এস্তোনিয়া

এস্তোনিয়া ({{efn|/ɛsˈtoʊniə/ ess-TOH-nee-ə, এস্তোনীয়: Eesti [ˈeːsʲti] (শুনুন^ⓘ)}) আনুষ্ঠানিকভাবে 'এস্তোনিয়া প্রজাতন্ত্র', উত্তর ইউরোপের বাল্টিক সাগর তীরে একটি রাষ্ট্র। রাজধানীর নাম তালিন। এস্তোনিয়া বাল্টিক দেশগুলির মধ্যে ক্ষুদ্রতম এবং সবচেয়ে উত্তরে অবস্থিত। লাতভিয়া ও লিথুয়ানিয়া অপর দুইটি বাল্টিক রাষ্ট্রসমূহ। এস্তোনিয়ার পশ্চিমে বাল্টিক সাগরের অপর প্রান্তে সুইডেন অবস্থিত। দক্ষিণে রয়েছে লাতভিয়া, পূর্বে রাশিয়া, এবং উত্তরদিকে ফিনল্যান্ড উপসাগরের অপর তীরে ফিনল্যান্ড।^[৭]

এস্তোনিয়া প্রজাতন্ত্র Eesti Vabariik (এস্তোনীয়)
পতাকা জাতীয় মর্যাদাবাহী নকশা
জাতীয় সঙ্গীত: Mu isamaa, mu õnn ja rõõm (বাংলা অনুবাদ: "আমার জন্মভূমি, আমার সুখ এবং আনন্দ")
এস্তোনিয়া-এর অবস্থান (কমলা) – ইউরোপ-এ (তামাটে & সাদা) – the ইউপিতে-এ (তামাটে)  –  [ব্যাখ্যা]
রাজধানী ও বৃহত্তম নগরী বা বসতি	তালিন ৫৯°২৫′ উত্তর ২৪°৪৫′ পূর্ব
সরকারি ভাষা	এস্তোনীয় 1
সরকার	সংসদীয় গণতন্ত্র
• রাষ্ট্রপতি	কেরস্তি কালিউলাইদ
• প্রধানমন্ত্রী	কাজা কালাস
স্বাধীনতা  রাশিয়া এবং জার্মানি থেকে
• ঘোষণা	২৪ ফেব্রুয়ারি ১৯১৮
• স্বীকৃতি	২ ফেব্রুয়ারি ১৯২০
• সোভিয়েত ইউনিয়ন এর অন্তর্ভুক্তি	১৬ জুন ১৯৪০
• পুনঃ স্বীকৃত	২০ আগস্ট ১৯৯১
• ইউরোপীয় ইউনিয়নে যোগদান	1 May 2004
আয়তন
• মোট	৪৫,৩৩৯[১] কিমি২ (১৭,৫০৫ মা২) (132nd)
• পানি (%)	৪.৫৬%
জনসংখ্যা
• ২০১৮ আনুমানিক	১,৩১৯,১৩৩[২] (১৫১তম)
• ২০১১ আদমশুমারি	১,২৯৪,৪৫৫[৩]
• ঘনত্ব	২৮/কিমি২ (৭২.৫/বর্গমাইল) (১৮৮তম)
জিডিপি (পিপিপি)	২০১৮ আনুমানিক
• মোট	$৪৪.১৭৭ বিলিয়ন[৪]
• মাথাপিছু	$৩৩,৮৪২[৪] (৪৩তম)
জিডিপি (মনোনীত)	২০১৮ আনুমানিক
• মোট	$৩০.৮২১ বিলিয়ন[৪]
• মাথাপিছু	$২৩,৬১০[৪] (৪০তম)
জিনি (২০১৬)	32.7[৫] মাধ্যম
মানব উন্নয়ন সূচক (২০১৫)	০.৮৬৫[৬] অতি উচ্চ · ৩০তম
মুদ্রা	ইউরো (EUR)
সময় অঞ্চল	ইউটিসি+০২:০০ (ইইটি)
• গ্রীষ্মকালীন (ডিএসটি)	ইউটিসি+০৩:০০ (ইইএসটি)
কলিং কোড	৩৭২
ইন্টারনেট টিএলডি	.ee2
In Southern Provinces, Võro and Seto is also spoken along with Estonian Also .eu, shared with other European Union member states.

১৩ শতকের শুরুতে প্রাচীন এস্তোনিয়ার স্বাধীন দেশসমূহ

এস্তোনিয়া মূলত জলা ও প্রাচীণ অরণ্যে পূর্ণ একটি নিম্নভূমি। দেশটির উপকূলীয় জলসীমায় বহু দ্বীপ রয়েছে। এস্তোনিয়ার রাজধানী তাল্লিন একটি গুরুত্বপূর্ণ বাল্টিক সমুদ্রবন্দর এবং দেশের বৃহত্তম শহর।

এস্তোনিয়ার সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগণ জাতিগতভাবে এস্তোনীয়। বহু বছর বিদেশী শাসন সত্ত্বেও এস্তোনীয়রা তাদের নিজস্ব বৈশিষ্ট্যপূর্ণ সংস্কৃতি ধরে রেখেছে। এদের সংস্কৃতি অনেকাংশেই নর্ডীয় দেশগুলির সংস্কৃতির অনুরূপ। এস্তোনীয় ভাষাটির সাথে ফিনীয় ভাষার মিল রয়েছে।

রুশরা দেশটির সংখ্যালঘু জাতিগোষ্ঠীগুলির মধ্যে বৃহত্তম। এস্তোনিয়া সোভিয়েত ইউনিয়নের অংশ হবার পর এখানে অনেক রুশ বসতি স্থাপন করে। দেশটির বর্তমান জনসংখ্যা প্রায় ১৩ লক্ষ। ১৯৪০ সালে সোভিয়েত ইউনিয়ন এস্তোনিয়া ও অন্যান্য বাল্টিক রাষ্ট্রগুলি সোভিয়েতের অন্তর্ভুক্ত হয়। এর আগে এগুলি ১৯১৮ সাল থেকে স্বাধীন রাষ্ট্র ছিল। ১৯১৮ সালের ২৪শে ফেব্রুয়ারি এস্তোনিয়া স্বাধীনতা ঘোষণা করেছিল।^[৮]

এস্তোনিয়া ১৯৯১ সালের ২০শে আগস্ট পুনরায় স্বাধীনতা অর্জন করে। শীঘ্রই সোভিয়েত আমলের সাম্যবাদী প্রতিষ্ঠানগুলি বিলুপ্ত করা হয় এবং বুর্জোয়া গণতান্ত্রিক সরকারব্যবস্থা ও পুঁজিবাদী মুক্ত বাজার অর্থনীতি গ্রহণ করা হয়।^[৯] এই সংস্কারগুলি বাস্তবায়নের সূত্র ধরে ২০০৪ সালের ১লা মে এস্তোনিয়া ইউরোপীয় ইউনিয়নের পূর্ণ সদস্যপদ লাভ করে এবং একই বছরের ২৯ মার্চ থেকে দেশটি ন্যাটো জোটভুক্ত হয়।^[১০]

ডিজিটাল দেশ

ইইউ ও সেনজেনভুক্ত এস্তোনিয়া মানবাধিকার সূচকে সব চাইতে ওপরে। এ ছাড়াও এই দেশটি পরিচিত ডিজিটাল দেশ হিসেবে। এটি বিশ্বের সর্বপ্রথম রাষ্ট্র যারা তাদের সংসদ নির্বাচনে ভোট দেয় অনলাইনে। দেশটির সবরকম গুরুত্বপূর্ণ ফাইল সাইন করা হয় ডিজিটালি। এস্তোনিয়া পৃথিবীতে ‘ই-কান্ট্রি’ হিসেবে পরিচিত।^[১১]

ইতিহাস

মূল নিবন্ধ: এস্তোনিয়ার ইতিহাস

জনসংখ্যা

এস্তোনিয়ার সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগণ জাতিগতভাবে এস্তোনীয়।রুশরা দেশটির সংখ্যালঘু জাতিগোষ্ঠীগুলির মধ্যে বৃহত্তম। এস্তোনিয়া সোভিয়েত ইউনিয়নের অংশ হবার পর এখানে অনেক রুশ বসতি স্থাপন করে। দেশটির বর্তমান জনসংখ্যা প্রায় ১৩ লক্ষ।