এই নিবন্ধটিতে আধ্বব ধ্বনিমূলক চিহ্ন রয়েছে। সঠিক পরিবেশনার সমর্থন ছাড়া, আপনি ইউনিকোড অক্ষরের পরিবর্তে প্রশ্নবোধক চিহ্ন, বক্স, অথবা অন্যান্য চিহ্ন দেখতে পারেন।
বন্ধ
বসনীয় লেখার জন্য লাতিন এবং সিরিলীয় উভয় বর্ণমালাই ব্যবহার হয়,[Note 1] তবে দৈনন্দিন ক্ষেত্রে ব্যবহারের জন্য লাতিন ব্যবহার হয়।[11]ইসলামী সম্পর্কের মাধ্যমে এই ভাষাটির বিভিন্ন সংস্কৃতির সাথে মিথস্ক্রিয়ার ফলে এই ভাষায় আরবি, উসমানীয় তুর্কি এবং ফার্সি শব্দঋণের কারণে বসনীয়-ক্রোয়েশীয়-সার্বীয়ের বিভিন্ন প্রকারের মধ্যে এটি উল্লেখযোগ্য।[12][13][14]
বসনীয় ভাষা বসনীয়-ক্রোয়েশীয়-সার্বীয়ের সর্বাধিক বিস্তৃত উপভাষা, শ্তোকাভীয়, আরো নির্দিষ্টভাবে পূর্ব হার্জেগোভিনীয় ভিত্তিক। একই ভিত্তিতে ক্রোয়েশীয়, সার্বীয়, এবং মন্টিনিগ্রীয়ের প্রকারগুলিও গড়ে উঠেছে। ফলত বশনিয়াক, ক্রোয়েশীয়, সার্বীয় এবং মন্টেনিগ্রীয়দের সাধারণ ভাষার ঘোষণাপত্র ২০১৭ সালে সারায়েভোতে প্রকাশ করা হয়।[15][16]
১৯৯০ অবধি এই সাধারণ ভাষাটিকে সার্বো-ক্রোয়েশীয় বলা হতো,[17] এবং এই নামটি এখনও বিভিন্ন মহলে, বিশেষত কূটনৈতিক মহলে, ব্যবহৃত হয়।
প্রমিতিকরণ
বসনীয়রা স্থানীয় ভাষাগত স্তরের সার্বীয় বা ক্রোয়েশীয়দের থেকে সমসাত্ত্বিক হলেও, এই দেশগুলির মতো এরা তাদের কোন প্রমিত ভাষা বিধিবদ্ধ করতে পারেনি।
এর নির্ণায়ক দুটি কারণ হলো:
বসনীয় অভিজাতরা, যারা উসমানীয় জীবনশৈলীর সাথে নিবিড়ভাবে বিজড়িত ছিলেন, মূলত বিদেশী তুর্কি, আরবি, ফার্সি ভাষায় লিখতেন।[18]আরেবিৎসা বর্ণমালাতে লিখিত বসনীয় ভাষায় রচিত স্বদেশীয় সাহিত্য তুলনামূলকভাবে বিরল ছিলো।
বসনীয়দের জাতীয় বন্ধনমুক্তির প্রক্রিয়া সার্বীয় এবং ক্রোয়েশীয়দের থেকে পিছিয়ে পরেছিলো। সাংস্কৃতিক বা ভাষাগত বিষয়বস্তুর পরিবর্তে সাম্প্রদায়গত বিষয়বস্তু গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করার কারণে কোনো বসনীয় ভাষা প্রকল্প সেই সময়ের বুদ্ধিজীবীদের মধ্যে তেমন আগ্রহ বা সমর্থন জাগিয়ে তুলতে পারেনি।
২০শ শতাব্দীর প্রারম্ভে তথাকথিত বসনীয় পুনর্জাগরণের সময়কালীন সাহিত্য যে ভাষায় লেখা হতো তা ছিল সার্বীয় ভাষার তুলনায় ক্রোয়েশীয় মান্য ভাষার কাছাকাছি।
সেটি পশ্চিম শটোকাভীয় উপভাষার ইয়েকাভীয় উচ্চারণশৈলীর অনুরূপ ছিলো এবং লাতিন লিপিতে লেখা হতো, তবে এটির লক্ষণীয় বসনীয় আভিধানিক বৈশিষ্ট্য ছিল।
প্রধান লেখকরা ছিলেন বহুবিদ্যাজ্ঞ, রাজনিতীবিদ এবং কবি মির্জা সাফভেত এবং লেখক এধেম মুলাব্দিচ।
আধুনিক মান্য বসনীয় ১৯৯০ এবং ২০০০ এর দশকে গঠনরূপ নেয়।
শব্দভাণ্ডারের দিক থেকে ইসলামি-প্রাচ্য ঋণশব্দের সংখ্যা বহু।
ধ্বনিতাত্ত্বিক দিক থেকে বসনীয় বাক এবং ভাষা ঐতিহ্যের একটি স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্য হিসাবে /x/ স্বনিমকে অনেক শব্দে পুনঃস্থাপন করা হয়।
প্রাক-প্রথম বিশ্বযুদ্ধের বসনীয় সাহিত্যের ঐতিহ্যকে, বিশেষত ২০শ শতাব্দীর শুরুর দিকের বসনীয় পুনর্জাগরণকে প্রতিফলিত করে ব্যাকরণ, রূপমূলীয় এবং বানান পদ্ধতিতে কিছু পরিবর্তন দেখা যায়।
বিতর্ক এবং স্বীকৃতি
"বসনীয় ভাষা" নামটি কিছু ক্রোয়েট এবং সার্বীয়দের জন্য একটি বিতর্কিত বিষয়, যারা এটিকে "বসনিয়াক" (bošnjački/бошњачки; বশনিয়াচকি; [bǒʃɲaːtʃkiː]) ভাষা হিসাবে উল্লেখ করে থাকেন।
তবে বসনিয়াক ভাষাবিদদের মতে একমাত্র বৈধ নাম হচ্ছে "বোসানস্কি" বা বসনীয় ভাষা,
এবং ক্রোয়েশীয় এবং সার্বীয় উভয়েরই সেই নামটিই ব্যবহার করা উচিত।
এই বিতর্কটি সৃষ্টি হওয়ার কারণ হলো "বসনীয়" নামটি থেকে মনে হতে পারে যে এটি সমগ্র বসনীয়দের ভাষা বোঝাচ্ছে,
কিন্তু বসনিয়াবাসী ক্রোয়েশীয় এবং সার্বীয়রা তাদের ভাষার জন্য এই নামটি প্রত্যাখ্যান করেন।
১৯৯৫ সালের ডেটন চুক্তিতে এই ভাষাটিকে বসনিয়ান ল্যাঙ্গুয়েজ বা বসনীয় ভাষা বলা হয়েছে,[19]
এবং পর্যবেক্ষকরা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন যে সেই সময়ে এটি বৈধতা এবং আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পেয়েছিলো।[20]
আন্তর্জাতিক মানক সংস্থা (আইএসও),[21]মার্কিন যূক্তরাষ্ট্রীয় ভৌগোলিক নমকরণ বোর্ড (ইউনাইটেড স্টেটস বোর্ড অন জিওগ্র্যাফিক নেমস, বিজিএন), এবং ভৌগোলিক নামকরণের স্থায়ী কমিটি (পার্মানেন্ট কমিটি অন জিওগ্র্যাফিকাল নেমস, পিসিজিএন) বসনীয় ভাষাকে মান্যতা দিয়েছে।
বসনিয়ান ভাষাটির মর্যাদা ইন্টারনেট অনুবাদ পরিষেবাদি সহ জাতিসংঘ, ইউনেস্কো, এবং বিভিন্ন অনুবাদ অনুমোদন সংস্থাগুলির দ্বারা স্বীকৃত।[22]রুটলেজ,[23]গ্লট্টোলগ,[24]এথনোলগের[25] মতো বিভিন্ন ইংরেজি ভাষাকোষে এই ভাষাটিকে "বসনিয়ান" বা বসনীয় হিসাবে নিবন্ধন করেছে।
মার্কিন গবেষণা গ্রন্থাগার লাইব্রেরি অফ কংগ্রেস ভাষাটিকে "বসনিয়ান" হিসাবে নিবন্ধন করেছে এবং এটিকে একটি আইএসও বা মানক সংখ্যা দিয়েছে।
ক্রোয়েশীয়র রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলি, যেমন কেন্দ্রীয় পরিসংখ্যান ব্যুরো, উভয় শব্দই ব্যবহার করে।
২০০১ সালের জনগণনায় বোশণিয়াচকি বা বসনিয়াক শব্দটি ব্যবহার করা হয়েছিল,[26] এবং ২০১১ সালের জনগণনায় বোসানস্কি বা বসনীয় শব্দটি ব্যবহার হয়েছিলো।[27]
সার্বীয় ভাষাবিদদের অধিকাংশই মনে করেন যে বোশণিয়াচকি শব্দটি একমাত্র উপযুক্ত শব্দ,[28] এবং তা ১৯৯০ সালেই এই নিয়ে ঐক্যমত্ত তৈরি হয়েছিলো।[29]
বসনিয়া ও হার্জেগোভিনা যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধানের মূল সংস্করণে "বসনিক ভাষা" শব্দটি ব্যবহৃত হয়েছে।[30]
২০০২ সালে ২৯তম সংবিধান সংশোধনিতে উলফগাং পেত্রিশ দ্বারা পরিবর্তন করা হয়েছিল।[31]
বসনিয়া ও হার্জেগোভিনার সার্বদের অধীনে যে অঞ্চল অর্থাৎ রেপুবলিকা সৃপস্কার সংবিধান সার্বীয় ছাড়া অন্য কোনো ভাষা বা জাতিগত গোষ্ঠীকে স্বীকৃতি দেয়নি।[32]
বসনিয়াকদের বেশিরভাগই ১৯৯২ সাল থেকে সার্ব দ্বারা নিয়ন্ত্রিত অঞ্চল থেকে বহিষ্কৃত করা হয়েছিল।
কিন্তু যুদ্ধের পরপরই তারা তাদের অঞ্চলের নাগরিক অধিকার পুনরুদ্ধারের দাবি জানায়।
বসনীয় সার্বরা তাদের সংবিধানে বসনীয় ভাষার উল্লেখ করতে অস্বীকার করেছিল,
এবং সেই কারণে উচ্চ প্রতিনিধিউলফগাং পেত্রিশ দ্বারা সাংবিধানিক সংশোধনি আরোপিত হয়ছিলো।
সার্বরা এই ভাষাটির নামের স্বীকৃতি এড়াতে চাইলেও তাদের এটিকে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি দিতে হয়েছিলো।[33]
ফলে রেপুবলিকা সৃপস্কারর সংবিধান এটিকে বোসনিয়াকদের দ্বারা কথিত ভাষা হিসাবে উল্লেখ করেছে।[34]
সার্বিয়ার প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলিতে বসনীয় ভাষা ঐচ্ছিক বিষয় হিসাবে রাখা হয়েছে।[35]মন্টিনিগ্রো সরকারীভাবে বসনীয় ভাষাকে স্বীকৃতি দিয়েছে;
২০০৭ সালের সংবিধানে বিশেষভাবে বলা হয়েছে যে যদিও মন্টেনেগ্রিন সেই দেশের সরকারী ভাষা, সার্বীয়, বসনীয়, আলবেনীয় এবং ক্রোয়েশীয় ভাষাও সরকারীভাবে ব্যবহার হবে।[9][36]
শব্দটির ঐতিহাসিক ব্যবহার
১৪২৩ সাল থেকে ১৪২৬ সালের মধ্যে লিখিত স্কাজানিয়ে ইজয়াভলিয়েন্নো ও পিসমেনেহ কাজে বুলগেরীয় কাহিনীকার দার্শনিক কোনস্টানটাইন বুলগেরীয়, সার্বীয়, স্লোভেনীয়, চেক এবং ক্রোয়েশীয় ভাষা সঙ্গে বসনীয় ভাষারও উল্লেখ করেছেন।[37]
১৪৩৬ সালের ৩রা জুলাই কোটোর শহরের নোটারি বইয়ে বর্ণিত হয়েছে একজন ডিউক একটি মেয়েকে কিনছিলেন, যে "বসনিয়ান নারী, উৎপথগামী এবং বসনীয় ভাষায় যার নাম দিয়েভেনা"।[37][38]
জার্মান ইতিহাসবিদ এবং ভাষাবিদ হিয়েরোনিমুস মেগিসের দ্বারা রচিত ফ্রাঙ্কফুর্ট আম মাইনে প্রকাশিত ১৬০৩ সালের থিসোরাস পলিগ্লটাসে ডালমাশীয়, ক্রোয়েশীয় এবং সার্বীয়ের পাশাপাশি বসনীয় উপভাষারও উল্লেখ আছে।[39][40]
বসনিয়া ও হার্জেগোভিনার আধুনিক সাহিত্যের প্রতিষ্ঠাতা হিসাবে পরিচিত বসনীয় ফ্রান্সিসীয় মাতিয়া দিভকোভিচ[41][42] তাঁঁর ১৬১১ সালের "নাউক ক্রিস্তিয়ানস্কি জা নারোদ স্লোভিনস্কি" ("স্লাভিক জাতির জন্য খ্রিস্টান মতবাদ") লেখায় দাবি করেন "আ প্রিভিদেঃ ইজ দিয়াচকোগু প্রাভি ই ইস্তিনিত ইয়েজিক বোসানস্কি" ("লাতিন থেকে প্রকৃত এবং খাঁঁটি বসনীয় ভাষায় অনূদিত")।[43]
বসনিয়াক কবি এবং লেখক মুহামেদ হেভায়ি উস্কুফি বোস্নেভি তাঁঁর ১৬৩২ সালের মাগবুলি-আরিফ অভিধানে ভাষাটিকে বসনীয় হিসাবে উল্লেখ করেছেন।[44]
প্রথম ব্যাকরণবিদদের মধ্যে একজন, খ্রিস্টীয় পাদ্রি বার্তোলোমেও কাসিও তাঁঁর ১৬৪০ সালের "রিতুয়াল রিমস্কি" ("রোমান আচার") ভাষাটিকে বলেছেন "নাশকি" ("আমাদের ভাষা") বা বোসানস্কি ("বসনীয়")। চাকাভীয় অঞ্চলে জন্মগ্রহণ করলেও তিনি "বসনীয়" শব্দটি ব্যবহার করেছিলেন।[45][46]
ইতালীয় ভাষাবিজ্ঞানী ইয়াকোভ মিকালিয়া (১৬০১-১৬৫৪) তাঁঁর ১৬৪৯ সালের ব্লাগু ইয়েজিকা স্লোভিনস্কোগা (থিসোরাস লিঙ্গুয়া ইলিরিকে) অভিধানে বলেছেন যে তিনি "সবচেয়ে সুন্দর শব্দ" অন্তর্ভুক্ত করতে চান, "সমস্ত ইলিরীয় ভাষাগুলির মধ্যে বসনীয় সবচেয়ে সুন্দর", এবং সমস্ত ইলিরীয় লেখকদের সেই ভাষায় লিখতে চেষ্টা করা উচিত।[45][46]
১৮শ শতাব্দীর বোসনিয়াক কাহিনীকার মুলা মুস্তাফা বাশেস্কিয়া তাঁঁর সংগৃহীত বসনীয় কবিতার বর্ষপঞ্জিতে যুক্তি দেন যে "বসনীয় ভাষা" আরবি থেকে অনেক বেশি সমৃদ্ধশালী, কারণ বসনীয়তে "যাওয়া" ক্রিয়াটির জন্য ৪৫টি শব্দ রয়েছে।[43]
ক্রোয়েশীয় লেখক এবং অভিধান সংকলক মাতিয়া পেতার কাতাঞ্চিচ ১৮৩১ সালে বাইবেলের অনুবাদগুলির ছয়টি খন্ড প্রকাশ করেছিলেন যা "স্লাভো-ইলিরীয় থেকে বসনীয় ভাষার উচ্চারণে স্থানান্তরিত" হিসাবে বর্ণনা করা হয়েছে।[48]
ক্রোয়েশীয় লেখক মাতিয়া মাজুরাঞ্চিচ তাঁঁর পোগ্লেদ উ বসনু (১৮৪২) লেখায় বসনীয়দের ভাষাকে তুর্কীয় শব্দ মিশ্রিত ইলিরীয় (১৯শ শতকের দক্ষিণ স্লাভীয় ভাষাসমূহের সমার্থক) হিসাবে উল্লেখ করেছেন, এবং এও বিবৃতি দিয়েছেন যে তারা বসনিয়াকভাষী।[49]
বসনীয় ফ্রান্সিসীয় ইভান ফ্রানিয়ো ইউকিচ তার জেমলিয়োপিস ই পোভিয়েস্তনিৎসা বসনে (১৮৫১) লেখায় বলেছেন যে বসনিয়া ছিল একমাত্র তুর্কীয় ভূমি (অর্থাৎ উসমানীয় সাম্রাজ্যের নিয়ন্ত্রণে) যেটি তুর্কীয়ভাষীদের অনুপস্থিতিতে সম্পূর্ণরূপে বিশুদ্ধ ছিলো, গ্রামেও এবং উচ্চভূমিতেও। তিনি আরও বলেছেন "[...] [বসনিয়ায়] বসনীয় ব্যতীত অন্য কোনও ভাষা বলা হয় না, শ্রেষ্ঠ তুর্কীয় [অর্থাৎ মুসলিমরা] ভদ্রলোকরা উজিরাতে শুধুমাত্র তুর্কি ভাষায় কথা বলেন।"[50]
১৯শ শতাব্দীর ক্রোয়েশীয় লেখক ও ইতিহাসবিদ ইভান কুকুলিয়েভিচ সাকৎসিনস্কি তার পুতোভানিয়ে পো বোসনি (বসনিয়াতে ভ্রমণ) লেখায় বলেছেন, মুসলিম বিশ্বাসে রূপান্তরিত হওয়া সত্ত্বেও তুর্কি (অর্থাৎ মুসলিম) বোসনিয়াকরা কীভাবে তাদের ঐতিহ্য এবং স্লাভিক মেজাজ সংরক্ষণ করেছিলেন, তারা তাদের শব্দভাণ্ডারে তুর্কি শব্দ যুক্ত করতে অস্বীকার করে বসনীয় ভাষার বিশুদ্ধ সংস্করণ কথা বলতেন।[51]
মধ্যযুগে বসনীয় লেখা হতো সিরিলীয় লিপির অধুনালুপ্ত বসনীয় সিরিলীয় বা বোসাঞ্চিৎসা বর্ণমালায়।[52][53]
ঠিক কোন সময়ে বসনীয় ধারার সিরিলীয় লিপির প্রথম দিকের বৈশিষ্ট্যগুলি আবির্ভূত হতে শুরু করলে তা জানা কঠিন।
প্রাচীন লিপির বিশেষজ্ঞরা হুমাক ফলককে এই ধরনের লিপির প্রথম নথি হিসাবে বিবেচনা করেন, এবং মনে করা হয় এটি ১০ম অথবা ১১শ শতাব্দীর।[54]বসনিয়া ইলায়েতে ইসলাম ধর্মের প্রবর্তনের পরে বসনীয়দের মধ্যে বোসাঞ্চিৎসার পরিবর্তে আরেবিৎসা বর্ণমালার ব্যবহার শুরু করা হয়।[55]
এই বর্ণমালাটি প্রধানত ১৫শ ও ১৯শ শতকের মধ্যেকার সময়ে ব্যবহৃত হতো এবং আজামিয়া সাহিত্যের অংশ হিসাবে প্রায়শই শ্রেণীবদ্ধ করা হয়।
প্রথম বিশ্বযুদ্ধের আগে বসনীয় মুসলমানরা লাতিন ও সিরিলীয়ের পাশাপাশি বসনীয় ভাষার তৃতীয় সরকারী বর্ণমালা হিসাবে আরেবিৎসা গ্রহণের ব্যর্থ প্রচেষ্টা চালিয়েছিল।
বর্তমানে বসনীয় লেখার জন্য গাইয়ের লাতিন বর্ণমালা এবং সার্বীয় সিরিলীয় বর্ণমালা ব্যবহার করা হয়।
লাতিন বর্ণমালাটি বসনীয় ছাড়াও ক্রোয়েশীয়, সার্বীয় এবং মন্টেনিগ্রীয় ভাষাগুলি লিখতে ব্যবহৃত হয়।
এই বর্ণমালার সৃষ্টিকর্তা লিউদেভিত গাই পাভাও রিতিয়ের ভিতেজোভিচ এবং চেক বানানরীতি অনুসরণ করে ভাষাটির প্রত্যেক ধ্বনির জন্য একটি করে লাতিন বর্ণ ঠিক করেছিলেন।
তাঁঁর বর্ণমালাটি সার্বীয় সিরিলীয় বর্ণমালার সম্পূর্ণরূপে ম্যাপ করা হয়েছিল, কয়েক বছর আগে ভুক কারাজিচ দ্বারা যারা প্রমিতিকরণ করা হয়েছিল।[56]
আরও তথ্য লাতিনিৎসা, আরেবিৎসা ...
লাতিনিৎসা
A
B
C
Č
Ć
D
Dž
Đ
E
F
G
H
I
J
K
L
Lj
M
N
Nj
O
P
R
S
Š
T
U
V
Z
Ž
আরেবিৎসা
বিচ্ছিন্ন
آ
ب
ڄ
چ
ڃ
د
ج
ە
ف
غ
ح
اٖى
ي
ق
ل
ڵ
م
ن
ںٛ ݩ
ۉ
پ
ر
س
ش
ت
ۆ
و
ز
ژ
আদ্য
بـ
ڄـ
چـ
ڃ ـ
جـ
فـ
غـ
حـ
اٖىـ
يـ
قـ
لـ
ڵـ
مـ
نـ
ٮٛـ ݩـ
پـ
ر
سـ
شـ
تـ
মধ্য
ـآ
ـبـ
ـڄـ
ـچـ
ـڃ ـ
ـد
ـجـ
ـە
ـفـ
ـغـ
ـحـ
ـاٖىـ ـٖىـ
ـيـ
ـقـ
ـلـ
ـڵـ
ـمـ
نـ
ـٮٛـ ـݩـ
ـۉ
ـپـ
ـر
ـسـ
ـشـ
ـتـ
ـۆ
ـو
ـز
ـژ
অন্ত্য
ـب
ـڄ
ـچ
ـڃ
ـج
ـف
ـغ
ـح
ـاٖى ـٖى
ـي
ـق
ـل
ـڵ
ـم
ـن
ـںٛ ـݩ
ـپ
ـر
ـس
ـش
ـت
বন্ধ
মূল নিবন্ধ: মান্য বসনীয়, ক্রোয়েশীয়, মন্টিনিগ্রীয়, এবং সার্বীয়র তুলনা
বসনীয়, সার্বীয় এবং ক্রোয়েশীয় সাহিত্য মানগুলির মধ্যে পার্থক্য কম।
যদিও বসনীয়তে বেশি তুর্কি, ফার্সি এবং আরবি শব্দঋণ ব্যবহার হয়, তবে লিখিত এবং কথ্য রূপে সার্বীয় ও ক্রোয়েশীয় উভয়ই অনুরূপ।[57]
শটোকাভীয় উপভাষার একটি নতুন আদর্শিক ভাষাপ্রকার হিসাবে বসনীয় ভাষাটি সরেজেভোর "প্রভোপিস বোসানস্কোগ ইয়েজিকা" প্রকাশের সাথে আনুষ্ঠানিকভাবে ১৯৯৬ সালে চালু করা হয়েছিল।
কিছু মূল ভাষাগত বৈশিষ্ট্যগুলির ক্ষেত্রে বসনীয় সার্বীয় ও ক্রোয়েশীয়র থেকে ভিন্ন ছিলো।[58]
সিরিলীয় একটি সরকারীভাবে স্বীকৃত বর্ণমালা হলেও এটি প্রধানত রেপুবলিকা সর্পস্কাতে ব্যবহৃত হয়, এবং বসনিয়া ও হার্জেগোভিনা ফেডারেশন-এ লাতিন লিপি ব্যবহার হয়[2]
Benjamin V. Fortson, IV, Indo-European Language and Culture: An Introduction, 2nd ed. (2010, Blackwell), p. 431, "Because of their mutual intelligibility, Serbian, Croatian, and Bosnian are usually thought of as constituting one language called Bosnian-Croatian-Serbian."
"Archived copy"। ২০০৯-০৬-১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০০৯-০৩-১৮। See Art. 13 of the Constitution of the Republic of Montenegro, adopted on 19 October 2007, available at the website of the Ministry of Justice of the Republic of Montenegro
Algar, Hamid (২ জুলাই ১৯৯৪)। Persian Literature in Bosnia-Herzegovina। Journal of Islamic Studies। Oxford। পৃষ্ঠা254–68।|সংগ্রহের-তারিখ= এর |ইউআরএল= প্রয়োজন (সাহায্য)
Balić, Smail (১৯৭৮)। Die Kultur der Bosniaken, Supplement I: Inventar des bosnischen literarischen Erbes in orientalischen Sprachen। Vienna: Adolf Holzhausens, Vienna। পৃষ্ঠা111।|সংগ্রহের-তারিখ= এর |ইউআরএল= প্রয়োজন (সাহায্য)
Balić, Smail (১৯৯২)। Das unbekannte Bosnien: Europas Brücke zur islamischen Welt। Cologne, Weimar and Vienna: Bohlau। পৃষ্ঠা526।|সংগ্রহের-তারিখ= এর |ইউআরএল= প্রয়োজন (সাহায্য)
Zanelli, Aldo (২০১৮)। Eine Analyse der Metaphern in der kroatischen Linguistikfachzeitschrift Jezik von 1991 bis 1997[Analysis of Metaphors in Croatian Linguistic Journal Language from 1991 to 1997]। Studien zur Slavistik; 41 (German ভাষায়)। Hamburg: Kovač। পৃষ্ঠা21, 83। আইএসবিএন978-3-8300-9773-0। ওসিএলসি1023608613।উদ্ধৃতি শৈলী রক্ষণাবেক্ষণ: অচেনা ভাষা (link) (NSK). (FFZG)
Svein Mønnesland, »Language Policy in Bosnia-Herzegovina«, (pp 135–155.). In: Language: Competence–Change–Contact = Sprache: Kompetenz – Kontakt – Wandel, edited by: Annikki Koskensalo, John Smeds, Rudolf de Cillia, Ángel Huguet; Berlin; Münster: Lit Verlag, 2012., আইএসবিএন৯৭৮-৩-৬৪৩-১০৮০১-২, p. 143. "Already in 1990 the Committee for the Serbian language decided that only the term 'Bosniac language' should be used officially in Serbia, and this was confirmed in 1998."
Rizvanovic, Alma (২ আগস্ট ২০০৫)। "Language Battle Divides Schools"। Institute for War & Peace Reporting। ২৮ জানুয়ারি ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩ জুন ২০১০।
Balić, Smail (১৯৭৮)। Die Kultur der Bosniaken, Supplement I: Inventar des bosnischen literarischen Erbes in orientalischen Sprachen। Vienna: Adolf Holzhausens, Vienna। পৃষ্ঠা49–50, 111।
"Srećko M. Džaja vs. Ivan Lovrenović – polemika o kulturnom identitetu BiH Ivan Lovrenović"। ivanlovrenovic.com (ক্রোয়েশীয় ভাষায়)। Polemics appeared between Srećko M. Džaja & Ivan Lovrenović in Zagreb's biweekly "Vijenac", later in whole published in Journal of Franciscan theology in Sarajevo, "Bosna franciscana" No.42। ২০১৪। ১১ এপ্রিল ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৬ জুন ২০১৮।
Dobrača, Kasim (১৯৬৩)। Katalog arapskih, turskih i perzijskih rukopisa (Catalogue of the Arabic, Turkish and Persian Manuscripts in the Gazi Husrev-beg Library, Sarajevo)। Sarajevo। পৃষ্ঠা35–38।
Comrie, Bernard; Corbett, Greville G. (১ সেপ্টেম্বর ২০০৩)। The Slavonic Languages। Taylor & Francis। পৃষ্ঠা45। আইএসবিএন978-0-203-21320-9। সংগ্রহের তারিখ ২৩ ডিসেম্বর ২০১৩। ... following Vuk's reform of Cyrillic (see above) in the early nineteenth century, Ljudevit Gaj in the 1830s performed the same operation on Latinica,...
Gröschel, Bernhard (২০০১)। "Bosnisch oder Bosniakisch?" [Bosnian or Bosniak?]। Waßner, Ulrich Hermann। Lingua et linguae. Festschrift für Clemens-Peter Herbermann zum 60. Geburtstag। Bochumer Beitraäge zur Semiotik, n.F., 6 (German ভাষায়)। Aachen: Shaker। পৃষ্ঠা159–188। আইএসবিএন978-3-8265-8497-8। ওসিএলসি47992691।উদ্ধৃতি শৈলী রক্ষণাবেক্ষণ: অচেনা ভাষা (link)
Kafadar, Enisa (২০০৯)। "Bosnisch, Kroatisch, Serbisch – Wie spricht man eigentlich in Bosnien-Herzegowina?"[Bosnian, Croatian, Serbian – How do people really speak in Bosnia-Herzegovina?]। Henn-Memmesheimer, Beate; Franz, Joachim। Die Ordnung des Standard und die Differenzierung der Diskurse; Teil 1 (German ভাষায়)। Frankfurt am Main: Peter Lang। পৃষ্ঠা95–106। ওসিএলসি699514676।উদ্ধৃতি শৈলী রক্ষণাবেক্ষণ: অচেনা ভাষা (link)
Kordić, Snježana (২০০৫)। "I dalje jedan jezik"[Still one language]। Sarajevske sveske (Serbo-Croatian ভাষায়)। Sarajevo (10): 83–89। আইএসএসএন1512-8539। টেমপ্লেট:ZDB। ২১ সেপ্টেম্বর ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২২ আগস্ট ২০১৪।উদ্ধৃতি শৈলী রক্ষণাবেক্ষণ: অচেনা ভাষা (link) (COBISS-BH)[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ].
—— (২০১১)। "Jezična politika: prosvjećivati ili zamagljivati?"[Language policy: to clarify or to obscure?](পিডিএফ)। Gavrić, Saša। Jezička/e politika/e u Bosni i Hercegovini i njemačkom govornom području: zbornik radova predstavljenih na istoimenoj konferenciji održanoj 22. marta 2011. godine u Sarajevu (Serbo-Croatian ভাষায়)। Sarajevo: Goethe-Institut Bosnien und Herzegowina; Ambasada Republike Austrije; Ambasada Švicarske konfederacije। পৃষ্ঠা60–66। আইএসবিএন978-9958-1959-0-7। ওসিএলসি918205883। ৩০ মার্চ ২০১৩ তারিখে মূল(পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা।উদ্ধৃতি শৈলী রক্ষণাবেক্ষণ: অচেনা ভাষা (link) (ÖNB).