শীর্ষ প্রশ্ন
সময়রেখা
চ্যাট
প্রসঙ্গ
বরিশাল
বিভাগীয় ও জেলা শহর উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
Remove ads
বরিশাল বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলের একটি প্রধান শহর। এটি বরিশাল বিভাগের অন্তর্গত ও একই সাথে জেলা ও বিভাগীয় সদর দপ্তর। কীর্তনখোলা নদীর তীরে মোগল আমলে স্থাপিত লবণচৌকি গিরদে বন্দর কে কেন্দ্র করে এ শহর গড়ে ওঠে ও ১৮০১ সালে বরিশালে তৎকালীন বাকেরগঞ্জ জেলার সদর দপ্তর স্থাপিত হলে, শহর হিসেবে এর ব্যাপক গুরুত্ব বাড়ে। বরিশালকে বলা হতো প্রাচ্যের ভেনিচ। খাদ্যশস্য উৎপাদনের একটি মূল উৎস এই বৃহত্তর বরিশাল। বরিশালে একটি নদীবন্দর রয়েছে যেটি দেশের অন্যতম প্রাচীন, দ্বিতীয় বৃহত্তম ও গুরুত্বপূর্ণ একটি নদীবন্দর। ডিজিটাল জনশুমারী ও গৃহগণনা-২০২২ অনুযায়ী বরিশাল আয়তনে দেশের ১০ম এবং জনসংখ্যায় ১২তম বৃহত্তর মহানগর।
Remove ads
Remove ads
নামকরণ
বরিশাল অঞ্চল সুপ্রাচীনকালে "বাঙ্গালা" নামে পরিচিত ছিল, যেটি বর্তমান অবিভক্ত বঙ্গ অঞ্চলেরও অন্যতম একটি নাম। এই অঞ্চলটি প্রাচীন বৈদিক বঙ্গ জনজাতির প্রধান আবাসস্থল ছিল।[১] চন্দ্র রাজবংশের বঙ্গ রাজ্যের এই অঞ্চলটি জয় করার পর প্রাক-মধ্যযুগে এটি চন্দ্রদ্বীপ নামে পরিচিত হয়। মুসলিম যুগে প্রচলিত 'বাকলা' নামটি প্রাচীন 'বাঙ্গালা' নামেরই অপভ্রংশ রূপ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। বরিশাল নামকরণ সম্পর্কে বিভিন্ন মতভেদ রয়েছে। এক কিংবদন্তি থেকে জানা যায় যে, পূর্বে এখানে খুব বড় বড় শাল গাছ জন্মাতো, আর এই বড় শাল গাছের কারণে (বড়+শাল) বরিশাল নামের উৎপত্তি। খাল বিল জলাভূমিতে ভরা বরিশালে যাতায়াতের অসুবিধাকে মাথায় রেখে চালু হয়েছে কথা "আইতে শাল যাইতে শাল, তার নাম বরিশাল"।[২] কেউ কেউ দাবি করেন, পর্তুগীজ বেরি ও শেলির প্রেমকাহিনীর জন্য বরিশাল নামকরণ করা হয়েছে। অন্য এক কিংবদন্তি থেকে জানা যায় যে, গিরদে বন্দরে (গ্রেট বন্দর) ঢাকার নবাবদের বড় বড় লবণের গোলা ও চৌকি ছিল। ইংরেজ ও পর্তুগীজ বণিকরা বড় বড় লবণের চৌকিকে 'বরিসল্ট' বলতো। অথাৎ বরি (বড়) + সল্ট (লবণ) = বরিসল্ট। আবার অনেকের ধারণা এখানকার লবণের দানাগুলো বড় বড় ছিল বলে বরিসল্ট বলা হতো। পরবর্তিতে বরিসল্ট শব্দটি পরিবর্তিত হয়ে বরিশাল নামে পরিচিতি লাভ করে।
Remove ads
ভৌগোলিক সীমারেখা
বরিশাল জেলা ২১ ডিগ্রি থেকে ২৩ ডিগ্রি উত্তর অক্ষাংশ এবং ৮৯ ডিগ্রি থেকে ৯১ ডিগ্রি পূর্ব দ্রাঘিমায় অবস্থিত। বরিশাল শহর এর আয়তন ৯৩.৬৩ বর্গ কিমি।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন]
জনসংখ্যা
২০১১ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী বরিশাল মহানগরীয় অঞ্চলে বসবাসরত জনসংখ্যা ৩,২৮,২৭৮ জন। মোট জনসংখ্যার ৫১.৬৩% পুরুষ এবং ৪৮.৩৭% নারী।[৩] বরিশালের নগরবাসীর মধ্যে সাক্ষরতার হার ৭৫.৩%,[৪] যা জাতীয় গড় সাক্ষরতা ৫৬.৫% এর তুলনায় অনেক বেশি।
ধর্ম
বরিশালের মোট জনসংখ্যার ৮৯.৩০% মুসলিম, যার মধ্যে অধিকাংশ সুন্নি ইসলামের হানাফি মাযহাবের অনুসারী, ৯.৭% হিন্দু, ০.৯৮% খ্রিষ্টান এবং ০.০১% বৌদ্ধ ধর্মের অনুসারী।[৫] বরিশাল শহরে মসজিদের সংখ্যা ৩৫০, গির্জার সংখ্যা ৫, এবং মন্দিরের সংখ্যা ২০ এর বেশি।
২০১৫ সাল থেকে বরিশালের সংখ্যালঘু ক্যাথলিকদের নিজস্ব রোমান ক্যাথলিক ডায়োসিজ (বিশপের এলাকা) রয়েছে।
Remove ads
প্রকাশনা
দৈনিক দক্ষিণাঞ্চল, দৈনিক পল্লী অঞ্চল, দৈনিক শাহনামা, দৈনিক বাংলার বনে, দৈনিক আজকের বার্তা, দৈনিক আজকের পরিবর্তন, দৈনিক মতবাদ, দৈনিক সত্য সংবাদ, দৈনিক বরিশাল বার্তা, দৈনিক ভোরের অঙ্গিকার, দৈনিক বরিশাল প্রতিদিন, দৈনিক বিপ্লবী বাংলাদেশ, দৈনিক আজকের বরিশাল, দৈনিক আজকের সময়ের বার্তা, দৈনিক বাংলাদেশ বানী, দৈনিক আজকের তালাশ, দৈনিক বরিশালের ভোরের আলো, দৈনিক বরিশালের আজকাল, দৈনিক কলমের কণ্ঠ, বরিশাল ক্রাইম নিউজ, দৈনিক বরিশালের আলো।
- সাপ্তাহিকীর / সাময়িকী
বাকেরগঞ্জ পরিক্রমা, চিরন্তন বাংলা, উপকূল
Remove ads
উল্লেখযোগ্য স্থান ও স্থাপনা
- ব্রজমোহন বিদ্যালয়
- চর মোনাই দরবার ও মাদ্রাসা
- বাইতুল আমান জামে মসজিদ
- বিবির পুকুর
- বঙ্গবন্ধু উদ্যান (বেলস পার্ক)
- অশ্বিনী কুমার টাউন হল
- বরিশাল জিলা স্কুল
- বিভাগীয় যাদুঘর (কালেক্টরেট ভবন)
- ব্রজমোহন কলেজ
- শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল
- বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়
- বরিশাল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ
- অক্সফোর্ড মিশন এপিফানী গির্জা
- ব্যাপ্টিস্ট মিশন গির্জা
- সেইন্ট পিটার চার্চ
- কীর্তনখোলা নদী
- বরিশাল নদী বন্দর
- গুঠিয়া মসজিদ
- দুর্গাসাগর দিঘি
- চারণকবি মুকুন্দদাস প্রতিষ্ঠিত কালী মন্দির
- সাতলার বিল
- লাকুটিয়া জমিদার বাড়ি
- ভাসমান বাজার, স্বরূপকাঠি
- ৩০ গোডাউন
- গুঠিয়া মসজিদ
- জীবনানন্দ দাসের বাড়ি
- বার্থী কালীবাড়ি
- সরকারি সৈয়দ হাতেম আলী কলেজ
Remove ads
উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিত্ব
- মহাত্মা অশ্বিনী কুমার দত্ত - ব্রিটিশ বিরোধী বিপ্লবী, শিক্ষানুরাগী, রাজনীতিবিদ ও সমাজসেবক
- শহীদ আলতাফ মাহমুদ - ভাষাসৈনিক, মুক্তিযোদ্ধা, সুরকার, সঙ্গীতশিল্পী ও সংস্কৃতিকর্মী
- শহীদ তারকেশ্বর সেনগুপ্ত - ব্রিটিশ বিরোধী বিপ্লবী ও চট্টগ্রাম অস্ত্রাগার লুন্ঠনের অন্যতম কর্মী
- বীরশ্রেষ্ঠ মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর - মুক্তিযোদ্ধা (বীরশ্রেষ্ঠ)
- কুসুমকুমারী দাশ - লেখক ও কবি
- জীবনানন্দ দাশ, - কবি
- আবদুর রহমান বিশ্বাস - সাবেক রাষ্ট্রপতি
- শওকত হোসেন হিরন - সাবেক মেয়র
- শের-ই বাংলা এ.কে.ফজলুল হক - রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব
- সুফিয়া কামাল - কবি
- হানিফ সংকেত - উপস্থাপক
- কামিনী রায় - কবি
- প্রতুল মুখোপাধ্যায় - কবি, গীতিকার, সুরকার ও শিল্পী
- নির্মলকুমার রায়চৌধুরী, চিকিৎসক ও সমাজসেবী
- অমল কুমার রায়চৌধুরী, গবেষক ও সাহিত্যিক
- আসাদ চৌধুরী - কবি
- আবু জাফর ওবায়দুল্লাহ - লেখক ও কবি
- সৈয়দ মুহাম্মদ ইসহাক - পীর ও রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব
- সৈয়দ ফজলুল করিম - পীর ও রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব
- সৈয়দ রেজাউল করিম - পীর ও রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব
- সৈয়দ ফয়জুল করিম - রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব
- সৈয়দ দুলাল - নাট্য ব্যক্তিত্ব ও টেলিভিশন অভিনেতা
Remove ads
আরও দেখুন
তথ্যসূত্র
বহিঃসংযোগ
Wikiwand - on
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.
Remove ads