Loading AI tools
অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটার উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
ফিলিপ অ্যান্থনি জ্যাকুয়েস (/ˈdʒɑːk/; ইংরেজি: Phil Jaques; জন্ম: ৩ মে, ১৯৭৯) নিউ সাউথ ওয়েলসের ওলনগং এলাকায় জন্মগ্রহণকারী সাবেক অস্ট্রেলীয় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার। অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ২০০০-এর দশকের মাঝামাঝি সময়কালে সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্যে অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছেন।
ব্যক্তিগত তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
পূর্ণ নাম | ফিলিপ অ্যান্থনি জ্যাকুয়েস | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জন্ম | ওলনগং, নিউ সাউথ ওয়েলস, অস্ট্রেলিয়া | ৩ মে ১৯৭৯|||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ডাকনাম | প্রো | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উচ্চতা | ১.৮৩ মিটার (৬ ফুট ০ ইঞ্চি) | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ব্যাটিংয়ের ধরন | বামহাতি | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বোলিংয়ের ধরন | বামহাতি মিডিয়াম | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ভূমিকা | উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
আন্তর্জাতিক তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জাতীয় দল |
| |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
টেস্ট অভিষেক (ক্যাপ ৩৯৫) | ২৬ ডিসেম্বর ২০০৫ বনাম দক্ষিণ আফ্রিকা | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ টেস্ট | ১২ জুন ২০০৮ বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজ | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ওডিআই অভিষেক (ক্যাপ ১৫৮) | ২০ জানুয়ারি ২০০৬ বনাম দক্ষিণ আফ্রিকা | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ ওডিআই | ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০০৭ বনাম নিউজিল্যান্ড | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ওডিআই শার্ট নং | ৫ | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ঘরোয়া দলের তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বছর | দল | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
২০০০ - ২০১২ | নিউ সাউথ ওয়েলস | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
২০০৩ | নর্দাম্পটনশায়ার | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
২০০৪ - ২০০৫ | ইয়র্কশায়ার | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
২০০৬ - ২০০৭ | ওরচেস্টারশায়ার | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
২০১০ | ওরচেস্টারশায়ার | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
২০১২ - ২০১৪ | ইয়র্কশায়ার (জার্সি নং ২) | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
| ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ১৫ আগস্ট ২০২০ |
ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটে নিউ সাউথ ওয়েলস এবং ইংরেজ কাউন্টি ক্রিকেটে নর্দাম্পটনশায়ার, ওরচেস্টারশায়ার ও ইয়র্কশায়ার দলের প্রতিনিধিত্ব করেন।[1] দলে তিনি মূলতঃ বামহাতি উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলতেন। এছাড়াও, বামহাতে মিডিয়াম বোলিংয়ে পারদর্শী ছিলেন ‘প্রো’ ডাকনামে পরিচিত ফিল জ্যাকুয়েস।
স্টুয়ার্ট ও মেরি নাম্নী ইংরেজ দম্পতির সন্তান তিনি ও ব্রিটিশ পাসপোর্টের অধিকারী। ফলশ্রুতিতে, তাকে ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে খেলার যোগ্যতা এনে দেয়। ম্যাথু হেইডেন ও জাস্টিন ল্যাঙ্গারের সাথে অস্ট্রেলিয়ার শীর্ষ ব্যাটিংয়ে ভিত্তি গড়ে তুলতে সচেষ্ট হন। ইংরেজ খেলোয়াড় হিসেবে আত্মপ্রকাশের সুযোগ থাকলেও অস্ট্রেলিয়ার পক্ষেই খেলার আগ্রহ পোষণ করেন।
উলুনগংয়ের নারিনা হিলস পাবলিক স্কুলে অধ্যয়নকালীন ফিল জ্যাকুয়েসের ক্রিকেট প্রতিভা লক্ষ্য করা যায়। ওলনগংয়ের ওয়েস্টস দলে কনিষ্ঠ খেলোয়াড় হিসেবে পরবর্তীতে তিনি সাদারল্যান্ড ক্লাবে খেলতে থাকেন। এ সময়ে তিনি ফিগট্রি হাই স্কুলে পড়াশুনো করছিলেন।
১৯৯৯ সালে নিউ সাউথ ওয়েলস কর্তৃপক্ষ তাকে ক্রিকেট বৃত্তি প্রদানের জন্যে মনোনীত করে। এরফলে, লিভারপুলের কাছাকাছি নর্দার্ন ক্রিকেট ক্লাবে গ্রীষ্মকালে তার খেলার সুযোগ এনে দেয়।
২০০০-০১ মৌসুম থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত ফিল জ্যাকুয়েসের প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান ছিল। ১৫ মার্চ, ২০০১ তারিখে শেষ মুহুর্তে তাকে এনএসডব্লিউ দলের পক্ষে খেলার জন্যে আমন্ত্রণ জানানো হয়। সিডনি থেকে ব্রিসবেনে এসে কুইন্সল্যান্ডের বিপক্ষে তাকে অস্বস্তিদায়ক দশ নম্বর অবস্থানে নামতে হয়। দলের সংগ্রহ ৭০/৮ থাকাকালে কুইন্সল্যান্ডের সিম বোলারেরা পাল্টা আক্রমণের মুখোমুখি হয় ও তিনি দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৪০ রান তুলেন। এরপর থেকে নিউ সাউথ ওয়েলসে খেলার জন্যে তাকে যথেষ্ট বেগ পেতে হয়।
২০০৪-০৫ মৌসুমে পুরা কাপে দূর্দান্ত খেলার স্বীকৃতিস্বরূপ অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলার জন্যে আমন্ত্রিত হন। ২০০৫ ও ২০০৭ সালে অস্ট্রেলিয়া এ দলের সদস্যরূপে বিদেশ গমন করেন। সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে আঘাতে তার নিত্য সঙ্গী ছিল। ২০০৬ সালে বর্ষসেরা রাজ্যদলীয় খেলোয়াড়ের পুরস্কার লাভ করেন।
বামহাতি উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান হবার জন্যে ফিল জ্যাকুয়েসকে অস্ট্রেলীয় দলে অন্তর্ভুক্তির প্রশ্নে অপেক্ষার প্রহর গুণতে হয়েছিল। তবে, দলে তার স্থান পাকাপোক্ত হলে তিনি নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে সোচ্চার ছিলেন। কিন্তু, ক্রমাগত পিঠের আঘাতে কাবু হয়ে পড়েন। দূর্ভাগ্যজনকভাবে তাকে তিনবার অস্ত্রোপচার করতে হয় ও ২০০৯ সালে চুক্তি ছিন্ন হবার কবলে পড়েন। ম্যাথু হেইডেনের প্রত্যাবর্তন ও সাইমন ক্যাটিচকে অগ্রাধিকার দেয়া হয়।
সুস্থ দেহ নিয়ে ২০০৯-১০ মৌসুমে নিউ সাউথ ওয়েলসের পক্ষে খেলেন। ঐ গ্রীষ্মে শেফিল্ড শিল্ডের খেলায় একটি শতরান করেন ও এফআর কাপে রাজ্যদলীয় রেকর্ড অপরাজিত ১৭১ রান তুলেন।
২০০৩ সালে ইংরেজ কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশীপে নর্দাম্পটনশায়ার দলের সাথে খেলার জন্যে চুক্তিবদ্ধ হন। পরবর্তীতে খেলার ধারায় ফিরে আসেন। একটি দ্বি-শতকসহ ১৪০৯ রান তুলেছিলেন। এরপর, এনএসডব্লিউতে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেন ও পুরা কাপে শিরোপা বিজয়ে ভূমিকা রাখেন। আক্রমণধর্মী খেলা উপহারে মনস্থকরণ ও নিজস্ব কৌশল অবলম্বনে ইংল্যান্ডের উত্তরাঞ্চলে বড় ধরনের রান সংগ্রহ করেন।
২০০৩-০৪ মৌসুমে অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে ইংরেজ পরিবেশের খেলার ধারা অব্যাহত রাখেন। দ্রুতলয়ে রান সংগ্রহের পাশাপাশি অনেকগুলো ঘণ্টা ক্রিজ আঁকড়ে ধরে রাখার মানসিকতাও তার মাঝে বিদ্যমান ছিল। ইংল্যান্ডে ফিরে ইয়র্কশায়ারের পক্ষাবলম্বন করেন। ২০০৪ সালে ১১১৮ ও ২০০৫ সালে ১,৩৫৯ রান তুলেন।[1] নিউ সাউথ ওয়েলসেও একই মানের খেলা উপহার দেন। ২০০৪-০৫ মৌসুমে ১১৯১ রান তুলেন। ক্রিকেটবোদ্ধাদের অনেকেরই ধারণা ছিল যে, তাকে হয়তোবা জাতীয় দলে রাখা হবে।[2]
ইংল্যান্ডে ফিরে ২০০৬ ও ২০০৭ সালে ওরচেস্টারশায়ারের পক্ষে খেলতে থাকেন। ১৮ খেলায় ১৬৮৯ রান তুলেন তিনি। অস্ট্রেলিয়ার টেস্ট দলের খেলোয়াড়দের মধ্যে অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে প্রথম-শ্রেণীর খেলার তুলনায় বিদেশের মাটিতেই অধিকসংখ্যক প্রথম-শ্রেণীর খেলায় অংশ নিয়েছেন। ২৫ নভেম্বর, ২০০৭ তারিখ মোতাবেক বিদেশে ৬২টি খেলার অধিকাংশই ইংল্যান্ডে এবং অস্ট্রেলিয়ায় ৫১টি খেলায় অংশ নেন। পুরা কাপের তুলনায় ইংরেজ কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশীপেও তার ব্যাটিং গড় ভালোমানের ছিল। ৫৯.৩১ গড়ের বিপরীতে পুরা কাপে ৪৭.৪৬ গড়ে রান তুলেছেন।
সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে এগারোটি টেস্ট ও ছয়টি একদিনের আন্তর্জাতিকে অংশগ্রহণ করেছেন ফিল জ্যাকুয়েস। ২৬ ডিসেম্বর, ২০০৫ তারিখে মেলবোর্নে সফরকারী দক্ষিণ আফ্রিকা দলের বিপক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার। ১২ জুন, ২০০৮ তারিখে ব্রিজটাউনে সফরকারী ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলের বিপক্ষে সর্বশেষ টেস্টে অংশ নেন তিনি।
২০০৫-০৬ মৌসুমে নিউ সাউথ ওয়েলসের পক্ষে আইএনজি কাপে উপর্যুপরী তিনটি শতরানের ইনিংস খেলার পর পুরা কাপে সময়োপযোগী শতরানের ইনিংস উপহার দেয়ার সুবাদে অস্ট্রেলিয়া দলের সদস্যরূপে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। বক্সিং ডে টেস্টে অস্ট্রেলিয়ায় সফররত দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে আঘাতের কারণে জাস্টিন ল্যাঙ্গারকে দল থেকে বাদ দেয়া হলে শূন্যতা পূরণে ট্রেভর হোন্স মন্তব্য করেন যে, দৃশ্যতঃ জ্যাকুয়েসকেই দলে রাখা হবে। টেস্ট অভিষেকের পূর্বে রিকি পন্টিংয়ের সাথে পরিচিত হন। তবে, অস্ট্রেলীয় অধিনায়কের কাছে তার পরিচিতি ইতোমধ্যে ঘটেছে এবং স্টিভ ওয়াহ মন্তব্য করেন যে, তিনি ভবিষ্যতের অ্যাডাম গিলক্রিস্ট হিসেবে আবির্ভূত হবেন। তার আবির্ভাবে অস্ট্রেলিয়া দল ভাগ্যবান। তিনি তরুণ খেলোয়াড়দের কাছে আদর্শ। কিন্তু, প্রথম খেলাটি তার জন্যে সুবিধের হয়নি। শন পোলকের বলে শর্ট লেগ অঞ্চলে দুই রানে বিদেয় নেন। দ্বিতীয় ইনিংসে ২৮ রান তুলেন।
২০০৫-০৬ মৌসুমের ভিবি সিরিজের সাইমন ক্যাটিচের কুচকিতে আঘাতের কারণে একদিনের আন্তর্জাতিকে তাকে নিয়ে আসা হয়। ক্যাটিচ সুস্থ হলে তাকে দলের বাইরে রাখা হয়। দক্ষিণ আফ্রিকায় সফররত অস্ট্রেলিয়া দলে খেলার জন্যে তাকে যেতে হয়। শূন্য রান করেন ও রিকি পন্টিংয়ের পেটের সমস্যা কাটলে তাকে পুনরায় দেশে ফেরৎ পাঠানো হয়। মালয়েশিয়া ও নিউজিল্যান্ড গমন করলেও সফলতা পাননি।
টেস্টের পূর্বে ল্যাঙ্গারের আঘাতের পুণরাবৃত্তি ঘটলে এপ্রিল, ২০০৬ সালে স্বাগতিক বাংলাদেশের বিপক্ষে তাকে দ্বিতীয়বারের মতো টেস্টে অংশগ্রহণের সুযোগ দেয়া হয়। ৬৬ রানের ইনিংস খেলেন তিনি।[2] নিজস্ব তৃতীয় টেস্টে সফররত শ্রীলঙ্কা দলের বিপক্ষে প্রথম সেঞ্চুরি করেন। এরফলে, উলুনগংয়ে জন্মগ্রহণকারী প্রথম অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটার হিসেবে শতরানের ইনিংস খেলেছেন।
২০০৫-০৬ মৌসুমে মেলবোর্নে অস্ট্রেলিয়ার সদস্যরূপে একদিনের আন্তর্জাতিকে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ফিল জ্যাকুয়েসের অভিষেক ঘটে। ৯৪ রানের ইনিংস খেলেছিলেন তিনি। ফলশ্রুতিতে, অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে অভিষেকে ২৩ বছরের পুরনো সর্বোচ্চ রান সংগ্রহের রেকর্ড ভেঙ্গে যায়। পরবর্তীতে ২০১৩ সালে ফিলিপ হিউজ তার এ রেকর্ড ভেঙ্গে ফেলেন। নভেম্বর, ২০০৬ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে তিনদিনে উপর্যুপরী শতরানের ইনিংস খেলেন। অস্ট্রেলিয়ায় অনুষ্ঠিত ২০০৬-০৭ মৌসুমের অ্যাশেজ সিরিজের প্রস্তুতিমূলক খেলায় এ কৃতিত্বের অধিকারী হন। প্রধানমন্ত্রী একাদশের সদস্যরূপে ১১২, নিউ সাউথ ওয়েলসের পক্ষে ১০৭ রান করেন। তাসত্ত্বেও, দল নির্বাচকমণ্ডলী নিয়মিত উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান হেইডেন ও ল্যাঙ্গারকে দলে রাখে। এরফলে, তাকে এনএসডব্লিউর পক্ষে খেলতে হয়।
এক বছর পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে জাস্টিন ল্যাঙ্গারের অবসর গ্রহণের ফলে স্বদেশে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টেস্ট খেলার জন্যে আমন্ত্রণ জানানো হয়। এ পর্যায়ে ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়ার ক্রিস রজার্সের সাথে তাকে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় অবতীর্ণ হতে হয়েছিল। পুরা কাপে ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে দ্বিতীয় ইনিংসে তিনি ১৬৭ রান তুলেন; অন্যদিকে রজার্স ৯ ও ১৭ সংগ্রহ করতে পেরেছিলেন।
সুযোগের পূর্ণাঙ্গ সদ্ব্যবহারে সচেষ্ট হন তিনি। অস্ট্রেলিয়া দলের উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান হিসেবে স্থায়ীভাবে খেলার মানসে গাব্বায় অনুষ্ঠিত সিরিজের প্রথম টেস্টে নিজস্ব প্রথম শতরানের ইনিংস খেলেন। তবে, ব্যক্তিগত ৬৮ ও ৯০ রানে দুইবার আউটের হাত থেকে রক্ষা পান। বিরতির পর প্রথম বলে বাউন্ডারি হাঁকিয়ে শতরান করেন।[3] ১৯৪ বলে ১৪টি চারের আরে সেঞ্চুরিটি আসে। তিন অঙ্কের কোটা স্পর্শে ৩৪ বল খরচ করেছিলেন তিনি।[4] পরবর্তী সাত বলে আর কোন রান পাননি ও মুত্তিয়া মুরালিধরনের বলে প্রসন্ন জয়াবর্ধনে তাকে স্ট্যাম্পিং করেন।[3] এক সপ্তাহ পর বেলেরিভ ওভালে অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় টেস্টে আবারও সাফল্য পান। ১৫০ ও ৬৮ রান তুলেন তিনি।[5]
এরফলে, ২০০৮ সালের ওয়েস্ট ইন্ডিজ গমনার্থে হেইডেনের সাথে উদ্বোধনী জুটিতে যুক্ত হতে সহায়তা করে। ব্রিজটাউনে সিরিজের চূড়ান্ত টেস্টে সেঞ্চুরি হাঁকান তিনি। শুরুতে ধীরলয়ে যাত্রা শুরু করলেও শেষদিকে ৭৬, ৩১ ও ১০৮ রান করেন। নয় খেলায় ৫০.৩৭ গড়ে ৮০৬ রান সংগ্রহ করেন। এরপর ভারত গমনে দলের নাম ঘোষণা করা হলে সাইমন ক্যাটিচকে তার স্থলাভিষিক্ত করা হয়। নিজ গৃহে পদার্পণ করে দীর্ঘদিনের পিঠের সমস্যা থেকে মুক্ত হবার লক্ষ্যে অস্ত্রোপচার করেন। এরপর, আর তাকে টেস্ট দলে রাখা হয়নি।[6]
জানুয়ারি, ২০১২ সালে অস্ট্রেলিয়ায় প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট থেকে অবসর গ্রহণ করেন। তবে, ইংল্যান্ডের পেশাদারী ক্রিকেটে খেলা চালিয়ে যেতে থাকেন। ব্রিটিশ পাসপোর্টধারী হবার কারণে স্থানীয় খেলোয়াড় হিসেবে তাকে পরিচিতি ঘটানো হয়। ২০১২ সালে ৪৪.০০ গড়ে ৭৯২ রান তুলে দলকে শিরোপা বিজয়ে সহায়তা করেন। দুইটি শতরানের ইনিংসের কল্যাণে ইয়র্কশায়ার দলকে ২০০৫ সালের পর দ্বিতীয়বারের মতো প্রথম বিভাগে উত্তরণ ঘটান। এরপর নটিংহ্যামশায়ারে চলে যান। কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশীপে প্রায় ৫০ গড়ে ৮৯৪ রান তুলেন। এছাড়াও, নর্দান্টস ও ওরচেস্টারশায়ারের পক্ষে খেলেছেন তিনি।
৩৫ বছর বয়সে কাউন্টি খেলোয়াড়ী জীবনে ব্যাঘাত ঘটে। আকস্মিকভাবে তাকে নিউ সাউথ ওয়েলস ব্লুজের সহকারী কোচের দায়িত্ব প্রদান করা হয়। ১৩ মে, ২০১৫ তারিখে কুইন্সল্যান্ডের নতুন কোচ হিসেবে তার নাম ঘোষণা করা হয়।
২০০৫-০৬ মৌসুমের অস্ট্রেলীয় বর্ষসেরা ঘরোয়া ক্রিকেটারের সম্মাননা লাভ করেন ও ২০০৬ সালের অ্যালান বর্ডার পদক অনুষ্ঠানে এ পুরস্কার দেয়া হয়। ফেব্রুয়ারি, ২০০৭ সালে মাত্র কয়েক রানের জন্যে সিডনি গ্রেড ক্রিকেটে ভিক্টর ট্রাম্পারের গড়া সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড ভঙ্গ করতে পারেননি। ছয় ঘণ্টারও কম সময়ে সাদারল্যান্ডের সদস্যরূপে নর্থ সিডনির বিপক্ষে ৩২১ রান তুলেছিলেন। সব মিলিয়ে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে আটটি দ্বি-শতরানের ইনিংস খেলেছেন।
২০০৭ সালের দূর্দান্ত ক্রীড়ানৈপুণ্য প্রদর্শনের স্বীকৃতিস্বরূপ ক্রিকইনফো কর্তৃক বিশ্ব টেস্ট একাদশে তাকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়।[7]
ব্যক্তিগত জীবনে বিবাহিত তিনি। ২০০৬ সালে অস্ট্রেলীয় মহিলা ফুটবলার ড্যানিয়েল স্মলের সাথে পরিণয়সূত্রে আবদ্ধ হন। পরবর্তীতে, ২০০৯ সালে তাদের বিবাহ-বিচ্ছেদ ঘটে।[8] এরপর, জেসিকা জ্যাকুয়েসের পাণিগ্রহণ করেন। এ সংসারে স্যামুয়েল জ্যাকুয়েস নামীয় পুত্র ও শার্লত জ্যাকুয়েস নাম্নী কন্যা রয়েছে।
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.
Every time you click a link to Wikipedia, Wiktionary or Wikiquote in your browser's search results, it will show the modern Wikiwand interface.
Wikiwand extension is a five stars, simple, with minimum permission required to keep your browsing private, safe and transparent.