Loading AI tools
বাংলাদেশী রাজনীতিবিদ উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
ফরিদা রউফ আশা (মৃত্যু: ১০ সেপ্টেম্বর ২০০৭) বাংলাদেশি রাজনীতিবিদ ও মুক্তিযোদ্ধা যিনি সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য ছিলেন।[1][2]
ফরিদা রউফ আশা | |
---|---|
২ নং সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য | |
কাজের মেয়াদ ৫ জুলাই ১৯৯৬ – ১৫ জুলাই ২০০১ | |
পূর্বসূরী | রেবেকা মাহমুদ |
উত্তরসূরী | আবেদা চৌধুরী |
ব্যক্তিগত বিবরণ | |
জন্ম | ফরিদা খান আশা ১৯৫২ ঢাকা |
মৃত্যু | ১০ সেপ্টেম্বর ২০০৭ উত্তরা, ঢাকা |
রাজনৈতিক দল | বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ |
দাম্পত্য সঙ্গী | আবদুর রউফ |
সম্পর্ক | কামাল উদ্দিন খান (ভাই), শফিক খান (ভাই), মহীউদ্দিন খান রবি (ভাই), আব্দুল ওয়াহেদ (ভগ্নিপতি), সিরাজুল হক (ফুফাতো ভাই), আনিসুল হক (ফুফাতো ভ্রাতুষ্পুত্র), আতাউস সামাদ (ফুফাতো ভগ্নিপতি), রতন সিদ্দিকী (মামাতো ভাই) |
সন্তান | ডাক্তার মোস্তফা মঈন, রিফাত ফারহানা শান্তা, রিফাত রুমানা শর্মী |
পিতামাতা | ফরিদ উদ্দিন খাঁ, শামসুন্নাহার |
প্রাক্তন শিক্ষার্থী | ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় |
ফরিদা রউফ আশা ১৯৫২ সালে ঢাকায় জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা ফরিদ উদ্দিন খাঁ (১৮৯৩-১৯৫৭) পঞ্চাশের দশকের প্রখ্যাত সাহিত্যিক ও প্রকাশক। মাতা শামসুন্নাহার (১৯০৭-১৯৭৪)। স্বামী আবদুর রউফ (১৯৪১-২০১১) রাজনীতিবিদ ও মুক্তিযোদ্ধা যিনি রংপুর-১ ও নীলফামারী-১ আসনের সংসদ সদস্য ছিলেন। তার এক ছেলে ডাক্তার মোস্তফা মঈন উদ্দিন সিরাজগঞ্জের ডেপুটি সিভিল সার্জন, এবং দুই মেয়ে রিফাত ফারহানা শান্তা ও রিফাত রুমানা শর্মী।[3]
ফরিদা রউফ আশা বাংলাদেশ মহিলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন। তিনি মুক্তিযুদ্ধের সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে গঠিত ছাত্রী ব্রিগেডের সংগঠক ছিলেন। পূর্ব পাকিস্তান ছাত্রলীগের সভাপতি ছিলেন তিনি। ঊনসত্তরের গণ-অভ্যুত্থান ও বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশগ্রহণসহ তৎকালীন সকল রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে তিনি সক্রিয় ভূমিকা রাখেন।[3]
তিনি সপ্তম জাতীয় সংসদের মহিলা আসন ০২ থেকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মনোনীত সংসদ সদস্য ছিলেন।[1]
ফরিদা খান আশার পৈতৃক নিবাস কুমিল্লা জেলার মুরাদনগর উপজেলার কোড়েরপাড় গ্রামের বিখ্যাত খাঁ বাড়ি। তাঁর পিতা ফরিদ উদ্দিন খাঁ (১৮৯৩-১৯৫৭) ছিলেন একজন স্বনামধন্য সাহিত্যিক, শিক্ষাবিদ ও প্রকাশক। পিতামহ ইউনুস আলি খাঁ (১৮৬৫-১৯২১) ছিলেন মুরাদনগর অঞ্চলের প্রথম এন্ট্রান্স পাশ (১৮৮৫ সাল) এবং ডাক বিভাগের হেড পোস্টমাস্টার। পিতামহী জওহরেন্নেসা মুরাদনগরের প্রথম বালিকা বিদ্যালয় কোড়েরপাড় বালিকা বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা শিক্ষয়িত্রী ছিলেন।[4]
ফরিদা খান আশার চার ভাই ও এক বোন। প্রথম ভাই শামস উদ্দিন খান মোসলেম (১৯৩৪-১৯৬৬) ছিলেন কবি ও আলোকচিত্রশিল্পী; দ্বিতীয় ভাই প্রকাশক ও ব্যবসায়ী কামাল উদ্দিন খান কানন (১৯৩৭-২০১৬) ছিলেন শাহজাহান লাইব্রেরি এবং শাহজাহান প্রিন্টিং ওয়ার্কস এর স্বত্বাধিকারী; তৃতীয় ভাই শফিক খান (১৯৪০-২০২০) ছিলেন গণস্বাস্থ্যের নির্বাহী পরিচালক[5], চতুর্থ ভাই ভূতত্ত্ববিদ মহীউদ্দিন খান রবি (১৯৪৩-২০১৪) ছিলেন জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রধান হাইড্রোজিওলজিস্ট ও পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক (প্রশাসন, উন্নয়ন ও পরিকল্পনা)। একমাত্র বোন ফয়জুন্নেসা খান মায়া (১৯৩৮-১৯৫৮) এর স্বামী কৃষিবিদ আব্দুল ওয়াহেদ (১৯২৪-১৯৫৯) ছিলেন কৃষি বিভাগের মাসিক কৃষিকথা পত্রিকার সম্পাদক।[6]
১৯৭৩ সালে ছাত্রনেতা আব্দুর রউফের সাথে তাঁর বিয়ে হয়। ইস্কাটনের লেডিস ক্লাবে অনুষ্ঠিত সেই বিয়ের অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়েছিলেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।[4] শেখ হাসিনার ঘনিষ্ঠ বান্ধবীদের একজন ছিলেন ফরিদা খান, তাদের সিদ্দিক বাজারের বাসাতে শেখ হাসিনা বহুবার বেড়াতে এসেছিলেন।[6]
রাজনীতিবিদ অ্যাডভোকেট সিরাজুল হক (বাচ্চু মিয়া) তাঁর ফুফাতো ভাই, এবং আইনমন্ত্রী আনিসুল হক তাঁর ফুফাতো ভাইয়ের পুত্র। সাংবাদিক আতাউস সামাদ তাঁর ফুফাতো ভগ্নিপতি (ফুফাতো বোন কামরুন্নাহার রেণুর স্বামী)।[6] নাট্যকার ও গবেষক রতন সিদ্দিকী তাঁর মামাতো ভাই।[6]
ফরিদা রউফ আশা ১০ সেপ্টেম্বর ২০০৭ সালে ঢাকার উত্তরায় নিজ বাসভবনে মৃত্যুবরণ করেন।[2][3]
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.
Every time you click a link to Wikipedia, Wiktionary or Wikiquote in your browser's search results, it will show the modern Wikiwand interface.
Wikiwand extension is a five stars, simple, with minimum permission required to keep your browsing private, safe and transparent.