Loading AI tools
উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
ব্রিটিশ গ্রীষ্মকালীন সময় (বিএসটি) যুক্তরাজ্যের নগর সময়। গ্রীনিচ মান সময়ের (জিএমটি) চেয়ে এক ঘণ্টা অগ্রসরমান থাকে। এরফলে ইউটিসি+০ থেকে ইউটিসি+১ সময় অঞ্চলে পরিবর্তিত হয়ে যায়। ফলশ্রুতিতে, সান্ধ্যকালীন আরও অধিক দিবালোক ও প্রভাতে কম আলো থাকে।[1][2]
ব্রিটিশ গ্রীষ্মকালীন সময় | |
---|---|
সময় অঞ্চল | |
ইউটিসি অফসেট | |
BST | ইউটিসি+০১:০০ |
বর্তমান সময় ( | )|
১৩ অক্টোবর ২০২৪ ৫:০৪:৪৬ অপরাহ্ণ ১৩ অক্টোবর ২০২৪ ৪:০৪:৪৬ অপরাহ্ণ | |
দিবালোক সংরক্ষণ সময় পালন | |
সমগ্র সময় অঞ্চল জুড়ে দিবালোক সংরক্ষণ সময় পালন করা হয়। |
হালকা নীল | পশ্চিম ইউরোপীয় সময় / |
নীল | পশ্চিম ইউরোপীয় সময় / |
গোলাপী | কেন্দ্রীয় ইউরোপীয় সময় (ইউটিসি+১) কেন্দ্রীয় ইউরোপীয় গ্রীষ্মকালীন সময় (ইউটিসি+২) |
হলুদ | পূর্ব ইউরোপীয় সময় / |
গাঢ় হলুদ | পূর্ব ইউরোপীয় সময় (ইউটিসি+২) পূর্ব ইউরোপীয় গ্রীষ্মকালীন সময় (ইউটিসি+৩) |
হালকা সবুজ | অধিকতর-পূর্ব ইউরোপীয় সময় / (ইউটিসি+৩) |
বিএসটি মার্চ মাসের শেষ রবিবার ০১:০০ জিএমটি থেকে শুরু হয়। অক্টোবরের শেষ রবিবার ০১:০০ জিএমটি (০২:০০ বিএসটি) শেষ হয়। ২২ অক্টোবর, ১৯৯৫ তারিখ থেকে দিবালোক সংরক্ষণ সময়ের শুরু ও শেষ ধাঁপ ইউরোপীয় ইউনিয়নের সর্বত্র প্রচলিত হচ্ছে।[3] যেমন: কেন্দ্রীয় ইউরোপীয় গ্রীষ্মকালীন সময় একই রবিবারে শুরু ও শেষ হয়। অর্থাৎ, সিইটি সময় ০২:০০ হলে তা জিএমটি ০১:০০ হবে। ১৯৭২ থেকে ১৯৯৫ সময়কালে বিএসটি সময়কালকে গ্রীনিচ মান সময় দুইটা থেকে শুরু করার কথা হিসেবে সংজ্ঞায়িত করা হয়। মার্চের তৃতীয় শনিবারের পরদিন সকাল থেকে অথবা, ঐ দিন যদি ইস্টার হয় তাহলে মার্চের দ্বিতীয় শনিবারের পর থেকে শুরু হবে ও অক্টোবরের চতুর্থ শনিবারের পরদিন গ্রীনিচ মান সময় দুইটায় শেষ হবে।[4][5]
নিম্নবর্ণিত ছকে সাম্প্রতিক-অতীত ও ভবিষ্যতে ব্রিটিশ গ্রীষ্মকালীন সময়ের শুরু ও শেষ হবার তারিখগুলো তুলে ধরা হয়েছে:[6]
বছর | শুরু | শেষ |
---|---|---|
এক্সপ্রেশন ত্রুটি: অপরিচিত বিরামচিহ্ন অক্ষর "২"। | এক্সপ্রেশন ত্রুটি: অযাচিত < অপারেটর। | এক্সপ্রেশন ত্রুটি: অযাচিত < অপারেটর। |
এক্সপ্রেশন ত্রুটি: অপরিচিত বিরামচিহ্ন অক্ষর "২"। | এক্সপ্রেশন ত্রুটি: অযাচিত < অপারেটর। | এক্সপ্রেশন ত্রুটি: অযাচিত < অপারেটর। |
এক্সপ্রেশন ত্রুটি: অপরিচিত বিরামচিহ্ন অক্ষর "২"। | এক্সপ্রেশন ত্রুটি: অযাচিত < অপারেটর। | এক্সপ্রেশন ত্রুটি: অযাচিত < অপারেটর। |
২০২৪ | এক্সপ্রেশন ত্রুটি: অপরিচিত বিরামচিহ্ন অক্ষর "২"। | এক্সপ্রেশন ত্রুটি: অপরিচিত বিরামচিহ্ন অক্ষর "২"। |
এক্সপ্রেশন ত্রুটি: অপরিচিত বিরামচিহ্ন অক্ষর "২"। | এক্সপ্রেশন ত্রুটি: অযাচিত < অপারেটর। | এক্সপ্রেশন ত্রুটি: অযাচিত < অপারেটর। |
এক্সপ্রেশন ত্রুটি: অপরিচিত বিরামচিহ্ন অক্ষর "২"। | এক্সপ্রেশন ত্রুটি: অযাচিত < অপারেটর। | এক্সপ্রেশন ত্রুটি: অযাচিত < অপারেটর। |
এক্সপ্রেশন ত্রুটি: অপরিচিত বিরামচিহ্ন অক্ষর "২"। | এক্সপ্রেশন ত্রুটি: অযাচিত < অপারেটর। | এক্সপ্রেশন ত্রুটি: অযাচিত < অপারেটর। |
উইলিয়াম উইলেট ব্রিটিশ গ্রীষ্মকালীন সময় ব্যবস্থা প্রবর্তনের জন্যে প্রচারণা চালান। মূল প্রস্তাবে তিনি, ঘড়ির কাটা ৮০ মিনিট এগিয়ে আনার কথা বলেন। এপ্রিলের প্রতি রবিবারে ২০ মিনিট ও সেপ্টেম্বরে এর বিপরীত পদ্ধতিতে তা মূল সময়ে ফিরিয়ে আনার বিষয় তুলে ধরেছিলেন।[7] ফলশ্রুতিতে, ১৯১৬ সালের গ্রীষ্মকালীন সময় অধ্যাদেশের মাধ্যমে প্রথমবারের মতো ব্রিটিশ গ্রীষ্মকালীন সময় ব্যবস্থার প্রবর্তন করা হয়। ১৯১৬ সালের ২১ মে ও ১ অক্টোবর বিএসটি শুরু ও শেষ হয়।[8] তবে, উইলিয়াম উইললেট তার ঐ ধারণার বাস্তবায়ন পর্ব উপভোগ করতে পারেননি। ১৯১৫ সালের শুরুরদিকে তার দেহাবসান ঘটে।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ চলাকালে ১৯৪১ থেকে ১৯৪৫ সালের গ্রীষ্মকালে ব্রিটেনে জিএমটির চেয়ে দুই ঘণ্টা এগিয়ে আনা হয়। এ সময়ে ‘ব্রিটিশ দ্বৈত গ্রীষ্মকালীন সময়’ (বিডিএসটি) পরিচালিত হয়েছিল। ১৯৪০ সালের গ্রীষ্মের শেষে ঘড়ির কাটা এক ঘণ্টা পিছিয়ে আনা হয়নি। এর পরের বছরগুলোয় প্রত্যেক বসন্তে এক ঘণ্টা করে এগিয়ে আনা হয়েছে ও জুলাই, ১৯৪৫ সালের পূর্ব-পর্যন্ত প্রত্যেক শরৎকালে এক ঘণ্টা পিছিয়ে আনা হয়। ১৯৪৭ সালের গ্রীষ্মকাল শেষে ঘড়ির সময় জিএমটির সাথে মিলানো হয়।[9][10]
১৯৫৯-৬০ অর্থবছরের শীতকালে ব্রিটিশ গ্রীষ্মকালীন সময়ের গুরুত্বতা নিয়ে ১৮০টি জাতীয় সংস্থার পরামর্শ সভার আয়োজন করা হয়। এতে সারা বছর জুড়ে জিএমটি+১ সময় নিয়ে সামান্য পরিবর্তনের কথা অগ্রাধিকার পায়। তবে, গ্রীষ্মের সময়ের দৈর্ঘ্য নিয়ে তখনও পরীক্ষা চালানো হচ্ছিল।[11] ১৯৬৬-১৯৬৭ সময়কালে হ্যারল্ড উইলসন সরকারের নেতৃত্বে আবারও এর গুরুত্বতা নিয়ে আলোচনা হয়। ঐ সময়ে ব্রিটিশ স্থানীয় সময় পরীক্ষামূলকভাবে প্রবর্তন করা হয়। পুরো বছর জুড়ে ব্রিটেনে জিএমটি+১ চালু করা হয়। ২৭ অক্টোবর, ১৯৬৮ থেকে ৩১ অক্টোবর, ১৯৭১ তারিখে পর্যন্ত এ ধারা চলমান ছিল। এরপর পূর্বের ধারায় চলে যায়।
প্রথম দুই বছরে এই পরীক্ষামূলক সময় ব্যবহারের বিষয়ের সাথে দুর্ঘটনার তথ্য পর্যালোচনা করে এইচএমএসও অক্টোবর, ১৯৭০ সালে প্রতিবেদন প্রকাশ করে। এতে দেখানো হয় যে, সকালে ক্ষয়-ক্ষতির পরিমাণ বৃদ্ধি ও সন্ধ্যায় উল্লেখযোগ্য হারে কম ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে। প্রথম দুই শীতকালে প্রায় আড়াই হাজার লোক নিহত ও আহত হয়েছেন।[12][13] একইসময় রাস্তায় দিনের বেলায় প্রায় এক হাজার লোক নিহত কিংবা আহত হন।[14][15] তবে, ঐ সময়ে মদ্যপান করে গাড়ী চালনার আইনের প্রচলন এর সাথে যুক্ত ছিল। ১৯৮৯ সালে আইনের সংশোধন ঘটানোয় তা নিচেরদিকে চলে আসে।[13]
২ ডিসেম্বর, ১৯৭০ তারিখে কমন্স সভায় পরীক্ষামূলক পদ্ধতির বিষয়ে বিতর্কের শুনানী চলে।[16] কমন্স সভায় ৩৬৬-৮১ মুক্ত ভোটে পরীক্ষা পর্বটির সমাপ্তির কথা ঘোষণা করা হয়।[17]
দুর্ঘটনা প্রতিরোধে রয়্যাল সোসাইটি (রস্পা) ও পরিবেশবাদী ১০:১০ সংস্থাসহ আন্দোলনকারীরা শীতকালীন ব্রিটিশ গ্রীষ্মকালীন সময় ও চলতি ব্রিটিশ গ্রীষ্মকালীন সময়কালে ‘দ্বৈত গ্রীষ্মকালীন সময়’ ব্যবস্থা চালু করার জন্যে সুপারিশ করে। এরফলে, শীতকালে জিএমটির তুলনায় যুক্তরাজ্যে এক ঘণ্টা ও গ্রীষ্মকালে দুই ঘণ্টা এগিয়ে থাকবে। এ প্রস্তাবের মাধ্যমে ‘একক/দ্বৈত গ্রীষ্মকালীন সময়’ (এসডিটিটি) ব্যবস্থাকে বুঝানো হয়েছে। এর মাধ্যমে যুক্তরাজ্য ইউরোপীয় দেশ ফ্রান্স, জার্মানি, স্পেনের মূল ভূ-খণ্ড (কেন্দ্রীয় ইউরোপীয় সময় ও কেন্দ্রীয় ইউরোপীয় গ্রীষ্মকালীন সময়) একই সময় অঞ্চলে অবস্থান করবে।
রোস্পা মন্তব্য করে যে, এরফলে এ সময়ে সংঘটিত দুর্ঘটনার সংখ্যা আলোকিত সন্ধ্যার প্রভাবে উল্লেখযোগ্যভাবে কমবে। ১৯৬৮ থেকে ১৯৭১ সময়কালের পরীক্ষামূলক প্রচলনের পুণরাবৃত্তির সাথে আধুনিক মূল্যায়ন পদ্ধতির যোগসূত্র স্থাপনের পরামর্শ দেয়।[18]
১০:১০-এর ‘লাইটার লটার’ প্রচারণার উপরে বর্ণিত ঝুঁকি হ্রাসের কথা প্রকাশের পাশাপাশি একক/দ্বৈত গ্রীষ্মকালীন সময়ে বিদ্যুৎ শক্তির সম্ভাব্য সুবিধার কথা তুলে ধরে। এতে বলা হয়, এরফলে প্রতি বছরে প্রায় ৫০০,০০০ টন কার্বন ডাই অক্সাইড গ্যাস নির্গমন থেকে বাঁচবে যা রাস্তায় চলাচলকৃত ১৮৫,০০০ গাড়ীর সমতুল্য।[19]
কিছুসংখ্যক কৃষক, বাইরের অন্যান্য শ্রমিক এবং স্কটল্যান্ড ও উত্তর আয়ারল্যান্ডের অনেক অধিবাসী এই প্রস্তাবগুলোর বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়।[20] ব্রিটেনের উত্তরাংশ ও উত্তর আয়ারল্যান্ডে শীতকালে সূর্যোদয় ১০:০০ বা তারপরেও না উঠার কথা এ বিরুদ্ধতায় তুলে ধরে। তবে, মার্চ, ২০১০ সালে জাতীয় কৃষক সংঘ জানায় যে, এটি একক/দ্বৈত গ্রীষ্মকালীন সময়ের বিরুদ্ধাচরণ নয়। অনেক কৃষকই এ পরিবর্তনের সাথে একাত্মতা পোষণ করেছেন।[21] দিবালোক সংরক্ষণ মানদণ্ডের অন্য বিরোধীরা মন্তব্য করে যে, সকালের ঘন অন্ধকার বিশেষ করে স্কটল্যান্ডে শিশুদের বিদ্যালয়ের যাওয়া ও লোকদের কাজের সন্ধানে ভ্রমণের ক্ষেত্রে প্রভাব বিস্তার করতে পারে।
মার্চ, ২০১৫ সালে ইউগভ ভোট নেয়।[22] এতে বলা হয় যে, ৪০% ব্যক্তি ঘড়ির সময় পরিবর্তনের অভ্যাস বন্ধ করা উচিত; অন্যদিকে মাত্র ৩৩% এটিকে রাখতে চাচ্ছে। বাদ-বাকীরা মন্তব্য করেনি।
গ্রীষ্মকালীন সময় অধ্যাদেশ, ২০০২-এর মাধ্যমে বর্তমান ব্যবস্থায় বিএসটিকে সংজ্ঞায়িত করা হয়েছে যে, ... এ সময়কাল গ্রীনিচ মান সময় থেকে এক ঘণ্টা এগিয়ে থাকবে। মার্চের শেষ রবিবার সকাল থেকে শুরু হবে ও অক্টোবরের শেষ রবিবার সকালে শেষ হবে।[23] এ সময়কালটি ইউরোপীয় সংসদ কর্তৃক নির্দেশিকা (২০০০/৮৪/ইসি) দ্বারা নির্ধারণ করা ছিল। এর মাধ্যমে ইউরোপীয় দেশসমূহে সাধারণ গ্রীষ্মকালীন সময় বাস্তবায়নকল্পে প্রয়োজন ছিল। মূলতঃ নির্দেশিকা ৯৭/৪৪/ইসি দ্বারা ১৯৯৭ সালে এর প্রবর্তন করা হয়।[24]
ব্রিটেনের দ্রাঘিমাংশের দৈর্ঘ্যের কারণে বিএসটি প্রয়োগে অধিকাংশ বছরই বিতর্কের সৃষ্টি করেছে। সংসদীয় বিতর্কেও এ বিষয়ে আলোচনা করা হয়েছে। ২০০৪ সালে ইংরেজ এমপি নাইজেল বিয়ার্ড কমন্স সভায় প্রাইভেট মেম্বার্স বিলে তুলে ধরেন। এতে তিনি প্রস্তাব করেন যে, ইংল্যান্ড এবং ওয়েলসে এ সময়ের প্রয়োজন থাকলেও স্কটল্যান্ড ও উত্তর আয়ারল্যান্ডে স্বাধীনভাবে নিজেদের সময় নির্ধারণ স্বাধীনভাবে করা উচিত।
২০০৫ সালে লর্ড ট্যানল আলোকিত সন্ধ্যা (পরীক্ষামূলক) বিল উপস্থাপন করেছিলেন।[25] লর্ডস সভায় উত্থাপিত এ প্রস্তাবে বলা হয় যে, শীতকালীন ও গ্রীষ্মকালীন সময়ে তিন বছরের জন্যে পরীক্ষামূলকভাবে এক ঘণ্টা এগিয়ে আনা যেতে পারে। তবে, স্কটল্যান্ড ও উত্তর আয়ারল্যান্ড ইচ্ছে করলে অংশ নিতে পারবে। তবে, সরকার থেকে এ প্রস্তাবের বিরোধিতা করা হয়। ২৪ মার্চ, ২০০৬ সালে দ্বিতীয়বার বিলটি উত্থাপন করা হয়। তবে, আইনে পরিণত হয়নি।[26] স্থানীয় সরকার সংস্থাও পরীক্ষা-নিরীক্ষার দাবী করে।[27]
পিছনের আসনের রক্ষণশীল এমপি রেবেকা হ্যারিস প্রাইভেট মেম্বার্স বিল - দিবালোক সংরক্ষণ বিল, ২০১০-১২ উত্থাপন করেন। তিনি এ প্রসঙ্গে মন্তব্য করেন যে, সরকারের উচিত বছরের কিংবা অংশবিশেষ সময়ের এক ঘণ্টা এগিয়ে আনা সময়ের সম্ভাব্য খরচ ও সুবিধাদির বিশ্লেষণ করা। যদি এ ধরনের বিশ্লেষণে ঘড়ির কাটা পরিবর্তনে যুক্তরাজ্য লাভবান হয় তাহলে সরকারের উচিত বিলের পূর্ণ প্রভাবকল্পে পরীক্ষামূলকভাবে ঘড়ির কাটা পরিবর্তন করা।[28]
২০১০ সালে তৎকালীন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন মন্তব্য করেছিলেন যে, তিনি গুরুত্ব সহকারে বিলটির বিষয় পর্যালোচনা করে দেখছেন। শুধুমাত্র সরকারী সহযোগিতার মাধ্যমেই বিলটি অনুমোদন করা সম্ভবপর। স্কটল্যান্ডে এর বিরোধিতা সত্ত্বেও ক্যামেরন মন্তব্য করেন যে, এ পরিবর্তন সমগ্র যুক্তরাজ্যে হবে। তিনি বলেন, আমরা যুক্তরাজ্যবাসী। আমাদের একীভূত সময় অঞ্চল চাই।[29] অক্টোবর, ২০১০ সালের শেষদিকে প্রায় ৩,০০০ ব্যক্তির মধ্যে পরিচালিত জরিপে ব্রিটিশ শক্তি সংস্থা এনপাওয়ার মন্তব্য করে যে, খুব কমসংখ্যক স্কটিশ এ পরিবর্তন আনয়ণকে স্বাগতঃ জানিয়েছেন। তবে, স্কটিশ সরকার এর বিরুদ্ধে রয়েছে।[30]
নভেম্বর, ২০১১ সালে এ বিল নিয়ে পুনরায় সংসদে বিতর্ক হয় ও ডিসেম্বর, ২০১১ সালে সংসদীয় কমিটিতে প্রেরণ করা হয়।[31] জানুয়ারি, ২০১২ সালে কমন্স সভায় আবারও বিতর্কের মুখে পড়ে। ফলে, বিরোধী সদস্যরা বেরিয়ে আসেন।[32] না এইচ-ইলিয়ানান অ্যান আয়ারের এমপি অ্যাঙ্গাস ম্যাকনিল মন্তব্য করেন যে, স্কটল্যান্ডের উত্তরাঞ্চলীয় জনগোষ্ঠীতে এর বিরূপ প্রভাব ফেলবে। অন্যদিকে উত্তর পূর্ব সমারসেটের এমপি জেকব রিজ-মগ মন্তব্য করেন যে, বিলের ত্রুটি লক্ষ্য করে সমারসেটের নিজস্ব সময় অঞ্চলের জন্য বিলে সংশোধন আনয়ণের চেষ্টা করছেন। এরফলে সমারসেট লন্ডন থেকে ১৫ মিনিট পিছনে থাকবে।[33][34] নির্ধারিত সময় অতিক্রান্ত হলে বিলটি সংসদে আর এগুতে পারেনি।[35]
জনগণের মতামত নেয়ার পর ইউরোপীয় ইউনিয়ন কমিশন ইউরোপীয় ইউনিয়নে গ্রীষ্মকালীন সময় পরিত্যাগ করার কথা প্রস্তাব করে। কাউন্সিলের আইন পরিষদ ও সংসদ এতে ঐকমত্য পোষণ করে। তবে, কিছু ধীরগতিসম্পন্ন সময় এর অংশ রয়েছে। ২০২১ সালের মধ্যে যুক্তরাজ্য ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে চলে আসতে পারে। ফলে তারা এটি মানতে বাধ্য নয়। তবে, পরবর্তীতে হয়তোবা এটি অনুসরণ করতে হতে পারে। আরও দেখুন ভবিষ্যতে।
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.
Every time you click a link to Wikipedia, Wiktionary or Wikiquote in your browser's search results, it will show the modern Wikiwand interface.
Wikiwand extension is a five stars, simple, with minimum permission required to keep your browsing private, safe and transparent.