Remove ads

নানিক অমরনাথ ভরদ্বাজ (উচ্চারণ; গুরুমুখী: ਲਾਲਾ ਅਮਰਨਾਥ; জন্ম: ১১ সেপ্টেম্বর, ১৯১১ - মৃত্যু: ৫ আগস্ট, ২০০০) তৎকালীন ব্রিটিশ ভারতের পাঞ্জাবের কাপুরথালা এলাকায় জন্মগ্রহণকারী ভারতীয় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার ও অধিনায়ক ছিলেন। ভারত ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য লালা অমরনাথ টেস্ট ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেন। এছাড়াও, দেশ স্বাধীন হবার পর প্রথম দলকে নেতৃত্ব দেন।

দ্রুত তথ্য ব্যক্তিগত তথ্য, জন্ম ...
লালা অমরনাথ
Thumb
১৯৩৬ সালে লর্ডসে অমরনাথের ব্যাটিং চিত্র
ব্যক্তিগত তথ্য
জন্ম(১৯১১-০৯-১১)১১ সেপ্টেম্বর ১৯১১
কাপুরথালা, পাঞ্জাব, ব্রিটিশ ভারত
মৃত্যু৫ আগস্ট ২০০০(2000-08-05) (বয়স ৮৮)
নতুন দিল্লি, ভারত
ব্যাটিংয়ের ধরনডানহাতি
বোলিংয়ের ধরনডানহাতি মিডিয়াম পেস
ভূমিকাব্যাটসম্যান, অধিনায়ক
আন্তর্জাতিক তথ্য
জাতীয় দল
টেস্ট অভিষেক
(ক্যাপ ১২)
১৫ ডিসেম্বর ১৯৩৩ বনাম ইংল্যান্ড
শেষ টেস্ট১২ ডিসেম্বর ১৯৫২ বনাম পাকিস্তান
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান
প্রতিযোগিতা টেস্ট এফসি
ম্যাচ সংখ্যা ২৪ ১৮৪
রানের সংখ্যা ৮৭৮ ১০,৪২৬
ব্যাটিং গড় ২৪.৩৮ ৪১.৩৭
১০০/৫০ ১/৪ ৩১/৫৯
সর্বোচ্চ রান ১১৮ ২৬২
বল করেছে ৪২৪১ ২৯,৪৭৪
উইকেট ৪৫ ৪৬৩
বোলিং গড় ৩২.৯১ ২২.৯৮
ইনিংসে ৫ উইকেট ১৯
ম্যাচে ১০ উইকেট
সেরা বোলিং ৫/৯৬ ৭/২৭
ক্যাচ/স্ট্যাম্পিং ১৩ ৯৬/২
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ১৩ জানুয়ারি ২০১৬
বন্ধ

ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর ভারতীয় ক্রিকেটে গুজরাত ও উত্তরপ্রদেশ দলের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। ডানহাতে ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি ডানহাতে মিডিয়াম পেস বোলিংয়ে পারদর্শী ছিলেন তিনি।

Remove ads

প্রারম্ভিক জীবন

পাঞ্জাবের কাপুরথালা এলাকায় জন্মগ্রহণ করলেও শৈশবকাল অতিবাহিত করেন লাহোরে। লাহোর থেকে চলে আসার পূর্বে আলীগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে খেলেন।[১][২] ১৯৩৩ সালে সফরকারী ইংল্যান্ড দলের বিপক্ষে দক্ষিণ বোম্বের বোম্বে জিমখানা মাঠে তার অভিষেক ঘটে। বোম্বে চতুর্দলীয় প্রতিযোগিতায় হিন্দু দলের পক্ষে খেলেন। চৌকষ ব্যাটসম্যান অমরনাথ বোলিংয়েও কিছুটা সফলতা পেয়েছিলেন। একমাত্র বোলার হিসেবে ডোনাল্ড ব্র্যাডম্যানের হিট উইকেট লাভ করেন।

আন্তর্জাতিক ক্রিকেট

প্রথম ভারতীয় ক্রিকেটার হিসেবে তিনি অভিষেকেই টেস্ট সেঞ্চুরি হাঁকান।[৩] ১৯৩৬ সালে ইংল্যান্ড সফরে শৃঙ্খলা বহির্ভূত কাজে অংশ নেয়ার অভিযোগে দলনায়ক বিজিয়ানাগ্রামের মহারাজকুমার বিতর্কিতভাবে তাকে দেশে ফেরৎ পাঠান।[৪] অমরনাথ ও তার সঙ্গীরা এ ঘটনাকে রাজনৈতিক হস্তক্ষেপরূপে অভিহিত করেন। ভিজি তোষামোদের মাধ্যমে অধিনায়কত্ব লাভ করেন। মাঠে তার দূর্বল অধিনায়কত্বের কারণে ব্রিটিশ গণমাধ্যমে সমালোচিত হয়। তিনিসহ সি. কে. নায়ডুবিজয় মার্চেন্টের ন্যায় দলের কিছু জ্যেষ্ঠ খেলোয়াড় তার ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। এরফলে দলটি মূলতঃ দু’ধারায় বিভক্ত হয়ে যায়। লর্ডসে মাইনর কাউন্টিজের বিপক্ষে ঘটনার সূত্রপাত হয়। দলীয় ম্যানেজার মেজর জ্যাক ব্রিটেন-জোন্স প্রথম টেস্ট না খেলিয়ে দেশে ফেরৎ পাঠান।[৫] ১৯৪৭-৪৮ মৌসুমে অস্ট্রেলিয়া সফরে ভারত দলের অধিনায়কত্ব করেন।

Remove ads

বিতর্কিত ভূমিকা

১৯৪৯ সালে ভারতীয় অধিনায়ক লালা অমরনাথের বিরুদ্ধে অ্যান্থনি ডি মেলো গুরুতর অভিযোগ উত্থাপন করেন। এ সময় বাংলা থেকে ব্যাপকভাবে অমরনাথের সাহায্যার্থে এগিয়ে আসে।[৬] অমরনাথ বোর্ডের কাছে এক লক্ষ রূপী আদায়ে তৎপর হন। তবে, বোর্ডের কাছে দুঃখপ্রকাশের মাধ্যমে এ বিষয়টির নিষ্পত্তি ঘটে।

সম্মাননা

১৯৫৪-৫৫ মৌসুমে দলকে নিয়ে পাকিস্তান সফরে যান। ডিসেম্বর, ১৯৬৩ সালে ৫২ বছর বয়সে সর্বশেষ খেলায় অংশ নিয়েছিলেন। পুনাতে অনুষ্ঠিত জাতীয় প্রতিরক্ষা তহবিলে অর্থসংগ্রহের ঐ খেলায় তার পুত্র সুরিন্দর অমরনাথ প্রতিপক্ষের দলে ১৫ বছর পূর্তির পূর্বেই প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে অভিষেক ঘটেছিল।[৭]

১৯৯১ সালে ভারত সরকার বেসমারিক সম্মাননা হিসেবে পদ্মভূষণ পদকে তাকে ভূষিত করে।[৮]

ব্যক্তিগত জীবন

লালা অমরনাথের পুত্রদ্বয় - মহিন্দর অমরনাথসুরিন্দর অমরনাথ উভয়েই ভারতের পক্ষে খেলেছেন। তার বর্ণাঢ্যময় খেলোয়াড়ী জীবনে তাকে ভারতীয় ক্রিকেটের জীবন্ত কিংবদন্তি হিসেবে চিত্রিত করা হতো।[৯] আরেক পুত্র রাজিন্দর অমরনাথ ১৯৭১ থেকে ১৯৮৭ সাল পর্যন্ত হরিয়ানার পক্ষে প্রথম-শ্রেণীর খেলায় অংশ নিয়েছেন।[১০] তার নাতি দিগ্বিজয় অমরনাথ শ্রীলঙ্কায় প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট খেলেছেন।[১১]

তথ্যসূত্র

Remove ads

আরও দেখুন

বহিঃসংযোগ

Wikiwand in your browser!

Seamless Wikipedia browsing. On steroids.

Every time you click a link to Wikipedia, Wiktionary or Wikiquote in your browser's search results, it will show the modern Wikiwand interface.

Wikiwand extension is a five stars, simple, with minimum permission required to keep your browsing private, safe and transparent.

Remove ads