Remove ads
বাংলাদেশের ময়মনসিংহ শহরের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
মুমিনুন্নিসা সরকারি মহিলা কলেজ ময়মনসিংহ শহরে অবস্থিত একটি সরকারি কলেজ। শহরের টাউনহলের বিপরীতে এ কলেজটির অবস্থান। কলেজটি ১৯৫৯ সালে প্রতিষ্ঠিত। বৃহত্তর ময়মনসিংহ এর নারীশিক্ষা বাস্তবায়নে এ কলেজ অতি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।[২][৩][৪][৫]
ধরন | সরকারি কলেজ |
---|---|
স্থাপিত | ১৯৫৯ |
অধিভুক্তি | জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় |
ইআইআইএন | ১১১৯১৫ |
অধ্যক্ষ | মোহাম্মদ আবু তাহের |
শিক্ষায়তনিক ব্যক্তিবর্গ | ৮০ |
শিক্ষার্থী | আনু. ৮,৮৫০[১] |
অবস্থান | , |
শিক্ষাঙ্গন | শহুরে |
এইচএসসি বোর্ড | মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড, ময়মনসিংহ |
ওয়েবসাইট | অফিশিয়াল ওয়েবসাইট |
১৯৫২ সালে বৃহত্তর ময়মনসিংহের নারীশিক্ষাকে বিস্তৃত করা ও পরিবারে শিক্ষিত ও আদর্শ "মা"-এর গুরুত্ব অনুধাবনে নিজেদের "মা"এর মৃত্যুর পর বিশিষ্ট সমাজসেবক সুজুতুর রহমান খান, মুজুতুর রহমান খান (এম.আর খান), ফয়েজ উদ্দিন খান ও মফিজ উদ্দিন খান সাহেবদের মাতা মুমিনুন্নিসা বেগম এর নামে এ কলেজ প্রতিষ্ঠা করেন। এম. আর. খান এন্ড কোং ১৯৫২ সালে মুমিনুন্নিসা কলেজের ভূমি ক্রয় করে নিজেদের অর্থায়নে দালান ঘর নির্মাণ পূর্বক প্রথমে অন্যতম পরিচালক ফয়েজ উদ্দিন খান সাহেবের নিজস্ব তত্ত্বাবধানে গার্লস স্কুল হিসেবে এ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটি পরিচালিত হয়েছিল। এম. আর. খান এন্ড কোং- চার সহোদর ভাইয়ের সমন্বয়ে একটি পার্টনারশিপ কোম্পানি, যা ব্রিটিশ আমল থেকে চা, পাটের ব্যবসাসহ অনেক ব্যবসায় প্রতিষ্ঠিত ছিল। এ কলেজের অবকাঠামোর সিংহভাগ অর্থই এ কোম্পানি প্রদান করে। এম. আর. খান সাহেব নিজ উদ্যোগে বিভিন্ন ধনী ও সমাজসেবক ব্যক্তিগণের নিকট হতেও কলেজের জন্য অর্থ সংগ্রহ করেন।
গণশিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক মোঃ শামসুল হক ২৯ জুলাই ১৯৫৯ সালে এ কলেজ উদ্বোধন করেন। কলেজের প্রতিষ্ঠাতা প্রিন্সিপাল ছিলেন শিক্ষাবিদ আলহাজ রিয়াজউদ্দিন আহমেদ।
কলেজটিতে বিজ্ঞান শাখা চালু হয় ১৯৬১ সালে। কলেজটি ডিগ্রী কলেজে উন্নীত হয় ১৯৬৩ সালে। ১৯৮০ সালের মার্চে কলেজটি সরকারিকরণ করা হয়। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ১৯৯৮-৯৯ সেশনে ছয়টি বিষয়ে অনার্স কোর্স চালু করা হয়। মাস্টার্স কোর্স শুরু হয় ২০০১-২০০২ সেশনে। উদ্ভিদবিদ্যায় ২০১৩-১৪ সেশনে ও প্রাণিবিদ্যায় অনার্স ২০১৪-১৫ সেশনে চালু হয়।[৬]
দু'টি অনুষদে বিভাগের সংখ্যা ১৪ টি। বর্তমানে শিক্ষকের সংখ্যা ৮০ জন- ৩ জন অধ্যাপক, সহযোগী অধ্যাপক ১৩ জন, সহকারী অধ্যাপক ২০ জন, প্রভাষক ৩৫ জন, প্রদর্শক ৪ জন এবং একজন করে শরীরচর্চা শিক্ষক, গ্রন্থাগারিক, সহগ্রন্থাগারিক কর্মরত রয়েছেন।[৭]
উচ্চ মাধ্যমিকে মানবিক ও বিজ্ঞান শাখায়,স্নাতক (পাস) কোর্সে বিএ, বিএসএস, বিএসসি,স্নাতক (সম্মান) কোর্সে ভূগোল ও পরিবেশ, উদ্ভিদবিদ্যা ও প্রাণিবিদ্যা এবং স্নাতক সম্মান এবং স্নাতকোত্তর কোর্সে বাংলা, ইংরেজি, রাষ্ট্রবিজ্ঞান, সমাজকর্ম, গণিত, ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি, দর্শন ও অর্থনীতি পড়ানো হয়।[৮]
ছাত্রীদের আবাসন ব্যবস্থার জন্য দু'টি ছাত্রী হোস্টেল রয়েছে।[৯]
সমৃদ্ধ গ্রন্থাগারটিতে পুস্তকসংখ্যা প্রায় ১৬০০০ ।
কলেজটি ১৯৯৭ সালে শ্রেষ্ঠ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হিসাবে পুরস্কার লাভ করেছিল। ১৯৯৮ সালে কলেজের অধ্যক্ষ শ্রেষ্ঠ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সেরা প্রধান হিসাবে পুরস্কার অর্জন করেছিলেন। ময়মনসিংহ মহিলা কলেজের মধ্যে সেরা হিসেবে পরিচিত। ঢাকা বোর্ড কর্তৃক আন্তঃকলেজ ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় বিভাগীয় পর্যায়ে ভলিবলে চ্যাম্পিয়ন এবং দ্বৈত ব্যাডমিন্টনে রানার্স-আপ হয় কলেজের মেয়েরা।[১০]
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.
Every time you click a link to Wikipedia, Wiktionary or Wikiquote in your browser's search results, it will show the modern Wikiwand interface.
Wikiwand extension is a five stars, simple, with minimum permission required to keep your browsing private, safe and transparent.