জার্মানির বৃহত্তম ও ইউরোপের দ্বিতীয় বৃহত্তম বিমানসংস্থা উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
ডয়চে লুফ্টহানজা এ.জি. (জার্মান Deutsche Lufthansa AG ডয়্চে লুফ়্ট্হান্জ়া এজি) জার্মানির বৃহত্তম ও ইউরোপের দ্বিতীয় বৃহত্তম বিমানসংস্থা; ইউরোপে ব্রিটিশ এয়ারওয়েজের পরেই এর স্থান। অন্যদিকে সাবসিডিয়ারি সহ বিমানসংস্থাটি যাত্রী বহন কিংবা ফ্লীট এর আকার অনুসারে ইউরোপের সবচেয়ে বড় বিমানসংস্থা৷[৭] লুফথানসা এয়ারলাইন্সটির বিমানসমূহ ১৮ টি অভ্যন্তরীণ গন্তব্যস্থল এবং আফ্রিকা, আমেরিকা, এশিয়া ও ইউরোপ মহাদেশের ৮১ টি দেশের ১৯৩ টি গন্তব্যস্থলে যাতায়াত করে থাকে৷[৮]
![]() | |||||||
| |||||||
প্রতিষ্ঠাকাল | ১৯৫৩[note ১] | ||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|
কার্যক্রম শুরু | ১৯৫৫ | ||||||
হাব | |||||||
নিয়মিত যাত্রী প্রোগ্রাম | Miles & More | ||||||
জোট | Star Alliance | ||||||
অধীনস্ত কোম্পানি |
| ||||||
বিমানবহরের আকার | 264 (excluding subsidiaries) | ||||||
গন্তব্য | 220 | ||||||
প্রধান কোম্পানি | Private Investors (88.52%) | ||||||
প্রধান কার্যালয় | কোলন, জার্মানি | ||||||
গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি | Carsten Spohr, Chairman & CEO[৫] | ||||||
আয় | €30.0 billion (2014)[৬] | ||||||
পরিচালন আয় | €1.0 billion (2014)[৬] | ||||||
নিট আয় | €55 million (2014)[৬] | ||||||
=মোট সম্পদ | €30.5 billion (2014)[৬] | ||||||
মোট ইক্যুইটি | €4.0 billion (2014)[৬] | ||||||
কর্মচারী | 118,781 (2014)[৬] | ||||||
ওয়েবসাইট | lufthansa |
লুফ্টহানজা-র প্রধান অফিস জার্মানির কোলন শহরে। এর প্রধান বিমানবন্দর ও ট্র্যাফিক হাব (hub) হচ্ছে ফ্রাঙ্কফুর্ট আম মাইন (জার্মান Frankfurt am Main) শহরের ফ্রাঙ্কফুর্ট আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, এবং দ্বিতীয় হাব হচ্ছে মিউনিখ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর। লুফ্টহানজা সুইস ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্স ক্রয় করার পর জুরিখ হবে এই বিমানসংস্থার তৃতীয় হাব।
লুফথানসা এয়ারলাইন্স এর যাত্রা শুরু হয় ১৯২৬ সালে বার্লিনে জার্মান এয়ার হানসা (১৯৩৩ সাল হতে এটি জার্মান লুফথানসা নামেই বেশি পরিচিত হয়) প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে৷[৯] এয়ারলাইন্সটি ১৯৪৫ সাল পর্যন্ত জার্মানির জাতীয় বিমান সংস্থা ছিলো৷ নাৎসী বাহিনী পরাজিত হওয়ার পর বিমানসংস্থাটির সকল সার্ভিস স্থগিত করা হয়৷ নতুন একটি জাতীয় বিমানসংস্থা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে ১৯৫৩ সালের ৬ জানুয়ারী জার্মানির কোলনে একটি কোম্পানি লুফটেগ প্রতিষ্ঠিত হয়৷[১০] কোম্পানিটির অনেক কর্মীই পূর্বের লুফথানসাতে কর্মী হিসাবে ছিলেন৷ পশ্চিম জার্মানি তখন পর্যন্ত তার আকাশপথ ব্যবহারের অনুমতি পায়নি৷ তাই নতুন এয়ারলাইন্সটি কখন তার কার্যক্রম শুরু করতে পারবে, তা জানা ছিলো না৷ তা সত্ত্বেও ১৯৫৩ সালে লুফটেগ কোম্পানিটি চারটি কনভেয়ার সিভি-৩৪০এস এবং চারটি লকহীড এল-১০৪৯ সুপার কনস্টালেশন এর অর্ডার দেয় এবং হামবুর্গ এয়ারপোর্টে একটি রক্ষণাবেক্ষন কেন্দ্র স্থাপন করে৷[১০][১১] ১৯৫৪ সালে লুফটেগ জার্মান মার্ক ৩০,০০০(বর্তমানে প্রায় ৬৮,০০০ ইউরো) এর বিনিময়ে পূর্বের জার্মান লুফথানসার নাম ও লোগো ব্যবহারের অনুমতিপ্রাপ্ত হয়৷[২][১১] এভাবেই পরবর্তীতে এটি লুফথানসা এয়ারলাইন্স হয়ে উঠে৷
১৯৫৫ সালের ১ এপ্রিল লুফথানসা দেশের অভ্যন্তরে ফ্লাইট পরিচালনার অনুমতি লাভ করে৷[১১] প্রথমদিকের গন্তব্যস্থলগুলো ছিলো হামবুর্গ, ফ্রাঙ্কফুর্ট, কোলন, মিউনিখ ইত্যাদি শহর৷[১২][১৩]
২০১৪ সালে প্রকাশিত বার্ষিক প্রতিবেদনে লুফথানসা প্রকাশ করে যে এর প্রায় ৬০% শেয়ারের মালিক প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী এবং প্রায় ৪০% শেয়ারের মালিক ব্যক্তিগত বিনিয়োগকারীগণ৷ ২০১৪ সালের ৩১ এ ডিসেম্বর অনুযায়ী সংস্থাটির কর্মী সংখ্যা ছিলো ১,১৮,৭৮১ জন৷[১৪]
লুফথানসার সম্মিলিত প্রধান কার্যালয় হচ্ছে জার্মানির কোলনে৷ ১৯৭১ সালে দ্যা নিউ ইয়র্ক টাইমস এর লরেন্স ফেলোস কোলনে অবস্থিত নতুন প্রধান কার্যালয় ভবন, যার নাম ছিলো “গ্লিমিং”, এর বর্ণনা দেন৷[১৫]
১৯৮৬ সালে টেরোরিস্টরা ভবনটিতে বোমা বিস্ফোরণ ঘটায়৷[১৬] এ ঘটনায় অবশ্য কেউ আহত হননি৷[১৭] ২০০৬ সালে কোলন শহরের অন্যত্র লুফথানসার নতুন প্রধান কার্যালয় ভবনের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করা হয়৷ ২০০৭ সালের শেষের দিকে লুফথানসা তার ৮০০ কর্মী এবং ফাইন্যান্স ডিপার্টমেন্ট নতুন ভবনে স্থানান্তরের সিদ্ধান্ত নেয়৷ যাহোক, ২০১৩ সালের প্রথমদিকে লুফথানসা এয়ারলাইন্স এর প্রধান কার্যালয় ২০১৭ সালের মধ্যে কোলন হতে ফ্রাঙ্কফুর্টে স্থানান্তরের পরিকল্পনার কথা ব্যক্ত করে৷[১৮]
লুফথানসার অনেকগুলো বিভাগ এর প্রধান কার্যালয়ে অবস্থিত নয়৷ এর পরিবর্তে বিভাগগুলো ফ্রাঙ্কফুর্ট এয়ারপোর্টে অবস্থিত লুফথানসা এভিয়েশন সেন্টার এ অবস্থিত৷ এ বিভাগগুলোর মধ্যে রয়েছে কর্পোরেট কমিউনিকেশান, ইনভেস্টর রিলেশান এবং মিডিয়া রিলেশান ইত্যাদি৷[১৯][২০]
২০১৬ সালের মে মাস অনুসারে লুফথানসা এয়ারলাইন্স এর বিমানসমূহ দেশের অভ্যন্তরে ১৮ টি গন্তব্যস্থলে এবং আফ্রিকা, আমেরিকা, ইউরোপ ও এশিয়া মহাদেশের ৮১ টি দেশের ১৯৩ টি আন্তর্জাতিক গন্তব্যস্থলে যাত্রীবহন ও মালামাল পরিবহন করে থাকে৷ লুফথানসার পক্ষ হতে প্রাইভেট এয়ার পরিচালিত ফ্লাইটগুলোও এর মধ্যে অন্তর্ভুক্ত৷
লুফ্টহানজা এইসব মহাদেশ, দেশ, ও বিমানবন্দরে ওড়ে:
লুফ্টহানজা ফ্রাঙ্কফুর্ট থেকে সরাসরি যায় ভারতের বাঙ্গালোর, চেন্নাই, দিল্লী, হায়দ্রাবাদ ও মুম্বাই শহরে। ১ ডিসেম্বর ২০০৬ থেকে ফ্রাঙ্কফুর্ট-কলকাতা সরাসরি ফ্লাইট আরম্ভ হয়েছে। ২ ডিসেম্বর ২০০৬ থেকে কলকাতা থেকে লন্ডন, প্যারিস ও নিউ ইয়র্কেও ফ্লাইট শুরু হয়েছে।
নিচের এয়ারলাইন্স গুলোর সাথে লুফথানসা এয়ারলাইন্সের কোড শেয়ার চুক্তি বিদ্যমান রয়েছে৷[২১]
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.