Loading AI tools
বাংলাদেশের রংপুর বিভাগের লালমনিরহাট জেলার রেলস্টেশন উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
বুড়িমারী হলো রংপুর বিভাগের লালমনিরহাট জেলায় অবস্থিত বাংলাদেশের একটি সীমান্ত রেলস্টেশন। এটি একটি স্থল সীমানা পারাপার কেন্দ্র এবং বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে একটি বিলুপ্ত রেলপথ গমন কেন্দ্র। ভারতীয় পক্ষের অনুরূপ কেন্দ্রটি আছে কোচবিহার জেলার চ্যাংড়াবান্ধায়।[১] বুড়িমারী – লালমনিরহাট – পার্বতীপুর লাইন উত্তর বাংলাদেশের বুড়িমারী এবং পার্বতীপুর জংশনকে সংযুক্তকারী একটি রেলপথ। এটি কুড়িগ্রাম এবং রমনা বাজারের সাথেও সংযুক্ত রয়েছে। এই যাত্রাপথটি বাংলাদেশ রেলওয়ের আওতাধীন। বুড়ীমারি-লালমনিরহাট-পার্বতীপুর লাইন এর সর্বশেষ স্টেশন এটি।[২]
বুড়িমারী | |
---|---|
বাংলাদেশ রেলওয়ে স্টেশন | |
অবস্থান | লালমনিরহাট, রংপুর বাংলাদেশ |
স্থানাঙ্ক | ২৬°২৩′৪৮″ উত্তর ৮৮°৫৬′০৪″ পূর্ব |
লাইন | বুড়ীমারি-লালমনিরহাট-পার্বতীপুর লাইন |
নির্মাণ | |
গঠনের ধরন | প্রমাণ (ভূস্থিত স্টেশনে) |
অন্য তথ্য | |
অবস্থা | সক্রিয় |
ইতিহাস | |
চালু | ১৯০০? |
আগের নাম | বেঙ্গল ডুয়ার্স রেলপথ |
অবস্থান | |
বুড়িমারী–লালমনিরহাট– পার্বতীপুর লাইন |
---|
উৎস: বাংলাদেশ রেলওয়ে মানচিত্র |
লালমনিরহাট-মালবাজার মিটার গেজ লাইনটি উনিশ শতকের শেষের দিকে বেঙ্গল ডুয়ার্স রেলওয়ে তৈরি করে দিয়েছিল।[৩] ১৯৪৭ সালে স্বাধীনতা এবং ভারত বিভাগের পরে লাইনটির ভারতীয় দিকে চ্যাংড়াবান্ধায় এসে বন্ধ হয়ে যায় এবং ওপারে, তখন পাকিস্তানি দিকে, লাইনটি বুড়িমারীতে সমাপ্ত হয়ে যায়। এখন স্টেশনটি বাংলাদেশের অন্তর্গত।[৪]
বুড়িমারী - চ্যাংড়াবান্ধা রেলপথ গমন কেন্দ্রটি বন্ধ হয়ে গেছে। লাইনের ভারতীয় দিকটি এখন ব্রডগেজ করা হয়েছে এবং নিউ মাল জংশন থেকে চ্যাংড়াবান্ধার মধ্যে চালু রয়েছে। চ্যাংড়াবান্ধা থেকে নতুন কোচবিহার সংযোগের জন্য নতুন লাইন তৈরি করা হয়েছে।[৫]
বুড়িমারী-লালমনিরহাট লাইনের বাংলাদেশী দিকটির রেল লাইনের অবস্থা খারাপ এবং ঘন ঘন লাইনচ্যুত হয়ে যেত। দিনে দুটি লোকাল ট্রেন সীমাবদ্ধ গতিবেগে প্রতি ঘণ্টায় ৮–১৪ কিমি বেগে চলত (সাধারণ ভাবে প্রতি ঘণ্টায় ৪৫ কিমি বেগে চলে)।
তবে ২০১২ সালে, মিটারগেজ লাইনের এই দিকটি লালমনিরহাট পর্যন্ত সম্পূর্ণরূপে নির্মিত হয়েছে। এখন প্রতিদিন ৮টি ট্রেন চলছে এবং বিভিন্ন শহরে যাচ্ছে। এখন গতির সীমা ৭০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা। এই বিভাগের মোট নয়টি স্টেশন পুনরায় তৈরি করা হয়েছে।[৬][৭] বাংলাদেশ এখন এই যাত্রাপথটি পুনরুদ্ধার করতে পুরো বিভাগকে সিঙ্গল লাইন (একক লাইন) থেকে ডবল লাইন (দ্বিমুখী লাইন) করেছে। এর জন্য ধরলা নদীতে একটি সেতু নির্মাণ করা হচ্ছে।[৮]
নিউ মাল জংশন এবং চ্যাংড়াবান্ধার মধ্যে লাইনটি এখন (২০১৬) ব্রডগেজে (প্রায় ১.৬৭৬ মিটার) রূপান্তরিত হয়েছে। ২০শে জানুয়ারি ২০১৬ তারিখ থেকে, নিউ মাল জংশন হয়ে, শিলিগুড়ি থেকে চ্যাংড়াবান্ধা এই যাত্রাপথে একজোড়া ডিএমইউ চালু করা হয়েছে।[৯]
করতোয়া এক্সপ্রেসটি প্রতিদিন বুড়িমারী থেকে সান্তাহার জংশন (গাইবান্ধা-বগুড়া হয়ে) এবং লালমনিরহাট রেলস্টেশনের মধ্য দিয়ে চলে। বুড়িমারী থেকে লালমনিরহাট-রংপুর-পার্বতীপুরের মধ্যে প্রতিদিন ১টি লোকাল এবং ২টি যাত্রীবাহী ট্রেন রয়েছে।[১০][১১][১২]
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.
Every time you click a link to Wikipedia, Wiktionary or Wikiquote in your browser's search results, it will show the modern Wikiwand interface.
Wikiwand extension is a five stars, simple, with minimum permission required to keep your browsing private, safe and transparent.