Loading AI tools
বাংলাদেশী সুরকার উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
শাহাদাত হোসেন খান (৬ জুলাই ১৯৫৮ - ২৮ নভেম্বর ২০২০) একজন বাংলাদেশী উচ্চাঙ্গ সঙ্গীতশিল্পী, সরোদবাদক ও সুরকার ছিলেন। উপমহাদেশের অন্যতম এক সঙ্গীত পরিবারে তাঁর জন্ম হয়। ১৯৭২ সালে তিনি ও তাঁর চাচা বাহাদুর হোসেন খান যুগলবন্দি হয়ে আলাউদ্দিন সঙ্গীত সম্মেলনে সরোদ পরিবেশন করে প্রশংসিত হন। সঙ্গীতে অবদানের জন্য ১৯৯৪ সালে বাংলাদেশ সরকার তাঁকে দেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা একুশে পদকে ভূষিত করে।[1]
শাহাদাত হোসেন খান | |
---|---|
জন্ম | |
মৃত্যু | ২৮ নভেম্বর ২০২০ ৬২) | (বয়স
মৃত্যুর কারণ | করোনাভাইরাস রোগ |
জাতীয়তা | বাংলাদেশী |
শিক্ষা | ইতিহাস |
মাতৃশিক্ষায়তন | ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় |
পেশা | উচ্চাঙ্গ সঙ্গীতশিল্পী, সরোদ বাদক, সুরকার |
কর্মজীবন | ১৯৭২-২০২০ |
পিতা-মাতা | ওস্তাদ আবেদ হোসেন খান (পিতা) |
আত্মীয় | আয়েত আলী খাঁ (দাদা) বাহাদুর হোসেন খান (চাচা) মোবারক হোসেন খান (চাচা) |
পুরস্কার | একুশে পদক (১৯৯৪) |
শাহাদাত হোসেন খান ১৯৫৮ সালের ৬ জুলাই তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের (বর্তমান বাংলাদেশ) কুমিল্লা জেলার এক সঙ্গীত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন।[2] তাঁর পিতা ওস্তাদ আবেদ হোসেন খান একজন প্রখ্যাত উচ্চাঙ্গ সঙ্গীতশিল্পী ও সেতার বাদক।[3] তাঁর দাদা ওস্তাদ আয়েত আলী খাঁ উপমহাদেশের প্রখ্যাত সঙ্গীতজ্ঞ এবং ওস্তাদ আলাউদ্দিন খাঁর ছোট ভাই। তাঁর দুই চাচা প্রখ্যাত সঙ্গীতজ্ঞ বাহাদুর হোসেন খান এবং সঙ্গীত গবেষক ও লেখক মোবারক হোসেন খান।[4]
সাত বছর বয়সে পিতার কাছে শাহাদাত হোসেনের তবলা ও সরোদের হাতেখড়ি হয়। পরে তিনি তার চাচা বাহাদুর হোসেন খানের কাছে সরোদের তালিম গ্রহণ করেন। ১৯৭২ সালে আলাউদ্দিন সঙ্গীত সম্মেলনে বাহাদুর হোসেনের সাথে যুগলবন্দি হয়ে সরোদ পরিবেশন করেন। ১৯৮১ সালে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইতিহাস বিভাগে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন। পরে ১৯৮৫ সালে ক্যালিফোর্নিয়ার আলী আকবর কলেজ অব মিউজিক থেকে সঙ্গীত বিষয়ে স্নাতক সমমানের 'বাদ্যলংকার' ডিগ্রি লাভ করেন।[2]
তিনি কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গীতের শিক্ষক ও প্রশিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি সরকারী সঙ্গীত কলেজের ডেমোনেস্ট্রেশন-কাম-লেকচারার, সংগীত বিষয়ক বক্তা ও প্রশিক্ষকের দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়া ১৯৯৩ ও ১৯৯৪ সালে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির উচ্চতর প্রশিক্ষণ কোর্সে সেতার, সরোদ, বেহালা, বাঁশি ও গিটারের প্রশিক্ষক এবং বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন সঙ্গীত একাডেমিতে কণ্ঠ ও যন্ত্রসঙ্গীতের প্রশিক্ষকের দায়িত্ব পালন করেন।[2]
তিনি মৃত্যুহীন প্রাণ ও মিট বাংলাদেশ[5] নামক দুটি প্রামাণ্য চিত্রের সঙ্গীত পরিচালনা করেছেন। ২০০০ সালে যুক্তরাজ্য থেকে একটি সিডি প্রকাশিত হয়। পরে সেখান থেকে আরেকটি এবং বাংলাদেশ থেকে তিনটি সিডি ও ক্যাসেট প্রকাশিত হয়, যার মধ্যে রিপলস ইন মেডোস্ সিডিটি প্রকাশিত হয় বাংলাদেশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে।[1]
শাহাদাত হোসেনের দুই যমজ মেয়ে আফসানা খান সেতার বাদক ও রুখসানা খান সরোদ বাদক।[6][7]
খান করোনাভাইরাস রোগে আক্রান্ত হয়ে ২০২০ সালের ২৮ নভেম্বর ঢাকার উত্তরায় একটি হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন।[8]
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.
Every time you click a link to Wikipedia, Wiktionary or Wikiquote in your browser's search results, it will show the modern Wikiwand interface.
Wikiwand extension is a five stars, simple, with minimum permission required to keep your browsing private, safe and transparent.