Remove ads
হুমায়ুন আজাদের উপন্যাস উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
সব কিছু ভেঙে পড়ে হুমায়ুন আজাদ রচিত একটি উপন্যাস, ফেব্রুয়ারি ১৯৯৫ সালে[১] একুশে গ্রন্থমেলায় বাংলাদেশের আগামী প্রকাশনী, ঢাকা থেকে এটি গ্রন্থাকারে প্রথম প্রকাশিত হয়। এই উপন্যাসে আজাদ নারী-পুরুষের মধ্যেকার শারীরিক ও হৃদয়সম্পর্কের নানা আবর্তন এবং পরিণতি কাহিনীকারে প্রকাশ করেছে যা বিভিন্ন প্রশ্নের উদ্রেক হয়ে উঠতে পারে, এবং প্রচলিত সমাজ ব্যবস্থায় প্রায়শই পরিলক্ষিত হতে পারে। গাঠনিক এবং বাচনভঙ্গির দিক বিবেচনায় এটি বাংলা সাহিত্যে একটি অধুনিক জীবনবাদী উপন্যাসের বহিঃপ্রকাশ।[২]
লেখক | হুমায়ুন আজাদ |
---|---|
প্রচ্ছদ শিল্পী | সমর মজুমদার |
দেশ | বাংলাদেশ |
ভাষা | বাংলা |
বিষয় | নারী-পুরুষের সম্পর্ক |
ধরন | উপন্যাস |
প্রকাশক | আগামী প্রকাশনী |
প্রকাশনার তারিখ | ফেব্রুয়ারি ১৯৯৫ ফেব্রুয়ারি ২০১১ (একাদশ প্রকাশ) |
মিডিয়া ধরন | ছাপা (শক্তমলাট) |
পৃষ্ঠাসংখ্যা | ১৪৪ |
আইএসবিএন | ৯৭৮৯৮৪৪০১২৬৪৬ |
ওসিএলসি | ৩২৮৯১৮২৩ |
এলসি শ্রেণী | PK1730.12.J26 S23 1995 |
পূর্ববর্তী বই | ছাপ্পান্নো হাজার বর্গমাইল (১৯৯৪) |
পরবর্তী বই | মানুষ হিশেবে আমার অপরাধসমূহ (১৯৯৬) |
উপন্যাসটি মাহবুব চরিত্রের জীবনের ঘটনা প্রবাহ অনুসরণ করে, যিনি পেশায় সেতু প্রকৌশলী। কাঠামো নির্মাণ পেশার অভিজ্ঞতার সঙ্গে ব্যক্তিগত জীবনের পারস্পরিক মিলবিন্যাস খুঁজে পান মাহবুব, ফলে জাগতিক বস্তুগত, অবস্তুগত এবং মনস্তাত্তিক বিষয়াদী তার কাছে সমার্থক হয়ে উঠতে শুরু করে। তার দৃষ্টিতে নারী-পুরুষের সম্পর্ক একটি কাঠামো, যার কাজ ভার বহন করা এবং একসময় কাঠামোটি ভার বহন করতে না পারার ব্যর্থতায় ভেঙে পরে। আজাদ দেখিয়েছেন সম্পর্কের বাস্তবতা, যেখানে নারী-পুরুষ পরস্পরের প্রতি আকর্ষণ বোধ করে এবং পরিণতিতে তাদের আকর্ষণ দীর্ঘস্থায়ী হয় না।
হুমায়ুন আজাদ উপন্যাসটি উৎসর্গ করেছেন তাদের, যাদের তিনি(আমি) পান(পাই) নি, যারা তাকে(আমাকে) পান(পায়) নি।[৩] বইটি লাইব্রেরি অব কংগ্রেস,[৪] শিকাগো বিশ্ববিদ্যালয় গ্রন্থাগার, স্টকহোম গণগ্রন্থাগার[৫] সহ বিশ্বের বিভিন্ন গ্রন্থাগারে স্থান পেয়েছে।[৬]
উপন্যাসের প্রেক্ষাপট থেকে পারিবারিক ঘটনাপ্রবাহের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের গ্রামীণ সমাজ বাস্তবতার পষ্ট চিত্র উঠে আসার পাশাপাশি বাঙালির আর্থ-সামাজিক অবস্থার প্রকাশ পাওয়া যায়।[২]
উপন্যাসটির মূল বিষয়বস্তু নারী এবং পুরুষের সম্পর্ক নিয়ে, মূলত মাহবুব নামের এক ব্যক্তির আত্মজীবন এই উপন্যাসটি। মাহবুব ব্যক্তিটির বাল্যকাল থেকে জীবনে ঘটা বিভিন্ন গ্রামীণ অভিজ্ঞতার বর্ণনায় পর্যাপ্ত নারীপুরুষের সম্পর্কের কথা রয়েছে; বালক মাহবুব একদা খুব ভোরে মোল্লাবাড়ির পুকুর ঘাটে নববিবাহিত নারীকে গোসল করতে দেখে কৌতূহলী হয়; সে তাদের কাজের মেয়ে কদবানকে একবার মেজ কাকার ছেলের (হাসান) সঙ্গে নগ্ন দেখে ফেলে; কৈশোরকালেই সে দুজন বয়স্ক পুরুষ দ্বারা যৌননিপীড়নের শিকার হতে গিয়েও বেঁচে যায়, একবার স্টিমার ভ্রমণে এবং আরেকবার এক অপরিচিত রেলকর্মীর দ্বারা, তার জীবনে আসে রওশন নামের এক মেয়ে যাকে সে একান্তে নিভৃতে নগ্ন দেখে এবং নিজেও তার সামনে নগ্ন হয়; বিভিন্ন ঘটনা ঘটতে ঘটতে মাহবুব বড় হয় এবং সে একজন ঢাকাবাসী সফল প্রকৌশলী হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে যার ফিরোজা নামের স্ত্রী আছে এবং অর্চি নামের একজন উঠতি বয়সী কন্যা আছে; ফিরোজাকে মাহবুব ভালোবাসেনা কিন্তু তার সঙ্গে সংসার করে সামাজিক কারণে, তাদের বিয়ে হয়েছিলো অভিভাবক দ্বারা, মাহবুব বয়স্ক অবস্থায়ও অনন্যা নামের এক তরুণীর সঙ্গে বন্ধুত্ব করতে সক্ষম হয় এবং তার নিজের অফিসেরও এক নারীকর্মীর সঙ্গে যৌনক্রিয়ায় জড়িয়ে পড়ে।[৭]
ফেব্রুয়ারি ১৯৯৫ সালে[১] (ফাল্গুন, ১৪০১ বঙ্গাব্দ) ঢাকার একুশে গ্রন্থমেলায় আগামী প্রকাশনী থেকে উপন্যাসটির প্রথম সংস্করণ প্রকাশিত হয়। আগামী প্রকাশনীর অধীনেই ১৯৯৫ থেকে ২০০৬ পর্যন্ত প্রথম প্রকাশের সাতটি মুদ্রণ সংস্করণ প্রকাশ হয়। ফেব্রুয়ারি ২০০৭ সালে উপন্যাসটির নবম, এবং নভেম্বর ২০০৮ সালে দশম সংস্করণ প্রকাশিত হয়। পরবর্তীতে ফেব্রুয়ারি ২০১১ সালে প্রকাশিত হয় উপন্যাসটির একাদশ এবং সর্বশেষ সংস্করণ।
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.
Every time you click a link to Wikipedia, Wiktionary or Wikiquote in your browser's search results, it will show the modern Wikiwand interface.
Wikiwand extension is a five stars, simple, with minimum permission required to keep your browsing private, safe and transparent.