সাধ্য

সাধ্য (সংস্কৃত: साध्य) বলতে  হিন্দুধর্মের গণ দেবতাকে বোঝায়। পুরাণ অনুসারে, তারা ধর্ম এবং দক্ষের কন্যা সাধ্যার পুত্র।^[1] বিভিন্ন গ্রন্থ অনুসারে বারো বা সতেরটি সংখ্যায়, সাধ্যগণকে বেদের আচার ও স্তোত্রগুলির মূর্ত রূপ হিসাবে বর্ণনা করা হয়েছে। তারা দেবতাদের সাথে বা স্বর্গ ও পৃথিবীর মধ্যবর্তী অঞ্চলে বসবাস করে।^[2]

বিবরণ

পুরাণে দেবতার নয়টি শ্রেণীর (গণ) মধ্যে সাধ্যের বৈশিষ্ট্য রয়েছে, আদিত্যগণ, রুদ্রগণ, বসুগণ, তুষিত, বিশ্বদেব, আভাস্বর, অনীল ও মহারাজিকদের মধ্যে।^[3][4] এদেরকে কখনও কখনও দেব,^[5] বা গণদেবদের শ্রেণী হিসাবে উল্লেখ করা হয়।^[6]

অগ্নিপুরাণ বারোজন সাধ্যের একটি তালিকা দেয়:^[7]

1. মনস
2. মন্ত
3. প্রাণ
4. নর
5. আপান
6. বীরয়ণ
7. বিভু
8. হ্যয়
9. ন্যয়
10. হংস
11. নারায়ণ
12. প্রভু

সাহিত্য

উপনিষদ

মুণ্ডক উপনিষদ ব্রহ্ম (চূড়ান্ত বাস্তবতা) থেকে সাধ্যের উৎপত্তি বর্ণনা করে।^[8]

শিব পুরাণ

শিব পুরাণ অনুসারে, সাধ্যগণ গণেশের অধীনে শিবের পরিচারক হিসেবে কাজ করে। তারা কৈলাসের উপর অবস্থিত গণপর্বত পর্বতে বসবাস করে বলে মনে করা হয়।^[9]

মহাভারত

সাধ্যগণ কার্তিকের সাথে তারকাসুরের বিরুদ্ধে যুদ্ধে যুদ্ধ করে।^[10]

ভগবদ্গীতা

অর্জুন সাধ্যদের এমন শ্রেণী হিসেবে উল্লেখ করেছেন যারা কৃষ্ণের বিশ্বরূপ রূপের দ্বারা মুগ্ধ হয়।^[11]

তথ্যসূত্র

1. Kapoor, Subodh (২০০৪)। A Dictionary of Hinduism: Including Its Mythology, Religion, History, Literature, and Pantheon (ইংরেজি ভাষায়)। Cosmo Publications। পৃষ্ঠা 336। আইএসবিএন 978-81-7755-874-6।উদ্ধৃতি টেমপ্লেট ইংরেজি প্যারামিটার ব্যবহার করেছে (link)
2. Dowson, John (২০১৩-১১-০৫)। A Classical Dictionary of Hindu Mythology and Religion, Geography, History and Literature (ইংরেজি ভাষায়)। Routledge। পৃষ্ঠা 271। আইএসবিএন 978-1-136-39036-4।উদ্ধৃতি টেমপ্লেট ইংরেজি প্যারামিটার ব্যবহার করেছে (link)
3. Dalal, Roshen (২০১৪-০৪-১৮)। The Religions of India: A Concise Guide to Nine Major Faiths (ইংরেজি ভাষায়)। Penguin UK। পৃষ্ঠা 448। আইএসবিএন 978-81-8475-396-7।উদ্ধৃতি টেমপ্লেট ইংরেজি প্যারামিটার ব্যবহার করেছে (link)
4. Vettem Mani। Puranic Encyolopaedia Vettem Mani। পৃষ্ঠা 892।উদ্ধৃতি টেমপ্লেট ইংরেজি প্যারামিটার ব্যবহার করেছে (link)
5. Williams, George M. (২০০৮-০৩-২৭)। Handbook of Hindu Mythology (ইংরেজি ভাষায়)। OUP USA। পৃষ্ঠা 112। আইএসবিএন 978-0-19-533261-2।উদ্ধৃতি টেমপ্লেট ইংরেজি প্যারামিটার ব্যবহার করেছে (link)
6. Vaidik Sudha (২০২০-০৬-১৭)। Puran Encyclopedia। পৃষ্ঠা 892।উদ্ধৃতি টেমপ্লেট ইংরেজি প্যারামিটার ব্যবহার করেছে (link)
7. Danielou, Alain (২০১৭-০১-০১)। The Myths and Gods of India: The Classic Work on Hindu Polytheism (ইংরেজি ভাষায়)। Motilal Banarsidass। পৃষ্ঠা 303। আইএসবিএন 978-81-208-3638-9।উদ্ধৃতি টেমপ্লেট ইংরেজি প্যারামিটার ব্যবহার করেছে (link)
8. Swami Sivananda। Dialogues from the Upanishads - Swami Sivananda। পৃষ্ঠা 42।উদ্ধৃতি টেমপ্লেট ইংরেজি প্যারামিটার ব্যবহার করেছে (link)
9. Prof. J. L. Shastri (১৯৫০)। The Siva Purana Part 1। পৃষ্ঠা 271।উদ্ধৃতি টেমপ্লেট ইংরেজি প্যারামিটার ব্যবহার করেছে (link)
10. Valmiki; Vyasa (২০১৮-০৫-১৯)। Delphi Collected Sanskrit Epics (Illustrated) (ইংরেজি ভাষায়)। Delphi Classics। পৃষ্ঠা 8075। আইএসবিএন 978-1-78656-128-2।উদ্ধৃতি টেমপ্লেট ইংরেজি প্যারামিটার ব্যবহার করেছে (link)
11. Harward University Press। The Bhagavad Gita Translated By Franklin Edgerton Harward University Press। পৃষ্ঠা 57।উদ্ধৃতি টেমপ্লেট ইংরেজি প্যারামিটার ব্যবহার করেছে (link)