Loading AI tools
স্পেনীয় ফুটবলার উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
জর্দি আলবা রামোস (কাতালান: Jordi Alba, কাতালান: [ˈʒɔrði ˈaɫβə ˈramos], স্পেনীয় উচ্চারণ: [ˈʝorði ˈalβa ˈramos]; জন্ম ২১ মার্চ ১৯৮৯) একজন স্পেনীয় পেশাদার ফুটবলার যিনি মেজর লিগ সকার ক্লাব ইন্টার মায়ামি এবং স্পেন জাতীয় দলের অধিনায়ক ও লেফট ব্যাক হিসেবে খেলেন।
ব্যক্তিগত তথ্য | |||
---|---|---|---|
পূর্ণ নাম | জর্দি আলবা রামোস | ||
জন্ম | ২১ মার্চ ১৯৮৯ | ||
জন্ম স্থান | এল'হসপিতালেত, স্পেন | ||
উচ্চতা | ১.৭০ মিটার (৫ ফুট ৭ ইঞ্চি) | ||
মাঠে অবস্থান | রক্ষণভাগের খেলোয়াড় | ||
ক্লাবের তথ্য | |||
বর্তমান দল | ইন্টার মায়ামি | ||
জার্সি নম্বর | ১৮ | ||
যুব পর্যায় | |||
১৯৯৬–১৯৯৮ | এল'হসপিতালেত | ||
১৯৯৮–২০০৫ | বার্সেলোনা | ||
২০০৫–২০০৭ | কর্নেয়া | ||
২০০৭ | ভালেনসিয়া | ||
জ্যেষ্ঠ পর্যায়* | |||
বছর | দল | ম্যাচ | (গোল) |
২০০৭ | কর্নেয়া | ||
২০০৭–২০০৮ | ভালেনসিয়া বি | ১৮ | (৫) |
২০০৮–২০১২ | ভালেনসিয়া | ৭৪ | (৫) |
২০০৮–২০০৯ | → জিমনাস্তিক (ধার) | ৩৫ | (৪) |
২০১২–২০২৩ | বার্সেলোনা | ৩১৩ | (১৭) |
২০২৩– | ইন্টার মায়ামি | ০ | (০) |
জাতীয় দল‡ | |||
২০০৬ | স্পেন অনূর্ধ্ব ১৯ | ৬ | (১) |
২০০৯ | স্পেন অনূর্ধ্ব ২০ | ৯ | (০) |
২০০৮–২০১১ | স্পেন অনূর্ধ্ব ২১ | ৪ | (০) |
২০১২ | স্পেন অনূর্ধ্ব ২৩ | ৪ | (০) |
২০১১– | স্পেন | ৯৩ | (৯) |
২০১৩– | কাতালোনিয়া | ৫ | (০) |
* কেবল ঘরোয়া লিগে ক্লাবের হয়ে ম্যাচ ও গোলসংখ্যা গণনা করা হয়েছে এবং ১১ জুন ২০২৩ তারিখ অনুযায়ী সকল তথ্য সঠিক। ‡ জাতীয় দলের হয়ে ম্যাচ ও গোলসংখ্যা ১৮ জুন ২০২৩ তারিখ অনুযায়ী সঠিক। |
হসপিতালেতের হয়ে ক্যারিয়ার শুরু করলেও, আলবা বার্সেলোনার যুব প্রকল্প লা মাসিয়া থেকে উঠে আসা খেলোয়াড়দের অন্যতম। লা মাসিয়া ছাড়ার পর তিনি কর্নেয়ায় যোগ দেন, অতঃপর যোগ দেন ভালেনসিয়ায়। সেখানে তিনি চারটি মৌসুম পার করেন। ২০১২ সালে আলবা পুনরায় বার্সেলোনায় ফিরে আসেন। ২০২২-২৩ মৌসুম শেষে তিনি বার্সেলোনা ছেড়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন।
২০১১ সালে স্পেন জাতীয় দলে আলবার অভিষেক হয়। ২০১২ সালে তিনি উয়েফা ইউরোপীয় চ্যাম্পিয়নশিপে স্পেনের হয়ে অংশগ্রহণ করেন।
আলবা বার্সেলোনার এল'হসপিতালেত দি লব্রেগাত শহরে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি তার ক্যারিয়ার শুরু করেন বার্সেলোনার যুব একাডেমী লা মাসিয়ায়, কিন্তু ২০০৫ সালে ক্লাব তাকে ছেড়ে দেয়। তখন তিনি যোগ দেন কর্নেয়ায়। এর ঠিক দুই বছর পর তিনি যোগ দেন ভালেনসিয়ায় এবং সেখানে তিনি তার যুব কর্মজীবন শেষ করেন। ২০০৭–০৮ মৌসুমে তিনি ভালেনসিয়ার যুব দলকে চতুর্থ সারির লীগ থেকে তৃতীয় লীগে উন্নীত করতে সহায়তা করেন। পরের মৌসুমে তার পেশাদার অভিষেক হয়। তিনি ধারে দ্বিতীয় সারির দল জিমন্যাস্তিক দি তারাগোনার হয়ে মাঠে নামেন।[1]
ভালেনসিয়ায় ফেরার পর ২০০৯ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর, লা লিগায় আলবার অভিষেক হয়। ভায়াদোলিদের বিপক্ষে ঐ খেলায় ভালেনসিয়া ৪–২ গোলে জয় লাভ করে।[2] তিনি উয়েফা ইউরোপা লীগের গ্রুপ পর্বের টানা দুইটি খেলায় মাঠে নামেন। দুইটি খেলাই ১–১ গোলে ড্র হয়। ভালেনসিয়ার ডিফেন্ডারদের অতিরিক্ত ইনজুরির কারণে আলবা ২০০৯–১০ মৌসুমের অধিকাংশ সময় লেফট ব্যাক হিসেবে খেলেন। ২০১০ সালের ১১ এপ্রিল ভালেনসিয়ার হয়ে তিনি প্রথম গোল করেন, যদিও খেলায় রিয়াল জারাগোজা ২–৩ গোলে জয় লাভ করে।[3]
২০১০–১১ মৌসুমে, ভালেনসিয়ার রক্ষণভাগ প্রায় একাই সামাল দেন আলবা। তিনি ২৬টি খেলায় মাঠে নামেন। ভালেনসিয়া তৃতীয় স্থানে থেকে মৌসুম শেষ করে এবং পরের মৌসুমে চ্যাম্পিয়নস লীগে খেলার যোগ্যতা অর্জন করে।
পরের মৌসুমে আলবা আরও বেশি রক্ষণাত্মক হয়ে পড়েন। মৌসুমে তিনি সব ধরনের প্রতিযোগিতায় মোট ৫০টি খেলায় মাঠে নামেন এবং ৩টি গোল করেন।
২০১২ সালের ২৮ জুন, আলবা বার্সেলোনার সাথে পাঁচ বছরের চুক্তি স্বাক্ষর করেন। তার স্থানান্তর ফি ছিল ১৪ মিলিয়ন ইউরো।[4] ১৯ আগস্ট, রিয়াল সোসিয়েদাদের বিপক্ষে বার্সেলোনার হয়ে তার অভিষেক হয়। তিনি খেলার পুরো ৯০ মিনিট মাঠে ছিলেন এবং বার্সেলোনা ৫–১ গোলের বড় ব্যবধানে জয় লাভ করে।[5]
২০১২ সালের ২০ অক্টোবর, আলবা বার্সেলোনার হয়ে প্রথম গোল করেন। খেলায় বার্সেলোনা ৫–৪ গোলের ব্যবধানে জয় লাভ করে। খেলার প্রথম এবং শেষ গোল করেন আলবা, অবশ্য শেষ গোলটি ছিল ওন গোল।[6] পরের খেলায় চ্যাম্পিয়নস লীগের গ্রুপ পর্বে সেল্টিকের বিপক্ষে খেলার ৯৩তম মিনিটে জয়সূচক গোল করেন আলবা; বার্সেলোনা ২–১ গোলের ব্যবধানে জয় লাভ করে।[7]
২০১৩ সালের ১২ মার্চ, আলবা বার্সেলোনার হয়ে তার পঞ্চম গোল করেন। চ্যাম্পিয়নস লীগের রাউন্ড অফ ১৬-এর ২য় লেগের খেলায় এসি মিলানের বিপক্ষে খেলার একদম শেষ মিনিটে তিনি এই গোল করেন। খেলায় বার্সেলোনা ৪–০ গোলের ব্যবধানে জয় লাভ করে।[8]
২০০৮ সালের উয়েফা ইউরোপীয়ান অনূর্ধ্ব-১৯ ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপে স্পেন অনূর্ধ্ব-১৯ দলের হয়ে অংশগ্রহণ করেন আলবা। ২০০৯ সালে মেডিটের্যানিনান গেমসে স্পেনের হয়ে তিনি চারটি খেলায় মাঠে নামেন এবং স্পেন স্বর্ণপদক জয় করে।
২০১১ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০১২ উয়েফা ইউরো-এর বাছাইপর্বের শেষ দুইটি খেলার জন্য আলবা স্পেনের সিনিয়র দলে প্রথম ডাক পান। খেলা দুইটি ছিল চেক রিপাবলিক এবং স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে।[9] ১১ অক্টোবর, স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে খেলায় তার অভিষেক হয়। তারই সহায়তায় খেলার প্রথম গোলটি করেন ডেভিড সিলভা।[10] আলবার এই দূর্দান্ত অভিষেক তাকে লা রোজাদের নিয়মিত লেফট ব্যাক জোয়ান ক্যাপদেবিলার যোগ্য উত্তরসূরি হিসেবে প্রমাণ করে।[11]
আলবা ২০১২ উয়েফা ইউরো-এর জন্য ঘোষিত স্পেন দলে জায়গা পান। প্রতিযোগিতায় স্পেনের সবকয়টি খেলায় তিনি মাঠে নামেন। কোয়ার্টার-ফাইনালে ফ্রান্সের বিপক্ষে খেলায় তিনি শাবি আলোনসোর করা গোলে সহায়তা করেন। খেলায় ২–০ গোলের ব্যবধানে জয় তুলে নেয় স্পেন।[12] ফাইনালে, ইতালির বিপক্ষে আলবা পাল্টা আক্রমণ থেকে একটি গোল করেন। স্পেন ৪–০ গোলের ব্যবধানে জয় লাভ করে এবং টানা দ্বিতীয়বারের মত ইউরোপীয় চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করে।[13][14]
ক্লাব | মৌসুম | লীগ | কাপ | ইউরোপ | অন্যান্য[16] | মোট | |||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
উপস্থিতি | গোল | উপস্থিতি | গোল | উপস্থিতি | গোল | উপস্থিতি | গোল | উপস্থিতি | গোল | ||
কর্নেয়া | ২০০৬–০৭ | ১৫ | ৩ | — | — | — | ১৫ | ৩ | |||
মোট | ১৫ | ৩ | — | — | — | ১৫ | ৩ | ||||
জিমনাস্তিক | ২০০৮–০৯ | ৩৫ | ৪ | ১ | ০ | — | — | ৩৬ | ৪ | ||
মোট | ৩৫ | ৪ | ১ | ০ | — | — | ৩৬ | ৪ | |||
ভালেনসিয়া | ২০০৯–১০ | ১৫ | ১ | ২ | ০ | ৯ | ০ | — | ২৬ | ১ | |
২০১০–১১ | ২৭ | ২ | ৪ | ০ | ৩ | ০ | — | ৩৩ | ২ | ||
২০১১–১২ | ৩২ | ২ | ৮ | ০ | ১০ | ১ | — | ৫০ | ৩ | ||
মোট | ৭৪ | ৫ | ১৪ | ০ | ২২ | ১ | — | ১১০ | ৬ | ||
বার্সেলোনা | ২০১২–১৩ | ২৯ | ২ | ৫ | ১ | ৯ | ২ | ১ | ০ | ৪৪ | ৫ |
২০১৩–১৪ | ১৫ | ০ | ৫ | ০ | ৪ | ০ | ২ | ০ | ২৬ | ০ | |
২০১৪–১৫ | ২৭ | ১ | ৬ | ১ | ১১ | ০ | — | ৪৪ | ২ | ||
২০১৫–১৬ | ৩১ | ০ | ৩ | ১ | ৯ | ০ | ২ | ০ | ৪৫ | ১ | |
২০১৬–১৭ | ২৬ | ১ | ৬ | ০ | ৬ | ০ | ১ | ০ | ৩৯ | ১ | |
২০১৭–১৮ | ৩৩ | ২ | ৫ | ১ | ৮ | ০ | ২ | ০ | ৪৮ | ৩ | |
২০১৮–১৯ | ৩৬ | ২ | ৬ | ০ | ১১ | ১ | ১ | ০ | ৫৪ | ৩ | |
২০১৯–২০ | ২৭ | ২ | ৩ | ০ | ৫ | ০ | ১ | ০ | ৩৬ | ২ | |
২০২০–২১ | ৩৫ | ৩ | ৫ | ২ | ৭ | ০ | ২ | ০ | ৪৯ | ৫ | |
২০২১–২২ | ৩০ | ২ | ২ | ০ | ১১ | ১ | ১ | ০ | ৪৪ | ৩ | |
২০২২–২৩ | ২৪ | ২ | ২ | ০ | ৩ | ০ | ১ | ০ | ৩০ | ২ | |
মোট | ৩১৩ | ১৭ | ৪৭ | ৬ | ৮৪ | ৪ | ১৫ | ০ | ৪৫৯ | ২৭ | |
সর্বমোট | ৪৩৭ | ২৯ | ৬২ | ৬ | ১০৬ | ৫ | ১৫ | ০ | ৬২০ | ৪০ |
জাতীয় দল | মৌসুম | উপস্থিতি | গোল |
---|---|---|---|
স্পেন | ২০১১ | ২ | ০ |
২০১২ | ১৩ | ২ | |
২০১৩ | ৯ | ৩ | |
২০১৪ | ৯ | ০ | |
২০১৫ | ৬ | ১ | |
২০১৬ | ১১ | ০ | |
২০১৭ | ৮ | ২ | |
২০১৮ | ৯ | ০ | |
২০১৯ | ৩ | ০ | |
২০২০ | ০ | ০ | |
২০১৮ | ৯ | ০ | |
২০১৯ | ৩ | ০ | |
২০২০ | ০ | ০ | |
২০২ ১ | ১০ | ০ | |
২০২২ | ১১ | ১ | |
২০২৩ | ২ | ০ | |
মোট | ৯৩ | ৯ |
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.
Every time you click a link to Wikipedia, Wiktionary or Wikiquote in your browser's search results, it will show the modern Wikiwand interface.
Wikiwand extension is a five stars, simple, with minimum permission required to keep your browsing private, safe and transparent.