Loading AI tools
বাংলাদেশী আইনজীবী ও রাজনীতিবিদ উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন (৩১ জানুয়ারি ১৯৪০ – ৯ ডিসেম্বর ২০২৩) ছিলেন একজন বাংলাদেশী আইনজীবী এবং তত্ত্ববধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা। তিনি ২০০৭ সালে গঠিত ড. ফখরুদ্দীন আহমদের নেতৃত্বে গঠিত তত্ত্ববধায়ক সরকারের উপদেষ্টা হিসেবে তথ্য, আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত এবং ভূমি মন্ত্রণালয় এর দায়ীত্ব পালন করেন।
ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন | |
---|---|
ফখরুদ্দীন আহমদের মন্ত্রিসভার সদস্য | |
কাজের মেয়াদ ১৪ জানুয়ারি ২০০৭[1] – ৮ জানুয়ারি ২০০৮[1] | |
প্রধানমন্ত্রী | ফখরুদ্দীন আহমদ |
পূর্বসূরী | মো. ফজলুল হক |
উত্তরসূরী | এ এফ হাসান আরিফ |
দৈনিক ইত্তেফাকের সম্পাদক | |
কাজের মেয়াদ ১৯৬৯ – ১৯৭৩ | |
বাকেরগঞ্জ-১৭ আসনের সংসদ সদস্য | |
কাজের মেয়াদ মার্চ ১৯৭৩ – মে ১৯৭৫ | |
ব্যক্তিগত বিবরণ | |
জন্ম | ৩১ জানুয়ারি ১৯৪০ |
মৃত্যু | ৯ ডিসেম্বর ২০২৩ ৮৩) এভারকেয়ার হাসপাতাল, ঢাকা, বাংলাদেশ | (বয়স
সমাধিস্থল | আজিমপুর গোরস্থান |
জাতীয়তা | বাংলাদেশী |
পিতামাতা | তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া (পিতা) মাজেদা বেগম (মাতা) |
আত্মীয়স্বজন | আনোয়ার হোসেন মঞ্জু (ভাই) |
প্রাক্তন শিক্ষার্থী | ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, মিডল টেম্পল ইন |
পেশা | আইনজীবী ও সাংবাদিক |
মইনুল হোসেন ১৯৪০ সালের ৩১ জানুয়ারিতে জন্মগ্রহণ করেন। বিখ্যাত সাংবাদিক তোফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া তার পিতা এবং মাজেদা বেগম তার মাতা। ঢাকার নবাবপুর সরকারি উচ্চবিদ্যালয় থেকে তিনি ম্যাট্রিক পাশ করেন। তিনি ১৯৬১ সালে তিনি রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিষয় নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক সম্পন্ন করেন। তারপরে মিডল টেম্পল এ আইন বিষয়ক পড়াশোনা করেন। ১৯৬৫ সালে বার থেকে ব্যারিস্টার-ইন-ল ডিগ্রি অর্জন করেন এবং একই বছর ডিসেম্বরে ঢাকা হাইকোর্টে আইন ব্যবসা শুরু করেন।
১৯৬৯ সালে বাবার মৃত্যুর পর দৈনিক ইত্তেফাক সম্পাদনার দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৭৩ সালে তিনি দৈনিক ইত্তেফাকের সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি হন।
মইনুল হোসেন ১৯৭৩ সালে তৎকালীন বাকেরগঞ্জ-১৭ আসন থেকে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন নিয়ে সংসদ সদস্য মনোনীত হন।
তৎকালীন রাষ্ট্রপতি শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭৫ সালে সংবিধানের চতুর্থ সংশোধনের মাধ্যমে বাংলাদেশে একদলীয় শাসন ব্যবস্থা বাকশালের প্রচলন করলে তিনি সংসদ সদস্য পদ থেকে স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করেন।
শেখ মুজিবুর রহমানের মৃত্যর পরে তিনি খন্দকার মোশতাক আহমেদের পরিচালিত দল ডেমোক্র্যাটিক লীগে যোগ দেন এবং ৩ নভেম্বর মোশতাক সরকারের পতন পর্যন্ত তিনি ডেমোক্র্যাটিক লীগেই ছিলেন।
বাংলাদেশের সংবাদ মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ সংবাদপত্র পরিষদ এর সভাপতি হিসেবে তিনি দায়িত্ব পালন করেন। তিনি সুপ্রিমকোর্ট বার এসোসিয়েশনের সভাপতি হিসেবে ২০০০-২০০১ মেয়াদে নির্বাচিত হন।
তিনি দ্য নিউ নেশন ইংরেজি পত্রিকার প্রকাশক।
মইনুল হোসেন ২০০৭ সালের ১৪ জানুয়ারি বহুল আলোচিত বাংলাদেশের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের তথ্য, আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত এবং ভূমি মন্ত্রণালয় এর উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন।[2] ২০০৮ সালের ৮ জানুয়ারী তাকে বাংলাদেশের তত্ত্বাবধায়ক সরকার থেকে পদত্যাগ করতে বাধ্য করা হয়।
২০১৮ সালের ১৬ অক্টোবর মধ্যরাতে বেসরকারি টেলিভিশন একাত্তর জার্নাল টক শোতে দৈনিক আমাদের নতুন সময়ের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাসুদা ভাট্টি লাইভে যুক্ত হওয়া ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনকে প্রশ্ন করেন- ‘সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি আলোচনা চলছে, আপনি সদ্য গঠিত জাতীয় ঐক্যফ্রন্টে এসে জামায়াতের প্রতিনিধিত্ব করছেন কি না?’ মইনুল হোসেন এ প্রশ্নের জবাবে একপর্যায়ে মাসুদা ভাট্টিকে ‘চরিত্রহীন’ বলে মন্তব্য করেন। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সমালোচনার শিকার হন।[3] এর পরিপ্রেক্ষিতে সারাদেশে মানহানির মামলা হয় এবং হোসেনের বিরুদ্ধে আদালত গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে। ২০১৮ সালের ২২ অক্টোবর রাত পৌনে ১০টার দিকে রাজধানীর উত্তরায় জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সভাপতি আ স ম আবদুর রবের বাসা থেকে মইনুল হোসেনকে গ্রেফতার করা হয়। তিন মাসের বেশি সময় কারাগারে থাকার পর ২০১৯ সালের ২৭ জানুয়ারি জামিনে মুক্তি দেয়া হয়। সর্বশেষ তাকে ৩ সেপ্টেম্বর ২০১৯ তারিখে উচ্চ আদালতের নির্দেশে তাকে পুনরায় কারাগারে পাঠানো হয়। [4][5]
২০২৩ সালের ৯ ডিসেম্বর সন্ধ্যা ৬টায় রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। আজিমপুর কবরস্থানে তার দাফন সম্পন্ন হয়।[6]
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.
Every time you click a link to Wikipedia, Wiktionary or Wikiquote in your browser's search results, it will show the modern Wikiwand interface.
Wikiwand extension is a five stars, simple, with minimum permission required to keep your browsing private, safe and transparent.