Remove ads
ফুটবলার উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
মোহাম্মদ মামুনুল ইসলাম মামুন (জন্ম: ১২ ডিসেম্বর ১৯৮৮; মামুনুল ইসলাম নামে সুপরিচিত) হলেন একজন বাংলাদেশী পেশাদার ফুটবল খেলোয়াড়। তিনি বর্তমানে বাংলাদেশের পেশাদার ফুটবল লিগের শীর্ষ স্তর বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের ক্লাব ফর্টিস এবং বাংলাদেশ জাতীয় দলের হয়ে একজন মধ্যমাঠের খেলোয়াড় হিসেবে খেলেন। তিনি মূলত একজন কেন্দ্রীয় মধ্যমাঠের খেলোয়াড় হিসেবে খেললেও মাঝেমধ্যে রক্ষণাত্মক মধ্যমাঠের খেলোয়াড় হিসেবে খেলে থাকেন।
ব্যক্তিগত তথ্য | |||
---|---|---|---|
পূর্ণ নাম | মোহাম্মদ মামুনুল ইসলাম মামুন | ||
জন্ম | ১২ ডিসেম্বর ১৯৮৮ | ||
জন্ম স্থান | চট্টগ্রাম, বাংলাদেশ | ||
উচ্চতা | ১.৬৭ মিটার (৫ ফুট ৫+১⁄২ ইঞ্চি) | ||
মাঠে অবস্থান | মধ্যমাঠের খেলোয়াড় | ||
ক্লাবের তথ্য | |||
বর্তমান দল | ফর্টিস | ||
জার্সি নম্বর | ৮ | ||
জ্যেষ্ঠ পর্যায়* | |||
বছর | দল | ম্যাচ | (গোল) |
২০০৭–২০০৮ | ব্রাদার্স ইউনিয়ন | ||
২০০৮–২০০৯ | ঢাকা আবাহনী | ||
২০০৯–২০১০ | ঢাকা মোহামেডান | ||
২০১০–২০১১ | শেখ জামাল | ||
২০১১–২০১২ | মুক্তিযোদ্ধা সংসদ | ||
২০১২–২০১৩ | শেখ রাসেল | ||
২০১৩–২০১৫ | শেখ জামাল | ||
২০১৪ | → এটিকে (ধার) | ০ | (০) |
২০১৬–২০১৮ | চট্টগ্রাম আবাহনী | ১২ | (১) |
২০১৮–২০২১ | ঢাকা আবাহনী | ৩৫ | (৪) |
২০২২ | ঢাকা মোহামেডান | ১ | (০) |
২০২২– | ফর্টিস | ০ | (০) |
জাতীয় দল‡ | |||
২০১০–২০১৪ | বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-২৩ | ৬ | (১) |
২০০৮– | বাংলাদেশ | ৬২ | (২) |
* কেবল ঘরোয়া লিগে ক্লাবের হয়ে ম্যাচ ও গোলসংখ্যা গণনা করা হয়েছে এবং ১৭:৫০, ২০ ডিসেম্বর ২০২২ (ইউটিসি) তারিখ অনুযায়ী সকল তথ্য সঠিক। ‡ জাতীয় দলের হয়ে ম্যাচ ও গোলসংখ্যা ১৭:০২, ১৩ মার্চ ২০২১ (ইউটিসি) তারিখ অনুযায়ী সঠিক। |
২০০৭–০৮ মৌসুমে, বাংলাদেশী ক্লাব ব্রাদার্স ইউনিয়নের হয়ে খেলার মাধ্যমে তিনি তার জ্যেষ্ঠ পর্যায়ের খেলোয়াড়ি জীবন শুরু করেছেন, যেখানে তিনি মাত্র ১ মৌসুম অতিবাহিত করেছেন। অতঃপর ২০০৮–০৯ মৌসুমে তিনি ঢাকা আবাহনীতে যোগদান করেছেন। পরবর্তীকালে, তিনি ঢাকা মোহামেডান, শেখ জামাল, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ এবং শেখ রাসেলের হয়ে খেলেছেন। ২০১৪–১৫ মৌসুমে, তিনি শেখ জামাল হতে ধারে ভারতীয় ক্লাব আতলেতিকো দে কলকাতায় যোগদান করার মাধ্যমে কাজী সালাউদ্দিনের পর তৃতীয় বাংলাদেশী ফুটবলার হিসেবে দেশের বাইরে পেশাদার লিগে খেলার সুযোগ পেয়েছিলেন,[১] তবে তিনি উক্ত আতলেতিকো দে কলকাতার হয়ে একটি ম্যাচেও অংশগ্রহণ করার সুযোগ পাননি। ১ মৌসুম আতলেতিকো দে কলকাতায় অতিবাহিত করার পর, তিনি পুনরায় বাংলাদেশের ফুটবল ক্লাবে ফিরে এসে শেখ জামালে ১ মৌসুম অতিবাহিত করার পর চট্টগ্রাম আবাহনীর সাথে চুক্তি স্বাক্ষর করেছেন, যেখানে তিনি ১২ ম্যাচে ১টি গোল করেছেন। পরবর্তীকালে, তিনি ঢাকা আবাহনী এবং ঢাকা মোহামেডানের হয়ে খেলেছেন। ২০২২–২৩ মৌসুমে, তিনি ঢাকা মোহামেডান হতে বাংলাদেশী ক্লাব ফর্টিসে যোগদান করেছেন।
২০১০ সালে, মামুন বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-২৩ দলের হয়ে বাংলাদেশের বয়সভিত্তিক পর্যায়ে অভিষেক করেছিলেন। তিনি ২০০৮ সালে বালাদেশের হয়ে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে অভিষেক করেছেন; বাংলাদেশের জার্সি গায়ে তিনি এপর্যন্ত ৬২ ম্যাচে ২টি গোল করেছেন।
দলগতভাবে, মামুন এপর্যন্ত ২৫টি শিরোপা জয়লাভ করেছেন, যার মধ্যে ২টি ঢাকা আবাহনীর হয়ে, ২টি ঢাকা মোহামেডানের হয়ে, ৩টি শেখ রাসেলের হয়ে, ৫টি শেখ জামালের হয়ে, ১টি চট্টগ্রাম আবাহনীর হয়ে, ১টি আতলেতিকো দে কলকাতার হয়ে এবং ১টি বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-২৩ দলের হয়ে জয়লাভ করেছেন।
মোহাম্মদ মামুনুল ইসলাম মামুন ১৯৮৮ সালের ১২ই ডিসেম্বর তারিখে বাংলাদেশের চট্টগ্রামে জন্মগ্রহণ করেছেন এবং সেখানেই তার শৈশব অতিবাহিত করেছেন।
মামুন বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-২৩ দলের হয়ে খেলার মাধ্যমে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। ২০১০ সালের ৭ই নভেম্বর তারিখে তিনি ২০১০ এশিয়ান গেমসে উজবেকিস্তান অনূর্ধ্ব-২৩ দলের বিরুদ্ধে ম্যাচে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-২৩ দলের হয়ে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে অভিষেক করেছেন। বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-২৩ দলের হয়ে তিনি ২০১০ এশিয়ান গেমস এবং ২০১৪ এশিয়ান গেমসে অংশগ্রহণ করেছেন, উভয় বারই বাংলাদেশ শুধুমাত্র গ্রুপ পর্বে পর্যন্ত অংশগ্রহণ করতে সক্ষম হয়েছিল। বাংলাদেশের বয়সভিত্তিক দলের হয়ে তিনি ৬ ম্যাচে অংশগ্রহণ করে ২টি গোল করেছেন। তিনি ২০১৪ সালের ১৫ই সেপ্টেম্বর তারিখে ২০১৪ এশিয়ান গেমসের গ্রুপ পর্বের ম্যাচে আফগানিস্তান অনূর্ধ্ব-২৩ দলের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের বয়সভিত্তিক দলের হয়ে প্রথম এবং একমাত্র গোলটি করেছেন।
২০০৮ সালের ৫ই মে তারিখে, মাত্র ১৯ বছর ৪ মাস ২৪ দিন বয়সে, উভয় পায়ে ফুটবল খেলায় পারদর্শী মামুন আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে এক প্রীতি ম্যাচে অংশগ্রহণ করার মাধ্যমে আন্তর্জাতিক ফুটবলে বাংলাদেশের হয়ে অভিষেক করেছেন। উক্ত ম্যাচের ৩৮তম মিনিটে মধ্যমাঠের খেলোয়াড় এনামুল শরীফের বদলি খেলোয়াড় হিসেবে তিনি মাঠে প্রবেশ করেন। ম্যাচটি ০–০ গোলে ড্র হয়েছিল। বাংলাদেশের হয়ে অভিষেকের বছরে মামুন সর্বমোট ২ ম্যাচে অংশগ্রহণ করেছেন। জাতীয় দলের হয়ে অভিষেকের ১১ মাস ২৬ দিন পর, বাংলাদেশের জার্সি গায়ে প্রথম গোলটি করেন; ২০০৯ সালের ৩০শে এপ্রিল তারিখে, মাকাওয়ের বিরুদ্ধে ম্যাচের প্রথম গোলটি করার মাধ্যমে তিনি আন্তর্জাতিক ফুটবলে তার প্রথম গোলটি করেন। এছাড়াও, ২০১৫ সালের ৩০শে মে তারিখে, সিঙ্গাপুরের বিরুদ্ধে ম্যাচে বাংলাদেশের একমাত্র গোলটিতে অ্যাসিস্ট করার মাধ্যমে তিনি আন্তর্জাতিক ফুটবলে তার প্রথম অ্যাসিস্টটি করেন। ২০১৩ সালের ২রা মার্চ তারিখে, তিনি ফিলিস্তিনের বিরুদ্ধে ২০১৪ এএফসি চ্যালেঞ্জ কাপ বাছাইপর্বের গ্রুপ পর্বের ম্যাচে বাংলাদেশের হয়ে প্রথমবারের মতো অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করেন, ম্যাচটিতে বাংলাদেশ ১–০ গোলের ব্যবধানে পরাজিত হয়েছিল।
২০১৬ সালের ১০ই অক্টোবর তারিখে ভুটানের থিম্পুর চাংলিমিথাং স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ভুটানের বিরুদ্ধে ম্যাচে অংশগ্রহণ করার মাধ্যমে তিনি বাংলাদেশের জার্সি গায়ে তার ৫০তম ম্যাচ খেলেছেন, ম্যাচটিতে বাংলাদেশ ৩–১ গোলের ব্যবধানে পরাজিত হয়েছিল, যেখানে তিনি পূর্ণ ৯০ মিনিট খেলে একটি গোল করেছেন।
দল | সাল | ম্যাচ | গোল |
---|---|---|---|
বাংলাদেশ | ২০০৮ | ২ | ০ |
২০০৯ | ৬ | ১ | |
২০১০ | ৩ | ০ | |
২০১১ | ৮ | ০ | |
২০১২ | ৩ | ০ | |
২০১৩ | ৫ | ০ | |
২০১৪ | ৩ | ০ | |
২০১৫ | ১৫ | ০ | |
২০১৬ | ৫ | ১ | |
২০১৮ | ৬ | ০ | |
২০১৯ | ৩ | ০ | |
২০২০ | ৩ | ০ | |
সর্বমোট | ৬২ | ২ |
গোল | তারিখ | মাঠ | প্রতিপক্ষ | স্কোর | ফলাফল | প্রতিযোগিতা | সূত্র |
---|---|---|---|---|---|---|---|
১ | ৩০ এপ্রিল ২০০৯ | বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়াম, ঢাকা, বাংলাদেশ | মাকাও | ১–০ | ৩–০ | ২০১০ এএফসি চ্যালেঞ্জ কাপ বাছাইপর্ব | [২] |
২ | ১০ অক্টোবর ২০১৬ | চাংলিমিথাং স্টেডিয়াম, থিম্পু, ভুটান | ভুটান | ১–২ | ১–৩ | ২০১৯ এএফসি এশিয়ান কাপ বাছাইপর্ব | |
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.
Every time you click a link to Wikipedia, Wiktionary or Wikiquote in your browser's search results, it will show the modern Wikiwand interface.
Wikiwand extension is a five stars, simple, with minimum permission required to keep your browsing private, safe and transparent.