জয়নুল আবেদিন সংগ্রহশালা, পুরান রেল সেতু, শশী লজ
ডাকনাম: মোমেনশাহী, মোমিসিং, মইশিং, নাসিরাবাদ।
Thumb
ময়মনসিংহ
ময়মনসিংহ
Thumb
ময়মনসিংহ
ময়মনসিংহ
ময়মনসিংহর অবস্থান
স্থানাঙ্ক: ২৪°৪৫′১৪″ উত্তর ৯০°২৪′১১″ পূর্ব
দেশবাংলাদেশ
বিভাগময়মনসিংহ বিভাগ
জেলাময়মনসিংহ জেলা
প্রতিষ্ঠা১৭৮৭
সরকার
  ধরনমেয়র - কাউন্সিলর
  শাসকময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশন
আয়তন
  স্থলভাগ৯১.৩১৫ বর্গকিমি (৩৫.২৫৭ বর্গমাইল)
  মহানগর৯১.৩১৫ বর্গকিমি (৩৫.২৫৭ বর্গমাইল)
উচ্চতা১৯ মিটার (৬২ ফুট)
জনসংখ্যা
  মহানগরজনসংখ্যা : ৫,৭৬,৭২২ জন (ডিজিটাল জনশুমারী ও গৃহগণনা−২,০২২)
সময় অঞ্চলবাংলাদেশ মান সময় (ইউটিসি+৬)
পোস্টাল কোড২২০০, ২২০১, ২২০২, ২২০৩, ২২০৪, ২২০৫, ২২০৬, ২২০৭, ২২০৮
এলাকা কোড২২০০, ২২০১, ২২০২, ২২০৩, ২২০৪, ২২০৫, ২২০৬, ২২০৭, ২২০৮
টেলিফোন কোড+৮৮০৯১
বন্ধ
Thumb
ময়মনসিংহ শহর ঘেঁষা ব্রহ্মপুত্র নদের তীরবর্তী উদ্যানের সকাল

ভৌগোলিক পরিচিতি

Thumb
ময়মনসিংহ শহরের জিরো পয়েন্ট নির্দেশক স্থাপনা। সজল কোরায়শীর ডিজাইনে এই স্থাপনাটি নির্মাণ করে ময়মনসিংহ জেলা পরিষদ। নির্মাণকাল - ২০১১ খ্রিস্টাব্দ

ময়মনসিংহ জেলা ২৪°০২'০৩" থেকে ২৫°২৫'৫৬" উত্তর অক্ষাংশ এবং ৮৯°৩৯'০০" থেকে ৯১°১৫'৩৫" পূর্ব দ্রাঘিমাংশের অবস্থিত। সর্বশেষ ভূমি রেকর্ড ও জরিপ (১৯৭১) অনুযায়ী এটি ৫,০৩৯.৭৬ বর্গ মাইল (১৩,০৫২.৯২ বর্গ কিলোমিটার) ব্যাপী একটি অঞ্চল নিয়ে গঠিত।

প্রকৃত শহর এলাকা, মিউনিসিপাল এলাকার চেয়ে বড়। ময়মনসিংহ শহর তার উত্তর বরাবর প্রবাহিত পুরাতন ব্রহ্মপুত্র নদী দ্বারা পরিষ্কারভাবে চিহ্নিত। ব্রহ্মপুত্র নদটি এই বিভাগের প্রধান নদী, যা ১৮৯৭ সালের ভূমিকম্পের প্রভাবে নদের তলদেশ উত্থিত হয়ে এখন মৃত প্রায়।

নামকরণ

ময়মনসিংহ জেলার নামকরণ নিয়ে ইতিহাসবিদদের মাঝে ভিন্ন মত প্রচলিত আছে। আর ষোড়শ শতাব্দীতে বাংলার স্বাধীন সুলতান সৈয়দ আলাউদ্দিন হোসেন শাহ তার পুত্র সৈয়দ নাসির উদ্দিন নসরত শাহ'র জন্য এ অঞ্চলে একটি নতুন রাজ্য গঠন করেছিলেন, সেই থেকেই নসরতশাহী বা নাসিরাবাদ নামের সৃষ্টি। মুসলিম যুগের উৎস হিসেবে নাসিরাবাদ নামটিও আজ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ছাড়া আর কোথাও উল্লেখ করা হচ্ছে না। ১৭৭৯-তে প্রকাশিত রেনেল এর ম্যাপে মোমেসিং নামটি বর্তমান 'ময়মনসিংহ' অঞ্চলকেই নির্দেশ করে। তার আগে আইন-ই-আকবরীতে 'মিহমানশাহী' এবং 'মনমনিসিংহ' সরকার বাজুহার পরগনা হিসাবে লিখিত আছে; যা বর্তমান ময়মনসিংহকেই ধরা যায়। এসব বিবেচনায় বলা যায় সম্রাট আকবরের রাজত্ব কালের পূর্ব থেকেই ময়মনসিংহ নামটি প্রচলিত ছিলো। ব্রিটিশ আমলে জেলা পত্তন কালে ময়মনসিংহ অঞ্চলের সমৃদ্ধ জমিদারগণ সরকারের কাছে জেলার নাম 'ময়মনসিংহ' রাখার আবেদন করলে সরকার তা গ্রহণ করে নেন। [তথ্যসূত্র প্রয়োজন] আবার অনেকে মনে করেন, ময়মনসিংহ নামকরণ করা হয় সম্রাট আকবরের প্রধান সেনাপতি মান সিংহের নাম অনুসারে। সেনাপতি মান সিংহকে সম্রাট আকবর এ অঞ্চলে পাঠান বার ভূইয়ার প্রধান ঈশা খাঁ-কে পরাজিত করার জন্য। সেনাপতি মান সিংহ ময়মনসিংহে ঘাঁটি স্থাপন করে। পরবর্তীতে ঈশা খাঁর কাছে মান সিংহ পরাজিত হয়। আরও একটি মতবাদ প্রচলিত আছে যে, তুর্কী ইসলাম প্রচারক শাহ সুলতান কমর উদ্দীন রুমী (শাহ সুলতান রুমী) তাঁর এক শিষ্য মোমেন শাহকে এই অঞ্চলে ইসলাম প্রচারের দায়িত্ব দেন। অনেকের ধারণা এই নাম থেকেই মোমেনশাহী ও পরে ময়মনসিংহ নামকরণ হয়ে থাকতে পারে। এর যুক্তিতে ১০৫৩ খ্রিস্টাব্দে শাহ সুলতান কমর উদ্দিন রুমীর আগমনের কথা উল্লেখ করা হয়। পরবর্তীতে এখানে মুসলিম বিজয় ও শাসনের গোড়াপত্তন হয়।

ইতিহাস

১ মে, ১৭৮৭ খ্রিস্টাব্দে ময়মনসিংহ জেলা গঠিত হয় যার প্রথম কালেক্টর ছিলেন মি. এফ লি গ্রোস। এর আগে খাগডহর ইউনিয়নের বেগুনবাড়ীর কোম্পানির কুঠিসহ বিভিন্ন জায়গায় কাচারী বসত ছিল। কুঠি ব্রহ্মপুত্রের ভাঙনে বিলীন হলে শহরের উত্তর অংশে খাগডহরে কাচারী স্থাপনের উদ্যোগ নেওয়া হয়। কিন্তু ব্রহ্মপুত্র নদের ভাঙ্গনের কারণে সেই উদ্যোগও ভেস্তে যায়। পরবর্তীতে কিশোরগঞ্জ জেলার হোসেনপুরের দক্ষিণে কাওনা নদীর তীরে 'দগদগা' নামক প্রাচীন বাণিজ্যকেন্দ্রে জেলা শহর স্থাপন করার উদ্যোগ নেওয়া হয়। ঐ অঞ্চলের জমিদাররা এই সিন্ধান্তের বিরোধিতা করে। কর্তৃপক্ষ তাই ১৭৯১ সালের সেপ্টেম্বর মাসে সেহড়া মৌজায় নাসিরাবাদ নাম দিয়ে জেলা শহরের পত্তন হয়। শহর স্থাপিত হওয়ার পর ৮ই এপ্রিল, ১৮৬৯ খ্রিস্টাব্দে পৌরসভা গঠিত হয় নাসিরবাদ মিউনিসিপ্যালিটি। বঙ্গদেশে এটি প্রথম এবং উপমহাদেশে এটি ছিল দ্বিতীয় পৌরসভা। মি. আরপর্চা ছিলেন পৌরসভার প্রথম অফিসিয়াল চেয়ারম্যান। প্রথম নন অফিশিয়াল চেয়ারম্যান ছিলেন চন্দ্রকান্ত ঘোষ।[১] কালেক্টরেট ভবন ছিল ময়মনসিংহ শহরের কেন্দ্রবিন্দু। ১৭৮৭ খ্রিস্টাব্দে সরকারী ডাক ব্যবস্থার প্রচলন করা হয়। ১৮৮৭ খ্রিস্টাব্দে জেলা বোর্ড গঠন করা হয়। প্রথম সরকারি চিকিৎসা কেন্দ্র চালু করা হয় ১৭৯১ খ্রিস্টাব্দে। ময়মনসিংহ শহর থেকে প্রথম মুদ্রিত পুস্তক প্রকাশিত হয় ১৮১৫ খ্রিস্টাব্দে। ১৮৪৬ খ্রিস্টাব্দে প্রতিষ্ঠিত হয় প্রথম ইংরেজি স্কুল। ময়মনসিংহ জিলা স্কুল প্রতিষ্ঠা করা হয় ১৮৫৩ খ্রিস্টাব্দে। জেলার প্রথম আদম শুমারী পরিচালিত হয় ১৮৮৩ খ্রিস্টাব্দে। টেলিগ্রাফ অফিস স্থাপন ১৮৮৬ খ্রিস্টাব্দে॥ ঢাকা-ময়মনসিংহ রেলপথ চালু ১৮৮৯ খ্রিস্টাব্দে, এবং ময়মনসিংহ-জগন্নাথগঞ্জ রেলপথ চালু হয় ১৮৬৫ সনে। ১৯০৫ সালে নাসিরবাদ নাম বদলে ময়মনসিংহ পৌরসভা নামকরণ হয়। ১৯১০ সালে পৌরসভার একতলা পাকা ভবন নির্মাণ হয় যেটি এখনো ব্যবহৃত হচ্ছে।[১]

১৯৭১-এর ২৫ মার্চে ঢাকা শহরে গণহত্যা শুরুর অব্যবহিত পরে ময়মনসিংহের সংগ্রামী জনতা খাগডহর তৎকালীন ইপিআর ক্যাম্প ঘেরাও করে এবং বাঙ্গালী ইপিআর সদস্যদের সহায়তায় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীকে পরাস্ত করে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার করে। এ যুদ্ধে ইপিআর সদস্য দেলোয়ার হোসেন ও ময়মনসিংহ জেলা প্রশাসকের ড্রাইভার পুত্র আবু তাহের মুকুল শাহাদাৎ বরণ করেন। মূলতঃ এই যুদ্ধের পর পরই ময়মনসিংহের সীমান্ত অঞ্চলে অবস্থিত সীমান্ত ফাঁড়িগুলি বাঙ্গালী বিডিআর-দের নিয়ন্ত্রণে চলে আসে। নিহত পাক সেনাদের লাশ নিয়ে ময়মনসিংহবাসী বিজয় মিছিল করতে থাকে ও ধৃত অন্যান্য পাকসেনাদের কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে ময়মনসিংহ জেলখানায় প্রেরণ করা হয়। যুদ্ধ চলাকালে এক সকালে পুরাতন বিডিআর ভবনের ৩য় তলার শীর্ষে হাজার হাজার লোকের জয় বাংলা ধ্বনির মধ্যে বাংলাদেশের নকশা খচিত পতাকা উত্তোলন করা হয়।

শিক্ষা প্রতিষ্ঠান

Thumb
ময়মনসিংহ শহরের একটি আধুনিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, এইচ এস টি টি আই ২০১১

ময়মনসিংহ শহরে কিছু পুরাতন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে যা দেশের গণ্ডি ছাড়িয়ে বিদেশেও সুনাম রয়েছে।

ময়মনসিংহে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, জামিয়া আশরাফিয়া খাগডহর, জামিয়া ইসলামিয়া সেহড়া, জামিয়া আরাবিয়া মাখযানুল উলুম তালতলা, বালিয়া মাদ্রাসা ফুলপুর, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়, অম্বিকাগঞ্জ কলেজ, ময়মনসিংহ ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ, ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ, কমিউনিটি বেজড মেডিকেল কলেজ, বাংলাদেশ, আনন্দ মোহন কলেজ, ময়মনসিংহ, ময়মনসিংহ সরকারি কলেজ, মুমিনুন্নিসা সরকারি মহিলা কলেজ, ময়মনসিংহ গার্লস ক্যাডেট কলেজ, শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম কলেজ, নটরডেম কলেজ ময়মনসিংহ, ময়মনসিংহ পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট, কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ, ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল ও কলেজ, মোমেনশাহী, নাসিরাবাদ বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ, মুসলিম বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ, আলমগীর মনসুর (মিন্টু) মেমোরিয়াল কলেজ, ময়মনসিংহ জিলা স্কুল, বিদ্যাময়ী সরকারী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, গভর্নমেন্ট ল্যাবরেটরী হাই স্কুল, ময়মনসিংহ সহ বিভিন্ন খ্যাতনামা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে।

Thumb
ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ প্রাঙ্গণ

সামাজিক ও সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান

এখানে উদীচী, নজরুল একাডেমি, শিল্পকলা একডেমী সহ আরও বেশ কিছু সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এছাড়াও তারুণ্যভিত্তিক সংগঠন হিসেবে ময়মনসিংহে কাজ করছে "জয় বাংলা ইয়ুথ এওয়ার্ড ২০২১" বিজয়ী প্রতিষ্ঠান প্রজন্ম।

দর্শনীয় স্থানসমূহ

Thumb
প্রত্নতত্ত্ব জাদুঘরের জানালা দিয়ে
Thumb
১৯৭১ স্মৃতিসৌধের ফলক
Thumb
বাকৃবিতে অবস্থিত বিজয় ৭১
  • শশী লজ (মহারাজা শশীকান্ত আচার্য্য চৌধুরির বাসভবন)
  • গৌরিপুর লজ (সোনালি ব্যাংক হেড অফিস সাবেক গৌরিপুরের জমিদারদের বাসভবন)
  • বড় মসজিদ, ময়মনসিংহ (স্থাপিত- ১৮৫০/১৮৫২ সাল)
  • মদিনা মসজিদ, চর খরিচা, ময়মনসিংহ
  • হাসান মঞ্জিল (ধনবাড়ি জমিদারদের শহরের বাড়ি)
  • মাথাভাঙ্গা মঠ, ময়মনসিংহ শহর ( ১৮ শতক)
  • শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন সংগ্রহশালা
  • আলেকজান্ডার ক্যাসেল (লোহার কুটি), ময়মনসিংহ শহর
  • স্বাধীনতা স্তম্ভ বা মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিসৌধ
  • শিল্পাচার্য জয়নুল উদ্যান
  • ময়মনসিংহ জাদুঘর (প্রত্নতত্ত্ব)
  • বোটানিক্যাল গার্ডেন, বাকৃবি
  • বিপিন পার্ক (২০০ বছরের পুরোনো)
  • ঐতিহাসিজ সার্কিট হাউস ময়দান (আয়তন ১৬ একর)
  • আঞ্জুমান ঈদগাহ ময়দান
  • বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, ময়মনসিংহ
  • বাংলাদেশ মৎস্য জাদুঘর, বাকৃবি, ময়মনসিংহ
  • কৃষি জাদুঘর, বাকৃবি, ময়মনসিংহ
  • মুক্তা গবেষণা ইন্সটিটিউট, বাকৃবি, ময়মনসিংহ
  • জার্মপ্লাজম সেন্টার, বাকৃবি, ময়মনসিংহ
  • কেওয়াটখালী দ্বিতল রেললাইন, ময়মনসিংহ
  • আনন্দ মোহন কলেজ, ময়মনসিংহ (১৯০৮)
  • এস কে হাসপাতাল (মহারাজা সূর্যকান্ত কালাজ্বর গবেষণা কেন্দ্র)
  • তালজাঙ্গা হাউজ (তালজাঙ্গা জমিদারের শহরের বাসা বর্তমানে মিন্টু কলেজ, ), ময়মনসিংহ শহর
  • চাকলাদার হাউজ (বর্তমান সেহরা হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজ ), ময়মনসিংহ শহর
  • রামগোপাল জমিদারের শহরের বাড়ি , কালিবাড়ি রোড, ময়মনসিংহ শহর
  • বুধা বাবুর জমিদার বাড়ি( বর্তমানে খামার বাড়ি) ,মহারাজা রোড, ময়মনসিংহ শহর
  • জমিদার মদন বাবুর বাড়ি (সাবেক ময়মনসিংহ প্রত্নতাত্ত্বিক জাদুঘর), ময়মনসিংহ শহর
  • মসুয়ার জমিদারের শহরের বাড়ি, হরিকিশোর রায় রোড, ময়মনসিংহ
  • দূর্গাবাড়ি মন্দির (১৮৬৭), ময়মনসিংহ
  • নাটোর জমিদারের শহরের বাড়ি, মৃত্যুঞ্জয় স্কুল সংলগ্ন, ময়মনসিংহ শহর
  • করোটিয়া জমিদারের শহরের বাড়ি, খান বাহাদুর ঈসমাইল রোড, ময়মনসিংহ শহর
  • নারায়নডহের জমিদারের শহরের বাড়ি, ময়মনসিংহ শহর
  • গাঙ্গাটিয়া জমিদারের শহরের বাড়ি, ময়মনসিংহ শহর
  • বৈলর জমিদারের শহরের বাড়ি, ময়মনসিংহ শহর
  • আঠারোবাড়ি বিল্ডিং, আঠারোবাড়ি জমিদারের শহরের বাড়ি, ময়মনসিংহ শহর
  • অঘোর বন্ধু গুহের বাড়ি (ময়মনসিংহ মহাবিদ্যালয়), ময়মনসিংহ শহর
  • আমবাড়িয়া স্টেট জমিদারের শহরের বাড়ি, ময়মনসিংহ শহর
  • সুসং দূর্গাপুরের রাজার শহরের বাড়ি, ময়মনসিংহ শহর
  • ডোহাখলা জমিদারের শহরের বাড়ি, ময়মনসিংহ শহর
  • গোলকপুর জমিদারের শহরের বাড়ি, ময়মনসিংহ শহর
  • ধিৎপুর জমিদারের শহরের বাসভবন , ময়মনসিংহ
  • ময়মনসিংহ চিড়িয়াখানা
  • ময়মনসিংহ কেন্দ্রীয় কারাগার (১৭৯২)
  • বিজিবি পার্ক, ময়মনসিংহ
  • বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সেতু (ব্রহ্মপুত্র সেতু)
  • সুতিয়াখালী সৌরবিদ্যুৎকেন্দ্র, ময়মনসিংহ
  • বড় কালীবাড়ি মন্দির।

উপসনালয়

Thumb
ময়মনসিংহ শহরের বড় মসজিদ

সমগ্র শহর জুরেই আছে মসজিদ, মন্দির, গির্জা। বড় মসজিদ, ভাটি কাশর মসজিদ, মদিনা মসজিদ,(চরখরিচ), পাঁচবাগ জামে মসজিদ,(ময়মনসিংহ সদর) ভাটি কাশর মসজিদ,খাগডহর শাহী মসজিদ,কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ, ময়মনসিংহ ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ,বি.জি.বি মসজিদ,গলগন্ডা মসজিদ,কাজিবাড়ি জামে মসজিদ,কাঁচি ঝুলি জবেদ আলী রোড জামে মসজিদ,টাউন হল মোর জামে মসজিদ,বাঘমারা জামে মসজিদ,কৃষ্টপুর মদিনা মসজিদ,দারুস সালাম জামে মসজিদ,সেহড়া ডি.বি. রোড জামে মসজিদ,ময়মনসিংহ মারকাজ মসজিদ,উজান বাড়েরা বায়তুন নূর জামে মসজিদ,শাহী জামে মসজিদ,হাক্কানি আঞ্জুমান মসজিদ,বইলর ঈদগাহ জামে মসজিদ,ত্রিশাল কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ,তারাকান্দা নদীর পার মসজিদ,হালুয়া ঘাট কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ ও ঈদগাহ মাঠ,ভালুকা থানা জামে মসজিদ, ছোট কালীবাড়ি মন্দির, বড় কালীবাড়ি মন্দির, দশভুজা বাড়ি মন্দির, বিশ্বনাথ মন্দির, শিব বাড়ি মন্দির, দুর্গা বাড়ি মন্দির, অনন্তময়ী মন্দির, অনুকূল ঠাকুরের মন্দির, রামকৃষ্ণ মিশন, লোকনাথের আশ্রম, মাসকান্দা পাদ্রি মিশন গির্জা, গুরুদুয়ারা শিখ, ব্রাহ্ম মন্দির প্রভৃতি রয়েছে এখানে।

যাতায়াত ব্যবস্থা

ময়মনসিংহ থেকে দেশের বিভিন্ন স্থানের সাথে রয়েছে ট্রেন যোগাযোগ। রয়েছে আন্তঃনগর এবং মেইল ট্রেন উভয়ই।

এছাড়া সড়ক ও জলপথেও যাতায়াত করা যায় ময়মনসিংহে। সড়কপথে ঢাকা টু ময়মনসিংহ দূরত্ব ১২০ কি.মি। ঢাকার মহাখালী বাসস্ট্যান্ড থেকে এনা, শৌখিন, আলম এশিয়া পরিবহনের বাসে সরাসরি ময়মনসিংহের মাসকান্দা বাসস্ট্যান্ড আসা যায় মাত্র দু থেকে আড়াই ঘণ্টায়।

Thumb
রেলব্রিজ ধরে মানুষের যাতায়াত

বাজার-ঘাট

খাগডহর বাজার, নতুন বাজার, সানকি পাড়া বাজার, স্বদেশী বাজার, বড় বাজার, ছোট বাজার, মেছুয়া বাজার, কাচিঝুলি বাজার রয়েছে ময়মনসিংহে। এছাড়া সি.কে. ঘোষ রোড এবং মিন্টু কলেজ মোড়েও রয়েছে বাজার। এগুলি সবই মূলত অনেক পুরাতন। যেমন স্বদেশী বাজারের নামকরণ হয়েছে স্বদেশী আন্দোলনের সময়।

জনজীবন, জীবিকা

ময়মনসিংহের মানুষের জীবন জীবিকা খুবই সাধারণ। এ অঞ্চলের লোকজন বেশিরভাগই কৃষিকাজের সাথে যুক্ত। দারিদ্রতার হার ৩৯%। কৃষি ও শিল্পের দিক দিয়ে ময়মনসিংহ অনেক উন্নত।

Thumb
শহরের কাঁচিঝুলি মোড়ে আলোকবর্তিকা ভাস্কর্য

বাৎসরিক অনুষ্ঠানাদি

  • স্বাধীনতা দিবস
  • বিজয় দিবস
  • আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ও শহীদ দিবস (টাউন হল মোড়)
  • পহেলা বৈশাখ (জয়নুল আবেদিন উদ্যান)
  • ময়মনসিংহ মুক্তি দিবস, ১০ ডিসেম্বর
Thumb
শহরের নতুন বাজার মোড়ে পায়রা চত্বর ভাস্কর্য
Thumb
ময়মনসিংহ মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিস্তম্ভ

গণমাধ্যম

  • দৈনিক জাহান (দৈনিক পত্রিকা)
  • দৈনিক আজকের বাংলাদেশ (দৈনিক পত্রিকা)
  • দৈনিক স্বদেশ সংবাদ (দৈনিক পত্রিকা)
  • দৈনিক স্বজন (দৈনিক পত্রিকা)
  • দৈনিক মাটি ও মানুষ (দৈনিক পত্রিকা)
  • দৈনিক প্রতিদিনের কাগজ (দৈনিক পত্রিকা)
  • দৈনিক আজকের ময়মনসিংহ (দৈনিক পত্রিকা)
  • দৈনিক কালের আলো (দৈনিক পত্রিকা)
  • দৈনিক লোক লোকান্তর (দৈনিক পত্রিকা)
  • আলোকিত ময়মনসিংহ (দৈনিক পত্রিকা)
  • প্রতিদিনের ময়মনসিংহ (দৈনিক পত্রিকা)

খেলাধুলা

বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের বেশ কয়েকজন স্বনামধন্য ক্রিকেটার উঠে এসেছেন এই শহর থেকে। তাদের মাঝে উল্লেখযোগ্য :

বিখ্যাত ব্যক্তিগণ

  1. শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলামঃ জন্ম ১৯২৫, মৃত্যু ৩ নভেম্বর ১৯৭৫।
  2. আনন্দ মোহন বসুঃ জন্ম ২৩ সেপ্টেম্বর ১৮৪৭, মৃত্যু ২০ আগস্ট ১৯০৬

আরও দেখুন

তথ্যসূত্র

বহিঃসংযোগ

Wikiwand in your browser!

Seamless Wikipedia browsing. On steroids.

Every time you click a link to Wikipedia, Wiktionary or Wikiquote in your browser's search results, it will show the modern Wikiwand interface.

Wikiwand extension is a five stars, simple, with minimum permission required to keep your browsing private, safe and transparent.