স্বাধীনতা দিবস হল ভারতীয় প্রজাতন্ত্রের একটি জাতীয় দিবস। ১৯৪৭ সালের ১৫ আগস্ট (১৩৫৪ বঙ্গাব্দের ২৯ শ্রাবণ, শুক্রবার) ভারত ব্রিটিশ রাজশক্তির শাসনকর্তৃত্ব থেকে মুক্ত হয়ে স্বাধীনতা অর্জন করেছিল। সেই ঘটনাটিকে স্মরণীয় করে রাখার জন্য প্রতি বছর ১৫ আগস্ট তারিখটিকে ভারতে স্বাধীনতা দিবস হিসেবে পালন করা হয়। ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের নেতৃত্বে প্রধানত অহিংস, অসহযোগ ও আইন অমান্য আন্দোলন এবং বিভিন্ন চরমপন্থী গুপ্ত রাজনৈতিক সমিতির সহিংস আন্দোলনের পথে পরিচালিত এক দীর্ঘ স্বাধীনতা সংগ্রামের পর ভারত স্বাধীনতা অর্জন করে। স্বাধীনতা আন্দোলনে হাজার হাজার মানুষ শহিদ হয়েছেন। অনেককে দুঃখ কষ্ট স্বীকার করতে হয়েছে । দেশ মাতৃকার শৃংখল-মোচনের জন্য অনেক বিপ্লবী হাসি মুখে ফাঁসির মঞ্চে জীবন বিসর্জন দিয়েছেন। অনেক বিপ্লবীকে আজীবন কারাগারে বন্দি করে রাখা হয়েছিল। স্বাধীনতার ঠিক পূর্ব-মুহুর্তে ব্রিটিশ ভারতীয় সাম্রাজ্য ধর্মের ভিত্তিতে বিভাজিত হয় এবং তার ফলে ভারত ও পাকিস্তান অধিরাজ্যের জন্ম ঘটে। দেশভাগের সময় সাম্প্রদায়িক দাঙ্গায় প্রচুর ক্ষয়ক্ষতির ঘটনা ঘটে। অনেক মানুষ প্রাণ হারান এবং ১ কোটি ৫০ লক্ষেরও বেশি মানুষ বাস্তুহারা হন। ১৯৪৭ সালের ১৫ আগস্ট জওহরলাল নেহেরু ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী পদে শপথ গ্রহণের পর দিল্লির লাল কেল্লার লাহোরি গেটের উপর ভারতের জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন। এরপর থেকে প্রতি বছর স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে ভারতের প্রধানমন্ত্রী লাল কেল্লায় জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন এবং জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দেন।[১]
স্বাধীনতা দিবস | |
---|---|
পালনকারী | ভারত |
ধরন | জাতীয় দিবস |
উদযাপন | পতাকা উত্তোলন, কুচকাওয়াজ, জাতীয় সংগীত ও অন্যান্য ও দেশাত্মবোধক গানের অনুষ্ঠান, ভারতের প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতির ভাষণ |
তারিখ | ১৫ আগস্ট |
সংঘটন | বার্ষিক |
প্রথম বার | ১৫ আগস্ট ১৯৪৭ |
জাতীয় পতাকা উত্তোলন, প্রভাতফেরি, কুচকাওয়াজ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে সারা দেশে স্বাধীনতা দিবস পালন করা হয়। এই দিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলিতে এবং অন্যান্য অফিস-আদালতে মিষ্টান্ন বিতরণ করা হয়। কিন্তু এটি একটি জাতীয় ছুটির দিন হওয়ার দরুন সর্বত্রই পঠনপাঠন ও কাজকর্ম বন্ধ থাকে।[২]
ইতিহাস
১৭শ শতাব্দীর মধ্যেই ইউরোপীয় বণিকেরা ভারতীয় উপমহাদেশে তাদের বাণিজ্যকুঠি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। ১৮শ শতাব্দীর মধ্যে অপ্রতিরোধ্য সামরিক শক্তির জোরে ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি ভারতের প্রধান শক্তি হিসেবে নিজেদের প্রতিষ্ঠা করে। ১৮৫৭ সালে প্রথম স্বাধীনতা যুদ্ধের পরের বছর ভারত শাসন আইন পাস হয় এবং উক্ত আইন বলে ব্রিটিশ রাজশক্তি কোম্পানির শাসনের অবসান ঘটিয়ে ভারতের শাসনভার স্বহস্তে তুলে নেয়। পরবর্তী কয়েক দশকের মধ্যে ভারতে আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষিত এক নাগরিক সমাজের উদ্ভব ঘটে। এই সময়কার সর্বাপেক্ষা উল্লেখযোগ্য ঘটনাটি হল ১৮৮৫ সালে বোম্বাইয়ের গোকুল দাস তেজ পাল সংস্কৃত কলেজে ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের প্রতিষ্ঠা।[৩][৪]:১২৩ প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পর ব্রিটিশ সরকার ভারতীয় প্রশাসন ব্যবস্থার কিছু সংস্কার সাধনে প্রবৃত্ত হয়। মন্টেগু-চেমসফোর্ড সংস্কার ছিল এর মধ্যে অন্যতম। কিন্তু সেই সঙ্গে রাউলাট আইনের মতো দমনমূলক আইনও পাস হয় এবং ভারতীয় স্বাধীনতা সংগ্রামীরা স্বায়ত্ত্বশাসনের দাবি তোলেন। এই পর্বের গণ-অসন্তোষ থেকে মোহনদাস করমচন্দ গান্ধীর (মহাত্মা গান্ধী) নেতৃত্বে অহিংস অসহযোগ ও আইন অমান্য আন্দোলন ঘনীভূত হয়।[৪]:১৬৭
১৯৩০-এর দশকে ব্রিটিশ সরকার ভারতের প্রশাসনিক সংস্কার-সংক্রান্ত প্রস্তাবটিকে আইনত বিধিবদ্ধ করে। এই আইনে যে নির্বাচনের ব্যবস্থা করা হয়েছিল, সেই নির্বাচনগুলিতে জয়লাভ করে ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস।[৪]:১৯৫-১৯৭ পরবর্তী দশকটি ছিল রাজনৈতিক অস্থিরতার দশক: দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ভারতের অংশগ্রহণ, শেষবারের জন্য অসহযোগের পথে কংগ্রেসের আন্দোলন এবং অল ইন্ডিয়া মুসলিম লিগের নেতৃত্বে মুসলিম জাতীয়তাবাদের উত্থানের মতো ঘটনাগুলি এই দশকেই। ক্রমশ বৃদ্ধি পাওয়া রাজনৈতিক উত্তেজনা হ্রাস পায় ১৯৪৭ সালে স্বাধীনতা অর্জনের সঙ্গে। কিন্তু স্বাধীনতা লাভের আনন্দ বিঘ্নিত হয়েছিল ভারত ও পাকিস্তান রাষ্ট্রের মধ্যে উপমহাদেশ বিভাজিত হওয়ার ঘটনায়।[৪]:২০৩
স্বাধীনতার আগে স্বাধীনতা দিবস
১৯২৯ সালে ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের লাহোর অধিবেশনে পূর্ণ স্বরাজ ঘোষণাপত্র বা "ভারতের স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র" গৃহীত হয়[৫] এবং ২৬ জানুয়ারি তারিখটিকে স্বাধীনতা দিবস ঘোষণা করা হয়।[৫] কংগ্রেস জনগণকে আইন অমান্যের জন্য প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হওয়ার ডাক দেয় এবং যতদিন না ভারত সম্পূর্ণ স্বাধীনতা অর্জন করে ততদিন সময়ে সময়ে কংগ্রেসের নির্দেশ পালন করতে বলে।[৬] ভারতীয় নাগরিকদের মধ্যে একটি জাতীয়তাবাদী অনুভূতি জাগরিত করে তোলার জন্য এবং ব্রিটিশ সরকারকে স্বাধীনতা অনুমোদনে বাধ্য করার জন্য একটি স্বাধীনতা দিবস উদ্যাপনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল।[৭]:১৯
১৯৩০ থেকে ১৯৪৬ সাল পর্যন্ত ২৬ জানুয়ারি তারিখটি কংগ্রেস স্বাধীনতা দিবস হিসেবে পালন করেছিল।[৮][৯] সেই সময় স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে সভার আয়োজন করা হত এবং সেই সব সভায় আগত ব্যক্তিবর্গ "স্বাধীনতার শপথ" গ্রহণ করতেন।[৭]:১৯-২০ জওহরলাল নেহেরু তার আত্মজীবনীতে এই সভাগুলিকে শান্তিপূর্ণ, ভাবগম্ভীর এবং "কোনওরকম ভাষণ বা উপদেশ বিবর্জিত" বলে বর্ণনা করেছেন।[১০] মহাত্মা গান্ধী সভার পাশাপাশি এই দিনটিতে আরও কিছু করার পরিকল্পনা করেন। তিনি মনে করেন, এই দিনটি পালন করা উচিত "... কিছু সৃজনশীল কাজ করে। চরকা কেটে, বা ‘অস্পৃশ্য’দের সেবা করে, বা হিন্দু মুসলমান সম্প্রীতির আয়োজন করে, বা আইন অমান্য করে, অথবা এই সবগুলি একসঙ্গে করে"।[১১] ১৯৪৭ সালে ভারত স্বাধীন হওয়ার পর ভারতের সংবিধান বিধিবদ্ধ হয় ১৯৫০ সালের ২৬ জানুয়ারি। তদবধি ২৬ জানুয়ারি তারিখটি ভারতের প্রজাতন্ত্র দিবস হিসেবে পালিত হয়ে আসছে।
সমসাময়িক প্রেক্ষাপট
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ১৯৪৬ সালে যুক্তরাজ্যের সরকারি অর্থভাণ্ডার নিঃশেষিত হয়ে গিয়েছিল। সেই সময় সদ্য-নির্বাচিত লেবার সরকার অনুভব করে, ক্রমাগত অস্থির হয়ে ওঠা ভারতের উপর নিয়ন্ত্রণ বজায় রাখার ক্ষেত্রে ব্রিটেনের জনসাধারণের সমর্থন পাওয়া যাবে না এবং এই ব্যাপারে আন্তর্জাতিক সাহায্যও পাওয়া অসম্ভব হবে। তাছাড়া স্থানীয় সেনাবাহিনীও যে এই কাজে নির্ভরযোগ্য হবে না, তাও সরকার অনুভব করে।[৪]:২০৩[১২][১৩][১৪] এমতাবস্থায় ১৯৪৭ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী ক্লিমেন্ট এটলি ঘোষণা করেন, ১৯৪৮ সালের ৩০ জুনের মধ্যেই ব্রিটিশ সরকার ভারতের পূর্ণ স্বাধীনতা অনুমোদন করতে চলেছে।[১৫]
অবশ্য ভারতের নবনিযুক্ত ভাইসরয় লর্ড মাউন্টব্যাটেন ক্ষমতা হস্তান্তরের তারিখটি এগিয়ে আনেন। তার আশঙ্কা ছিল, কংগ্রেস ও মুসলিম লিগের মধ্যে ক্রমাগত তর্কবিতর্ক ও বাকবিতণ্ডা অন্তর্বর্তী সরকারের পতনের কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে।[১৬] তিনি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে জাপানের আত্মসমর্পণের দ্বিতীয় বর্ষপূর্তির তারিখ ১৫ অগস্ট দিনটিকে ক্ষমতা হস্তান্তরের তারিখ হিসেবে বেছে নেন।[১৬] ১৯৪৭ সালের ৩ জুন ব্রিটিশ সরকার ব্রিটিশ ভারতকে দ্বিখণ্ডিত করার সিদ্ধান্ত অনুমোদন করে।[১৫] সেই সঙ্গে সরকার ঘোষণা করে, নবগঠিত দুই রাষ্ট্রকে অধিরাজ্য মর্যাদা দেওয়া হবে এবং ব্রিটিশ কমনওয়েলথ থেকে পৃথক হওয়ার পূর্ণ ক্ষমতা দু’টি রাষ্ট্রেরই থাকবে। এরপরই যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্টে পাস হওয়া ভারতীয় স্বাধীনতা আইন (১৯৪৭) (১০ অ্যান্ড ১১ জিও ৬ সি. ৩০) অনুসারে ব্রিটিশ ভারত ভারত ও পাকিস্তান (অধুনা বাংলাদেশ রাষ্ট্রের ভূখণ্ড সহ) নামে দু'টি স্বাধীন অধিরাজ্যে বিভাজিত হয়।[১৭] এই আইন কার্যকর হয় ১৯৪৭ সালের ১৪ অগস্ট এবং সেই সঙ্গে নবগঠিত দুই রাষ্ট্রের নিজ নিজ গণপরিষদের উপর সম্পূর্ণ আইনবিভাগীয় কর্তৃত্ব অনুমোদিত হয়।[১৮]
পটভূমি
১৯৪৬ সালে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের প্রভাবে ব্রিটেনের রাজকোষ শূন্য হয়ে পড়ে। এমতাবস্থায় ব্রিটেনের পক্ষে অভ্যন্তরীণ বা আন্তর্জাতিক কোনোরকম সাহায্য লাভ অসম্ভব হয়ে পড়ে। ব্রিটেনের লেবার সরকার বুঝতে পারেই সেই পরিস্থিতে ভারতে ক্রমবর্ধমান রাজনৈতিক অস্থিরতাকে সামাল দেওয়ার ক্ষমতা বা অর্থবল ব্রিটিশ ভারতীয় সেনাবাহিনী হারিয়ে ফেলেছে।[১২][১৯] তারা ভারতে ব্রিটিশ শাসনের অবসান ঘটানোর সিদ্ধান্ত নেন। ১৯৪৭ সালের গোড়ার দিকে ব্রিটিশ সরকার ঘোষণা করে দেন যে, ১৯৪৮ সালের জুন মাসের মধ্যে ভারতের শাসনক্ষমতা হস্তান্তর করা হবে।
স্বাধীনতা ঘোষণার সময় যত এগিয়ে আসতে থাকে, পাঞ্জাব ও বাংলা প্রদেশের হিন্দু ও মুসলমান সম্প্রদায়ের মধ্যে সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা তত বৃদ্ধি পায়। দাঙ্গা রোধে ব্রিটিশ বাহিনীর অক্ষমতার কথা মাথায় রেখে ভারতের তদনীন্তন ভাইসরয় লুইস মাউন্টব্যাটেন ক্ষমতা হস্তান্তরের দিনটি সাত মাস এগিয়ে আনেন। ১৯৪৭ সালের জুন মাসে জওহরলাল নেহেরু, আবুল কালাম আজাদ, মহম্মদ আলি জিন্নাহ, ভীমরাও রামজি আম্বেডকর প্রমুখ জাতীয়তাবাদী নেতৃবৃন্দ ধর্মের ভিত্তিতে ভারত বিভাগের প্রস্তাব মেনে নেন। হিন্দু ও শিখ সংখ্যাগুরু অঞ্চলগুলি ভারতে ও মুসলমান সংখ্যাগুরু অঞ্চলগুলি নবগঠিত রাষ্ট্র পাকিস্তানে যুক্ত হয়; পাঞ্জাব ও বাংলা প্রদেশ দ্বিখণ্ডিত হয়।
লক্ষাধিক মুসলমান, শিখ ও হিন্দু শরণার্থী র্যাডক্লিফ লাইন পেরিয়ে নিরাপদ দেশে আশ্রয় নেন। পাঞ্জাবে শিখ অঞ্চলগুলি দ্বিখণ্ডিত হওয়ায় রক্তক্ষয়ী দাঙ্গা হয়। বাংলা ও বিহারে মহাত্মা গান্ধীর উপস্থিতি দাঙ্গার প্রকোপ কিছুটা প্রশমিত করতে সক্ষম হয়েছিল। তা সত্ত্বেও ২৫০,০০০ থেকে ৫০০,০০০ লোক সীমান্তের দুই পারের দাঙ্গায় হতাহত হয়।[২০] ১৯৪৭ সালের ১৪ আগস্ট নতুন পাকিস্তান অধিরাজ্য জন্ম নেয়। করাচিতে মহম্মদ আলি জিন্নাহ এই রাষ্ট্রের প্রথম গভর্নর-জেনারেল হিসেবে শপথ নেন। মধ্যরাতে অর্থাৎ, ১৯৪৭ সালের ১৫ আগস্ট সূচিত হলে জওহরলাল নেহেরু তার বিখ্যাত নিয়তির সঙ্গে অভিসার অভিভাষণটি প্রদানের মাধ্যমে ভারতের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন। ভারত অধিরাজ্যের জন্ম হয়। নতুন দিল্লিতে নেহেরু ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী রূপে কার্যভার গ্রহণ করেন। মাউন্টব্যাটেন হন স্বাধীন ভারতের প্রথম গভর্নর-জেনারেল।
উদ্যাপন
১৫ আগস্ট দিল্লির ঐতিহাসিক লালকেল্লায় ভারতের প্রধানমন্ত্রী জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন। অনুষ্ঠানটি জাতীয় চ্যানেল দূরদর্শনের সাহায্যে সারা দেশে সম্প্রচারিত হয়। রাজ্য রাজধানীতেও পতাকা উত্তোলন সহ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজিত হয়। অন্যান্য শহরে রাজনৈতিক নেতৃবর্গ নিজ নিজ কেন্দ্রে পতাকা উত্তোলন করেন। নানা বেসরকারি সংস্থাও পতাকা উত্তোলন অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। স্কুল-কলেজেও পতাকা উত্তোলন ও অন্যান্য সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়। ছোটো ছোটো ছেলেমেয়েরা এই উপলক্ষে বিশিষ্ট স্বাধীনতা সংগ্রামীদের সাজপোশাক পরে শোভাযাত্রা করে।
পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের নদিয়া জেলার কিছু জায়গায় স্বাধীনতা দিবস ১৫ আগস্টের জায়গায় ১৭–১৮ আগস্টে পালন করা হয়, কারণ মানচিত্র অঙ্কনের ত্রুটির জন্য নবদ্বীপ ব্যতীত নদিয়া জেলার বাকি অংশ পাকিস্তানের অংশ হয়ে গিয়েছিল এবং জনগণের বিক্ষোভের পর ১৭ আগস্টের রাতে এই ত্রুটি সংশোধন করা হয়েছিল।[২১][২২]
২০২২ সালে ভারতের স্বাধীনতার ৭৫ বৎসর পূর্ণ উপলক্ষে "স্বাধীনতার অমৃত মহাৎসব" উদযাপিত করা হবে। এই নিয়ে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিস্থান গুলিতে স্বাধীনতা ৭৫তম বৎস পূরণ নিয়ে বক্তব্য রাখবে ছাত্রছাত্রী ও শিক্ষকরা।
আরও দেখুন
তথ্যসূত্র
বহিঃসংযোগ
Wikiwand in your browser!
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.
Every time you click a link to Wikipedia, Wiktionary or Wikiquote in your browser's search results, it will show the modern Wikiwand interface.
Wikiwand extension is a five stars, simple, with minimum permission required to keep your browsing private, safe and transparent.